সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, শেষ পর্ব

অঘ্রানের অন্ধকারে

মানিকগঞ্জ আপনগাঁও থেকে তুরি চিঠি লিখেছে। চিঠি কে নিয়ে এসেছে জানি না। অফিসের রিসেপশনে কেউ রেখে গেছে। এনভেলাপের ওপর আমার নাম, পদনাম আর পত্রিকার নাম লেখা আছে।

খাম খুললাম। ভেতরে দাগটানা এক্সারসাইজ খাতার তিনটা পাতা। প্রথম পাতায় তুরি লিখেছে, এখান থেকে বাইরে চিঠি লেখার নিয়ম নেই। ব্রাদারকে বিশেষ অনুরোধ করে অনুমতি নিয়েছি। তিনি আমার লেখা পড়েছেন।

ব্রাদার জিগ্যেস করলেন, আপনি চিঠি কাকে পাঠাতে চান?
বললাম, কায়নাত খানকে।

আপনার নাম শুনে তিনি ভুরু কুঁচকে সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন বটে তবে অনুমতি দিয়েছেন। তাকে বলেছি এই চিঠি আপনাকে পাঠাতে পারলে আমি ভালো থাকব।
দ্বিতীয় পাতায় তুরি লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার চতুর্দশ দিন। আজ শুক্রবার। একটা ফ্রি দিন। তবুও সকাল থেকে আমার মন খারাপ। অনেকের অভিভাবক এসেছিলেন দেখা করতে। আজ আমার সাথে দেখা করতে কেউ আসেনি। আগামী শুক্রবার ছাড়া আর দেখা করার উপায় নেই। সেন্টারের সব নিয়ম মেনে চলি। তবু আমার আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। আজ দু সপ্তাহ হলো আমি খোলা আকাশ থেকে দূরে আছি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাবা কেমন আছেন জানি না।

বুঝলাম নিরাময়কেন্দ্র থেকে দেওয়া অনুভূতি খাতায় তুরি তার নিজের কথা লিখেছে। সেই লেখা পাতা ছিঁড়ে আমাকে পাঠিয়েছে। তৃতীয় পাতায় লেখা, আজ আমার সেন্টারে অবস্থানের ১৬তম দিন। হঠাৎ আজ ভোরে মনে হলো জীবন সহজ নয়, কঠিন। আমার চিন্তার জগৎ এলোমেলো হয়ে গেছে। মন অস্থির হয়েছে। বাড়ির কথা মনে পড়ছে ভীষণভাবে। বাবার কথা ভাবছি খুব। তিনি নিশ্চয় আমার এ অবস্থার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন ভীষণ। আমি আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ওইদিন আমার সাথে প্রথম দেখা করতে আসবে কেউ। বাবা আসতে পারেন, সিলভিয়া আসবে। বড়ো’পা, দুলাভাই আসবে হয়তো। আচ্ছা, কায়নাত খান কি আসবেন! আমি কিছুই জানি না। না না না না না।

আমি পরের শুক্রবার গেলাম না। সেদিন তুরির বাবা কিংবা সিলভিয়া অথবা শাবিনের মা যেতে পারেন ভেবে। আমি গেলাম তারপরের শুক্রবার।

তুরি আমাকে দেখে চমকে উঠল। আমি আসব এমন আশা করলেও সত্যি আসব সে ভাবেনি। আজ তার সাথে দেখা করতে আমি ছাড়া আর কেউ আসেনি।

ব্রাদারকে খুঁজে বের করলাম। তিনি আমাকে চিনলেন। তুরিকে সাথে নিয়ে খোলা মাঠে কিছুক্ষণ হাঁটার অনুমতি চাইলাম। ব্রাদার অনুমতি দিলেন। বেরুনোর আগে বললেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যাবেন না। তাকে আপনার জিম্মায় দিচ্ছি। যদিও নিয়ম নেই। আপনি রেসপনসিবল পারশন। বেশি দেরি করবেন না। তাদের ক্লাস আছে।
তুরিকে নিয়ে চলে এলাম। আমরা গিয়ে মাঠের শেষ মাথায় গাছের নিচে বসলাম। ছাতিমগাছ। তুরি আমার গা ঘেঁষে বসে থাকল।
বললাম, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
তুরি বলল, জানতাম আপনি আসবেন।
কীভাবে জানতে?
মন বলছিল। আমি বুঝতে পারি। শাবিন মারা যাবে তাও বুঝতে পেরেছিলাম।
প্রসঙ্গ বদলাতে চাইলাম। বললাম, ধানের গন্ধ পাচ্ছ?
তুরি সেকথার উত্তর না দিয়ে বলল, আপনার জন্য আমার নিতল শ্রদ্ধা। আপনি এখানে আমাকে দেখতে এসেছেন। ভীষণ খুশি হয়েছি।
এখানে তোমার কষ্ট হচ্ছে?
মানিয়ে নিয়েছি। এটা অদ্ভুত ধরনের জায়গা। একেবারে অন্যরকম।
তোমাকে আর বেশিদিন এখানে থাকতে হবে না। তুমি বললে আমি নিজে এসে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব।
একটা কথা বলি?
বলো।
আমার মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করত শাবিনকে বুকের ভেতর জাপটে ধরে পিষে মেরে ফেলি। তাকে ভীষণ ভালোবাসি।
তুরির গলা ভিজে এসেছে। সে চুপ করে আছে। সামনে দুটো গোরু ঘাস খেতে খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ নেই। ঝকঝকে আকাশ। পাখি উড়ছে। ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হেলে যাচ্ছে ধানগাছগুলো আবার সোজা হয়ে উঠছে। আমি এসব দেখছি।
নিজ হাত আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে তুরি বলল, আমার হাতটা ধরবেন?
তুরির হাত ধরলাম। নরম, কমনীয় হাত। যেন হাতের ভেতর মুরগির তুলতুলে ছানা নিয়ে বসে আছি। আরেক হাত দিয়ে চোখ মুছে তুরি আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমিও মারা যাব।
চমকে উঠে বললাম, আমরা সকলেই মারা যাব।
তুরি বলল, এই আপনগাঁও থেকে বাড়ি ফেরার আগে মারা যাব।
তোমার এমন কেন মনে হচ্ছে?
ওই যে বলেছি আপনাকে, আমি বুঝতে পারি। কীভাবে পারি জানি না।
সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, এরকম কিছু ভাববে না। মন শক্ত করবে। তোমাকে কবে ছুটি দেবে আজ ব্রাদারের কাছ থেকে জেনে যাব। আমি আসব তোমাকে নিয়ে যেতে।
তুরি আমার হাত তার মাথার ওপর রাখল। গাঢ় গলায় বলল, আমাকে একটু আদর করে দিন। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
আমি ধীরে ধীরে তুরির চুলে বিলি করে দিতে থাকলাম। তুরি কাঁদছে। তার পিঠে হাত রাখলাম। আস্তে আস্তে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলাম। সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। তার শরীর কাঁপছে। আবার তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করলাম তার কান্না থামবে। কান্না থামল না। তুরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল।

মঙ্গলবারে খবর পেলাম তুরি মারা গেছে। আপনগাঁও থেকে ব্রাদার ফোন করে জানালেন। কীভাবে মারা গেছে তা লাশ পোস্টমর্টেমের আগে বলতে পারবেন না বললেন।
তুরিকে নিয়ে আমি ভেবেছিলাম। কেন ভেবেছিলাম তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। আমার লেখা উপন্যাসের কল্পনায় লেখা তুরি বাস্তব তুরির মতো জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার কাছে। উপন্যাসে আমার সৃষ্ট তুরি আর বাস্তবের রক্তমাংসের তুরি-দুই তুরিকে মিশিয়ে ফেলেছি। তুরির নোটবুকে যা পড়েছি আর আমি যা লিখেছি মনে হয়েছে সবটায় যেন তুরির জীবনে ঘটেছে। আমি কল্পনা করে কিছু বানায়নি।
উপন্যাস লিখতে লিখতে তুরি চরিত্রকে ভালোবেসেছি। সেই ভালোবাসার ছায়া পড়েছে বাস্তব তুরির ওপর। এ ভালোবাসার কোনো সামাজিক নাম নেই, সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা নেই। তুরির প্রতি প্রবল আকর্ষণ বোধ করেছি। কেন করেছি তাও স্পষ্ট না। হতে পারে তার ব্যক্তিত্ব।
প্রচণ্ডভাবে চেয়েছি সে সুস্থ হয়ে উঠুক, ফিরে আসুক। এমনও ভেবেছি তুরি আর আমি কক্সবাজারে গেছি সমুদ্র সৈকতে। তুরি সমুদ্র ভালোবাসে। সন্ধ্যা পার হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে রাত নেমে এসেছে। তবে অন্ধকার হয়নি। সৈকতে শুধু আমরা দুজন দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পা নগ্ন। যতদূর চোখ যায় আর কেউ নেই। আকাশে লালচে গোল চাঁদ। সামনে প্রবল জোছনায় ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের ঢেউ।
তুরির পিঠে আদর করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তুরি আমার গা ঘেঁষে কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ কথা বলছি না। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে পড়ার শব্দ ছাড়া কোনো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। সমুদ্রের ঢেউ এসে আমাদের দুজনের নগ্ন পা ভিজিয়ে দিচ্ছে।
রাতে হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুরি সিগারেট জ্বালালো। আমিও সিগারেট জ্বালিয়েছি। সে আমার গলা ধরে পায়ের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়েছে। তার ভেতর কিশোরীর চপলতা। সে নিজ ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট ছুঁয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ঠোঁট গোল করে আমার মুখের ভেতর সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে দিয়েছে।
গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জে রওনা হয়েছি। তুরিকে কথা দিয়েছিলাম আমি গিয়ে তাকে আপনগাঁও থেকে নিয়ে আসব।

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। অসময়ের বৃষ্টি। সামনে সবকিছু সাদা হয়ে গেছে। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যেন কোনোদিন থামবে না। আপনা আপনি আমার চোখ ভিজে এলো। চোখের কোনায় পানি জমেছে। পানির ভার বাড়ছে। একসময় কালো চশমার মোটা ফ্রেমের নিচ দিয়ে চোখের পানি ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়ল গালে।

 

পর্ব ১৭: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল