মন্ত্রিসভার বৈঠক
৫ দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করছে সরকার

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে খাদ্যের যথেষ্ট মজুত আছে। এই মজুতকে আরও ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার রাশিয়া ও ভারতসহ অন্তত পাঁচটি দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করছে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন একটু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ১২/১৩ জন ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সে কারণে আমনের সেচ ভালো হচ্ছে। যেসব এলাকায় খাল-বিল আছে সেগুলোতে পানির সমস্যা হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় দুয়েক দিনের মধ্যে খাদ্যের বিষয়ে ব্রিফ করবে। তবে তারা যে তথ্য দিয়েছে তাতে এখন ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্য মজুত আছে। গত দুই-তিন দিনে (আজকে-কালকে) চার-পাঁচ টাকা করে চালের দাম কমেছে। ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চলার কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
যেহেতু আগামী দুই থেকে তিন মাস বা পরবর্তীতে আরও দুই মাস খাদ্য বাবন্ধর কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে কারণে আমাদের আরো পাঁচ-ছয় লাখ টন খাদ্যের প্রয়োজন হবে। এটাও খাদ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভাকে নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে তারা চুক্তিও সম্পন্ন করেছে এবং কার্যাদেশও দিয়েছে। সুতরাং আগামী নভেম্বর থেকে একটা খাদ্য সংকট হতে পারে বলে আমরা যে চিন্তা করছি সেখানে আমরা একটা কমফোর্টেবল সিনারিওতে আছি।
তিনি জানান, আমরা রাশিয়া, ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল ও গম পাওয়ার বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি। আশা করি আমরা এই খাদ্য ঘাটতি থেকে আপাতত একটু কমফোর্টেবল…।
এর পাশাপাশি আমনও চলে আসবে। তারপরও আরও দুয়েকটা জায়গা থেকে খাদ্য আমদানির ব্যবস্থা করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো করেণে যেন যাদেরকে কার্যাদেশ দেওয়া হল তার দু’একটা কার্যাদেশ যদি ফেল করে সে জন্য অন্য জায়গা থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে মজুদ ঠিক রাখা হয়।
আমনে কত ধান উৎপাদন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা কৃষি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজেকশনটা দ্রুত দিয়ে দিতে। একা একা কাজ না করে তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে থেকে এনে জানিয়ে দেবে। আশা করি আগামী ১৫/১৬ দিনের মধ্যে এটা জানা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন-২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংরাদেশ ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য ‘এগ্রিমেন্ট ফর কো-অপারেশন ইন দি লিগ্যলি ফিল্ড’ শীর্ষক একটি চুক্তির খসড়া এবং আইকার একটা প্রটোকল আর্টিকেল ৫০ ও ৫৬ অনুসমর্থনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
এর বাইরে মন্ত্রিসভায় ‘মাদার অব হিউম্যানিট সমাজকল্যাণ পদক’ এর নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল। আলোচনা করে মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক ২০২২’ নাম দিয়েছে। ২০১৮ সালে মন্ত্রিসভা মাদার অভ হিউম্যানিটি পদক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিল।
এনএইচবি/এমএমএ/
