জমি অনাবাদি না রাখার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না।’
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সভায় ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার আগে জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। যাতে করে সরকারি টাকায় কেনা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার করতে পারে জনগণ।’
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (ইনমাস) মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়া-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ২১৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাকরি জীবনে যখন মাঠ পর্যায়ে ছিলাম তখন দেখেছি, অনেকে স্বাস্থ্যের যন্ত্রপাতি খুলতেই পারে না। তাহলে কীভাবে মানুষ সঠিক সেবা পাবে? সভাই অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে হচ্ছে- মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২২ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
দেশের ৬৪টি জেলার যেসব উপজেলায় মাশরুম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে এমন ১৬০টি উপজেলা ও ১৫টি মেট্রোপলিটন থানায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, মেট্রোরেলে অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। এসি সুবিধা ও স্টেশনে সুন্দর পরিবেশে আছে। সুতরাং উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১০০ টাকা খুব বেশি না।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে ভাড়া নিয়ে কথা বলছেন। কলকাতায় মেট্রোরেলে উঠেছি। এটা ৪০ বছর আগে হয়েছে। ৪০ বছর আগের ভাড়া আর এখনকার ভাড়া এক হবে না। মেট্রোরেল সংরক্ষণ ব্যয় অনেক বেশি। এ বিবেচনায় ১০০ টাকা হতেই পারে। তবে দেখতে হবে মেট্রোরেল সময়মতো চলে কি না এটা যাতে মুড়ির টিন না হয়। ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।’
জেডএ/এমএমএ/