অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সুখবর নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কোনো সুখবর নেই বলে জানা গেছে।
সফরকালে শুধু কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর)। এই সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে এই সফরকালে সুখবর আছে কী না জানতে চান। এ বিষয়ে জবাব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন আপনারা সেটি দেখে নেবেন। এত বড় প্লাটফরমে এর বেশি বলা সম্ভব না।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, নদী নিয়ে একটি আলোচনা হয়ে গেছে। যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। নদী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য জেআরসি-ই ট্রু প্লাটফর্ম।
এ পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, নদী বা সমুদ্রসীমা সবকিছুই আমরা ইতোমধ্যে ডায়ালাগের মাধ্যমে সমাধান করেছি। সামনেও তাই হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিক্ষেত্রেই একান্ত আলোচনা হয়। এবারও দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনা হবে। তবে কী আলোচনা হবে আমরা জানি না।
কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) চুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেপা চুক্তি বিশাল একটা বিষয়। আমরা এখনো সেরে উঠতে পারিনি।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বহুপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার বিষয়টি আমাদের এজেন্ডায় নেই। তবে ভারতের পক্ষ থেকে উত্থাপন করলে আলোচনা হবে।
আরইউ/এসএন
