কাল থেকে শুরু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সুবিধা পাবে ৯ কোটি মানুষ

নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছে সরকার। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিক্রি চালু হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তা ছাড়া ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। এরমধ্য দিয়ে মোট এক কোটি ৫০ লাখ পরিবার আসবে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়। প্রতি পরিবারে ৬ জন সদস্য ধরে তাতে ৯ কোটি মানুষ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা পাবেন। ফ্যামিলি কার্ড ছাড়া ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প দামে দরিদ্র মানুষের কাছে চাল বিক্রি করবে সরকার।
সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হলে চালের বাজারে অস্থিরতা কাটবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বাজার সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার থেকে যখন নয় কোটি মানুষের জন্য চাল কেনা বন্ধ হবে তখন তার একটা বড় প্রভাব চালের বাজারে পড়বে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্র থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। আর ৪০৩টি কেন্দ্রে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি হবে। তারমধ্যে ঢাকা মহানগরে শ্রমঘন চারটি অঞ্চল ও বিভাগীয় শহরের মোট ৪০৩টি কেন্দ্রে ৫ মেট্রিক টন হারে আটার মোট বরাদ্দ রয়েছে প্রতিদিন ২০১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন।
ঢাকা মহানগরে ট্রাক সেল ৫০টি কেন্দ্রে প্রতিটির বরাদ্দ সাড়ে ৩ মেট্রিক টন করে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে আরও ১৪৭টি দোকানে চাল বিক্রি করা হবে যাদের বরাদ্দ ২ মেট্রিক টন করে।
দুই হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন চালের বরাদ্দ এক লাখ ৫ হাজার ৬২২ মেট্রিক টন। ৪০৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) আটার বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৩৩ মেট্রিক টন।
তা ছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারের কাছে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। এ কার্যক্রম চলবে বছরের পাঁচ মাস। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাদেশে ডিলার রয়েছে ১০ হাজার ১১০টি। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে বিতরণ করা হবে এক লাখ ৫০ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন।
সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সরকারের দুটি কাজ এক সঙ্গে হবে। একদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণ অন্য দিকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
এসএম/এনএইচবি/আরএ/
