মেট্রোরেলের ভাড়া পুনর্বিবেচনা করুন: সেভ দ্য রোড

করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার এই সময়ে এসে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিব-আমলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেভ দ্য রোড নেতারা বলেছেন, মেট্রোরেলের ভাড়া পুনর্বিবেচনা করুন।
আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-এর সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতার কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমানুষের কল্যাণের জন্য যে মেট্রোরেলের ব্যবস্থা করলেন, সেই মেট্রারেলে যেন জনগণ উঠতে না পারে, এমনভাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পর তা দিতেই সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্টাগত যখন, তখন তার চেয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ করলে তা তাদের উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ব্যবহার হবে।
সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যবিত্ত ৩ সদস্যর একটি পরিবারের যেখানে মাসিক ব্যায় কমপক্ষে ২১ হাজার টাকা। সেখানে নতুন করে মেট্রোরেল তার জীবনে নতুন কোনো আশার সঞ্চার করতে পারেনি। কারণ, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে টিকে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টায় থাকা কর্তা ব্যক্তিটির বেতন বাড়েনি, বাড়েনি ব্যবসার লাভ বা প্রসারও। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাকুরি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই অনেকেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারেন নি।
এমতবস্থায় একজন মধ্য মাপের চাকরিজীবীর বেতন যেখানে ১৮-২০ হাজার টাকা; তার বেতন থেকে মেট্রোরেল-এ আসা-যাওয়ার জন্য গুণতে হবে কমপক্ষে ২ হাজার ৪০০ টাকা। বাকি টাকায় পরিবার চালাতে তাকে হিমশিম খেতে হবে। সাধারণ মানুষের ভাবনা ছিল-সরকারের পক্ষ থেকে কষ্ট কমানোর জন্য মেট্রোরেলের ব্যবস্থা করছে, কিন্তু এই ভাড়া নির্ধারণ তাদের সকল আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মেট্রোরেলের সর্বনিন্ম ভাড়া নির্ধারণ হওয়া উচিৎ সর্বোচ্চ ১৪ টাকা, কিলোমিটারপ্রতি যা সাড়ে ৩ টাকা হতে পারে; একই সঙ্গে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া সর্বোচ্চ ৬০ টাকা নির্ধারিত হলেই কেবলমাত্র প্রমাণিত হবে যে, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিন্মবিত্ত থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কথা ভাবছে সরকার।
এমএমএ/
