শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

কর্নাক থেকে লুক্সর ফেরার পথে মোস্তফা একটা গলি পথে এসে গাড়ি থামিয়ে বললো, ‘ইউ মে হ্যাভ আ লুক!’ আমি নামার আগেই তাকিয়ে দেখলাম নিয়ন সাইনে জ্বলছে ‘নিউ ডেলটা প্যাপিরাস’। বুঝলাম প্যাপিরাসে আঁকা চিত্রকর্মের বিপনী বিতান, সঙ্গে প্যাপিরাস তৈরির কারখানাও থাকতে পারে। নিউ ডেলটা প্যাপিরাসের মতো আলো ঝলমলে দোকানে কিছু কেনা আমাদের সাধ্যে কুলাবে না জেনেও গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। আন্তরিক সম্ভাষণের সঙ্গে শীতল পানীয়ের আপ্যায়ন অনেকটা উপেক্ষা করেই পৌঁছলাম একটা কাউন্টারে। সেখানে সুদর্শন তরুণ সেলসম্যান তাঁর মোটামুটি বোধগম্য ইংরেজিতে প্যাপিরাসের ইতিহাস বর্ণনা শুরু করেছিলেন। বিদেশে গাইডের তত্ত্বাবধানে দল ধরে কোথাও ঘুরতে গেলে এই এক বিড়ম্বনা। সকলেই দাসযুগ থেকে সবকিছুর বিবরণ দিতে শুরু করে। ইংরেজি পেপার শব্দটি যে আসলে প্যাপিরাস থেকেই এসেছে তা আরও একবার তাঁর কাছে শুনলাম। সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের পরে তাঁকে থামিয়ে দিলে তিনি প্যাপিরাস গাছের একটি কাণ্ড হাতে তুলে নিয়ে দেখালেন কাগজ তৈরির প্রাগৈতিহাসিক পদ্ধতি।



ঢাকার বলধা গার্ডেনে বছর কুড়ি আগে দু তিনটি প্যাপিরাস গাছ দেখেছিলাম। আমাদের নগরায়নের ঠেলায় সেগুলোর অস্তিত্ব এখনো আছে কিনা আল্লা মালুম। সেই গাছ দেখে আমার ধারণা হয়েছিল কাগজ তৈরি হয় প্যাপিরাস গাছের মণ্ড থেকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল প্যাপিরাসের সবুজ শরীর থেকে ছুরি দিয়ে পাতলা করে ছাল ছাড়িয়ে পরপর লম্বা করে সাজিয়ে তার উপরে আরেক দফা আড়াআড়ি রেখে চাপ প্রয়োগ করে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে তৈরি হয় প্যাপিরাসের ছোট ছোট পাতা। অতীতকালে পাতাগুলো দীর্ঘ সময় ভারি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হলেও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুটি কাঠের পাটাতনের মাঝে ফেলে যান্ত্রিক চাপে চ্যাপ্টা হয়ে বেরিয়ে আসে এক একটি প্যাপিরাসের কাগজ। আজকাল নাকি কলা গাছের ছাল বাকল তুলেও তৈরি হচ্ছে নকল প্যাপিরাস!

আসল নকলের তফাৎ বোঝাটা আমাদের সাধ্যে কুলাবে না, কিন্তু ‘নিউ ডেলটা প্যাপিরাস’ থেকে তাদের কথিত আসল প্যাপিরাসের চিত্রকর্ম যথোপোযুক্ত মূল্য পরিশোধ করে কেনা যে আমাদের মতো পর্যটকের পক্ষে সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরে দ্রুত বেরিয়ে পড়া ভালো মনে হলো। বেরোতে চাইলেও সহজে বের হওয়া যায় না। অন্ধকার কক্ষে প্যাপিরাসের উপর জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকা শিল্পকর্ম, আধুনিক ক্যালিগ্রাফি ও হায়রোগ্লিফিক লিপি এবং ফারাও যুগের সম্রাট থেকে ক্রীতদাস পর্যন্ত নানা কথা ও কাহিনির রঙিন দৃশ্যপট এবং তার সঙ্গে বিক্রেতা পক্ষের আহবান কেবলই প্রলুদ্ধ করতে থাকে। তারপরেও শ পাঁচেক ঈজিপশিয়ান পাউন্ডের বিনিময়ে সবচেয়ে ছোট আকারের চিত্রিত প্যাপিরাস সংগ্রহ করা দুঃসাধ্য বলেই শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে পড়লাম। শেষতক দেখা গেল বাহরাইন মরোক্কো তো বটেই, দুবাইওয়ালারাও দিরহাম খরচ করে কাগজ কিনতে রাজি নয়। মোস্তফার আধাঘণ্টার ব্যর্থ মিশন শেষে গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো লুক্সরের পথে।

রাতের লুক্সরের পথে পথে জ্বলে উঠেছে সন্ধ্যাবাতি। নীল নদের পূর্ব তীর ধরে এক পাশে নদীকে রেখে আমরা শহরের দিকে এগোতে থাকলে ক্রমেই আলোর উজ্জ্বলতা এবং রঙের বৈচিত্র্য বাড়তে থাকে। আলো ঝলমলে বিপনী বিতানগুলো তাদের পশরা সাজিয়ে বাইরে নিয়ন সাইন জ্বালিয়ে আকর্ষণ সৃষ্টি চেষ্টা করলেও ক্রেতার তেমন ভিড় নেই। নীলনদের পশের ফুটপাথে মাথা ভর্তি সবুজ পাতার সারি সারি গাছ এবং ছোট ছোট ছাউনি দেখে নীলের তীর ধরে হাঁটতে ইচ্ছে করে। কিন্তু নদীর পাড়ে পায়ে চলার পথেও তেমন চলাচল চোখে পড়ে না। মিশরীয় তরুণ তরুণীরা কি দুদণ্ড অবসর কাটাতেও এ মুখো হয় না! শহরের পথে ধীর গতির অলস টাঙ্গা এবং মধ্য গতির গাড়ির পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে ফারাও যুগের সারি সারি স্তম্ভ, প্রাচীন ভবনের ধ্বংসাবশেষ এবং পাথরের স্তূপ দেখে লামিয়ার কথার সত্যতা আরও একবার বুঝতে পারি। লুক্সর শহরটা আসলেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত মিউজিয়াম।

আধুনিক লুক্সর শহরের প্রাণকেন্দ্রের লুক্সর মন্দিরটি মিশরীয় ভাষায় ‘ইপেত রিসাইত’ নামে পরিচিত, যার অর্থ দাঁড়ায় দক্ষিণের পবিত্রভূমি! যুগে যুগে পবিত্র ভূমি, পবিত্র পীঠ বা পবিত্র উপাসনালয়ের স্থান বদলেছে, সংজ্ঞাও বদলে গেছে। কিন্তু লুক্সর এখনো পবিত্র তো বটেই! তা না হলে শতকরা নব্বই ভাগ সুন্নি মুসলমানের দেশে ফেরাউনের পবিত্র মন্দির এখনো এতো যত্নে এতোটা সতর্কতার সঙ্গে কেউ সংরক্ষণ করে! ফারাও যুগে একটি বার্ষিক উৎসব ছিল এই পবিত্র মন্দিরের প্রধানতম আকর্ষণ। উৎসবের সময় আমুন, মুত ও খনসুর মূর্তি এবং স্ফিংসের সারি কর্নাক থেকে লুক্সরে এনে জড়ো করা হতো। সাধারণত নীল নদের প্লাবনের সময় মূর্তি স্থানান্তরের কাজ করা হলেও সেই অযান্ত্রিক যুগে পাথরের বিশাল মূর্তিগুলো কিভাবে বয়ে আনা হতো, ভাবতেও অবাক লাগে! সারা মিশরের সবগুলো সংরক্ষিত পুরাকীর্তির মধ্যে লুক্সর মন্দিরের সংরক্ষণ কাজ সম্ভবত সবচেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিন হাজার বছর আগের বিস্তৃত অবকাঠামো, সারি সারি দীর্ঘ স্তম্ভ, সুবিশাল মূর্তি এবং চমৎকার খোদাই ও রিলিফের কাজ এখনো পর্যটকদের বিস্ময় জাগায়। লুক্সরের মন্দির না দেখে দেশে ফিরে গেলে আসলে মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

আমাদের বাহন এসে লুক্সর মন্দিরের প্রবেশ পথে এসে থামলে আমরা নেমে যাই। অন্য সকল প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় যেমন ভেতরে প্রবেশের আগে একটা দীর্ঘ চত্বর দেখেছি তেমন কোনো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ এখানে নেই। হতে পারে শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে বলে বাড়তি জায়গা বের করা সম্ভব হয়নি। কাজেই মোস্তফা টিকেট নিয়ে আসার পরে পায়ে হাঁটার কোনো প্রয়োজন হলো না। আমরা সরাসরি মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ফ্লাড লাইটের উজ্জ্বল আলোয় চারিকি ঝকঝক করছে। তবে সংস্কার কাজের জন্য ভেতরের পায়ে চলার পথের অনেকটাই প্লাস্টিকের চাদরে মোড়া আবার কোথাও পথ বন্ধ করে ডাইনে বাঁয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দল বেধে ঢুকলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যে যার মতো এগোতে থাকি। মূল মন্দিরের বিশাল তোরণ পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশের পরে আমার কানে আসে কোরআন থেকে তেলাওয়াতের সুর। দুপাশে দ্বিতীয় রামেসেসের প্রকাণ্ড প্রস্তর মূর্তি রেখে আরও সামনে এগোলে সুরেলা কণ্ঠে কোরআনের পরিচিত সুরার আবৃত্তি স্পষ্ট হতে থাকে।

কোরআন তেলাওয়াতের উৎস খুঁজতে এদিক সেদিক তাকিয়ে চোখে পড়ে এক জায়গায় মন্দিরের একটি অংশে ঢুকে পড়েছে মসজিদ। উঁচু মিনার আলোকমালায় সাজানো আর সেখান থেকেই ভেসে আসছে তেলাওয়াতের সুর। নুবিয়া থেকে বয়ে আনা বেলে পাথরে নির্মিত লুক্সর মন্দিরে চারিদিকে ইটের তৈরি দেয়াল ঈশ্বর এবং মানুষের জগৎকে পৃথক করে রেখেছিল। সম্ভবত মিশরে ইসলামের আবির্ভাবের পরে গড়ে উঠেছিল মসজিদ আর তখনই সেই আভিজাত্যের দেয়াল ভেঙে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে মসজিদ। মানুষের প্রার্থনার জন্যে নির্মিত হলেও এটিও তো আসলে ঈশ্বরেরই ঘর। ফারাও দেবতাদের প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ার পরে ইসলামের পতাকাবাহীরা যে পুরো মন্দিরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি সে জন্য পুরো মানব সভ্যতা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

তবে মন্দিরটি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সকল ভাব গাম্ভীর্য এবং বিশালতা নিয়ে নির্মিত হলেও লুক্সরের মন্দিরটি কোনো বিশেষ সম্রাট বা দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত নয়, বরং ফারাও রাজত্বের পুনরুত্থানকে মহিমান্বিত করতেই এটি নির্মিত হয়েছিল। অনেক অনেক সম্রাটের অভিষেক হয়েছিল এই মন্দিরে, হয়তো কখনো তা বাস্তবে আবার কখনো কেবলই ধারণায় কল্পিত আনুষ্ঠানিকতায়। অনেকেই দাবী করেন আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটকেও মুকুট পরানো হয়েছিল এখানে লুক্সরের মন্দিরে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তিনি কখনোই প্রাচীন নগরী মেমফিস অর্থাৎ বর্তমানের কায়রো শহরের দক্ষিণে আসেননি।

দ্বিতীয় রামেসেসের অতিকায় মূর্তির পায়ের কাছে দাঁড় করিয়ে যখন আমার সফর সঙ্গিনীর ছবি তোলার চেষ্টা করছি তখন একজন জোব্বাধারী একাধিকবার ইশারা করে আমাদেরকে একটু বাঁ দিকে সরে ভেতরের দিকে এসে ছবি তোলার জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। এই জোব্বাধারীরা আর্কিওলজিক্যাল সাইটের এক ধরনের নিরাপত্তা প্রহরী। রামেসেসের পায়ের কাছে রাতের অপর্যাপ্ত আলোর কারণে ভাবলাম যাই দেখি জোব্বাধারী নির্দেশিত জায়গায়। জায়গাটা আরও বেশি অন্ধকার বলে ছবি তোলার তো প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু রাজ প্রহরী এবারে তার হাতের বৃদ্ধঙ্গুলি এবং তজর্নীতে ঘষা দিয়ে ইশারায় কিঞ্চিত বখশিশ দাবী করে বসলো। জায়গাটা আলো আঁধারি, তাই তাড়াতাড়ি আলোয় এসে বাংলায় বললাম, ‘তোমার উদ্দেশ্য মহৎ হলে কিছু বখশিশ দেওয়া যেতো, কিন্তু তুমি লোকটা খুব সুবিধার না।’ এরপরে দ্রুত তোরণ পার হয়ে পৌঁছলাম পরবর্তী প্রাঙ্গণে।

প্রাচীন মিশরের অন্যতম প্রধান স্থপতি ফারাও তৃতীয় আমেন হোটেপ লুক্সর মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। পরবর্তী ফারাও বংশধরদের মধ্যে তুতেনখামেন এবং হোরেমহেব নির্মাণ এবং সম্প্র্রসারণে যুক্ত থাকলেও কাজটি সম্পন্ন করেছেন আবার সেই দ্বিতীয় রামেসেস। সম্রাট তাঁর দীর্ঘ রাজত্বকালে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, নতুন নির্মাণ করেছেন, পুরাতনের সংস্কার করেছেন সন্দেহ নেই। তবে তিনি একই সঙ্গে নিজের বীরত্ব, খ্যাতি ও গৌরবগাথা ইতিহাসে যুক্ত করার আকাক্সক্ষা থেকে বিদ্যমান অনেক মূর্তি ও পুরোনো ুনির্মাণ থেকে অন্যদের হটিয়ে দিয়ে নিজের মূর্তি পুনঃস্থাপন করেছেন। ফলে মূর্তি, দেয়াল চিত্র এবং খোদাইয়ের কাজের প্রায় সবটা জুড়েই আছেন দ্বিতীয় রামেসেস। অর্থাৎ ক্ষমতা হাতে পেলে পুরাতন স্থাপনা, সড়ক, সেতু কিংবা মাঠ ময়দানের নাম বদলে দেওয়া বা পুরোনা কীর্তিমানদের ভাস্কর্য সরিয়ে দিয়ে নিজেদের অহংকারের ইতিহাস তুলে ধরার যে সংস্কৃতি চারিদিকে দেখা যাচ্ছে, হাজার বছর আগেও তা বেশ প্রচলিত ছিল বলেই মনে হয়।

লুক্সরের মন্দিরের ভেতরে পুরো চত্বর জুড়ে অস্থায়ী কিছু নির্মাণ কাজ, বা আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় সাজসজ্জার কাজ চলছে। কাঠের কাঠামো এবং হার্ডবোর্ড ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে তোরণ, আঙ্গিনা জুড়ে পাতা হয়েছে ঢাকনা দেওয়া বিলাসবহুল কুরসি। রাতেও কাজ চলছে বলে মিস্ত্রিদের হাতুড়ি ঠোকাঠুকির শব্দে কারো কথাই ঠিক শোনা যায় না। তাই রানা ভাই যখন বললেন, ‘সিসি আসছেন, তাই সাজ সাজ রব’ কথাটা প্রথমে বুঝতেই পারলাম না। এরপর রানা ভাই কাছে এসে খোলাসা করে বললেন,ও লুক্সর থেকে কর্নাকের প্রাচীন সড়ক সংস্কারের পরে নতুন করে উদ্বোধন করতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাঈদ হুসেন খলিল এল সিসি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাঈদ হুসেন খলিল এল সিসি লুক্সর আসবেন, তারই প্রস্তুতি চলছে।’ নামের বাহার দেখে মনে হলো প্রেসিডেন্ট হবার উপযুক্ত নামই বটে! যে কোনো মহামহিমের শুভাগমন উপলক্ষে আমাদের দেশে যেমন তোরণ, মঞ্চসজ্জা, ব্যানার ফেস্টুন সামিয়ানা এবং চামচা মোসাহেবদের সদর্প পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে, এ্যারাব রিপাবলিক অফ ঈজিপ্টই বা তার ব্যতিক্রম হতে যাবে কেন!

লুক্সরের মন্দিরটি ফারওদের নব রাজত্বের যুগের অনেক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে। বিশাল হল ঘর, তিন দিক বেষ্টিত স্তম্ভের সারি, হল পেরিয়ে অপরিসর প্রবেশ দ্বারের ওপারে পাথরের চওড়া দেয়াল ঘেরা অভ্যন্তরীন কক্ষ। দেয়াল এবং স্তম্ভগুলোর চিত্রমালায় ফুটে উঠেছে সে যুগের বীরত্বগাথা, নানা যুদ্ধ জয়ের কাহিনি। আমরা একের পর এক ছোট বড় নানা প্রাসাদ প্রাকার অতিক্রম করে শেষ প্রান্তে পৌঁছে দেখতে পাই পিলার ঘেরা প্রাসাদের বাইরেও সাজানো রয়েছে হাজার হাজার বছর আগের ছোট বড় ভাস্কর্যের ভগ্নাবশেষ, চিত্রিত প্রস্তর খণ্ডের ছোট বড় টুকরো ও শিলালিপি। অপর্যাপ্ত আলো এবং সময়ের স্বল্পতার জন্যে এই অবহেলিত অংশ পুরোটা ঘুরে দেখা সম্ভব হলো না। মোস্তফার বেধে দেওয়া সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরেও বাইরে এসে দুই দুবাইবাসীর জন্যে গাড়িতে বসে অপেক্ষা করতে হলো আরও মিনিট দশেক।

চলবে...

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত