‘এই নে তোরা গরু মেরেছিস চটি নিয়ে চলে যা’

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, তখন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর নামে তামাশা করেছে বলে উল্লেখ করে ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ টাকা কমিয়ে আমাদের দেখালেন। নাকের সামনে ঝুলিয়ে দিলেন বললেন এই দেখ তোদেরকে চটি দিলাম। তোরা গরু মেরেছিস এখন এই চটি নিয়ে চলে যা। আমাদের অবস্থা হয়েছে তাই।’
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব সাধারণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোট সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, জ্বালানির মূল্য যখন এক লাফে ৪৬ টাকা বাড়ানো হলো তখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলাম সরকার আইএমএফ এর প্রেসক্রিপশন মানতে গিয়ে বিষ গিলেছে। সেই বিষের প্রভাব আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে গ্যাসের উত্তলনের চেষ্টা করা হলো না, যেটা করা হলো সেটা এলএনজি নিয়ে আসা হলো। এলএনজি টার্মিনাল করা হলো। এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্ত তার সঙ্গে কারা যুক্ত এটা খুঁজে বের করতে হবে। কারা এটা নিয়ে এত উৎসাহি হয়ে গেল। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কথা ছিল সেটাও করা হয়নি। আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে সমস্ত জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়ে গেছি।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানির দাম কমেছে পুরনো প্রবাদ গরু মেরে জুত দান, আমাদের অবস্থা হয়েছে তাই। আমাদের এখানে ৫ টাকা দাম কমিয়ে আমাদের দেখালেন নাকের সামনে ঝুলিয়ে দিলেন বললেন এই দেখ তোদেরকে চটি দিলাম। তোরা গরু মেরেছিস এখন এই চটি নিয়ে চলে যা তোরা। আমাদের অবস্থা হয়েছে তাই।’
আমাদের সামুদ্রিক গ্যাস উত্তলনের ব্যবস্থা করলাম না। ভারতের সঙ্গে গ্যাস আমদানির কথা বললাম সেখানে কুষ্টিয়ার অপর প্রান্ত থেকে গ্যাস নিয়ে আসার কথা ছিল কিন্তু ট্রান্সমিশন লাইন আজও পর্যন্ত হয়নি, যোগ করেন তিনি।
ক্যাপাসিটি খরচ তাদের দিতে হচ্ছে কিন্তু গ্যাস নিজেরা নিয়ে আসতে পারলাম না। বিএনপি খাম্বার রাজনীতি করেছে কিন্তু আমরা যে উৎপাদন বাড়ালাম সেখানে ট্রান্সমিশন লাইনের ব্যাপারে আমরা কোনো কাজ করেছি কি না? আামরা কোনো কাজ করিনি।
এসএম/এমএমএ/
