বর্তমান ও সাবেক সিইসিরা ইভিএমে ভোটগ্রহণে একমত

বর্তমান ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা (সিইসি) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের পক্ষে একমত পোষণ করেছেন।
তারা বলেছেন, যারা ইভিএম ব্যবহার করেননি, যারা ইভিএম দেখেননি, তাদের পক্ষে ইভিএম বোঝা একটু কঠিন। সুতরাং যতদূর পারা যায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাবেক সিইসি ও ইসিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা বৈঠকে উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। পরবর্তীকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইভিএম নিয়ে বলেন এটা ভালো।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘তারা (নির্বাচন কমিশন) চেষ্টা করতে থাকুক। মানুষ যদি শিক্ষিত হয় তাহলে সমস্যা হবে না।’
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা কনস্টিটিউশনাল বডি। তারা আইন অনুযায়ী চলবে এটাই বলেছি। ইভিএম নিয়ে উনাদের পাবলিকলি ডায়ালগ করতে হবে। ইভিএম উন্নত মানের যন্ত্র। নতুনটা অলমোস্ট ডিজিটাল। এটা তো জানতে হবে লোকের। টেস্ট করুক, তাদের (ভোটারদের) সামনে দেন। যাদের আপত্তি আছে তারা এসে দেখুক এটা ঠিক না বেঠিক। তারপর না হয় লোকজন বুঝতে পারবে। এটা নিয়ে পাবলিসিটির দরকার আছে।’
আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘যে গুলোতে ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে ভোটার ভোট দিয়েছেন ৮০ শতাংশ ৭০ শতাংশ ৬৫ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ভোটাররা আপত্তি করেনি।
প্রিসিাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার তারা ইভিএম নিয়ে আপত্তি করেনি। যারা প্রার্থী ছিল, যারা জয়ী হয়েছেন, যারা জয়ী হতে পারেননি তারাও আপত্তি করেনি। সুতরাং তারা জানেন ইভিএম কী, যোগ করেন তিনি।
এসএম/এমএমএ/
