শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৪

অঘ্রানের অন্ধকারে

টেবিলের ওপর মগে আমার প্রিয় কফি। সুন্দর গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কফির গন্ধে মনে চনমনে ভাব আসে। আমার মন যথেষ্ট চনমন করছে। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরিকে নিয়ে লেখা গল্পটা আরও খানিকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। যতদূর লিখেছি তারপর লিখলাম, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এসে শাবিন ভড়কে গেল। এটা ঢাকার কাছাকাছি, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জাইল্লা গ্রামে। পরিচালনা করেন একজন ব্রাদার। নাম ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল। ২৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকা ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পরে গড়ে তুলেছেন এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। নাম দিয়েছেন আপনগাঁও। তিন একর জায়গার ওপর ওপর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। বিশাল খোলা প্রান্তর। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আদিগন্ত ধানক্ষেত। মাঝখানে দুটো দালান।
শাবিন ভেবেছিল এখানে হাসপাতালের মতো সিঙ্গেল কেবিনের ব্যবস্থা থাকবে। এসে দেখে বড়ো একটা ঘরে ৭০ জনকে রাখা হয়েছে। সারি সারি বিছানা।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে শাবিন নিজ ইচ্ছেতে এসেছে। তুরি তাকে আদর করে বলল, তুমি পুন্নিকে ভালোবাসো?
হ্যাঁ বাসি।

বিয়ে করতে চাও পুন্নিকে?
তুমি তো সব ভণ্ডুল করে দিলে।
তুরি এখন ঘরে শাবিনের সঙ্গে ফেনসিডিল খায়। ফেনসিডিল কেনার পয়সা তুরি দেয়। শাবিন কিনে নিয়ে আসে। এই ঘটনা শাবিনের মা জানেন না।
শাবিন তার বন্ধুদের সঙ্গে মেশা কমিয়ে দিয়েছে। সে প্রায় সবসময় ঘরে থাকে। সারাদিন ঘুমায়। মাঝেমধ্যে বাইরে গেলে অনেক রাতে বাড়িতে ফেলে। তুরি জানে শাবিন সেদিন পুন্নির কাছে যায়।
তুরি আর শাবিন বসে একসঙ্গে ফেনসিডিল খাচ্ছে। তুরি বলল, একজনের দুই বউ থাকতেই পারে। তুমি পুন্নিকে বিয়ে করো। আমি তুমি আর পুন্নি তিনজন একসঙ্গে থাকব।
শাবিন অবাক হয়ে হাসছে। হাসতে হাসতে বলল, অ্যাই, তোমার নেশা হয়ে গেছে। আর খেয়ো না।
আমার নেশা হয়নি। বলো, তুমি পুন্নিকে বিয়ে করবে?
মা রাজি হবে?
মাকে আমি রাজি করাব। মায়ের শরীর ভালো নেই। তোমাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তা করেন।
আমাকে নিয়ে না, বাবাকে নিয়ে।
আমার ধারণা বাবা কোথায় আছেন, মা জানেন। তুমি সুস্থ হয়ে উঠলে মা তোমাকে বাবার ঠিকানা দেবেন।
আমি সুস্থ হয়ে উঠব। এই মাল ছুঁয়ে বলছি আগামীকাল থেকে সব বাদ। আর নেশা করব না।
একা একা নেশা ছাড়া যায় না। কষ্ট হয়।
তুমি আছ।
চলো রিহ্যাবে যাই। ওখানে থাকলে তুমি ভালো হয়ে যাবে।
অনেক টাকা লাগবে।
তোমাকে ছয় মাস থাকতে হবে না। পঁচিশ দিন থাকবে।
তাতেও অনেক টাকা দরকার। তিরিশ হাজার টাকার মামলা। পুন্নি চেয়েছিল। ওর জন্য খোঁজ নিয়েছিলাম।
মায়ের জন্য, তোমার আর পুন্নির জন্য টাকা আমি দেব।
শাবিন সকালে তুরির সঙ্গে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চলে এলো। জায়গাটা ভালো লাগল শাবিনের। গ্রামের ভেতর। চারদিকে ধানক্ষেত। চারদিকে ঘন সবুজ। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস ঢোকে। বাইরে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়।
শাবিনকে রেখে তুরি চলে যাচ্ছে। শাবিন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। তার মন খারাপ হয়ে গেল। সে বিষণœ চোখে তাকিয়ে থাকল। তুরি মাথা নিচু করে হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। সরু মাটির রাস্তা। শাবিন এতক্ষণ খেয়াল করেনি। এখন দেখল তুরি আজ শাড়ি পরেছে। তার পরনে সবুজ শাড়ি। তুরির হেঁটে যাওয়া দেখতে অপূর্ব লাগছে। শাবিনের চোখ ভরে পানি চলে এলো।

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। এখানে প্রার্থনা ঘর আছে। সেখানে সবাই গোল হয়ে বসেছে। প্রার্থনা হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রার্থনা হয়। যেমন ক্ষমাদানের প্রার্থনা, প্রশান্তির প্রার্থনা, খাবারের প্রার্থনা, আশির্বাদের প্রার্থনা।
এখন আশির্বাদের প্রার্থনা হচ্ছে। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, তুমি সকল আসক্তিদের আশির্বাদ করো। যে যেখানে থাকুক না কেন সেই সমস্ত হতভাগ্য, যাদের আজ সত্যিকারভাবে সুস্থ হওয়া প্রয়োজন, তাদের প্রতি তুমি সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো এবং এই সুন্দর পথ দ্বারা পরিচালিত করো, যেমন তুমি আমাকে ও আরও অনেককে সাহায্য করেছ। আশির্বাদ করো, যারা আজ সুস্থ এবং এই সুস্থতার পথ দ্বারা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রভু, তুমি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো যারা আজ সত্যিকারভাবে অসহায় এবং এখনো জানে না তারা তাদের মুক্তির পথ। আমিন।


শাবিনের পো উঠে গেছে। তার অস্থির লাগছে। হাতপা আড়ষ্ট হয়ে আসছে। নিজের হাত কামড়াচ্ছে। এক হাত দিয়ে আরেক হাত মোচড়াচ্ছে। নাক দিয়ে ঝরঝর করে সর্দি ঝরছে।
শাবিনের মনে হচ্ছে ধারালো কিছু পেলে সে নিজের হাত কেটে ফেলত। ধারালো কিছু পাওয়া গেল না। শাবিন ঘরের দেয়ালের সঙ্গে হাতপা আর শরীর ঘষতে থাকল।
একজন এসে তাকে তিনটা সিগারেট দিয়েছে। সিগারেটের নাম হলিউড। সস্তা দামের সিগারেট। খেতে জঘন্য। সকালে এই সিগারেট দেওয়া হয় তিনটা, বিকালে দুটো। দিনে মোট পাঁচটা। শুধু হলিউড না। সানমুন, ডারবি, পাইলট, শেখ নামের সিগারেটও দেওয়া হয়। সবগুলোই সস্তা দামের সিগারেট আর খেতে একইরকমের বিচ্ছিরি।
সিগারেট খেতে হয় বারান্দায় গিয়ে। সময় পাওয়া যায় ছয় মিনিট। সিগারেট রেখে দেওয়া যায় না। অন্য কাউকে দেওয়াও যায় না। অনেক নিয়ম এখানে। একা টয়লেটে যেতে দেয় না। সঙ্গে কেউ যায়।
লাল রঙের জ্যাকেট পরে একজন দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। শাবিন জিগ্যেস করল, ওর কী হয়েছে?
সঙ্গে যে ছিল সে বলল, শাস্তি হচ্ছে। এখানে শাস্তি হয় কঠিন। তুমি নিয়ম না মানলে তোমাকে তিন ঘণ্টা দেয়ালের দিকে মুখ করে বসিয়ে রাখবে। খাবার বন্ধ করে দেবে। কেউ তোমার সঙ্গে কথা বলবে না। তুমি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। এটা হচ্ছে কুল আপ। খারাপ কাজের তিরস্কার। আর ভালো কাছের পুরস্কার হচ্ছে পুল আপ।
শাবিনকে খাতা দেওয়া হয়েছে তাতে তার অনুভূতি লেখার জন্য। শাবিন লিখল,
এক দুই তিন
চলে গেল দিন
চার বাদে পাঁচ
ছয় আর সাত
চলে এলো রাত।

ভোর হয়। প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিন। তারপর লাইন ধরে ব্রাশে পেস্ট নিয়ে দাঁত মাজা, রুটি-ডাল দিয়ে নাস্তা করা। প্রশিক্ষক বললে নাস্তা শুরু করতে হয়। প্রশিক্ষক যতক্ষণ না বলবেন ততক্ষণ নাস্তা খাওয়া শুরু করা যাবে না।
রুটি বেশি হয়েছে। শাবিনের খেতে ইচ্ছে করছে না। সে বলল, আমি একটা রুটি কাটতে চাই।
এটাই নিয়ম এখানে। পাশেরজনের দরকার হলেও কেউ তাকে রুটি বা ভাত দিতে পারবে না। লিডারকে বলতে হবে। তখন যার প্রয়োজন তাকে লিডার সেই রুটি বা ভাত কিংবা তরকারি পৌঁছে দেবেন।


নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রæপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রæপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বলিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।


বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।
ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

চলবে..

 

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি

ছবি: সংগৃহীত

দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নতুন দাম শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দর অনুযায়ী:

ডিজেল: ১০৫ টাকা (আগে ১০৪ টাকা)
কেরোসিন: ১০৫ টাকা (আগে ১০৪ টাকা)
অকটেন: ১২৬ টাকা (আগে ১২৫ টাকা)
পেট্রোল: ১২২ টাকা (আগে ১২১ টাকা)

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ হিসেবেই ২০২৫ সালের জানুয়ারির মূল্য সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারির জন্য নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন মূল্য কার্যকরের ফলে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গভীর রাতে সড়ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা একটি পোলট্রি ফার্মের গাড়ি চালককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার সঙ্গে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত চালকের নাম মনির হোসেন (৪০), তিনি আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামাত আলীর ছেলে। তিনি মীম পোলট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির মালামাল সরবরাহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতিকারী তাকে আটকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে। এরপর তার সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

আহত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে মনির হোসেন কোনোভাবে পালিয়ে গ্রামের দিকে আসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মীম পোলট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির মালিক মাহমুদুর রহমান মিঠুন বলেন, “আমার ড্রাইভার ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একদল দুর্বৃত্ত তাকে আক্রমণ করে টাকা লুট করে নেয় এবং গুরুতর জখম করে। আমরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, সড়কে ডাকাতির ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকানো যায়।

Header Ad
Header Ad

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনের নামসহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুক্তভোগী শাকিল নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নামসহ বিবাদী পাচঁজন হলেন– কুমিল্লার সাতরা চম্পকনগর এলাকার আমির হোসেন বাবুর্চি ওরফে আবুল কাশেমের ছেলে মাসুম (২০), বিষ্ণুপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারির নিধু মিয়ার ছেলে শাওন (২০) এবং একই এলাকার শাহিন (২০)।

এরমধ্যে গতরাতেই মাসুমকে (২০) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মামলার বিবরণী মতে, ভুক্তভোগী সবুজ ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে টিউশন শেষ করে মেসে ফেরার উদ্দেশ্যে দৌলতপুর চৌমুহনী নামক স্থানে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। তখন টমছমব্রিজ থেকে ছেড়ে আসা এক সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অপহরণকারীরা একই সিএনজিতে পিছনের সিটে অবস্থান করে। পরে দৌলতপুর এলাকায় আসার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশা নিলে সেখানেও অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়।

বিবরণে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, 'মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খুব দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা
মিয়ানমারে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলো জরুরি অবস্থার মেয়াদ
চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের