কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির জাতীয় শোক দিবস পালন
বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটি। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।
‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চিরঞ্জীব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ শীর্ষক স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান প্রাপ্ত ‘আগস্ট ১৯৭৫’ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে।
কুষ্টিয়ার এক ঝাক তারকা ও বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী অতিথির জ্ঞানভিত্তিক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সহকারী সরকারি কৌসুলি (এজিপি) অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদ কেন্দ্রীয় সংসদের আইন সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. পলল।
কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান শয়ন ও যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল কবির আনন্দ, রাফায়েল আহমেদ অঙ্কন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অর্ঘ্য বিশ্বাস ও শৈবাল নন্দী হিমুর পরিচালনা, সমন্বয় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ২য় পর্বে নবগঠিত কমিটির পরিচিতি এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর, জেলা ক্রীড়া সংস্থা কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক, উদীচী কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী।
আলোচনা সভায় সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অনুপ কুমার নন্দী তার বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও ত্যাগকে কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের এই অনন্য উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তান ভাগ অপ্রত্যাশিত ছিল। বাঙালির জন্য এ ভাগটি ছিল অভিশাপ স্বরুপ, বঙ্গবন্ধু তা বুঝতে পেরে জাতির মুক্তির সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে এই অভিশপ্ত জাতির ভাগ্য খুলে দেন। তাই তার প্রতি প্রতিটি বাঙালির কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।
প্রধান আলোচক হিসেবে সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনই একমাত্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও প্রতিবাদের একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচেষ্টা হতে পারে, ফিল্ম সোসাইটির এই উদ্যোগ গ্রামে শহরের পাড়া মহল্লায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছড়িয়ে দিক এই প্রত্যাশা’।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহীন সরকার। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ও সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান এবং কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য সচিব ড. আমানুর আমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, কুষ্টিয়া গার্লস কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অজৈয় মৈত্র।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমারখালি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবু সাঈদ, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর আলমুহিদ মিঠু, অতিরিক্ত পি পি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পি পি ও আইনজীবী সমিতি কুষ্টিয়া সিনিয়র সদস্য এবং কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. নিজাম উদ্দিন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মাহবুব ইসলাম বিশিষ্ট গবষক ও গ্রন্থ প্রণেতা অ্যাড. সিরাজ প্রামানিক, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী ও এ পি পি অ্যাড. সেলিম সোহরাব খান এবং এ জি পি সুদীপ্ত সিংহ অন্তু, বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ পরিষদের মহাসচিব এস এস রুশদী।
কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট, মানবতার চিকিৎসক খ্যাত ডা. মূসা কবির পেশাগত জরুরি দায়িত্বপালনের জন্য ও উপদেষ্টা এবং রোকেয়া পদক ২০২১ বিজয়ী ড. সারিয়া সুলতানা ঢাকাতে অবস্থান করায়, কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র-বিজ্ঞাপন নির্মাতা শরিফুল হক রাকিব তার মায়ের আকস্মিক অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারলেও সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সফলতায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
আরএ/