প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যা পেয়েছি তাতেই খুশি: কাদের
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দুই দেশের চুক্তি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। যা পেয়েছি তাতেই খুশি আমরা।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয় গণমাধ্যমে কেন্দ্রে বিএসআরএফ সংলাপে একথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম এ সংলাপের আয়োজন করে। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি মোতাহার হোসেন।
সংলাপে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের সংকট মোকাবিলায় যা যা প্রয়োজন সেটাই আমরা চেয়েছি। সেটাই আমরা পেয়েছি। তিস্তা চুক্তি হয়নি, কুশিয়ারা হয়েছে। অদূর ভব্যিষতে তিস্তা চুক্তিও হবে। বিএনপি না পাওয়ার হতাশায় সব ভুলে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ভুলে যান না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া তো বার বার যাননি। একবার দিল্লি সফরে গিয়ে পানি চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। তারা এ ধরনের সেনসেটিভ ইস্যু ভুলে যায়, শেখ হাসিনা কিছুই ভুলে যাননি। তিস্তা চুক্তি এবার হয়নি, গতবারও হয়নি, কুশিয়ারার হয়েছে। ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, ৫টি চুক্তি সই হয়েছে। আমরা খালি হাতে ফিরে আসিনি। আমি তো একটাতেই খুশি; কেন? বর্তমান সংকটে আমার কী দরকার? আমাদের আগে বাঁচতে হবে। আমার জনগণকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় যা যা দরকার, যা যা আমরা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের চাওয়া। এই মুহূর্তে এতেই আমরা খুশি।
তিনি বলেন, কুশিয়ারা হয়েছে, তিস্তাও একদিন হবে। ভারত তো অস্বীকার করেনি। শেখ হাসিনা তো ভুলে যাননি, তিস্তার কথা তুলতে। এখানে পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের একটা সমস্যা আছে তিস্তার ব্যাপারে, সেটাও আলাপ আলোচনা চলছে, অগ্রগতি হচ্ছে। আমি আশা করি অদূর ভবিষতে হয়ে যাবে। আপতত যা পেয়েছি আমি মনে করি যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির তো পুরোপুরি না পাওয়া। না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আমরা বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করেছি। এ বছর আপনারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের দেয়াল তুলেছেন। সংশয় আর অবিশ্বাসের দেয়াল। সেই দেয়াল আমরা ভেঙে দিয়েছি। ভেঙে দিয়েছি বলেই সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। পারস্পরিক আদান প্রদান শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। দুনিয়ার কোনো দেশে এত শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল হস্তান্তর হয়েছে? আমরা তো পেরেছি, অগ্রগতি হচ্ছে। না পাওয়ার হতাশা আপনাদের মধ্যে আছে। আপনারা ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আপনারা পাবেন কেন? আমরা বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।
মাঠের আন্দোলনে পুলিশ দিয়ে বিএনপিকে প্রতিহত করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের শত্রু ভাবে, আমরা তাদের প্রতিপক্ষ মনে করি। তাদের মিছিল থেকে ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার এই স্লোগানও শুনেছি। এই স্লোগান কে দিয়েছে আমরা দেখেছি, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অনেক কিছুই সহ্য করেছি। এখন রাস্তা অবরোধ করে মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেবেন, সে অবস্থায় পুলিশ বলল, আপনারা রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেন, তখনই পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে দিল, পুলিশের উপর হামলা চালাল। পুলিশ বসে থাকবে নাকি? তারাও পাল্টা আক্রমণ করল। এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের সঙ্গেও মুখোমুখি হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ গায়ে পড়ে কাউকে আক্রমণ করবে না। আমরাও বলেছি আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হবে না। কিন্তু আমরা যদি আক্রমণের শিকার হই, আমরা যদি হামলায় আক্রান্ত হই, তাহলে আমরা কী করব? সেখানে কী আমরা চুপচাপ বসে থাকব? সেটা কী কর্মীরা বসে থাকতে রাজি হবে?
এসএম/এমএস