১২ বছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সোয়া লাখ কোটি টাকা

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১২ অর্থবছরে ১ লাখ ২০ হাজার ৯৮২ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘এই ঋণের মধ্যে আসল বাবদ দিতে হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৮০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা। আর সুদ বাবদ পরিশেধ করতে হয়েছে ২৬ হাজার ৩০১ দশমিক ৬২ কোটি টাকা।’
বুধবার (৩১ আগস্ট) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ শোধ করতে হয়েছে ১৬ হাজার ২৩৯ দশমিক ৭ কোটি টাকা। তারমধ্যে আসল বাবদ ১২ হাজার ৩১ দশমিক ৭ কোটি এবং সুদ বাবদ ৪ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। আর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ঋণ শোধ করতে হয়েছে ১৪ হাজার ৭০২ দশমিক ৪৩ কোটি। এই ঋণের মধ্যে সুদ ৪ হাজার ৪৮ দশমিক ৬৯ কোটি আসল বাবদ ১০ হাজার ৬৩৫ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আয় বৈষম্য মারাত্নক আকার ধারণ করেছে এটি সত্য নয়। আয় বৈষম্য নিরুপণ করা হয়ে থাকে জিনি সহগের সাহায্যে। যাবে কেবল মাত্র বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর খানা আয় ব্যয় জরিপ এর মাধ্যমে বৈষম্য হিসাব করা হয়। সবশেষ ২০০৫ সালের জরিপ অনুযায়ী সহগ ছিল ০ দশমিক ৪৮। অর্থাৎ ১১ বছরে আয় বৈষম্য বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, ভোগ বৈষম্য ০ দশমিক ৩৩২ হতে কমে ২০১৬ সালে ০ দশমিক ৩২৪ হয়েছে। অর্থাৎ ভোগ বিবেচনায় বৈষম্য কমে এসেছে। একই সময়ে মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৫৪৩ মার্কিন ডাল থেকে প্রায় ২১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩৭ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ২ হাজার ৮২৪ ডলার। অর্থাৎ জাতীয় আয় বৃদ্ধির তুলনায় আয়ে বৈষম্য সামন্য বাড়লেও ভোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য কমেছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৬২ টি। তারমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ১৭ হাজার ৩৭৬টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৪৮ হাজার ২৫৪টি, অর্থ বিভাগে ১৫ হাজার ৮২টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগে ১৫ হাজার ২৪০টি।
এসএম/এমএমএ/
