শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

হরেন্দ্রনাথ বেরিয়ে যায়। দোকান থেকে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ইত্যাদি অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসে। তিনভাই ছুটে যায় বাবার কাছে। পোটলাটা নিয়ে বলে মা গুছিয়ে দাও এই পোটলা আমাদের কাছে থাকবে। মায়ারাণী ওদের দিকে তাকিয়ে হাসে। চারটি নদী পার হয়ে কত দুর্গম পথে যেতে হবে ছেলেদের চিন্তায় এসব নেই। ওদের বোঝার বয়স নেই। ওরা মায়ের কাছে পোটলাটা দিয়ে বলে, বাবা বোধহয় অনেককিছু কিনেছে মা। আমাদেরকে দেখাও।

–দরকার নাই। খুব সুন্দর করে বেঁধে দিয়েছে যে খুলবনা। নৌকায় ওঠার পর তোদের কাছে রাখিস।

–আচ্ছা, আচ্ছা, আচ্ছা।

ওরা উঠোনে ছুটোছটি করে বারান্দায় উঠে বাবাকে ঘিরে বসে। মায়ারাণী বড় এক পাতিল ভাত রান্না করে বীথিকাকে বলে, এগুলোকে পান্তাভাত বানাব। নৌকায় বসে দুপুরে ও রাতে খেতে হবে।

–হ্যাঁগো মা, ঠিকই আছে। বেশি করে লবণ নিয়ে নিচ্ছি, আর কাঁচামরিচ। তরকারি না থাকলে মরিচ-লবণ দিয়ে পান্তা খাব আমরা। একদিকে নদীর পানিতে ভেসে যাওয়া, আর একদিকে ভাতপানিতে পেট ভরানো। দারুণ হবে। নতুন রকমে দিন কাটবে।

খিলখিলিয়ে হাসে বীথিকা।

রাত হয়ে গেলে সবাই ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে সবার আগে ওঠে মায়ারাণী। পোটলাগুলো বারান্দায় গুছিয়ে রাখে। সকালে সবাই মিলে পান্তাভাত খেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়। এমন সময় পাকিস্তানি দালাল পাঁচজন বাড়ি লুট করতে আসে। ওদের সবাইকে চেনে মায়ারাণী। বেঁটে মোহসিন আলী সবার সামনে। ও বারান্দার একটি পোটলা ধরে টান দিয়ে মাথায় উঠালে মায়ারাণী ধানের গোলার নিচ থেকে গাছকাটা দা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়ে তাড়া করে ওদের। মোহসিন আলীর কাঁধে দায়ের কোপ মারে। মাথা থেকে পোটলা পড়ে যায়। মায়ারাণী রুদ্রমূর্তিতে অন্যদের তাড়া করলে বাকি সবাই দৌড়ে পালায়।

ওরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে হরেন্দ্রনাথ বলে, চলো এক্ষুণি বেরিয়ে যাব। সবাই মিলে পোটলাগুলো মাথায় উঠায়, হাতে নেয়। তারপর দ্রুতপায়ে নদীর ধারে এসে পৌঁছায়। অজয় মাঝি তৈরি ছিল। সবাই উঠলে নৌকা ছেড়ে দেয়। মায়ারাণী পোটলাগুলো গুছিয়ে একপাশে রাখে। হরেন্দ্রনাথ হাত-পা ছড়িয়ে বসে। বারবার গ্রামের দিকে তাকায়। এখন পর্যন্ত কোথাও আগুন দেখা যায় না। নিজের বাড়ির কথা ভেবে আস্থির থাকে হরেন্দ্রনাথ।

–বাবাগো, কি সুন্দর লাগছে নৌকায় করে যেতে। আমরা কতদূর যাব বাবা?

–অনেকদূর। ভদ্রা নদীর পরও তিনটা নদী পার হতে হবে আমাদেরকে। এখন চুপ করে বসে থাক তোমরা। আর কথা বলবে না।

হরেন্দ্রনাথ চারদিকে তাকিয়ে দেখতে পায় সামনে-পেছনে আরও বেশকিছু নৌকা আছে। সবাই বোধহয় শরণার্থী হবে। সব নৌকায় পরিবার আছে। এমন সময় দেখতে পায় দূর থেকে আসছে গানবোট। হরেন্দ্রনাথ আজয় মাঝিকে বলে, তুমি একদম নদীর ধারে চলে যাও। দরকার মনে করলে আমরা তীরে নেমে যাব।

অজয় মাঝি দ্রুত নৌকা চালিয়ে নদীর কিনারে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করে গানবোট থেকে গুলি করছে। পেছন থেকে আসা দুটো ছোট নৌকার সবাই গুলিবিদ্ধ হলে নৌকা ডুবে যায়। পানিতে ডুবে যায় লাশ।

এই দৃশ্য দেখে মায়ারাণী কেঁদে ফেলে। বুকের ভেতরে হাহাকার ছোটে। চোখের সামনে মৃত্যু দেখা জীবনে এই প্রথম। বীথিকাও ডুবতে থাকা লাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। হরেন্দ্রনাথ ভাবে, আমার হাতে বন্দুক থাকলে ওদেরকে গুলি করতাম। শয়তানগুলো এভাবে মানুষ মারছে।

–আহ থাম। মায়ারাণী হাত চেপে ধরে।

–থামব কেন? ওরা আমাদেরকে মারবে, আর আমরা সবাই শুধুই মরব।

–তোমারতো অস্ত্র নাই। ট্রেনিং নাই। এসব থাকলে বলতাম যুদ্ধ কর।

–দেখি ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিতে পারি কি না।

অজয় মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে বলে, আপনারা আমার লম্বা নৌকায় শুয়ে পড়েন। দূর থেকে যেন আপনাদের দেখা না যায়।

–ঠিক বলেছ অজয়। এই শুয়ে পড়ছি সবাই।

বীথিকা ভাইদের শুইয়ে দেয়। তারপর নিজেও শুয়ে পড়ে। হরেন্দ্রনাথ, মায়ারাণীও গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়ে। দূর থেকে তাদেরকে সরাসরি দেখা যাবে না। অজয় মাঝি ভদ্রা নদী পার হয়ে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শিবসা নদীতে ঢোকে। সুন্দরবন দেখে উঠে বসে বীথিকা। এই বন দেখা মানে ওর প্রাণের টান পূরণ করা। বিকেলের নরম আলোয় চারদিক ফুলের মতো ফুটে আছে। হঠাৎ ও খেয়াল করে তীব্র গতিতে গানবোট চালিয়ে দিলে যাত্রীবাহী ছোট নৌকা ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়। পাকসেনারা কোনো কোনো নৌকা গুলি করে ডুবিয়ে দেয়। নদী দিয়ে ভেসে আসতে থাকে লাশ।

বিথীকা শব্দ করে কেঁদে ফেলে। হরেন্দ্রনাথ আর মায়ারাণী মাথা তুলে বলে, কি হয়েছে রে?

–নদীর স্রোতের সঙ্গে লাশ ভেসে আসছে।

–ওহ –শব্দ করে দুজনে মুখ ঢাকে।

একটুপরে মায়ারাণী বলে, অজয় আমাদের নৌকা নদীর ধারে রাখ। আমরা বনে নামব।

–হ্যাঁ, খুব ভালো হবে। নামেন।

অজয় মাঝি নেমে নৌকাটা একটি ছোট গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সবাই মিলে নেমে যায়। ভাত-তরকারির হাঁড়ি নামানো হয়। থালা-গ্লাস জলের জগ নামিয়ে সবাই এক জায়গায় বসে। বীথিকা দাঁড়িয়ে বলে, আমি একটু বনের ভেতর থেকে ঘুরে আসি।

–দিদির সঙ্গে আমরাও যাব।

–না, তোরা এদিকে যাবিনা। তোরা ওইদিকে যা। আমি একা যাব।

–আচ্ছা। আমরা যাচ্ছি।

তিনভাই একসঙ্গে দৌড়ে বনে ঢুকে যায়। বীথিকা মাকে বলে, মা তুমি আমার সঙ্গে আস। আমি আড়াল করে দাঁড়ালে তুমি পেসাব করবে।

–হ্যারে চল।

মায়ারাণী উঠে দাঁড়ায়। হরেন্দ্রনাথ বলে, তোমরা এলে আমি যাব। আমি খাবারগুলো পাহারা দিচ্ছি।

–হ্যাঁ, তুমি থাক। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব। বীথিকা মায়ের হাত ধরে বনে ঢুকে যায়। পায়ের নিচে ঝরাপাতার মচমচ শব্দ হয়, মাথার ওপর সবুজ পাতার ছাউনি আর পাখিদের কূজন যুদ্ধের সমান্তরাল হয়ে ওঠে। দুজনেই ভাবে, এই সুন্দরবন আমাদের। এখানে সেনাবাহিনী ঢুকতে পারবেনা। ঢুকলে মেরে ছারখার করা হবে। কিন্তু কিভাবে? সে ভাবনা দুজনের মাথায় আসে না। দুজনে ভাবনা থেকে আড়াল হয়ে যায়। ভাবে অকারণ ভাবনায় কাজ হবে না।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা