‘সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়’

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর অগ্রভাগ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বরগুনা উপকূলে আঘাত হানবে। দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলার উপর দিয়ে তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে এটি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। তবে এই ঝড়ের পুরোটাই বাংলাদেশ উপকূল দিয় যাবে।
এ সব তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সিত্রাং এর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলা।
তিনি বলেন, ‘সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে রূপ নিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে।’
উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক ও ২ জেলায় হাল্কা আঘাত হানবে। তবে বরগুনার পাথড়ঘাটা ও পটুয়াখালির কলাপাড়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এনামুর রহমান জানান, উপকূলে ৭০৩০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সকাল থেকেই মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। আমরা আম্পানে ২৪ লাখ মানুষকে সরিয়েছিলাম। এবার ২৫ লাখ সরানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বেশি আঘাত হানবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালি, সন্দীপ বেশি ঝুকিপূর্ণ। সেখান থেকে মানুষ সরাতে কাজ চলছে।’
সিডরের মত ভয়াবহ হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিডর ছিল সুপার সাইক্লোন। এটা সিভিয়ার সাইক্লোন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১টি মানুষও যেন মারা না যান সেটি হলো সবচেয়ে বড় সফলতা। পাশাপাশি, তাদের গবাদি পশুগুলোকেও সেন্টারে আনতে বলা হয়েছে। প্রতিজেলায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ড্রাই কেক ও বিস্কুট পাঠানো হয়েছে শুকনা খাবার হিসেবে।’
দুর্যোগে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।
এনএইচবি/এমএমএ/
