সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২     

আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে কায়রোর দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। তবে শহর থেকে বেরোবার মুখেই সৌরভ জানাল, আমরা যে পথে এসেছিলাম সেই পথে না ফিরে একটু ঘুরে এগ্রিকালচার রোড ধরে ফিরব। ডেজার্ট রোডের দুপাশে বেশিরভাগ সময় মরুভূমি আর সে তুলনায় এই পথে দুপাশেই সবুজের দেখা মিলবে। সত্যিই শহর ছাড়তেই মাঝে মাঝে ছোট ছোট শহর আর দুই একটা বড় শহর ছাড়া প্রায় সারা রাস্তায় দুপাশে কৃষি জমি। শহরগুলোতে যথারীতি দোকান বাজার আর মসজিদের ছড়াছড়ি। অধিকাংশ বেহাল দশা আবাসিক ভবনের মাঝে কারুকাজ করা দীর্ঘ মিনার এবং সুদৃশ্য গম্বুজওয়ালা রঙিন মসজিদ বেমানান লাগে। তবে ঝাঁ চকচকে বাড়িঘর বা বিশাল বিপনীবিতানও যে পথে পড়েনি তা নয়।

এগ্রিকালচার রোড

গাড়ির গতি একবার একটু কমে এলে দেখলাম ওয়েল্ডিংশপ, গ্রোসারি ও দরজির দোকানের পাশাপাশি এক সারি গরু কিংবা ভেড়ার ঠ্যাং ঝুলছে একটা কসাইখানায়। এইসব ঘন বসতি ও লোকালয় ছেড়ে একটা গ্যাস স্টেশনে গাড়ি থামাল সৌরভ। গ্যাস স্টেশনের সঙ্গেই রেস্টুরেন্ট ও টয়লেট। এগ্রিকালচার রোডের কৃষি ক্ষেতের মাঝখানে বেশ পরিচ্ছন্ন আধুনিক ব্যবস্থাপনা দেখে বোঝা যায় অন্তত হাইওয়েতে যাত্রীদের খাদ্য পানীয় প্রক্ষালণ জাতীয় পরিসেবার ক্ষেত্রে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। হালকা খাবার, ঠান্ডা পানীয় চা-কফি মিলিয়ে আমাদের যাত্রা বিরতির সংক্ষিপ্ত মধ্যাহ্নভোজ শেষ করে বিল দেওয়ার সময় আমি ইচ্ছে করে ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দিলাম। ধারণা ছিল ওরা হয়তো কার্ডে পেমেন্ট নিতে চাইবে না। কিন্তু বিনা বাক্য ব্যয়ে কার্ডে বিল পরিশোধ করে বেরিয়ে এসে কিছুক্ষণ হাইওয়েতে গাড়ির চলাচল দেখলাম।

এগ্রিকালচার রোডে খেজুর গাছের সারি

এ পথে কন্টেইনার বোঝাই ভারী যানবাহন এবং লরিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সেই তুলানায় ট্যাক্সি, মাইক্রোবাস জাতীয় হালকা বাহনের সংখ্যা অনেক কম। ডেজার্ট রোডের মসৃণ রাস্তা ছেড়ে কেই বা ভাঙাচোরা রাস্তায় আসতে চায়! মরুভূমির পাড়ি দিয়ে যেতেও কারো আপত্তি নেই। তানতা শহরের কাছাকাছি হাইওয়ের সমান্তরালে চলতে থাকা রেললাইন ধরে বেশ কয়েকবার দীর্ঘ ইন্টারসিটি ট্রেন উত্তরে আলেক্সান্দ্রিয়া আবার কখনো কায়রোর দিকে চলে গেল। কায়রো আলেক্সান্দ্রিয়া রেলপথে সময় লাগে চার ঘণ্টা। রানা ভাইকে বললাম, ‘একবার ট্রেনে কায়রো থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া যেতে পারলে ভালো হতো।’ রানা ভাই বললেন, ‘ভালো হতো, তবে সঙ্গে গাড়ি থাকার বাড়তি সুবিধাটা পাওয়া যেত না।’ সুবিধা যেহেতু বেশি এবং সেটা আমরা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছি, অতএব এ ব্যাপার আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। 

লেভেল ক্রসিং-এ সূর্যাস্ত

মাইলের পর মাইল এই পথে চলার সময় দু পাশে চষা জমি, কোথাও সবুজ ফসলের ক্ষেত এবং মাঝে মাঝে খেজুর গাছের সারি দেখে বোঝার উপায় নেই নীল নদের দু পাড়ের সামান্য অংশ বাদ দিলে এ দেশের ভূভাগের প্রায় সবটাই মরুভূমি। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসছিল। ঠিক সূর্যাস্তের সময় আমরা একটা দীর্ঘ খেজুর বাগান পার হচ্ছিলাম। গাছের আড়ালে পাতার ফাঁকে রক্তিম সূর্য খানিক উঁকি দিয়েই আড়ালে চলে যাচ্ছিল। একটা লেভেল ক্রসিং-এ এস দাঁড়াবার পরে দেখতে দেখতে আলোর বিচ্ছুরণ থেমে গেল, দিগন্তে মিলিয়ে গেল লাল টুকটুকে সূর্য।   

রাতে খাবার কথা ছিল অভিজাত মাদি এলাকার রোড নম্বর নাইনের ভিলা কারাক্কাসে। দূরত্ব সামান্য বেশি হলেও এগ্রিকালচার রোডে ট্রাফিক জ্যাম কম, সাড়ে তিন ঘণ্টায় কায়রো পৌঁছে যাবার কথা। কিন্তু দেরিতে বেরিয়ে পথে কিছু সময় লাঞ্চ বিরতি দিয়ে ধীরে সুস্থে চালিয়ে আমরা যখন কায়রো শহরে ঢুকেছি তখন পথে পথে সড়কবাতি জ্বলে উঠেছে, দূরে থেকে ঝলমলে কায়রো টাওয়ার দেখে বুঝতে বাকি থাকে না গন্তব্যের কাছাকাছি এসে গেছি। পথে যানজট না থাকলেও শহরের ভেতরে কয়েক কিলোমিটার পথ পার হতে অনেকটা সময় লেগে গেল। সেই কারণে সিদ্ধান্ত হলো বাসায় না ফিলে সরাসরি রেস্টুরেন্টে চলে যাব। আমরা ভিলা কারাক্কাসে ঢুকলাম সোয়া আটটার দিকে।

ভিলা ক্যারাক্কাস বাইরে থেকে 

সন্ধ্যাবেলা রেস্টুরেন্ট পাড়ায় একটু ঘুরে এলে মিশরে লেবানিজ খাবারের জনপ্রিয়তা এবং একই সঙ্গে সচ্ছল পরিবারের নারী পুরুষ শিশুদের নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়ার প্রবণতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের দেশেও সাধ ও সাধ্য অনুসারে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় বেড়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আড্ডা বা অন্তরঙ্গ পরিবেশে কথোপকথনের চেয়ে উদরপূর্তিই এখনো মুখ্য। কায়রোর মানুষ স্বভাবগতভাবেই আড্ডা প্রিয়, চা কিংবা কফি কাপ হাতে এরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্পগুজব করে কাটিয়ে দেয়। কাজেই রেস্টুরেন্টে দীর্ঘ সময় বসে অনেক রাত পর্যন্ত চলতে থাকে জমজমাট আড্ডা।

ভিলা কারাকাক্কাসের ভেতরে বাইরে দেখে বোঝা যায় পুরোনো বড় একটা বাড়ি রেস্তোঁরায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। সামনে পেছনে ছোট বড় কক্ষগুলো ছাড়াও বিস্তৃত প্রাঙ্গণের কোথাও কোনো ঠায় নেই। সৌরভ আগে থেকেই টেবিল বুক করে রেখেছিল বলে আমরা সহজেই জায়গা পেয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চলে এলেন সৈয়দ আজিজ ও মাননি ভাবি। লেবানিজ খাবার শুধু যে খেতেই ভালো তা নয় পরিবেশনের বৈচিত্র্যের কারণে মনে হলো কিছু ‘অস্বাদু’ খাবারও সুস্বাদু হয়ে গেছে। আমরাও কায়রোনিবাসীদের মতো দীর্ঘ সময় ধরে এইসব চর্ব- চোষ্য-লেহ্য-পেয় শেষ করে যখন ঘরে ফিরলাম তখন গভীর রাত।   

ভিলা ক্যারাক্কাস ভেতরে        

পরদিন সকালে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা না থাকায় রোড নম্বর নাইনে কিছু সময় সুভ্যেনিয়ার শপে আর বাকি সময় অকারণে ঘোরাঘুরি করে কাটানোর উদ্দেশ্যে বের হলাম। খানিকটা পথ যাবার পরে টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হলো। এই বৃষ্টি আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি, শ্রাবণের ঘন বর্ষণ বা ভাদ্রমাসের ঝিরঝিরে এক পশলা বৃষ্টির মতো নয়। বৃষ্টি বিরল কায়রো শহরে হয়তো গত ছয়মাস বা বছরে একদিনও বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আশেপাশে মানুষের মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই এই আকস্মিক বারিপাতে তারা কী আনন্দিত না দুঃখিত! আমি নিশ্চিত আমাদের কোনো শহরে ছ-মাস ন-মাসে একদিক বৃষ্টি নামলে কিশোর কিশোরীরা রাস্তায়, গৃহবধূরা বাড়ির ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে নেমে যেত, কবিরা কবিতার খাতা খুলে বসতেন, রান্নাঘর থেকে খিচুড়ির ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ত পাড়ায় মহল্লায় এবং ‘ওয়েদার ডিমান্ডস’ বলে কে যে কী করতেন আল্লা মালুম। কায়রোর মানুষের উচ্ছ্বাসহীন বৃষ্টির চরিত্র নির্ধারণ করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই বৃষ্টি যেমন এসেছিল তেমনি মিলিয়ে গেল।  রাস্তা ভেজার আগে বৃষ্টি ছেড়ে যাওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমে কোনো কিছু কেনার ইচ্ছে না থাকলেও এ দোকান সে দোকান ঘুরে প্যাপিরাসের পাতা, পাথরের তৈরি পিরামিডের ছোট্ট রেপ্লিকা, হাইরোগ্লিফিক লিপি আঁকা টি-শার্টসহ টুকটাক স্যুভেনিয়ার কিনে কিছু ইজিপশিয়ান পাউন্ড কায়রোতে রেখে গেলাম।

লামিয়া ইব্রাহিম

বাসায় ফিরে দেখলাম সৌরভের মিশরী ‘বুয়া’ আপন মনে তার কাজ করে যাচ্ছে। আগেই জেনেছি মেয়েটি কায়রোর একটি সরকারি হাসপাতালের নার্স। কিন্তু সরকার বাহাদুর সপ্তাহে ছয়দিন কাজের বিনিময়ে তাকে যে বেতন দেয় তাতে তার নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মিশরে নুন থাকলেও পান্তার প্রচলন আছে কিনা জানি না, তবে শ্রমজীবী ও বেতন কাঠামোর নিচের দিকের পেশাজীবী মানুষের আর্থিক অবস্থা যে খুব ভালো নয় তা সহজেই বোঝা যায়। ফলে প্রয়োজনের তাগিদেই সে সপ্তাহের একটা ছুটির দিনে একবেলা সৌরভের বাসার যাবতীয় কাজ যথেষ্ট নৈপুন্য, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করে রেখে যায়।

ওর কাছে বাসার এক সেট চাবি আছে, কাজেই কেউ না থাকলেও সে তার কাজ ঠিকঠাক মতো করে সব গুছিয়ে রেখে যায়। গৃহকর্মে নিপুণা মেয়েটির গৃহ এবং সংসারের কথা জানি না মনে হয়েছে দারিদ্র্য এবং পরিশ্রম তার মুখের হাসিটুকু কেড়ে নিতে পারেনি। হেনা ওর সঙ্গে দুই একটা কথা বলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সে একেবারেই ইংরেজি না জানায় আলাপটা জমেনি।  সন্ধ্যায় আমার ‘মিছছরররের’ বন্ধু লামিয়ার আসার কথা। কায়রো এসেই যোগযোগ করেছিলাম, কিন্তু বেশিরভাগ দিন তো আসোয়ান লুক্সর আলেক্সান্দ্রিয়ায় কেটে গেল। ফলে ইচ্ছে থাকলেও আমি দেখা করতে যেতে পারিনি এবং লামিয়াও আসতে পারেনি। লামিয়ার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সউলে কোরিয়ান ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের ডকুমেন্টারি ওয়ার্কশপে দুই দশকের বেশি সময় আগে।

লামিয়ার দেওয়া উপহার

ঊনিশ দেশের ঊনিশজন টেলিভিশন প্রযোজক এবং ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকারের সেই অন্তরঙ্গ কর্মযজ্ঞে নাইল নিউজের প্রযোজক লামিয়া ইব্রাহিম ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল উচ্ছল প্রাণবন্ত তরুণী। প্রশিক্ষণ কোর্সের ঊনিশজনের মধ্যে যে পাঁচ-সাতজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাদের অন্যতম লামিয়ার সঙ্গে দুই দশকের বেশি সময়েও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। ঈদে পরবে, নববর্ষে ও জন্মদিনে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও মাঝে মধ্যে মেইলে যোগাযোগ আছে এখনো। 

লামিয়া বাসার নিচে এসে গাড়ি পার্কিংয়ে রেখে তার আসার খবর দিয়েছে। আমি লম্বা করিডোর পেরিয়ে লিফটের কাছে পৌঁছাতেই লিফটের দরজার খুলে বেরিয়ে এল লামিয়া। বলল, ‘ইটস লং টুয়েন্টি টু ইয়ার্স! মনে হচ্ছে যেন এই তো সেদিন।’

বয়সের সঙ্গে লামিয়ার উচ্ছলতা হয়তো কমেছে, তবে হাসিটা আগের মতোই আছে। নাইল নিউজের ডিরেক্টর হিসেবে ব্যস্ততা ও দায়িত্ব বেড়েছে। সউল থেকে ফিরেই লামিয়ে জানিয়েছিল সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করেছিল কিন্তু সংসারটা বেশি দিন টেকেনি। ছেলে মেয়ে নেই, এখন মায়ের সঙ্গে থাকে। শারীরিকভাবেও পুরোপুরি সুস্থ নয়, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও বেশ কড়াকড়ি রকমের নিষেধাজ্ঞা আছে, চা কফি সবই নিষেধ। তাই রানা ভাইয়ের পরামর্শে ফ্রেশ মিন্টসহ এক কাপ গরম জল ছাড়া লামিয়ার জন্যে কোনো আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে পারলাম না।

লামিয়ার সঙ্গে

আমরা কেবিএস-এর সেই আনন্দঘন পুরোনো দিনগুলোর কথা, সতীর্থ গ্রাজিনা, এদোয়ার্দো, আলা, কিবারার, জিনা ও জোকে নিয়ে কথা বলে কেমন করে যেন প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দিলাম। লামিয়া সঙ্গে করে এনেছিল একটা বৃত্তাকার মিষ্টান্ন, ঠিক কেক নয় তবে কেক-এর মতো কিছু একটা আর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের মতো ফারাও সম্রাজ্ঞীর চেহারা ঊৎকীর্ণ মগ। কেক-এর নামটা ভুলে গেছি, তবে সেটা যে ইজিপশিয়ান ডেলিকেসির উৎকৃষ্ট উদাহরণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিদায় নেওয়ার সময় লামিয়া বলল, ‘আর হয়তো কখনো দেখা হবে না, তবে যোগাযোগ রেখ।’ বললাম, ‘আমি তো একবার হলেও কায়রো ঘুরে গেলাম, সম্ভব হলে তুমি একবার ঢাকায় এস, তাহলেই দেখা হবে।’ 

নিচে নেমে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে লামিয়া একবার হাত নেড়ে বিদায় জানাল। তারপর সাবলীলভাবে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে রাস্তায় উঠে গেলে চলমান যান বাহনের স্রোতে মিশে গেল লামিয়ার বাহন। 

চলবে...         

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

রাফিনিয়া-ইয়ামালের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় পেল বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

বার্সেলোনা চলতি লা লিগা মৌসুমে দুর্দান্ত শুরু করলেও কিছু সময় ছন্দ হারিয়ে শীর্ষস্থান থেকে সরে যায়। তবে, সম্প্রতি টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর রাফিনিয়া ও ইয়ামালের নৈপুণ্যে বড় জয় পেয়ে ছন্দে ফিরেছে কাতালান ক্লাবটি।

২৬ জানুয়ারি, রোববার, বার্সেলোনা তাদের ঘরের মাঠে ভালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ম্যাচের শুরুতেই তৃতীয় মিনিটে লামিনে ইয়ামালের অসাধারণ পাস থেকে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। কিছুক্ষণ পর, ৮ম মিনিটে আলেহান্দ্রো বাল্দের ক্রসে সুনিপুণ গোল করেন তরেস, যিনি তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল উদযাপন করেননি।

অল্প সময়ের মধ্যে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বার্সেলোনা ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণে আরও চাপ সৃষ্টি করে। ১৪তম মিনিটে ইয়ামালের ব্যাকহিল থেকে রাফিনিয়াকে বল পান, এবং ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল করে দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। এটি ছিল তার চলতি মৌসুমের ১২তম গোল।

২৪তম মিনিটে পাউ কুবার্সির পাসে দলের চতুর্থ গোলটি করেন লোপেস, যার পরে ভিএআরের মাধ্যমে গোলটি নিশ্চিত করা হয়। বিরতির ঠিক আগে, রাফিনিয়ার একটি শক্তিশালী শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে, লোপেস দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে গোল করে বার্সেলোনাকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান।

দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৯তম মিনিটে হুগো দুরো ভ্যালেন্সিয়ার জন্য একটি সম্মানজনক গোল করেন, কিন্তু পরবর্তীতে ৬৬তম মিনিটে লেভানডোভস্কি বার্সেলোনার ব্যবধান আবার ৫ গোল করে বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে, তোরেসের শট ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বল সিজার টারেগা নিজ জালে পাঠিয়ে দেন, ফলে ৭-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার।

এই জয়ে ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনা ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ফিরেছে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। অন্যদিকে, ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে রয়েছে ভালেন্সিয়া।

Header Ad
Header Ad

পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমান পুলিশের শতকরা ৮০ জনই আওয়ামী আমলের, যাদের হৃদয়ে ছাত্রলীগ। তারাই এ সরকারের জন্য কাজ করছে না।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে চারটি বইয়ে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী কিছু সমস্যা থাকে। তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সকলের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সেই ঐক্য আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন আসিফ নজরুল।

এর আগে, সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বিএনপির সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত এবং বেপরোয়া করে তুলতে পারে তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, তিনি যতটা জানেন এবং বিশ্বাস করেন— বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় এবং তারা ১/১১ ধরনের কিছু করতে চাচ্ছে না, ছাত্রনেতারা সরকারের অংশ হিসেবে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে না বা এতে যোগ দিচ্ছে না, জুলাই ঘোষণাপত্র একটি রাজনৈতিক দলিল হবে এবং ছাত্রনেতারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার জন্য চেষ্টা করছেন এবং বিএনপি এবং ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচন কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে। এর অর্থ হলো, বিরোধের কোনো কারণ নেই, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যায় জড়িতদের হাতে রয়েছে লুটপাট করা বিপুল পরিমাণ টাকা, অনেক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন। তাদের বিরুদ্ধে যদি কিছু করতে হয়, তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, তবে তা যেন দেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহের কারণ না হয়।

Header Ad
Header Ad

৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) শেষ রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, বিচারের আগে কোনো ধরনের পরীক্ষা হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৭ কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলাম।

তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ছিল আমাদের। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি। উল্টো ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এসব নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদে গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাবি শিক্ষার্থী ও পুলিশ সম্মিলিতভাবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

৭ কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে, এমন দাবি জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি মামুন আহমেদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধ করা হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাফিনিয়া-ইয়ামালের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় পেল বার্সেলোনা
পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল
৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি
ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি, সেই এসআই চঞ্চল গ্রেপ্তার
সাত কলেজের সব পরীক্ষা স্থগিত
আজ পবিত্র শবে মেরাজ
মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮
সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার
রয়্যাল এনফিল্ড কিনে না দেয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ কিশোরের!
রংপুরের টানা দ্বিতীয় হার, রাজশাহীর নাটকীয় জয়
সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা
আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশের কসাই: প্রেস সচিব
পুলিশের সংখ্যা পর্যাপ্ত, কিন্তু মনোবলের ঘাটতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশি রোগীরা, কলকাতার হাসপাতাল ব্যবসায় ধস
২৫ দিনে এলো ২০৪৪৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
বেতন-ভাতায় না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি পেলেন কুবির ৩০ শিক্ষার্থী
নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়: মেজর হাফিজ
পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং