বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩৩

কায়রোতে আমাদের দুজনের শেষ দিন। এসেছিলাম তিনজন একসঙ্গে, কিন্তু আমরা ঢাকায় ফিরলেও রানা ভাই ফিরবেন আরও এক সপ্তাহ পরে। সকালের ফ্লাইটে শাহরাম এল শেখ হয়ে সিনাই চলে যাবেন, আমেরিকা থেকে এক বন্ধু এসে তার সঙ্গে যোগ দেবেন বন্দর নগরী শাহরাম এল শেখ-এ। তারপর সিনাই হয়ে ইসরাইলের সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসে কায়রো হয়ে ঢাকায় যাবেন।

আমাদের ফ্লাইট সন্ধ্যায়। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাইরে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছোটাছুটি করে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সিটাডেল দর্শন বাদ পড়ে গেছে। রানা ভাই আগে একবার এসে ঘুরে গেছেন, সেই কারণেও আমরা প্রায়োরিটির তালিকা থেকে বাদ রেখেছিলাম। আসলে সময়ও করতে পারিনি। সৌরভ আগে থেকেই সকালের জন্য দুটি বাহনের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। একটা রানা ভাইকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেবে অন্যটা আমাদের সিটাডেল ঘুরিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় পৌঁছে দেবে। সকাল সাড়ে সাতটায় দুটি গাড়ি দরজায় প্রস্তুত। আমরা একইসঙ্গে নাস্তা করে এক যাত্রায় পৃথক ফলের নির্দেশনা মেনে নিয়ে দুই গাড়িতে উঠে বসলাম।

সিটাডেলে প্রবেশ পথ

সিটাডেলের মূল চত্বরে ঢুকে পড়ার আগে ফুটপাথ ঘেষে আমাদের নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার জোসেফ বলল, ‘তোমরা সিটাডেল ঘুরে দেখে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে।’ সিটাডেলের বিশালত্ব সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বললাম, ‘ঘণ্টা দুয়েক তো অনেক সময়!’ বাহনের চালক এবারে হেসে বলল, ‘তারপরেও তোমরা বরং একটু বেশি সময় নাও। এখন সাড়ে আটটা বাজে, তোমরা এগারোটায় ঠিক এইখানে চলে এস। এখানে গাড়ি রাখার সমস্যা আছে, আমি পার্কিং থেকে এসে তোমাদের তুলে নিয়ে যাব।’ ‘তথাস্তু’ বলে আমরা সামনে হাঁটতে শুরু করলাম।

পাথরে বাঁধানো পায়ে চলার পথ ধরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছাতেই অনেকটা সময় লেগে গেল। কাউন্টারে বসা কাঁধ পর্যন্ত লাল চুলের হিজাববিহীন মেয়েটি হেসে হেসে বলল, ‘ওয়ান হান্ড্রেড পাউন্ড প্লিজ!’ ভেবেছিলাম দুজনের জন্যে একশ, কিন্তু একটু পরেই বুঝলাম একজনের প্রবেশপত্রই একশ! সারা মিশরে ফারাওদের বিশাল রাজত্বে হাজার বছরের পুরোনো স্থাপনা, ভবন, সমাধি, মন্দির, দূর্গ ঘুরে এসেছি কোথাও ৬০ থেকে ৭৫ এর বেশি দক্ষিণা দিতে হয়নি। কে জানে গাজী সালাহউদ্দিনের নাম মাহাত্মেই কিনা তার দূর্গ দর্শনের দক্ষিণা অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি।

নাসির মাহমুদ মসজিদ

খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের সাম্ভাব্য আক্রমণ থেকে কায়রোকে রক্ষা করতে কুর্দিশ আইয়ুবী শাসক ইউসুফ ইবনে আইয়ুব ইবনে সাদি ওরফে সালাহউদ্দিন ১১৭৬ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দের ভেতরে তৈরি করেছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে সুরক্ষিত দূর্গ কায়রো সিটাডেল। আমাদের দেশে গাজি সালাহউদ্দিন নামে পরিচিত সালাহউদ্দিন আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও মিশরে মুসলিম শাসকদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ফাতিমি খিলাফতের নাবালক খলিফা আল আদিদকে সহায়তা দেওয়ার জন্যে সালাহউদ্দিনকে ১১৬৪ সালে মিশরে পাঠানো হয়েছিল। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার সামরিক সাফল্য এবং আল আদিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে সালাহউদ্দিন সুন্নি হয়েও শিগগিরই শিয়া ফাতিমি সাম্রাজ্যে নিজের গুরুত্ব ও অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তার মেয়াদকালে ক্রমেই ফাতিমীয় খিলাফতকে দুর্বল করে দিয়ে আল আদিদের মৃত্যুর পরে সালাহউদ্দিন মিশরে নিজের অবস্থান শক্ত করে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যান। বাগদাদভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে তার সম্পর্ক মজবুত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মুস্তাদি সালাহউদ্দিনকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষণা করেন।

নাসির মাহমুদ মসজিদের ভেতরে

দূর্গের অভ্যন্তরে দীর্ঘ প্রশস্ত পথ ধরে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলে ডান দিকে আল নাসির মাহমুদ মসজিদ। ১৩১৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় উপাসনালয় হিসেবে মামলুক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। প্রায় নয়শ বছর আগে তৈরি মসজিদের কারুকার্য খচিত মিনার এখনো অক্ষত আছে। শুধু মিনার নির্মাণ ও অলঙ্করণের জন্যে ইরানের তাবরিজ থেকে একজন স্থপতিকে কায়রো নিয়ে এসেছিলেন সুলতান নাসির মাহমুদ। এখানে জুতা খোলার বাধ্য বাধকতা থাকলেও নারীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই। আমাদের আগেই কয়েকজন শ্বেতাঙ্গিনী মসজিদ চত্বরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন দেখে বোঝা গেল ১০০ পাউন্ড উসুল করার ব্যবস্থা রেখেই প্রবেশ পত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুহম্মদ আলী মসজিদ

সুলাইমান পাশা মসজিদ নামের আরেকটি ছোট মসজিদকে বলা যায় পাশ কাটিয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম কায়রোর তথা মিশরের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন, সর্বাধিক চিত্রায়িত ও সর্বজন প্রশংসিত মুহম্মদ আলী মসজিদের দিকে। সুলতান মুহম্মদ আলী পাশা ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্কের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এই মসজিদ। আটোমানদের সঙ্গে বৈরিতা তার এই স্থাপত্য সৌন্দর্য বিনির্মাণে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাঝখানের কেন্দ্রীয় গম্বুজ ঘিরে চারটি ছোট ও চারটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ নিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের মূল কাঠামো।

এখানে এক সঙ্গে নামাজে যোগ দিতে পারেন দশ হাজার মানুষ। নির্মাণকাজে প্রধানত লাইমস্টোন ব্যবহার করা হলেও সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে অ্যালাবাস্টারের আচ্ছাদন। মসজিদের মিনার দুটির উচ্চতা ৮৪ মিটার, যা মিশরের সর্বোচ্চ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। ভেতরের চিত্রিত গম্বুজ ও কাঠের তৈরি সুদৃশ্য মিম্বর দুটি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ন্যাশনাল মিলিটারি মিউজিয়াম

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আমরা একটা খোলা চত্বরে এসে পড়লাম। এখান থেকে ডানে জাতীয় সামরিক মিউজিয়াম এবং বাঁয়ে পুলিশের জাদুঘর। প্রথমেই ঢুকে পড়লাম সেনাবাহিনীর জাদুঘরে। একসারি কামান সাজানো পথ ধরে একটু এগিয়ে গেলে যিনি মূর্তিমান হয়ে একটি বেদীতে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি স্বয়ং মুহম্মদ আলী পাশা। আরাম আয়েশে কালাতিপাত করার জন্যে সিটাডেলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে তিনি যে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ১৯৩৭ সাল থেকে সেই প্রাসাদই ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়াম। বহিরাঙ্গনে সাঁজোয়া যানবাহন ও যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন ছাড়াও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী রয়েছে তিনটি ভিন্ন তলায়।

সিটাডেল থেকে কায়রো শহর

পুলিশ মিউজিয়ামে প্রবেশের তোরণ দেখে বোঝা যায় এটি দূর্গের ভেতরে আরও একটি সংরক্ষিত দূর্গ। সুলতানী আমলে এই অংশটি ব্যবহার করা হতো কারাগার হিসেবে। ফারাও যুগ থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরী থেকে শুরু করে আধুনিক পুলিশে রূপান্তরের ইতিহাস চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে পুলিশ মিউজিয়ামে।

পুলিশ মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে একটি তোরণ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেয়াল দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বরে পৌঁছে দেয়ালের প্রান্তে দাঁড়ালে কায়রো শহরের একটা বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরোনো শহরের সমাধি ক্ষেত্র থেকে নতুন শহরের বহুতল ভবন পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা জুড়ে শহরের বিস্তার থেকে এই শহরের বিশালত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। সিটাডেলের ভেতরে আরও একটা মিউজিয়ামসহ অনেক কিছুই সময়ের অভাবে দেখা হলো না। এগারোটায় আমাদের তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ঘড়িতে এগারোটা বেজে পার হয়ে গেছে। অতএব এবারে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাবার পথ ধরতে হলো।

সিটাডেলে দেয়াল চিত্র

চলতে চলতেই লক্ষ করলাম দেয়ালে বিভিন্ন যুগের যুদ্ধ বিগ্রহের দৃশ্য, রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও বীরত্ব গাথার দৃশ্য। পাথরে রিলিফের কাজ নাকি কাদামাটি বা প্লাস্টার অব প্যারিসের মতো সামগ্রী ব্যবহার করে পরে তামাটে রঙ করা হয়েছে বুঝতে পারিনি। হয়তো তামা বা লোহা জাতীয় ধাতব প্লেটে ঢালাইয়ের কাজও হতে পারে। সুদূর অতীত থেকে নানা সময়কে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের যে নৈপুণ্য তা আরও অনেক সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে উপভোগ করতে পারলে কোনো আফসোস থাকতো না। দ্রুত হেঁটে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আমাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ড্রাইভারের দেখা নেই। মিনিট পাঁচেক পরে যোসেফ এসে দাঁড়ালে জানা গেল সে আরও দুবার এখান থেকে চক্কর দিয়ে গেছে। পার্কিংয়ের নিয়ম নেই বলে অপেক্ষা করতে পারেনি।

পথে যোসেফকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘একজন খ্রিষ্টান সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে তোমরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হও?’ কয়েকবার সে ‘মাইনরিটি’ শব্দটা উচ্চারণ করার পরে যা বলল তাতে বুঝলাম, মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু বলে যে একটা শব্দ আছে তা সে জানেই না। কায়রোতে আমাদের প্রথম গাইড সিলভিয়া এবং শেষ ড্রাইভার যোসেফের কাছে একই ধরনের উত্তর পেয়ে বুঝলাম আমরা নিজেদের দেশকে যতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উচ্চকণ্ঠে দাবি করি, এই গলা ফাটানো চিৎকারের মধ্যেই ফাঁকিটা লুকিয়ে আছে। মিশরে সেই গাজী সালাউদ্দিনের যুগে ধর্মযুদ্ধের পরে আর কবে কবে কোথায় ধর্মের নামে লড়াই হয়েছে আমার জানা নেই, তবে সাম্প্রতিক মিশরে কেউ কোরো ধর্ম, পোশাক, হিজাব-নিকাব, মসজিদ-গির্জা, মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না।

জাতীয় পুলিশ জাদুঘর

যোসেফ আমাদের নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরেও অনেকটা সময় আছে। সারারাতের ফ্লাইটের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে লাঞ্চের পরে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এই অসময়ে ঘুম আসবে না নিশ্চিত জানি। আমাদের দুটি করে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এয়ারপোর্টে রিপোটিং-এর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। আগের দিন বিকেলে ল্যাবরেটরি থেকে লোক বাসায় এসে স্যাম্পল নিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে মিশরের বিভিন্ন প্রান্তে জাহাজে, দূর্গে, বাজারে ও মসজিদ, মন্দির, গির্জায় প্রচুর ঘোরাঘুরি হয়েছে। কোথায় কোভিডের অদৃশ্য শত্রু ঘাপটি মেরে বসে ছিল কে জানে! রিপোর্টের নেতিবাচক ফলাফলের চেয়ে রিপোর্ট সময় মতো হাতে পাওয়া নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটায় এয়ারপোর্টে রিপোর্টিং, কাজেই সন্ধ্যা ছয়টায় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে ফ্লাইট ধরা কঠিন হবে। সৌরভ অবশ্য ফোন করে তাগাদা দিয়ে রেখেছিল, ফলে বিকেল চারটায় রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। খাম খুলে দেখা গেল কোনো সমস্যা নেই, সময় মতো বেরিয়ে পড়া যাবে।

বাসায় কেউ উপস্থিত না থাকলে চাবি ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা টেনে বন্ধ করে চলে যাবার বিপদ হলো যদি কোনো কারণে ভেতরে কিছু থেকে যায় তাহলে আর তা উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে না। রানা ভাই সকালে চলে গেছেন, সৌরভ অফিসে। কাজেই পাসপোর্ট, টিকেট, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট, ট্রলি ব্যাগ ও স্যুটকেসসহ সবকিছু তিনবার করে দেখে নিয়ে দরজার বাইরে এবং চাবি ভেতরে নির্ধারিত জায়গায় রেখে দরজাটা টেনে দিলাম।

এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে দুপাশে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যে পথ পার হয়ে যাচ্ছি হয়তো আর কখনোই সে পথে ফিরে আসা হবে না। রাস্তায় যানজট ছিল না বলে চেক-ইন শুরু হবার অনেক আগেই কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে গেছি। পশ্চিমের আকাশ তখনো সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে রেখেছে। দেশে ফেরার আনন্দ ছাপিয়ে এক ধরনের বিষণ্নতা আমাকে ঘিরে ধরে।
শেষ!

এসএন

 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

 
Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪