বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, শেষ পর্ব

অঘ্রানের অন্ধকারে

মানিকগঞ্জ আপনগাঁও থেকে তুরি চিঠি লিখেছে। চিঠি কে নিয়ে এসেছে জানি না। অফিসের রিসেপশনে কেউ রেখে গেছে। এনভেলাপের ওপর আমার নাম, পদনাম আর পত্রিকার নাম লেখা আছে।

খাম খুললাম। ভেতরে দাগটানা এক্সারসাইজ খাতার তিনটা পাতা। প্রথম পাতায় তুরি লিখেছে, এখান থেকে বাইরে চিঠি লেখার নিয়ম নেই। ব্রাদারকে বিশেষ অনুরোধ করে অনুমতি নিয়েছি। তিনি আমার লেখা পড়েছেন।

ব্রাদার জিগ্যেস করলেন, আপনি চিঠি কাকে পাঠাতে চান?
বললাম, কায়নাত খানকে।

আপনার নাম শুনে তিনি ভুরু কুঁচকে সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন বটে তবে অনুমতি দিয়েছেন। তাকে বলেছি এই চিঠি আপনাকে পাঠাতে পারলে আমি ভালো থাকব।
দ্বিতীয় পাতায় তুরি লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার চতুর্দশ দিন। আজ শুক্রবার। একটা ফ্রি দিন। তবুও সকাল থেকে আমার মন খারাপ। অনেকের অভিভাবক এসেছিলেন দেখা করতে। আজ আমার সাথে দেখা করতে কেউ আসেনি। আগামী শুক্রবার ছাড়া আর দেখা করার উপায় নেই। সেন্টারের সব নিয়ম মেনে চলি। তবু আমার আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। আজ দু সপ্তাহ হলো আমি খোলা আকাশ থেকে দূরে আছি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাবা কেমন আছেন জানি না।

বুঝলাম নিরাময়কেন্দ্র থেকে দেওয়া অনুভূতি খাতায় তুরি তার নিজের কথা লিখেছে। সেই লেখা পাতা ছিঁড়ে আমাকে পাঠিয়েছে। তৃতীয় পাতায় লেখা, আজ আমার সেন্টারে অবস্থানের ১৬তম দিন। হঠাৎ আজ ভোরে মনে হলো জীবন সহজ নয়, কঠিন। আমার চিন্তার জগৎ এলোমেলো হয়ে গেছে। মন অস্থির হয়েছে। বাড়ির কথা মনে পড়ছে ভীষণভাবে। বাবার কথা ভাবছি খুব। তিনি নিশ্চয় আমার এ অবস্থার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন ভীষণ। আমি আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ওইদিন আমার সাথে প্রথম দেখা করতে আসবে কেউ। বাবা আসতে পারেন, সিলভিয়া আসবে। বড়ো’পা, দুলাভাই আসবে হয়তো। আচ্ছা, কায়নাত খান কি আসবেন! আমি কিছুই জানি না। না না না না না।

আমি পরের শুক্রবার গেলাম না। সেদিন তুরির বাবা কিংবা সিলভিয়া অথবা শাবিনের মা যেতে পারেন ভেবে। আমি গেলাম তারপরের শুক্রবার।

তুরি আমাকে দেখে চমকে উঠল। আমি আসব এমন আশা করলেও সত্যি আসব সে ভাবেনি। আজ তার সাথে দেখা করতে আমি ছাড়া আর কেউ আসেনি।

ব্রাদারকে খুঁজে বের করলাম। তিনি আমাকে চিনলেন। তুরিকে সাথে নিয়ে খোলা মাঠে কিছুক্ষণ হাঁটার অনুমতি চাইলাম। ব্রাদার অনুমতি দিলেন। বেরুনোর আগে বললেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যাবেন না। তাকে আপনার জিম্মায় দিচ্ছি। যদিও নিয়ম নেই। আপনি রেসপনসিবল পারশন। বেশি দেরি করবেন না। তাদের ক্লাস আছে।
তুরিকে নিয়ে চলে এলাম। আমরা গিয়ে মাঠের শেষ মাথায় গাছের নিচে বসলাম। ছাতিমগাছ। তুরি আমার গা ঘেঁষে বসে থাকল।
বললাম, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
তুরি বলল, জানতাম আপনি আসবেন।
কীভাবে জানতে?
মন বলছিল। আমি বুঝতে পারি। শাবিন মারা যাবে তাও বুঝতে পেরেছিলাম।
প্রসঙ্গ বদলাতে চাইলাম। বললাম, ধানের গন্ধ পাচ্ছ?
তুরি সেকথার উত্তর না দিয়ে বলল, আপনার জন্য আমার নিতল শ্রদ্ধা। আপনি এখানে আমাকে দেখতে এসেছেন। ভীষণ খুশি হয়েছি।
এখানে তোমার কষ্ট হচ্ছে?
মানিয়ে নিয়েছি। এটা অদ্ভুত ধরনের জায়গা। একেবারে অন্যরকম।
তোমাকে আর বেশিদিন এখানে থাকতে হবে না। তুমি বললে আমি নিজে এসে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব।
একটা কথা বলি?
বলো।
আমার মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করত শাবিনকে বুকের ভেতর জাপটে ধরে পিষে মেরে ফেলি। তাকে ভীষণ ভালোবাসি।
তুরির গলা ভিজে এসেছে। সে চুপ করে আছে। সামনে দুটো গোরু ঘাস খেতে খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ নেই। ঝকঝকে আকাশ। পাখি উড়ছে। ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হেলে যাচ্ছে ধানগাছগুলো আবার সোজা হয়ে উঠছে। আমি এসব দেখছি।
নিজ হাত আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে তুরি বলল, আমার হাতটা ধরবেন?
তুরির হাত ধরলাম। নরম, কমনীয় হাত। যেন হাতের ভেতর মুরগির তুলতুলে ছানা নিয়ে বসে আছি। আরেক হাত দিয়ে চোখ মুছে তুরি আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমিও মারা যাব।
চমকে উঠে বললাম, আমরা সকলেই মারা যাব।
তুরি বলল, এই আপনগাঁও থেকে বাড়ি ফেরার আগে মারা যাব।
তোমার এমন কেন মনে হচ্ছে?
ওই যে বলেছি আপনাকে, আমি বুঝতে পারি। কীভাবে পারি জানি না।
সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, এরকম কিছু ভাববে না। মন শক্ত করবে। তোমাকে কবে ছুটি দেবে আজ ব্রাদারের কাছ থেকে জেনে যাব। আমি আসব তোমাকে নিয়ে যেতে।
তুরি আমার হাত তার মাথার ওপর রাখল। গাঢ় গলায় বলল, আমাকে একটু আদর করে দিন। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
আমি ধীরে ধীরে তুরির চুলে বিলি করে দিতে থাকলাম। তুরি কাঁদছে। তার পিঠে হাত রাখলাম। আস্তে আস্তে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলাম। সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। তার শরীর কাঁপছে। আবার তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করলাম তার কান্না থামবে। কান্না থামল না। তুরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল।

মঙ্গলবারে খবর পেলাম তুরি মারা গেছে। আপনগাঁও থেকে ব্রাদার ফোন করে জানালেন। কীভাবে মারা গেছে তা লাশ পোস্টমর্টেমের আগে বলতে পারবেন না বললেন।
তুরিকে নিয়ে আমি ভেবেছিলাম। কেন ভেবেছিলাম তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। আমার লেখা উপন্যাসের কল্পনায় লেখা তুরি বাস্তব তুরির মতো জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার কাছে। উপন্যাসে আমার সৃষ্ট তুরি আর বাস্তবের রক্তমাংসের তুরি-দুই তুরিকে মিশিয়ে ফেলেছি। তুরির নোটবুকে যা পড়েছি আর আমি যা লিখেছি মনে হয়েছে সবটায় যেন তুরির জীবনে ঘটেছে। আমি কল্পনা করে কিছু বানায়নি।
উপন্যাস লিখতে লিখতে তুরি চরিত্রকে ভালোবেসেছি। সেই ভালোবাসার ছায়া পড়েছে বাস্তব তুরির ওপর। এ ভালোবাসার কোনো সামাজিক নাম নেই, সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা নেই। তুরির প্রতি প্রবল আকর্ষণ বোধ করেছি। কেন করেছি তাও স্পষ্ট না। হতে পারে তার ব্যক্তিত্ব।
প্রচণ্ডভাবে চেয়েছি সে সুস্থ হয়ে উঠুক, ফিরে আসুক। এমনও ভেবেছি তুরি আর আমি কক্সবাজারে গেছি সমুদ্র সৈকতে। তুরি সমুদ্র ভালোবাসে। সন্ধ্যা পার হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে রাত নেমে এসেছে। তবে অন্ধকার হয়নি। সৈকতে শুধু আমরা দুজন দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পা নগ্ন। যতদূর চোখ যায় আর কেউ নেই। আকাশে লালচে গোল চাঁদ। সামনে প্রবল জোছনায় ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের ঢেউ।
তুরির পিঠে আদর করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তুরি আমার গা ঘেঁষে কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ কথা বলছি না। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে পড়ার শব্দ ছাড়া কোনো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। সমুদ্রের ঢেউ এসে আমাদের দুজনের নগ্ন পা ভিজিয়ে দিচ্ছে।
রাতে হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুরি সিগারেট জ্বালালো। আমিও সিগারেট জ্বালিয়েছি। সে আমার গলা ধরে পায়ের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়েছে। তার ভেতর কিশোরীর চপলতা। সে নিজ ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট ছুঁয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ঠোঁট গোল করে আমার মুখের ভেতর সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে দিয়েছে।
গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জে রওনা হয়েছি। তুরিকে কথা দিয়েছিলাম আমি গিয়ে তাকে আপনগাঁও থেকে নিয়ে আসব।

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। অসময়ের বৃষ্টি। সামনে সবকিছু সাদা হয়ে গেছে। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যেন কোনোদিন থামবে না। আপনা আপনি আমার চোখ ভিজে এলো। চোখের কোনায় পানি জমেছে। পানির ভার বাড়ছে। একসময় কালো চশমার মোটা ফ্রেমের নিচ দিয়ে চোখের পানি ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়ল গালে।

 

পর্ব ১৭: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের ১৪টি স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বারসহ তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

আটক তিন কারবারি হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার দশর্না পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. জাকিরুল ইসলাম (২৮), তার ছোট ভাই মো. রাজিবুল ইসলাম (২৫) এবং মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. সোলাইমান হোসেন (২২)।

বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান পাচার করা হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমানের পরিকল্পনায় এবং নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় ট্রেন থেকে নামা সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখলে বিজিবি তাদেরকে গতিরোধ করে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিরা পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে এবং ৩ জনকেই আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক পর্যায়ে তাদের শরীরে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েক মো. জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করার পর আটককৃত আসামীদেরকে থানায় হস্তান্তর করেছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধানবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধানবোঝাই একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় চালক ইসমাইল হোসেন (৬০) এবং হেলপার বাবু মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ি এলাকায় আলিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমাইল হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং বাবু মিয়া ধুনট উপজেলার বেরইবাড়ী গ্রামের মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ের বোদা থেকে বগুড়ার দিকে ধান নিয়ে আসা একটি ট্রাক কশিগাড়ি এলাকায় পৌঁছালে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ধানবোঝাই ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হেলপার বাবু মিয়াকে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর পাথরবোঝাই ট্রাকটি পালিয়ে যায়। ধানবোঝাই ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুবির আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা

বিপ্লব চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব চন্দ্র দাসকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিপ্লব চন্দ্র দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৬ সালের আগস্টের প্রথম প্রহরে খুন হওয়া একই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোটবাড়ির গন্ধমতি এলাকা থেকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রহিম বলেন, 'খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি এবং জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের ওপর নিযার্তনকারী ঘাতক বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি৷ এরই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। ক্যাম্পাসে যত সন্ত্রাসী আছে, স্বৈরাচারের যত দোসর আছে অতি শীঘ্রই ক্রমান্বয়ে আমরা সবাইকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। আইন আমরা নিজেদের হাতে তুলে নিব না।'

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসএম আরিফুর রহমান বলেন, 'স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আটক করে আমাদের ফোন দেয়। পরবর্তীতে আমাদের সদস্যরা গিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।'

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, 'সে ২৯ নম্বর মামলার আসামি। সেই প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে।'

তবে এই মামলা কবে করা হয়েছে, কোন ধারায় করা হয়েছে, বাদী কে; সে সম্পর্কিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশ দাস এবং বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তানি মসজিদের সামনে থেকে এসকে মাসুম নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধানবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত
কুবির আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা
টাকার বিনিময়ে ভোট দিলে জুলুমের শিকার হবেন: সারজিস আলম
চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুন: গ্রেপ্তার ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে
টাঙ্গাইলে শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
ভারত থেকে ২৪ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার
৩০০ ফুট গভীর খাদে সেনাবাহিনীর ট্রাক, ভারতের ৫ সেনা নিহত
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি কর্মকর্তাদের
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৪০ (ভিডিও)
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করে জার্সি তৈরি করল চিটাগং কিংস
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিরামপুর সীমান্ত থেকে ২ যুবক আটক
৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার জয়ের, বললেন ‘একদম ভুয়া’
ভারতের আসামে নারী-শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাহাজের ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়: র‍্যাব
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচজন আটক
ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা