রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩৩

কায়রোতে আমাদের দুজনের শেষ দিন। এসেছিলাম তিনজন একসঙ্গে, কিন্তু আমরা ঢাকায় ফিরলেও রানা ভাই ফিরবেন আরও এক সপ্তাহ পরে। সকালের ফ্লাইটে শাহরাম এল শেখ হয়ে সিনাই চলে যাবেন, আমেরিকা থেকে এক বন্ধু এসে তার সঙ্গে যোগ দেবেন বন্দর নগরী শাহরাম এল শেখ-এ। তারপর সিনাই হয়ে ইসরাইলের সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসে কায়রো হয়ে ঢাকায় যাবেন।

আমাদের ফ্লাইট সন্ধ্যায়। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাইরে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছোটাছুটি করে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সিটাডেল দর্শন বাদ পড়ে গেছে। রানা ভাই আগে একবার এসে ঘুরে গেছেন, সেই কারণেও আমরা প্রায়োরিটির তালিকা থেকে বাদ রেখেছিলাম। আসলে সময়ও করতে পারিনি। সৌরভ আগে থেকেই সকালের জন্য দুটি বাহনের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। একটা রানা ভাইকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেবে অন্যটা আমাদের সিটাডেল ঘুরিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় পৌঁছে দেবে। সকাল সাড়ে সাতটায় দুটি গাড়ি দরজায় প্রস্তুত। আমরা একইসঙ্গে নাস্তা করে এক যাত্রায় পৃথক ফলের নির্দেশনা মেনে নিয়ে দুই গাড়িতে উঠে বসলাম।

সিটাডেলে প্রবেশ পথ

সিটাডেলের মূল চত্বরে ঢুকে পড়ার আগে ফুটপাথ ঘেষে আমাদের নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার জোসেফ বলল, ‘তোমরা সিটাডেল ঘুরে দেখে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে।’ সিটাডেলের বিশালত্ব সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বললাম, ‘ঘণ্টা দুয়েক তো অনেক সময়!’ বাহনের চালক এবারে হেসে বলল, ‘তারপরেও তোমরা বরং একটু বেশি সময় নাও। এখন সাড়ে আটটা বাজে, তোমরা এগারোটায় ঠিক এইখানে চলে এস। এখানে গাড়ি রাখার সমস্যা আছে, আমি পার্কিং থেকে এসে তোমাদের তুলে নিয়ে যাব।’ ‘তথাস্তু’ বলে আমরা সামনে হাঁটতে শুরু করলাম।

পাথরে বাঁধানো পায়ে চলার পথ ধরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছাতেই অনেকটা সময় লেগে গেল। কাউন্টারে বসা কাঁধ পর্যন্ত লাল চুলের হিজাববিহীন মেয়েটি হেসে হেসে বলল, ‘ওয়ান হান্ড্রেড পাউন্ড প্লিজ!’ ভেবেছিলাম দুজনের জন্যে একশ, কিন্তু একটু পরেই বুঝলাম একজনের প্রবেশপত্রই একশ! সারা মিশরে ফারাওদের বিশাল রাজত্বে হাজার বছরের পুরোনো স্থাপনা, ভবন, সমাধি, মন্দির, দূর্গ ঘুরে এসেছি কোথাও ৬০ থেকে ৭৫ এর বেশি দক্ষিণা দিতে হয়নি। কে জানে গাজী সালাহউদ্দিনের নাম মাহাত্মেই কিনা তার দূর্গ দর্শনের দক্ষিণা অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি।

নাসির মাহমুদ মসজিদ

খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের সাম্ভাব্য আক্রমণ থেকে কায়রোকে রক্ষা করতে কুর্দিশ আইয়ুবী শাসক ইউসুফ ইবনে আইয়ুব ইবনে সাদি ওরফে সালাহউদ্দিন ১১৭৬ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দের ভেতরে তৈরি করেছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে সুরক্ষিত দূর্গ কায়রো সিটাডেল। আমাদের দেশে গাজি সালাহউদ্দিন নামে পরিচিত সালাহউদ্দিন আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও মিশরে মুসলিম শাসকদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ফাতিমি খিলাফতের নাবালক খলিফা আল আদিদকে সহায়তা দেওয়ার জন্যে সালাহউদ্দিনকে ১১৬৪ সালে মিশরে পাঠানো হয়েছিল। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার সামরিক সাফল্য এবং আল আদিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে সালাহউদ্দিন সুন্নি হয়েও শিগগিরই শিয়া ফাতিমি সাম্রাজ্যে নিজের গুরুত্ব ও অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তার মেয়াদকালে ক্রমেই ফাতিমীয় খিলাফতকে দুর্বল করে দিয়ে আল আদিদের মৃত্যুর পরে সালাহউদ্দিন মিশরে নিজের অবস্থান শক্ত করে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যান। বাগদাদভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে তার সম্পর্ক মজবুত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মুস্তাদি সালাহউদ্দিনকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষণা করেন।

নাসির মাহমুদ মসজিদের ভেতরে

দূর্গের অভ্যন্তরে দীর্ঘ প্রশস্ত পথ ধরে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলে ডান দিকে আল নাসির মাহমুদ মসজিদ। ১৩১৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় উপাসনালয় হিসেবে মামলুক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। প্রায় নয়শ বছর আগে তৈরি মসজিদের কারুকার্য খচিত মিনার এখনো অক্ষত আছে। শুধু মিনার নির্মাণ ও অলঙ্করণের জন্যে ইরানের তাবরিজ থেকে একজন স্থপতিকে কায়রো নিয়ে এসেছিলেন সুলতান নাসির মাহমুদ। এখানে জুতা খোলার বাধ্য বাধকতা থাকলেও নারীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই। আমাদের আগেই কয়েকজন শ্বেতাঙ্গিনী মসজিদ চত্বরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন দেখে বোঝা গেল ১০০ পাউন্ড উসুল করার ব্যবস্থা রেখেই প্রবেশ পত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুহম্মদ আলী মসজিদ

সুলাইমান পাশা মসজিদ নামের আরেকটি ছোট মসজিদকে বলা যায় পাশ কাটিয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম কায়রোর তথা মিশরের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন, সর্বাধিক চিত্রায়িত ও সর্বজন প্রশংসিত মুহম্মদ আলী মসজিদের দিকে। সুলতান মুহম্মদ আলী পাশা ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্কের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এই মসজিদ। আটোমানদের সঙ্গে বৈরিতা তার এই স্থাপত্য সৌন্দর্য বিনির্মাণে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাঝখানের কেন্দ্রীয় গম্বুজ ঘিরে চারটি ছোট ও চারটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ নিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের মূল কাঠামো।

এখানে এক সঙ্গে নামাজে যোগ দিতে পারেন দশ হাজার মানুষ। নির্মাণকাজে প্রধানত লাইমস্টোন ব্যবহার করা হলেও সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে অ্যালাবাস্টারের আচ্ছাদন। মসজিদের মিনার দুটির উচ্চতা ৮৪ মিটার, যা মিশরের সর্বোচ্চ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। ভেতরের চিত্রিত গম্বুজ ও কাঠের তৈরি সুদৃশ্য মিম্বর দুটি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ন্যাশনাল মিলিটারি মিউজিয়াম

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আমরা একটা খোলা চত্বরে এসে পড়লাম। এখান থেকে ডানে জাতীয় সামরিক মিউজিয়াম এবং বাঁয়ে পুলিশের জাদুঘর। প্রথমেই ঢুকে পড়লাম সেনাবাহিনীর জাদুঘরে। একসারি কামান সাজানো পথ ধরে একটু এগিয়ে গেলে যিনি মূর্তিমান হয়ে একটি বেদীতে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি স্বয়ং মুহম্মদ আলী পাশা। আরাম আয়েশে কালাতিপাত করার জন্যে সিটাডেলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে তিনি যে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ১৯৩৭ সাল থেকে সেই প্রাসাদই ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়াম। বহিরাঙ্গনে সাঁজোয়া যানবাহন ও যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন ছাড়াও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী রয়েছে তিনটি ভিন্ন তলায়।

সিটাডেল থেকে কায়রো শহর

পুলিশ মিউজিয়ামে প্রবেশের তোরণ দেখে বোঝা যায় এটি দূর্গের ভেতরে আরও একটি সংরক্ষিত দূর্গ। সুলতানী আমলে এই অংশটি ব্যবহার করা হতো কারাগার হিসেবে। ফারাও যুগ থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরী থেকে শুরু করে আধুনিক পুলিশে রূপান্তরের ইতিহাস চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে পুলিশ মিউজিয়ামে।

পুলিশ মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে একটি তোরণ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেয়াল দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বরে পৌঁছে দেয়ালের প্রান্তে দাঁড়ালে কায়রো শহরের একটা বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরোনো শহরের সমাধি ক্ষেত্র থেকে নতুন শহরের বহুতল ভবন পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা জুড়ে শহরের বিস্তার থেকে এই শহরের বিশালত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। সিটাডেলের ভেতরে আরও একটা মিউজিয়ামসহ অনেক কিছুই সময়ের অভাবে দেখা হলো না। এগারোটায় আমাদের তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ঘড়িতে এগারোটা বেজে পার হয়ে গেছে। অতএব এবারে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাবার পথ ধরতে হলো।

সিটাডেলে দেয়াল চিত্র

চলতে চলতেই লক্ষ করলাম দেয়ালে বিভিন্ন যুগের যুদ্ধ বিগ্রহের দৃশ্য, রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও বীরত্ব গাথার দৃশ্য। পাথরে রিলিফের কাজ নাকি কাদামাটি বা প্লাস্টার অব প্যারিসের মতো সামগ্রী ব্যবহার করে পরে তামাটে রঙ করা হয়েছে বুঝতে পারিনি। হয়তো তামা বা লোহা জাতীয় ধাতব প্লেটে ঢালাইয়ের কাজও হতে পারে। সুদূর অতীত থেকে নানা সময়কে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের যে নৈপুণ্য তা আরও অনেক সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে উপভোগ করতে পারলে কোনো আফসোস থাকতো না। দ্রুত হেঁটে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আমাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ড্রাইভারের দেখা নেই। মিনিট পাঁচেক পরে যোসেফ এসে দাঁড়ালে জানা গেল সে আরও দুবার এখান থেকে চক্কর দিয়ে গেছে। পার্কিংয়ের নিয়ম নেই বলে অপেক্ষা করতে পারেনি।

পথে যোসেফকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘একজন খ্রিষ্টান সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে তোমরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হও?’ কয়েকবার সে ‘মাইনরিটি’ শব্দটা উচ্চারণ করার পরে যা বলল তাতে বুঝলাম, মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু বলে যে একটা শব্দ আছে তা সে জানেই না। কায়রোতে আমাদের প্রথম গাইড সিলভিয়া এবং শেষ ড্রাইভার যোসেফের কাছে একই ধরনের উত্তর পেয়ে বুঝলাম আমরা নিজেদের দেশকে যতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উচ্চকণ্ঠে দাবি করি, এই গলা ফাটানো চিৎকারের মধ্যেই ফাঁকিটা লুকিয়ে আছে। মিশরে সেই গাজী সালাউদ্দিনের যুগে ধর্মযুদ্ধের পরে আর কবে কবে কোথায় ধর্মের নামে লড়াই হয়েছে আমার জানা নেই, তবে সাম্প্রতিক মিশরে কেউ কোরো ধর্ম, পোশাক, হিজাব-নিকাব, মসজিদ-গির্জা, মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না।

জাতীয় পুলিশ জাদুঘর

যোসেফ আমাদের নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরেও অনেকটা সময় আছে। সারারাতের ফ্লাইটের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে লাঞ্চের পরে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এই অসময়ে ঘুম আসবে না নিশ্চিত জানি। আমাদের দুটি করে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এয়ারপোর্টে রিপোটিং-এর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। আগের দিন বিকেলে ল্যাবরেটরি থেকে লোক বাসায় এসে স্যাম্পল নিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে মিশরের বিভিন্ন প্রান্তে জাহাজে, দূর্গে, বাজারে ও মসজিদ, মন্দির, গির্জায় প্রচুর ঘোরাঘুরি হয়েছে। কোথায় কোভিডের অদৃশ্য শত্রু ঘাপটি মেরে বসে ছিল কে জানে! রিপোর্টের নেতিবাচক ফলাফলের চেয়ে রিপোর্ট সময় মতো হাতে পাওয়া নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটায় এয়ারপোর্টে রিপোর্টিং, কাজেই সন্ধ্যা ছয়টায় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে ফ্লাইট ধরা কঠিন হবে। সৌরভ অবশ্য ফোন করে তাগাদা দিয়ে রেখেছিল, ফলে বিকেল চারটায় রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। খাম খুলে দেখা গেল কোনো সমস্যা নেই, সময় মতো বেরিয়ে পড়া যাবে।

বাসায় কেউ উপস্থিত না থাকলে চাবি ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা টেনে বন্ধ করে চলে যাবার বিপদ হলো যদি কোনো কারণে ভেতরে কিছু থেকে যায় তাহলে আর তা উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে না। রানা ভাই সকালে চলে গেছেন, সৌরভ অফিসে। কাজেই পাসপোর্ট, টিকেট, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট, ট্রলি ব্যাগ ও স্যুটকেসসহ সবকিছু তিনবার করে দেখে নিয়ে দরজার বাইরে এবং চাবি ভেতরে নির্ধারিত জায়গায় রেখে দরজাটা টেনে দিলাম।

এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে দুপাশে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যে পথ পার হয়ে যাচ্ছি হয়তো আর কখনোই সে পথে ফিরে আসা হবে না। রাস্তায় যানজট ছিল না বলে চেক-ইন শুরু হবার অনেক আগেই কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে গেছি। পশ্চিমের আকাশ তখনো সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে রেখেছে। দেশে ফেরার আনন্দ ছাপিয়ে এক ধরনের বিষণ্নতা আমাকে ঘিরে ধরে।
শেষ!

এসএন

 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

 
Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ:

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের পুরো আয়োজন হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তৃষা।

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে দুস্থ শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু'র সঞ্চালনায় দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা,উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবয়াদুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাড. মিঞা শিরন আলম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জীবন চৌধুরী শাহীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী পলাশ সহ বিরামপুর উপজেলা বিএনপি,পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীবৃন্দ'র পাশাপাশি স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাটকপুর মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল'র সঞ্চালনায় ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার