ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হয় না: প্রতিমন্ত্রী

দেশের নদীগুলোতে ফিটনেসবিহীন কোনো নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নৌপথে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় সংসদে শহীদুজ্জামান সরকারের (নওগাঁ-২) তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে জুলাই ২২ পর্যন্ত ফিটনেসবিহীন নৌযানের বিরুদ্ধে ৮৯৮টি মামলা মেরিন কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু সংখ্যক নৌযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন নৌযানের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়সহ ত্রুটি সংশোধনপূর্বক ফিটনেস গ্রহণে বাধ্য করা হয়।
ফিটনেসবিহীন নৌযানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ধরনের নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর বিধান অনুসরণে নৌপথ পরিদর্শনে নিয়োজিত পরিদর্শকরা ও নৌপুলিশ কর্তৃক নৌআদালতে মামলা দায়েরপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ অনুযায়ী স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে লঞ্চের ফিটনেস মনিটর করছেন।
সৈয়দ আবু হোসেনের (ঢাকা-৪) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে মান-সম্পন্ন ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার সবসময় সচেষ্ট হয়েছে। নকল-ভেজাল, আনরেজিস্টার্ড ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত ওষুধের দোকান পরিদর্শন ও তদারকি করে থাকে। তা ছাড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
এসএম/আরএ/
