হাসিনার সঙ্গে দেখা হচ্ছে না মমতার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যদিও প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবার।
পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) লিখেছে, সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও।
শেখ হাসিনা বললেন, ‘মমতা আমার বোনের মতো। ভেবেছিলাম দিল্লি এলে দেখা হবে। কোনো কারণে এবার সেটা হলো না। তবে তার সঙ্গে তো যেকোনো সময়েই আমার দেখা হতে পারে!’
আনন্দবাজার বলছে, দিল্লিতে দেখা করার আশা জানিয়ে এর আগে মমতাকে চিঠিও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠিতে তিনি পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসাটা বাংলাদেশের আসন্ন ভোটে আওয়ামী লীগের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলত বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, পানিসম্পদ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হবে। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে অগ্রগতি না হলেও হাসিনা এদিন জানান, তিনি আশাবাদী। দুই দেশই যে এটা চায়, এ নিয়ে সংশয় নেই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্যদেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি আমরা।’
নৈশভোজে এদিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। জানালেন, ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছেন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তার উপহার। নানা সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কোভিডের সময়েও যে কয়েকটি হাতে গোনা দেশের রপ্তানি আয় থিতু ছিল, বাংলাদেশ তার অন্যতম। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বোঝা বাংলাদেশের মাথায় চেপে বসছে।
হাসিনা বলেন, ‘এগারো লক্ষ শরণার্থী। ভারত বড় দেশ। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে ভারত তৎপর হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের চাষবাসে ভরসা নদীর পানিই। নদী নিয়ে উদ্বেগ হাসিনার কথাতেও উঠে এসেছে।
তিনি জানান, নিম্ন অববাহিকায় থাকার কারণে পলি জমে নদীতে। নাব্যতা কমে যায়। সে জন্য পলি সরাতে সমস্ত নদী ড্রেজ়িং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তাও ড্রেজ়িং করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড্রেজ়িং ছাড়া উপায় নেই। ভূগর্ভের পানি নয়, নদীর পানিতেই আমাদের কৃষিকাজ চলে। এখন ভারত যদি এ জন্য ঋণসাহায্য দেয়,
সেটা আমাদের জন্য ভালো!
আরইউ/এমএমএ/
