বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

‘টুইয়া’ ভ্রমণ তরীর রেস্টুরেন্ট একেবারে নিচের তলায়, বেশ বড় হল ঘর জুড়ে চারটি সারিতে টেবিল চেয়ার পাতা। একসাথে অন্তত দেড়শজনের লাঞ্চ বা ডিনারের ব্যবস্থা এখানে। দেড়টার দিকে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে গেলে সুকুমার রায়ের চণ্ডীদাসের খুড়োর মতো কালো স্যুটপরা বেঁটে খাটো টেকো রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার কান পর্যন্ত হাসি বিস্তৃত করে রুম নাম্বার জানতে চাইলেন, তারপরে যে কোনো একটা টেবিল বেছে নিতে বললেন। তখন পর্যন্ত বেশিরভাগ টেবিলই খালি, কাজেই আমরা দেখে শুনে কোণের দিকের জানালার কাছে একটা জায়গা বেছে নিলাম।

প্রবেশ পথের উল্টো দিকের পুরোটা জুড়ে বুফে ডিশ সাজানো। ডান দিকে একেবারে শুরুতে পশ্চিমা ধরনের রুটির সমাবেশ এর সাথে বালাদি এবং মাহলাব নামের মিশরীয় রুটি। এরপর সেদ্ধ অথবা আধসেদ্ধ সবজি, টমেটো, গাজর, শশা, লেটুস পাতা, পেয়াঁজের সালাদ এবং সবজির বিভিন্ন আইটেম। এরপর মাছ, মাংস, ডিমের নানা পরিবেশনা। গ্রিল, ফ্রাই, গ্রেভি এবং লম্বা ঝোলে চুবানো হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল–একদিক থেকে নিশ্চিন্ত, এখানে কোনো নিষিদ্ধ মাংস নেই। নুডুলস, পাস্তা এবং মিশরীয ফালাফেল এবং কোশারি ছাড়াও নাম না জানা কিছু আইটেম আর সবশেষে মিষ্টান্ন। বিভিন্ন ধরনের কেক-পেস্ট্রি, পুডিং-পায়েশ ছাড়াও বুফেতে বিস্কট কুকিজ দেখে অবাক হই। উদর পূর্তি করে বুফে লাঞ্চের পরে কারা যে বিস্কুট চানাচুর খায়! হতে পারে কেউ কেউ এ সব দিয়েই লাঞ্চ বা ডিনার শুরু করে।

লাঞ্চে এত সব আয়োজন থাকলেও চা-কফি ছাড়া আর কোনো পানীয়ের ব্যবস্থা নেই। তবে নেই মানে একেবারে নেই বললে ভুল হবে। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ কথাটার উৎপত্তি কেন হয়েছিল জানি না, কিন্তু ‘ফেলো পাউন্ড খাও পানি’ এখানকার নিয়ম। অতএব ঊনচল্লিশ পাউন্ড দামের দেড় লিটার পানির বোতল নিয়ে টেবিলে বসেছিলাম।

এশিয়া ইওরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াবার অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের জানা ছিল অনেক দেশেই রেস্তোরাঁয় বুফের সাথে খাবার পানি থাকে না। সেক্ষেত্রে চীনের শিয়ানে, সুইজারল্যান্ডের জুরিখে কিংবা বাড়ির কাছে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে একই ব্যবস্থা। দলে ভারি থাকলে একসাথে গোটাকয় পাঁচ লিটারের বোতল কিনে ফেলেছি। এখানে জাহাজে থাকতে হবে তিনরাত, কাজেই আগেইভাগেই সতর্ক হয়ে রায়ান ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে দেড় লিটারের পাঁচটা বোতল নিয়ে ঘরে ফিরেছি। রায়ানে দেড় লিটার সাড়ে তিন পাউন্ড এবং এক লিটার আড়াই পাউন্ড মাত্র। অর্থাৎ ‘টুইয়া’ শুধ পানি বিক্রি করেই যাত্রীদের পকেট ‘ধুইয়া’ দেবার যে ব্যবস্থা করে রেখেছে তা থেকে আপাতত বাঁচা গেল।



দোকান থেকে দেড় লিটারের পাঁচটা বোতল হাতে জাহাজে ফেরাও ছিল একটা বিড়ম্বনা। মোহামেদ ‘ঐ যে ঘাট দেখা যায়’ বলে কেটে পড়লে ঘাটে যাবার সময় আমার পুরোনো ঢাকার সেই রসিকতার কথা মনে পড়লো। রিকশাওয়ালা ভাড়া একটু বেশি দাবী করায় যাত্রী বলেছিল ‘ঐ যে সদর ঘাট দেখা যায়। এত ভাড়া চাও কেন?’ তখন রিশাওয়ালার জবাব ছিল ‘আসমানের চাঁদ ভি দেখা যায়, গিয়া দ্যাখেন হালায়, কেমুন লাগে!’

আমাদের ঘাটও চোখে দেখা যাচ্ছিল, ঠিকই কিন্তু পানির বোতল ছাড়াও রানাভাই পপকর্ন, চিপস আরো কতো কীযে কিনেছিলেন সব কিছু নিয়ে হাঁটতে শুরু করার পরে বুঝলাম জাহাজের দূরত্ব চোখে দেখা দূরত্বের চেয়ে কিছুটা হলেও বেশি।

রাতে ডিনারের সময় দেখা দিল আরেক সমস্যা। চণ্ডীদাসের খুড়ো যথারীতি প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে বিনয়ে বিগলিত হয়ে বললেন, ‘স্যার বাইরে থেকে কোনো খাবার বা পানীয় কিছুই নেওয়া যাবে না।’

এদের এই ব্যবসায়ী চালাকিতে প্রথম রাতে খুব মেজাজ খারাপ করে কয়েক বাটি স্যুপ এবং পরদিন সকালে কয়েক গ্লাস ফলের রস খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু পরদিন দুপুর থেকে দেখা গেল অনেকইে পানির বোতল হাতে ঢুকে পড়েছেন। বোঝা গেল চণ্ডীদাসের খুড়ো শেষপর্যন্ত যাত্রীদের সম্মিলিত আক্রমণ ঠেকাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

আমার ধারণা ছিল, সন্ধ্যায় আমাদের ভ্রমণতরী নোঙর তুলে উত্তরে যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেল আগামীকাল দুপুরের আগে আসোয়ান ছাড়ছে না টুইয়া। এখান থেকেই অতি ভোরে আমরা বেরিয়ে পড়বো আবু সিম্বেলের উদ্দেশ্যে। ভোর চারটায় রিসেপশান থেকে ওয়েক-আপ কল দেয়ার আগেই উঠে পড়েছি। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে মোবাইল ফোনে এ্যালার্ম দেওয়া ছিল, কিন্তু ঘুম ভেঙেছে তারও আগে। তৈরি হয়ে বেরোতে বেশি দেরি হয়নি। এত সকালে ভ্রমণ ব্যবস্থাপক ইয়াসিরের সাথে দেখা হবে ভাবিনি। আমরা তিনজন যেহেতু ব্রেকফাস্টের সময় জাহাজে থাকতে পারবো না সেই কারণে সৌরভ বলে দিয়েছিল টেক্অ্যাওয়ে ব্রেকফাস্টের কথা যেন আগের রাতেই বলে রাখি। আমরা ভুলে গেলও ইয়াসির নিজে উপস্থিত থেকে চারজনের নাস্তার প্যাকেটসহ গাইড ওসামার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে দিয়েছে। আমি বোধহয় নিজের অজান্তেই উচ্চারণ করে বলে ফেলেছিলাম, ‘ওসামা বিন লাদেন!’ ওসামা নিজেকে বাঁচাতে দ্রুত বলে উঠলেন, ‘আমি একজন নিরিহ স্কুল মাস্টার।’ ওসামার বিস্তৃত পরিচয় নেবার আগেই মাইক্রোবাসে উঠে পড়তে হলো। টুইয়া থেকে নেমে ঘাটে অন্তত গোটা তিনেক মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। প্রথমটাতে আমাদের জাহাজের কয়েকজন যাত্রী দেখে আমি সেটাতে প্রায় উঠে পড়েছিলাম। ইয়াসির জানালো আমাদের গাড়ি পেছনে এবং যাত্রী আমরা তিনজন।

এই প্রথম জানতে পারলাম ‘টুইয়া’ জাহাজের সাথে আমাদের ফিলাই কিংবা আবু সিম্বেল ভ্রমণের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে দাঁড়ানো গোটা চার পাঁচেক বাহন তাদের নিজস্ব টুরিস্টদের নিয়ে ভোরে যাত্রা করে বেলা দেড়টার মধ্যে আবার জাহাজে তুলে দেবে, তারপরেই জাহাজ নোঙর তুলে যাত্রা করবে লাক্সরের পথে। মাত্র গোটা কুড়ি প্রকৃত পর্যটক যখন ভোরের সুখনিদ্রার সময় শয্যা ত্যাগ করে আবু সিম্বেলে দ্বিতীয় রামেসেস এবং নেফারতিতির মূর্তি দেখতে যাচ্ছে, তখন জাহাজ শুদ্ধো শ’তিনেক মানুষ বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।

চালকের আসনে বসে আয়মান যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আসোয়ান শহর থেকে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু রাত না পোহাতেই রাস্তায় ‘উন্নয়ন কাজ’ শুরু হয়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝেই একদিকের চলাচল বন্ধ রেখে শুধু অন্যদিকের গাড়িগুলো চলছিল। শহর পেরোবার আগেই বেশ কয়েকটা পথের মোড়ে, চৌরাস্তায় কিংবা কোনো চত্বরে আলোকোজ্জ্বল পাথরের ভাস্কর্য চোখে পড়ে। খুব শৈল্পিক বা কুশলী কোনো নির্মাণ নয়, পাথর কেটে বা খোদাই করে এক ধরনের অবয়ব বা কাঠামো নির্মাণ! ওসামা জানালেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের পাথরের সহজলভ্যতার জন্য সারা দেশ থেকে ভাস্কর্যের শিক্ষার্থীসহ শিল্পীরা আসোয়ানে এসে পাথর খোদাই শিল্পের শিক্ষালাভ করে। সেইসব শিক্ষানবীশ শিল্পীদের কিছু কাজ শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। পথে ওসামা ডাইনে বাঁয়ের দুই একটা দ্রষ্টব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ধারা বিবরণী দিচ্ছিলেন, ‘হাতের বামে ওই যে দূরে ফিলাই টেম্পলে বাতি জ্বলছে।’ একটা বেশ চওড়া খালের উপর দিয়ে পার হচ্ছি, জানলাম লেক নাসের থেকে এই লেকের উৎপত্তি, মিলেছে নীল নদে।

আসোয়ান থেকে আবু সিম্বেলের দূরত্ব ২৯০ কিলোমিটার। শহর ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পরে মরুভূমির শেষ প্রান্তে আকাশ লাল হতে আরম্ভ করলো, তারপরেই একটু একটু করে উঁকি দিয়ে চোখ মেলে দেখা দিলো ভোরের প্রথম সূর্য। সোয়া পাঁচটার দিকে সূর্যোদয় দেখতে দেখতেই আমরা আরো কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে গেলে সকালের রোদে ঝলমল করে উঠলো পূবের মরুপ্রান্তর। কিছুক্ষণ পরে আয়মার গাড়ির গতি কমাতে শুরু করলে হাতের ডাইনে পথে পাশে চোখে পড়লো বিভিন্ন দিকে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে পাঁচ ছয়টি মন্দিরের নাম লেখা দিক নির্দেশক ফলক। এই ধু ধু মরুভূমির আশেপাশেই যদি একাধিক মন্দিরের অস্তিত্ব থাকে, সাড়ে তিন হাজার বছর আগের প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ যদি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ফারাওদের রাজত্বে এই অঞ্চলে আরো কতো যে মন্দির, কতো উপাসনালয়, কতো প্রাসাদ গড়ে উঠেছিল তার হিসাব হয়তো আর কখনোই পাওয়া যাবে না।

ইউনেস্কো ঐতিহ্যের অংশ আবু সিম্বেলের মন্দির দুটির বিশেষত্ব হলো–দুটি স্থাপনার কোনোটিই পাথর, কাদামাটি, সিমেন্ট বা অন্য কোনো পদার্থ দিয়ে গড়ে পিটে তৈরি নয়, বরং পাহাড়ের বিশাল পাথরের শরীর কেটে কুঁদে নির্মাণ করা হয়েছে। আসোয়ানের বিপুলায়তন বাঁধ নির্মাণের সময় তিন হাজার দুশ বছর আগের মন্দির দুটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে চিরদিনের জন্য বিলুপ্ত হতে চলেছিল। মিশর সরকার মন্দির দুটি রক্ষার জন্যে ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানায়। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হয় ১৯৬০ সালে। প্রধানত একটি সুইডিশ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্ববধানে বিশ্বের অনেকগুলো দেশের অভিজ্ঞ পরামর্শক, স্থপতি এবং প্রকৌশলী মন্দির দুটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিন হাজার মানুষ দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফল ভাবে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তর করেছে রামসেস নেফারতিতিকে।

আবু সিম্বেল টেম্পল স্থানান্তরের সময় প্রথমেই এর ছাদসহ পাহাড়ের উপরের অংশ সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ছাদ, দেয়াল, পিলার এবং মূল মূর্তিগুলো ছোট ছোট ব্লকের আকারে কেটে ফেলা হয়েছে। তবে পাথরের এ সব ছোট ব্লকের এক একটির ওজনও তিন টন থেকে ত্রিশ টন পর্যন্ত। পাথর কাটার জন্যে কোনো বিস্ফোরক বা ভারি হ্যামার ব্যবহার করা হয়নি। বৈদ্যুতিক করাত এবং অনেক ক্ষেত্রে ড্রিল মেশিন ও হ্যান্ড স’ব্যবহার করে সতর্কতার সাথে বিশাল এক একটি ব্লক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নতুন জায়গায় বসাবার সময়ে সর্বোচ্চ পাঁচ মিলিমিটারের বেশি এদিক সেদিক হয়নি। ওসামা যখন বলছিলেন আবু সিম্বেল স্থানান্তরের কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তখন ভাবছিলাম আফগানিস্তানে মোল্লা ওমর তার রাজত্বকালে কতো কম খরচে বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। আফগান জাতীয় জাদুঘরের সকল প্রাক-ইসলামিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস করে তালেবানরা ইসলামের ঝাণ্ডা উড়িয়ে দিয়েছে।

চালকের আসনের পাশেই বসেছিলেন রানা ভাই এবং ওসামা বসেছিলেন ঠিক আমাদের আসনের সামনে। মাঝে একবার পথে গাড়ি থামিয়ে আরো একজনকে তুলে নিয়ে ওসামা বললেন ওর নাম সাঈদ, আমাদের বদলি ড্রাইভার। অর্থাৎ পর্যটক তিনজন এবং গাইড ও চালক মিলিয়ে তিনজন। এ ভাবে এখন কেমন চলছে মিশরের পর্যটন শিল্প? ওসামাকে জিজ্ঞেস করতেই উত্তর পেলাম, ‘আসলে কোভিড আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। পর্যটন, শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য কিছুই বাদ নেই।’

চমৎকার ইংরেজি বলেন ওসামা। রানা ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল ভয়ংকর ওসামা নামের আড়ালে আমাদের ওসামা স্কুলের অংকের শিক্ষক, কোভিডে চাকরি হারিয়ে এখন টুর গাইডের কাজ নিয়েছেন। তবে এখনো টুরিস্টের সংখ্যা কম, শুধু গাইডের কাজ করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

আমাদের গাড়ির গতি কমতে কমতে এক সময় ডান দিকে নেমে গেল। প্রান্তরের ভেতরে অস্থায়ী সরাইখানায় যাত্রা বিরতি। অনেকগুলো টুরিস্ট বাস আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। ছোট বড় আরো কিছু বাহনের ফাঁকে দেখা গেল বড় একটা বাসের গায়ে লেখা আওয়ামি ট্রাভেলস। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, মালয়েশিয়া বা কানাডায় ব্যবসা বাণিজ্য করলেও আমাদের কোনো দেশিভাই মিশরে এসে ট্রাভেল এ্যান্ড টুরিজম ব্যবসা শুরু করেননি। অতএব আওয়ামি বাসকে পাশ কাটিয়ে রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকে গেলাম। ভেতরে বসার জন্যে জায়গা যথেষ্ট খালি থাকলেও প্রক্ষালণ কক্ষের সামনে লাইন বেশ দীর্ঘ। নারী পুরুষের দুটি ভিন্ন কক্ষের দরজার কাছে টোল আদায়কারীর মতো বসে থাকা দ্বাররক্ষকের কাছে পাঁচ পাউন্ড পরিশোধ করে ঢুকতে হবে। আমি প্রথম সুযোগে ভেতরে ঢুকে গেলে রানা ভাই একটা গদি আঁটা চেয়ারে বসে আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরালেন।

(চলবে)

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সমিতি। আর সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সিনে সাংবাদিকরা।

১ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া ন্যক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

বৈঠকে শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। বৈঠক শেষে জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দেন বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, ঘটনার তদন্তে বৈঠকে আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‘জয় চৌধুরীকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে। ’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

লিমন আহমেদ ছাড়াও ওই বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না।

এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান অভিনয়শিল্পীরা। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হন।

বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

ছবি:সংগৃহীত

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবন সহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছেন। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছে। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছে। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।

এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।

সাপাহার উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওই মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক। পোরশা উপজেলার নিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাপানিয়া ফাজিল মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা হযরত আলী।

ধামইরহাট উপজেলার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা আস-আদুল্লাহ। রানীনগর উপজেলার শেরে বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোস্তফা আলামিন।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।

ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরন করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।

নামাজে অংশ নেয়া শহীদুল ইসলাম ও শাহারিয়ার শান্ত বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বইছে। অসহ্য গরমে জনজীবন হাসফাস অবস্থা। কোথায় গিয়ে স্বস্থি মিলছে না। শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ইসতিসকা নামাজে অংশ নিয়েছে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ জমিন শীতল করে দিবেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সকলকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান,কার্যকারী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- কয়েক দিনআগে ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও ঔষধ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিক· আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন বক্তারা।


মানববন্ধনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ঔষধ কোম্পানীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানী গুলো নতুন নতুন আইটেমের ঔষধ তৈরী করে বাজারজাত করেছে। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ অনেক সময় কোম্পানীর উক্ত প্রোডাক্টস বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে ঔষধ সামগ্রীর গুণগত মান অনুমোদন/অনুমোদনহীন অনেক ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারেন না।


তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস্ যেমন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাদাচার, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ভেষজ, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হার্বাল ও ইমপোর্ট আইটেম প্রভৃতি নিয়মিত ভাবে লিখে আসছেন। যেগুলি ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদন নাই। যার বহু ব্যবস্থাপত্রের কপি ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক কোন কোম্পানী বা চিকিৎসকগণের ব্যাপারে কোন প্রকার পদক্ষেপ বাহন করেন নাই। প্রকাশ থাকে যে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ঔষধ বাজারজাত করছেন যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা ঔষধ ব্যবসায়ীগণ নানা প্রতিকুল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছি।


এদিকে এর প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় সকল ওষুধের দোকান।


এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন কোন আইনে করেছেন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়াল ভাবে শেয়ার করেন নাই। আমরা জানতে পেরেছি যে অনুমদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এর বেশি কিছু জানি না।’


জেলায় ঔষধের দোকানপাট বন্ধ রোগীরা জরুরী ঔষধ কিনতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতা নেই যে বলবো ঔষধের দোকান খুলতে। আমরা শুধু এটুকু বুঝিয়ে বলতে পারি রোগীদের ঔষধ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয় মানবিক দিক থেকে দেখবেন। ’

সর্বশেষ সংবাদ

জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন