শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কেউ কিছু বলবে না: প্রধানমন্ত্রী

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও কাউকে কিছু বলবে না বলে আবারও জানিয়ে দিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমি পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য এটা ঠিক। পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। সেটা কি নাই? না পুলিশ হলে তার আক্রান্ত হলেও তার নিজেকে রক্ষা করার কোনো অধিকার থাকবে না? আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। মিছিল করেন, আন্দোলন করেন শান্তিপূর্ণভাবে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না।’
বৃস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপতি বক্তব্যে সংসদ নেতা একথা বলেন। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির উপর হামলার তথ্য তুলে ধরে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তার জবাবে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রুমিন ফারহানা বলে গেল খুব খারাপ নাকি অবস্থা। ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে গেল, প্রতিবাদ করে গেছে। বাংলাদেশে কী হত? ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হলো। বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হলো। বিরোধী দল আন্দোলন করবে হ্যাঁ আমি বলেছি পুলিশকে, যে কিছু না বলার জন্য; এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। যেকোনো একটা মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। সেটা কি নাই? পুলিশ আক্রান্ত হলে তার নিজেকে রক্ষা করার কোনো অধিকার থাকবে না?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘তাদের কথা মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে সব করবে তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। হ্যাঁ এটা করে, একটা কারণ আছে, কারণ হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ করার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটাবে যেন তারা একটু ইয়ে পায়।’
তিনি বলেন, ‘এখন গুম, খুন হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ৭৫ এর পর কি ঘটেছে। পরবর্তী ২০০১ সালের নির্বাচের পর বরিশালের আগইলঝড়ায় গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্প মূল্যে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা খাতে আমরা দিচ্ছি, কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রত্যেকটা খাতে ভর্তিুকি দিচ্ছি। যারা সাধারণ মানুষ তাদের জন্য। যারা উচ্চবিত্ত তারা হয়তো একটু অখুশি হতে পারেন। সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকেই বেশি দৃষ্টি দিয়ে থাকি, এটাই আমার নীতি এবং সেটাই আমি করে যাচ্ছি। হতাশাব্যঞ্জক কথা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো সেটা মোটেই সমুচিত না।’
এসএম/এমএমএ/
