রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

আলেক্সান্দ্রিয়ায় আমাদের রাত্রিবাসের জন্যে সৌরভ আগে থেকেই হোটেল লে মেট্রোপলে বুকিং দিয়ে রেখেছিল। সাগর তীরের পায়ে চলার পথ থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে একটা ছোট পার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে আমরা হোটেলে পৌঁছালাম। কয়েকটা সিঁড়ি ভেঙে লে মেট্রোপলে ঢুকেই বুঝলাম আমরা একটি প্রাচীন অভিজাত অতিথিশালায় ঢুকে পড়েছি। 

রিসেপশনের অংশটুকু দেখে শুধু অভিজাত না বলে বলা যায় রাজকীয়! রানা ভাইকে সে কথা বলতেই তিনি বললেন, ‘আসলেই তো আমরা কিং ফারুকের রয়্যাল গেস্ট হাউসের অতিথি।’ চারিদিকে তাকিয়ে দেখি দামি কাঠের টেবিলে শোভা পাচ্ছে শ্বেতপাথরের ভেনাসের মূর্তি, পরী-শিশুদের হাতের বাতিদানে জ্বলছে শ্বেতশুভ্র গোলক। উপর থেকে নেমে এসেছে স্ফটিকের ঝাড়বাতি, দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে প্রাচীন পেইন্টিং, সিলিংয়ের নিচেই দেয়ালে সোনালি কারুকাজ এবং সুদৃশ্য ভারী পর্দা আলোর প্রবেশাধিকার সীমিত করে ঘিরে রেখেছে বাইরের দিকের কাচের দেয়াল। তবে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, তা হলো এই ভবনে উপরে ওঠার লিফট!

হোটেল মেট্রোপলের রিসেপশন

প্রাগৈতিহাসিক যুগের ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলনের এই বাহন দেখেই অনুমান করা যায় লিফট ব্যবহারে পুরোনো দিনের রাজা বাদশাদের চেয়ে আমরা এ যুগের সাধারণ মানুষও অনেক ঝামেলাহীন জীবন পার করছি। লে মেট্রোপলের লিফটে ওঠার অভিজ্ঞতা ভীতিকর এবং এর পরিচালনা পদ্ধতি যথেষ্ট জটিল। একজন লিফটম্যান অবশ্য সার্বক্ষণিক দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। দরজার বাইরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই, কারণ চারজনের বেশি যাত্রীর একসঙ্গে সেই বাহনে স্থানসংকুলান হয় না।

লিফটটি চলার প্রস্তুতি হিসেবে একটি সোনালি ধাতব গেট টেনে দেবার পরে আরও একটি লোহার দরজা বন্ধ করে সিন্দুকের হাতলের মতো হাতল চেপে দিতে হয়। তারপরে কারুকাজ করা ফ্রেমে বাঁধানো বোতাম টিপে উপরে ওঠার ব্যবস্থা! ইষ্ট নাম জপতে জপতে তিনতলায় উঠে কার্পেট পাতা লম্বা করিডোর পেরিয়ে ঘরের দরজায় পৌঁছলাম। সারা পৃথিবীর আধুনিক হোটেলে কার্ডের চাবি চালু হলেও এখানে সেই প্রাচীনকালের ধাতব চাবি ঘুরিয়ে ঘরে ঢুকে দেখলাম বাদশাহ ফারুক তার ভবিষ্যতের অতিথিদের জন্যে এখানেও বাদশাহী এন্তেজাম করেই রেখেছেন।

খাট পালঙ্ক, চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ও দরজা জানালায় সেই রাজকীয় বিত্ত বৈভবের আভাস। ঘরের মেঝে তো বটেই দেয়ালগুলোও চিত্রিত কার্পেটে মোড়া। সত্যি বলতে কী, রাজকীয় পরিবেশে অনভ্যস্ত আমার রীতিমতো অস্বস্তি লাগে। অনেক নামিদামি পাঁচতারা আধুনিক হোটেলে যে সমস্যা কখনো অনুভব করিনি তেমন এক ধরনের দম আটকানো অবস্থা থেকে দরজার ভারী পর্দা সরিয়ে ব্যালকনিতে বেরোতেই এক ঝলক বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকে পড়ল। বাঁয়ে অল্প দূরেই নীল সমুদ্র আর সামনে কোলাহল মুখর শহরের একটি চত্বর ঘিরে যানবাহনের ব্যস্ত চলাচল। লাঞ্চের সময় পার হয়ে যাচ্ছে বলে খুব বেশিক্ষণ ব্যালকনিতে দাঁড়ানো হলো না। রানা ভাই দরজায় নক করে ১৫ মিনিটের মধ্যে ছয়তলার উপরে রুফটপ রেস্টুরেন্টে চলে আসতে বললেন। আমি ঘরে ঢুকে বিছানায় পড়েই ঘুমিয়ে গেলাম।

ব্যালকনি থেকে সমুদ্র

মিশরীয় রাজতন্ত্রের শেষ সম্রাট বাদশাহ ফারুকের দেড় যুগের রাজত্বকাল ১৯৫২ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে শেষ হলে শিগগিরই গামাল আবদেল নাসের দেশটিকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা আসেন। পনের বছরের শাসনকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায় আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে মিশরের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চারের পরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নাসেরের মৃত্যু হলে বৃটিশ তাড়ানো স্বাধীন মিশরের উন্নয়ন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে নামে অ্যারাব রিপাবলিক অব ইজিপ্ট হলেও নাসেরের পর থেকে আনোয়ার সাদাত কিংবা হুসনী মোবারক থেকে আবদেল ফাতাহ এল সিসি পর্যন্ত রাজনৈতিক পট-পরির্তনের দিকে চোখ রাখলে বোঝা যায় মিশরের প্রজাতন্ত্র আসলে গত ষাট বছর ধরেই সামরিক বাহিনী সমর্থিত স্বৈরতন্ত্র, বিরোধী মতবাদীদের দমন নিপীড়ন এবং আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বাইরে প্রায় কখনোই জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে ওঠেনি। পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের শাসনামলের মতোই বর্তমান মিশরে চলছে লৌহমানব ফিল্ড মার্শাল এল সিসির সামরিক-গণতান্ত্রিক শাসন।

নগরীর রেস্তোরাঁ

ঘুমটা খুব তাড়াতাড়ি ভেঙেছিল বলে দ্রুত উঠে সেই ভয়ঙ্কর লিফটে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে ছয় তলার উপরে ছাদ রেস্তোরাঁয় পৌঁছালাম।  টেবিলে বসে সমুদ্র দর্শনের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দুই সারিতে পাতা টেবিলের খোলা দিকে বসেছিলাম। দৃশ্য চমৎকার ও বাইরে যথেষ্ট রোদের তাপ থাকলেও সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাস কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঁপ ধরিয়ে দিল। পরিবেশকদের একজন এসে গাড়ির কাচ নামানোর মতো ট্রান্সপারেন্ট শিল্ড নামিয়ে দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা করলে আমরা ফারুক সাহেবের রাজকীয় ভবনের রেস্তোরাঁয় বসে আলোচনা করছিলাম ভাগ্যহত বাদশা ফারুকের কথা।

ইতালিতে নির্বাসিত জীবনযাপনের সময় ভ্যাটিকান সিটির কাছে একটি ফরাসি রেস্তোরাঁয় এক গ্রান্ড পার্টিতে ভেড়ার ঠ্যাং চিবিয়ে খাওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে ফারুকের মৃত্যু হয়। দু দুবার বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তখন তার সঙ্গে ছিলেন স্বর্ণকেশী এক ইতালিয় সুন্দরী। মিশর ও সুদানের এক সময়ের একচ্ছত্র অধিপতি বেচারা ফারুকের এই মৃত্যু সম্ভবত তার চার পুত্র-কন্যা ছাড়া আর কাউকেই শোকাভিভূত করেনি।

কথা ছিল লাঞ্চের ঘণ্টাখানেক পরে নগর দর্শনে বেরিয়ে পড়ব। কিন্তু ঘুমিয়ে না পড়লেও রাজকীয় শয্যায় শুয়ে গড়াগড়ি করে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। ধীরে সুস্থে ঘরে বসেই চা বানিয়ে খেয়ে সাহস করে লিফটে চেপে নিচে নেমে এলাম। লে মেট্রোপল চারতারা হোটেল হলেও সুইমিংপুল ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হোটেলের বাইরে খানিকটা দূরে। কাজেই সেই পার্কিং থেকে গাড়ি নিয়ে আসতেও খানিকটা সময় গেল।

স্টেইনলি ব্রিজ

শেষ পর্যন্ত সৌরভ যখন স্টিয়ারিং হুইলে হাত রেখে আলেক্সান্দ্রিয়া নগরের পথে চলতে শুরু করল তখন রাস্তার দুপাশে সড়কবাতিগুলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। আমরা যে পথ ধরে এগোচ্ছি সেটি ওয়ানওয়ে। হাতের ডান দিকে খ্যাতনামা বিপণী কেন্দ্রের পাশাপাশি অখ্যাত দোকানে ঝলমল করছে নাম ফলকের নিয়ন সাইন। বাঁ দিকের একমুখী রাস্তার ওপারে সমুদ্র। চলার পথে সৌরভ দেখিয়ে দিল আলেক্সান্দ্রিয়ার একটি ল্যান্ড মার্ক স্ট্যানলি ব্রিজ। মূল সড়কের যানজট কমানোর জন্যে নব্বই দশকের শেষ দিকে সমুদ্রের পাশ দিয়ে নতুন একটি রাস্তা তৈরির সময় দেখা গেল একটা জায়গায় শহরের স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে ভূমধ্য সাগর। সেখানে সমুদ্রের দুই অংশ যুক্ত করে নির্মিত হয়েছিল এই সেতু।

আমার মনে হয়েছে প্রয়োজনের চেয়েও আলেক্সান্দ্রিয়া শহরের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্মিত সেতুটি নগরের সৌন্দর্যে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। মাত্র চারশ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুতে স্প্যানের সংখ্যা ছয়টি, এর চারটি টাওয়ার ইসলামি স্থাপত্য শিল্পের চমৎকার নিদর্শন। সন্ধ্যার শুরুতে দিনের আলোর পাশাপাশি সাগরের বুকে এই সেতু জুড়ে আলোর নান্দনিক ব্যবহার যে দৃশ্যপট রচনা করেছে তা দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে দেখার মতো। গাড়িয়ে থামিয়ে রেখে দেখার মতো অবস্থা না থাকায় আমরা সামনে এগোতে থাকি।

রাতের রাজপথ

আলোকোজ্জ্বল আলেক্সান্দ্রিয়ার প্রতিটি রাতই মনে হয় উৎসব মুখর। তাই শপিং এরিয়া কিংবা বাজার এলাকার আলোকসজ্জা দেখে ক্রিসমাস কিংবা ঈদের সময় বলে ভুল হতে পারে। আমরা অনেক দূরে থেকে ঘুরে এসে ফেরার পথে স্ট্যানলি ব্রিজের উপর দিয়ে পার হলাম।

এবারে হাতের ডানে ভূমধ্যসাগর। উৎসব নগরী এখানে সাগরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ফুটপাথে যেমন বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য নারী পুরুষ সমুদ্রের হাওয়া গায়ে মেখে সান্ধ্যকালীন পদচারণায় নেমেছেন, তেমনি সমুদ্রের বুকে সারি সারি রেস্তোঁরায় নৈশভোজের আয়োজনেও মানুষের কমতি নেই। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো পর্যটক, তবে আমরা পর্যটক হলেও রঙিন আলোর ঝলমলে আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঢুকলাম শহরের রেস্তোরা ক্যাফে ডিলা পাইতে। 
সৌরভ এমনিতেই স্বল্পাহারী, ওর রাতের খাবার শুধু খানিকটা পাস্তা। আমার জন্যে অর্ডার দিয়েছিলাম ফিশ ফিলে আর সবচেয়ে যিনি কম খান তিনি বললেন মিক্সড বিফ অ্যান্ড চিকেন ফাইতাস। টেবিলে খাবার এলে দেখা গেল গরু ও মুরগির গ্রিলের সঙ্গে যে পরিমাণ মেক্সিকান ফ্রাইড রাইস পরিবেশিত হয়েছে তা তিনজনের পক্ষেও শেষ করা সম্ভব নয়। অতএব স্যামন মাছ ও সেদ্ধ সবজির বেরসিক মেন্যুর সঙ্গে হেনার গ্রিল্ড বিফ ও ফ্রাইড রাইসের অনেকটাই আমার আহার্যে পরিণত হলো। চমৎকার একটা ডিনারের পরে ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে পড়াটা কোনো কাজের কথা নয়। সৌরভ গাড়িটা পার্কিংয়ে রেখে এলে আমরা সমুদ্রের ধারে পাথরের বাঁধের উপরে উঠে বসলাম।

সমুদ্রের তীর থেকে লে মেট্রোপল

রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চলাচল কমে এসেছে। যন্ত্রচালিত গাড়িগুলোর পাশাপাশি ঘোড়ার খুরে খটখট আওয়াজ তুলে চলে যাচ্ছে মন্থর গতির টাঙ্গা। ফুটপাথের টং দোকানে আগুনে পুড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ভুট্টা। হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাচ্ছে তরুণ-তরুণী, আবার রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে দু-চারজন বৃদ্ধকেও পথ চলতে দেখা গেল। রানাভাই নিজেও হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে গেছেন। বাঁধের উপরে বসে সৌরভ বলছিল তার প্রথমবার আলেক্সান্দ্রিয়া আসার কথা। কেনিয়া থেকে সস্ত্রীক এসে ঠিক রাস্তার ওপারের হোটেলে সেবার থেকে গেছে। রাস্তা পেরিয়ে পার্কের ওপারেই আমাদের হোটেল মেট্রোপলও এখান থেকে দেখা যায়। 

কিন্তু আমাদের হোটেলের সামনে ভূমধ্যসাগরের তীরে যার ভাস্কর্য ঘিরে ছোট্ট এই উদ্যানটি গড়ে উঠেছে তার নাম কেউ জানে না। রানা ভাই ফিরে এলে জানলাম, মিশরের স্বাধীনতা সংগ্রামে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এই মূর্তিটি সেই কীর্তিমান পুরুষ সাদ জগলুল পাশার! ১৯২৭ সালে জগলুল পাশার মৃত্যু হলে পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব শূন্যতায় হতাশ নজরুল তার ‘চিরঞ্জীব জগলুল’ নামের দীর্ঘ কবিতায় তাহলে এই মহাত্মার কথাই লিখে গেছেন। ‘তোমার বিদায়ে দূর অতীতের সেই কথা মনে পড়ে/মিসর হইতে বিদায় লইল মুসা যবে চিরতরে/সম্ভ্রমে সরে পথ করে দিল নীল দরিয়ার বারি/পিছু পিছু চলে কাঁদিয়া কাঁদিয়া মিসরের নরনারী?’ 

উদ্যানে নজরুলের জগলুল পাশা

তবে বর্তমান মিশরের নরনারীরা জগলুল পাশার জন্যে কান্নাকাটি করা তো দূরে থাক, তার নামই সম্ভবত শোনেনি। অন্যদিকে আলেক্সান্দ্রিয়ার নগর কর্তারা জগলুল পাশাকে সম্মান জানাতে গিয়ে তাকে উঁচু এক স্তম্ভের উপরে তুলে দিয়েছেন, কিন্তু পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় তার চেহারা দেখার কোনো উপায় নেই। স্তম্ভের পায়ের কাছে কিছু শুকনো ফুল পাতা পড়ে থাকলেও উৎকীর্ণ করা ফলক পাঠোদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা তারা রাখেননি। 

রাতের রাজপথে ট্রাম

হোটেলে ফিরে আমরা আবার সেই ঐতিহাসিক লিফটে চড়ে সোজা রুফটপ রেস্তোরাঁয় চলে গেলাম। বেশ রাত হলেও রেস্তোরাঁ তখনো জমজমাট। চাঁদোয়া জুড়ে তারার মতো বাতি ঝিকমিক করছে আর কাচ দিয়ে ঘেরা লম্বা বাতিদানে মোমবাতির শিখার মতো দপদপ করে যে বাতি জ্বলছে তাকে প্রথমে কেরোসিনের প্রদীপ বলে ভুল করেছিলাম। এখানে দাঁড়িয়ে জগলুল পাশা পার্কের ওপারে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় রাতের সমুদ্র। অন্ধকার সাগরের বুকে মাঝে মাঝে জাহাজের দুই একটা বাতি জ্বলে উঠেই আবার নিভে যায়। আমরা ঘরে ফিরেও ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে অনেক রাত পর্যন্ত রাস্তায় ট্রামের চলাচল দেখি। ধীরে ধীরে প্রায় জনশূন্য হয়ে আসে আলেক্সান্দ্রিয়ার ব্যস্ত সড়ক, জনাকীর্ণ রাস্তা। 

চলবে...      

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

Header Ad
Header Ad

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গেল জার্নির টিকিট নিয়ে সমস্যা চলছিল রাজধানীর মেট্রোরেলে। এবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এই সংকট কেটে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের সিঙ্গেল জার্নির টিকিট সংকট আর থাকছে না।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে করা এক স্ট্যাটাসে এ সুখবরের কথা জানায়।

স্ট্যাটাসে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীদের জন্য সুসংবাদ। মেট্রোলের সম্মানিত যাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, ২১ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো থেকে চাহিদামতো সিঙ্গেল জার্নি টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি র‍্যাপিড পাসও বিক্রয় এবং রিচার্জ করা হচ্ছে। এমআরটি পাসও রিচার্জ করা হচ্ছে। আপনারা সানন্দে মেট্রোরেল ভ্রমণ করুন। এছাড়া ডিএমটিসিএল পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের কার্ডের সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। একক যাত্রার কার্ড না থাকায় অনেক স্টেশন থেকে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী কার্ড বা এমআরটি পাস বিক্রিও একেবারে বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ:

ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের পুরো আয়োজন হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তৃষা।

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে দুস্থ শীর্তাতদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিরামপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু'র সঞ্চালনায় দুস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান গোর্কি, দিনাজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা,উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবয়াদুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাড. মিঞা শিরন আলম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জীবন চৌধুরী শাহীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পলাশ বিন আশরাফী পলাশ সহ বিরামপুর উপজেলা বিএনপি,পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীবৃন্দ'র পাশাপাশি স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা পলিপ্রায়গ ইউনিয়নের টাটকপুর মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মিজ্ঞা শফিকুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল'র সঞ্চালনায় ছিন্নমূল, অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার