রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, শেষ পর্ব

অঘ্রানের অন্ধকারে

মানিকগঞ্জ আপনগাঁও থেকে তুরি চিঠি লিখেছে। চিঠি কে নিয়ে এসেছে জানি না। অফিসের রিসেপশনে কেউ রেখে গেছে। এনভেলাপের ওপর আমার নাম, পদনাম আর পত্রিকার নাম লেখা আছে।

খাম খুললাম। ভেতরে দাগটানা এক্সারসাইজ খাতার তিনটা পাতা। প্রথম পাতায় তুরি লিখেছে, এখান থেকে বাইরে চিঠি লেখার নিয়ম নেই। ব্রাদারকে বিশেষ অনুরোধ করে অনুমতি নিয়েছি। তিনি আমার লেখা পড়েছেন।

ব্রাদার জিগ্যেস করলেন, আপনি চিঠি কাকে পাঠাতে চান?
বললাম, কায়নাত খানকে।

আপনার নাম শুনে তিনি ভুরু কুঁচকে সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন বটে তবে অনুমতি দিয়েছেন। তাকে বলেছি এই চিঠি আপনাকে পাঠাতে পারলে আমি ভালো থাকব।
দ্বিতীয় পাতায় তুরি লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার চতুর্দশ দিন। আজ শুক্রবার। একটা ফ্রি দিন। তবুও সকাল থেকে আমার মন খারাপ। অনেকের অভিভাবক এসেছিলেন দেখা করতে। আজ আমার সাথে দেখা করতে কেউ আসেনি। আগামী শুক্রবার ছাড়া আর দেখা করার উপায় নেই। সেন্টারের সব নিয়ম মেনে চলি। তবু আমার আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। আজ দু সপ্তাহ হলো আমি খোলা আকাশ থেকে দূরে আছি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাবা কেমন আছেন জানি না।

বুঝলাম নিরাময়কেন্দ্র থেকে দেওয়া অনুভূতি খাতায় তুরি তার নিজের কথা লিখেছে। সেই লেখা পাতা ছিঁড়ে আমাকে পাঠিয়েছে। তৃতীয় পাতায় লেখা, আজ আমার সেন্টারে অবস্থানের ১৬তম দিন। হঠাৎ আজ ভোরে মনে হলো জীবন সহজ নয়, কঠিন। আমার চিন্তার জগৎ এলোমেলো হয়ে গেছে। মন অস্থির হয়েছে। বাড়ির কথা মনে পড়ছে ভীষণভাবে। বাবার কথা ভাবছি খুব। তিনি নিশ্চয় আমার এ অবস্থার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন ভীষণ। আমি আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ওইদিন আমার সাথে প্রথম দেখা করতে আসবে কেউ। বাবা আসতে পারেন, সিলভিয়া আসবে। বড়ো’পা, দুলাভাই আসবে হয়তো। আচ্ছা, কায়নাত খান কি আসবেন! আমি কিছুই জানি না। না না না না না।

আমি পরের শুক্রবার গেলাম না। সেদিন তুরির বাবা কিংবা সিলভিয়া অথবা শাবিনের মা যেতে পারেন ভেবে। আমি গেলাম তারপরের শুক্রবার।

তুরি আমাকে দেখে চমকে উঠল। আমি আসব এমন আশা করলেও সত্যি আসব সে ভাবেনি। আজ তার সাথে দেখা করতে আমি ছাড়া আর কেউ আসেনি।

ব্রাদারকে খুঁজে বের করলাম। তিনি আমাকে চিনলেন। তুরিকে সাথে নিয়ে খোলা মাঠে কিছুক্ষণ হাঁটার অনুমতি চাইলাম। ব্রাদার অনুমতি দিলেন। বেরুনোর আগে বললেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যাবেন না। তাকে আপনার জিম্মায় দিচ্ছি। যদিও নিয়ম নেই। আপনি রেসপনসিবল পারশন। বেশি দেরি করবেন না। তাদের ক্লাস আছে।
তুরিকে নিয়ে চলে এলাম। আমরা গিয়ে মাঠের শেষ মাথায় গাছের নিচে বসলাম। ছাতিমগাছ। তুরি আমার গা ঘেঁষে বসে থাকল।
বললাম, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
তুরি বলল, জানতাম আপনি আসবেন।
কীভাবে জানতে?
মন বলছিল। আমি বুঝতে পারি। শাবিন মারা যাবে তাও বুঝতে পেরেছিলাম।
প্রসঙ্গ বদলাতে চাইলাম। বললাম, ধানের গন্ধ পাচ্ছ?
তুরি সেকথার উত্তর না দিয়ে বলল, আপনার জন্য আমার নিতল শ্রদ্ধা। আপনি এখানে আমাকে দেখতে এসেছেন। ভীষণ খুশি হয়েছি।
এখানে তোমার কষ্ট হচ্ছে?
মানিয়ে নিয়েছি। এটা অদ্ভুত ধরনের জায়গা। একেবারে অন্যরকম।
তোমাকে আর বেশিদিন এখানে থাকতে হবে না। তুমি বললে আমি নিজে এসে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব।
একটা কথা বলি?
বলো।
আমার মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করত শাবিনকে বুকের ভেতর জাপটে ধরে পিষে মেরে ফেলি। তাকে ভীষণ ভালোবাসি।
তুরির গলা ভিজে এসেছে। সে চুপ করে আছে। সামনে দুটো গোরু ঘাস খেতে খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ নেই। ঝকঝকে আকাশ। পাখি উড়ছে। ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হেলে যাচ্ছে ধানগাছগুলো আবার সোজা হয়ে উঠছে। আমি এসব দেখছি।
নিজ হাত আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে তুরি বলল, আমার হাতটা ধরবেন?
তুরির হাত ধরলাম। নরম, কমনীয় হাত। যেন হাতের ভেতর মুরগির তুলতুলে ছানা নিয়ে বসে আছি। আরেক হাত দিয়ে চোখ মুছে তুরি আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমিও মারা যাব।
চমকে উঠে বললাম, আমরা সকলেই মারা যাব।
তুরি বলল, এই আপনগাঁও থেকে বাড়ি ফেরার আগে মারা যাব।
তোমার এমন কেন মনে হচ্ছে?
ওই যে বলেছি আপনাকে, আমি বুঝতে পারি। কীভাবে পারি জানি না।
সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, এরকম কিছু ভাববে না। মন শক্ত করবে। তোমাকে কবে ছুটি দেবে আজ ব্রাদারের কাছ থেকে জেনে যাব। আমি আসব তোমাকে নিয়ে যেতে।
তুরি আমার হাত তার মাথার ওপর রাখল। গাঢ় গলায় বলল, আমাকে একটু আদর করে দিন। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
আমি ধীরে ধীরে তুরির চুলে বিলি করে দিতে থাকলাম। তুরি কাঁদছে। তার পিঠে হাত রাখলাম। আস্তে আস্তে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলাম। সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। তার শরীর কাঁপছে। আবার তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করলাম তার কান্না থামবে। কান্না থামল না। তুরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল।

মঙ্গলবারে খবর পেলাম তুরি মারা গেছে। আপনগাঁও থেকে ব্রাদার ফোন করে জানালেন। কীভাবে মারা গেছে তা লাশ পোস্টমর্টেমের আগে বলতে পারবেন না বললেন।
তুরিকে নিয়ে আমি ভেবেছিলাম। কেন ভেবেছিলাম তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। আমার লেখা উপন্যাসের কল্পনায় লেখা তুরি বাস্তব তুরির মতো জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার কাছে। উপন্যাসে আমার সৃষ্ট তুরি আর বাস্তবের রক্তমাংসের তুরি-দুই তুরিকে মিশিয়ে ফেলেছি। তুরির নোটবুকে যা পড়েছি আর আমি যা লিখেছি মনে হয়েছে সবটায় যেন তুরির জীবনে ঘটেছে। আমি কল্পনা করে কিছু বানায়নি।
উপন্যাস লিখতে লিখতে তুরি চরিত্রকে ভালোবেসেছি। সেই ভালোবাসার ছায়া পড়েছে বাস্তব তুরির ওপর। এ ভালোবাসার কোনো সামাজিক নাম নেই, সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা নেই। তুরির প্রতি প্রবল আকর্ষণ বোধ করেছি। কেন করেছি তাও স্পষ্ট না। হতে পারে তার ব্যক্তিত্ব।
প্রচণ্ডভাবে চেয়েছি সে সুস্থ হয়ে উঠুক, ফিরে আসুক। এমনও ভেবেছি তুরি আর আমি কক্সবাজারে গেছি সমুদ্র সৈকতে। তুরি সমুদ্র ভালোবাসে। সন্ধ্যা পার হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে রাত নেমে এসেছে। তবে অন্ধকার হয়নি। সৈকতে শুধু আমরা দুজন দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পা নগ্ন। যতদূর চোখ যায় আর কেউ নেই। আকাশে লালচে গোল চাঁদ। সামনে প্রবল জোছনায় ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের ঢেউ।
তুরির পিঠে আদর করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তুরি আমার গা ঘেঁষে কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ কথা বলছি না। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে পড়ার শব্দ ছাড়া কোনো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। সমুদ্রের ঢেউ এসে আমাদের দুজনের নগ্ন পা ভিজিয়ে দিচ্ছে।
রাতে হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুরি সিগারেট জ্বালালো। আমিও সিগারেট জ্বালিয়েছি। সে আমার গলা ধরে পায়ের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়েছে। তার ভেতর কিশোরীর চপলতা। সে নিজ ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট ছুঁয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ঠোঁট গোল করে আমার মুখের ভেতর সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে দিয়েছে।
গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জে রওনা হয়েছি। তুরিকে কথা দিয়েছিলাম আমি গিয়ে তাকে আপনগাঁও থেকে নিয়ে আসব।

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। অসময়ের বৃষ্টি। সামনে সবকিছু সাদা হয়ে গেছে। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যেন কোনোদিন থামবে না। আপনা আপনি আমার চোখ ভিজে এলো। চোখের কোনায় পানি জমেছে। পানির ভার বাড়ছে। একসময় কালো চশমার মোটা ফ্রেমের নিচ দিয়ে চোখের পানি ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়ল গালে।

 

পর্ব ১৭: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ বিচারকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে।

সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহেমেদ। একই সঙ্গে তিনি প্রয়াতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শোক বার্তায় বলা হয়, আগামী মঙ্গলবার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে (অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে) সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১৯৪১ সালের ১ জুন তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১ মার্চ তিনি দেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন ও ২০০৮ সালের ৩১ মে অবসরে যান।

Header Ad

এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বরের শেষভাগ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এবারের যুব এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যেই ১৪ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে। দলের নেতৃত্বে আজিজুল হাকিম তামিম। টুর্নামেন্টটি খেলতে টাইগার যুবারা আজ (রোববার) সকালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে উড়াল দিয়েছে।

ওই বহরে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজেমেন্টের সদস্যরাও রওয়া হয়েছেন বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির উদ্দেশ্যে। এর আগে গত বৃৃহস্পতিবার ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। নেতৃত্ব পাওয়া আজিজুল হাকিম তামিম এশিয়া কাপে নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি ২০২০ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস রয়েছে তার।

এবারের যুব এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপাল। এ ছাড়া ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের দল দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের বিপক্ষে খেলবে। ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ লঙ্কানরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল :
জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), রিফাত বেগ, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।


অতিরিক্ত– কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

Header Ad

আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাকে স্যার বলার দরকার নেই আমি আপনাদের ভাই। গণঅভ্যুত্থানের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। ভুল করলে শুধরে দিবেন। যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে আমরা আবারও রাস্তায় নামবো।’

ঢাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়া এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেন তিনি ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য ধন্যবাদও কৃতজ্ঞতা জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, জেন-জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারে, তারা অলস নয়।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল যেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ পায় সে কাজটি আমাদের করতে হবে। আমরা আশা করি, যে প্রত্যাশা নিয়ে সবাই আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে সে প্রত্যাশা আমাদের পূরণ হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারবো।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সবাই যেন এ বিষয়ে সচেতন থাকি, দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ,সংঘাত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে। আমরা এতদিন বিক্ষোভ করেছি, রাজপথে থেকেছি, আমাদের এখন রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের এখন মেধাকে কাজে লাগাতে হবে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহিদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করার পাশাপাশি শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া