গাইবান্ধা উপনির্বাচন ‘দৈব-দুর্বিপাক ‘, জানুয়ারিতে ভোট

সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার বিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পূর্ব-বর্ণিত উদ্ভূত অবস্থাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ আসনের শূন্য পদে নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল। নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অনিয়মের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাইবান্ধা -৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১(ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণসহ সকল নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।
সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত ৯০ দিবসের মেয়াদ ২০ অক্টোবর সমাপ্ত হবে। কিন্তু পূর্ব-বর্ণিত মতে গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সকল আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী ৮ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তাই সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার বিধান মতে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত ৯০ দিনের নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার ও দায়িত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের।
এসএম/এমএমএ/
