মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৩

অঘ্রানের অন্ধকারে

অফিসে ঢুকতেই ধাক্কা খেয়েছি । একজন ছেলে অফিস গেটের সামনে পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটির দিকে ভালো করে তাকালাম। পরনে জিনসের প্যান্ট। গায়ে ঢোলা শার্ট। পায়ে কমলা রঙের স্নিকার। শুকনো লিকলিকে চেহারা। দুই গাল বসে গর্ত হয়ে গেছে। তাতে গালের দুপাশের হাড় খানিকটা বেখাপ্পা রকমের উঁচু দেখাচ্ছে। চোখ দুটো বড়ো বড়ো। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। তবে তা কয়েকদিন শেভ না করার জন্য নাকি ফ্যাশন বোঝা যাচ্ছে না। এখন তরুণরা ফ্যাশন করে মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি রাখে। সে পরিপাটি করে চুল আঁচড়িয়েছে। ছেলেটির ভেতর অভিজাত ভাব আছে।

ছেলেটি বলল, আমি শাবিন। তুরি আমার স্ত্রী।
তাকে চিনতে পারলাম। অবাক হলাম না। সে আমার কাছে আসবে অনুমান করেছিলাম। বললাম, আমার সঙ্গে এসো।
আপনার সাথে কথা আছে।

তোমাকে আসতে বলেছি।

জানি না শাবিন আমার কাছে কেন এসেছে। সে যেকোনো অস্বত্তিকর অবস্থা তৈরি করে ফেলতে পারে। তাকে অফিসের ভেতর নিয়ে যেতে হবে। তার কথা শোনা দরকার।

শাবিনকে বিভ্রান্ত দেখোচ্ছে। সে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছে। শাবিন হয়তো ভেবেছিল আমি তাকে গুরুত্ব দেব না। কিংবা না চেনার ভান করব। অফিসের গেট থেকে বিদায় করে দেব। সেসব কিছুই করিনি। তাকে সঙ্গে যেতে বলেছি ভেতরে। শাবিন আমার সঙ্গে আমার অফিসরুমের দিকে রওনা হলো।

ঘরে ঢুকে এসি অন করলাম। এসির টেম্পারেচার দিয়েছি ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসির পাখা তিনটা চালু রেখেছি। আমি চাইছি ঘর দ্রুত হিম ঠান্ডা হয়ে যাক। হিম ঠান্ডা পরিবেশে শাবিনের সঙ্গে কথা বলব।

ইউসুফকে ডেকে বেশি চিনি আর দুধ দিয়ে শাবিনের জন্য চা দিতে বলেছি।

শাবিন বলল, বাজারে আপনার বইয়ের কাটতি ভালো। পাবলিক বেশ খায়।

গল্প-উপন্যাস কোনো খাদ্যদ্রব্য না যে সেটা খাওয়া যাবে।

মিডলক্লাস সস্তা সেন্টিমেন্ট নিয়ে গল্প লেখেন। কায়নাত খান এখন একজন জনপ্রিয় লেখক। দেশের গন্ডিতে আপনার জনপ্রিয়তার কাছাকাছি কেউ আসতে পারেনি। আপনি হয়তো হারুকি মুরাকামি কিংবা জন গ্রিসামের জনপ্রিয়তাকে ছুঁতে চাইছেন। তাদের মতো করে লেখেন। আপনি কি জানেন, জনপ্রিয়তা সস্তার খুব কাছাকাছি। আপনি সস্তা হয়ে গেছেন কায়নাত খান, সেটা বুঝতে পারেননি।
হতভম্ব হয়ে গেলাম। বুঝতে পারছি না শাবিন কী বলতে চাইছে। নিজেকে শান্ত রাখলাম। স্থির চোখে শাবিনের দিকে তাকিয়ে বললাম, তুমি কি আমার লেখা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছ?

আপনার লেখা এক একটা বই হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা রয়্যালটি পান আপনি।
তো?
আমার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনারা গল্প লিখছেন। সেই গল্প বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামাবেন। আমাকে কিছু ভাগ দেন।
মানে?
হাতে টাকাপয়সা নেই। কিছু টাকা দেন।

তোমার জীবন নিয়ে গল্প লেখা হচ্ছে না। তুরি তার নোটবুকে নিজের কিছু কথা লিখেছে।
তুরির সঙ্গে আপনার কী সম্পর্ক? গল্পকার বানিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আমার বউকে নিয়ে ঢলাঢলি করছেন। ব্যাপারটা পাবলিক ভালোভাবে নেবে না, কায়নাত খান।

প্রচন্ড মেজাজ খারাপ লাগছে। থাবড়ে এই ছেলের দাঁত ফেলে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। ঠিক করেছি রাগব না। শাবিনকে বোঝার চেষ্টা করলাম। সে উপন্যাসের ভালো চরিত্র হতে পারে। তাকে দরকার আছে।

বললাম, তোমার বউকে নিজের কাছে রাখো। তারসঙ্গে ঘুরতে যাও। ভালোবাসা দাও।
আমাকে কিছু টাকা দেন। আমি চলে যাচ্ছি। তারসঙ্গে আপনার যা ইচ্ছে হয় করুন। কিছু বলব না।
ইউসুফ কফি নিয়ে এসেছে। সঙ্গে স্যান্ডউইচ।

কফি আর স্যান্ডউইচ রেখে ইউসুফ চলে গেল।

শাবিন আরাম করে কফি খাচ্ছে। কফি খেয়ে সে মজা পাচ্ছে। কফিতে চুমুক দিয়ে শাবিন বলল, আপনাকে কথা দিচ্ছি আমি আর কোনোদিন আসব না। তুরি ভালো মেয়ে। সে সুন্দর লেখে। লেখার হাত আমারও ছিল। কবিতা লিখতাম, গান লিখেছি, গল্প-সব। ভালো লেখা, মন্দ লেখা বুঝতে পারি। তুরি আমাকে তার লেখা পড়ে শুনিয়েছে। পুন্নির কথা শুনে রাগ করেনি। আই লাভ পুন্নি। আই লাভ তুরি। আই লাভ বোথ অব দেম।

শাবিন হাতের উলটো পিঠ দিয়ে নাকের সর্দি মুছল। তার দিকে টিস্যুবক্স এগিয়ে দিলাম। সে বক্স থেকে টিস্যু নেয়নি। আবার হাতের উলটো পিঠ দিয়ে নাকের সর্দি মুছে হাত প্যান্টে ঘষে নিয়েছে।

শাবিনের শরীর থিরথির করে কাঁপছে। কফি পুরোটুকু শেষ করতে পারেনি। তার হাতপা শক্ত হয়ে এসেছে। সে হাত মুচড়ে বলল, টাকা দেন। ধার নিচ্ছি। দিয়ে দেব।

বললাম, তোমার সিগারেট খেতে ইচ্ছে হলে বারান্দায় গিয়ে খেতে পারো।
আমার কাছে সিগারেট নেই।

বারান্দায় এসো।
শাবিন বারান্দায় এলো। তার হাতে সিগারেট দিয়ে বললাম, তুমি এখন পরপর দুটো সিগারেট খাবে।
আমার শরীর খারাপ লাগছে। সিগারেটে হবে না। পাউডারের ব্যবস্থা লাগবে। পুন্নি ব্যবস্থা করে ফেলেছে। গাজী শালা এখন বলছে বাকি দেবে না। পুন্নি তার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। টাকা দেন। গাজী শালার পুটকির ভেতর টাকা ভরে দিয়ে পুন্নিকে ছাড়িয়ে আনি।
সিগারেট জালাও।

শাবিন সিগারেট জালিয়েছে। সিগারেটে ঘনঘন দুটো টান দিয়ে বলল, শালার বাপ একটা বাইনচোত। আমার বয়স তখন আঠারো বছর। সব বুঝি। আমার বাপ সারাদিন আমার মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। মা চুপ করে থাকে। একদিন যেই কথা বলেছে অমনি ঠাস ঠাস করে তাকে চড় মারতে থাকল। আমার মনে হলো বাপকে খুন করে ফেলি। মা আমাকে কিছুই করতে দিলো না। কী হলো? মাকে দিয়ে ডিভোর্স নিল। মাকে বলল তাতে আমার ভালো হবে। আমার ভালোর জন্য বাইনচোত বাপ যা বলল মা তাই শুনল। মা আমার বাপকে ডিভোর্স দিলো।

শাবিন একটা সিগারেট থেকে আরেকটা সিগারেট জালাল। তার নাক থেকে সর্দি ঝরছে। সে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। এক হাত দিয়ে মাঝেমাঝে পেট চেপে ধরছে। তার পেট ব্যথা শুরু হয়েছে।

শাবিন বলল, প্রথম প্রথম কিছুদিন টাকা দিত। আমি গিয়ে টাকা নিয়ে আসতাম। তারপর সে তার ঠিকানা বদলে ফেলল। এখন তাকে আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। একবার তাকে খুঁজে পেলে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে বলব, এই ইঞ্জিনিয়ার মারুফ হোসেন আমার বাবা। সে আমার মাকে মেরে তার কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়েছে। এখন কারসঙ্গে থাকে আমরা জানি না।

শাবিনের সিগারেট শেষ হয়ে এসেছে। সে সিগারেট ফেলে দিয়ে দুহাত দিয়ে পেট চেপে ধরল। তার হেঁচকি শুরু হয়েছে। পেট চেপে ধরে হিক্কা তুলতে তুলতে শাবিন অফিস থেকে বের হয়ে গেল। আমার ধারণা শাবিন যাচ্ছে পুন্নির কাছে। পুন্নি কোনো এক মাদক বিক্রেতা গাজীর কাছে বসে আছে শাবিন আসবে বলে।

শাবিনকে মাথা থেকে সরিয়ে দিয়ে সিগারেট জালালাম। ইউসুফকে ডেকে বললাম, যে ছেলেটা আমার কাছে এসেছিল সে চলে গেছে কিনা দেখে এসো।

সিগারেট শেষ হওয়ার আগে ইউসুফ এসে জানাল শাবিন চলে গেছে। রিল্যাক্স লাগছে। চেয়ারে গিয়ে বসলাম। কম্পিউটার ওপেন করে আগামীকালের জন্য সম্পাদকীয় লিখতে শুরু করলাম। হেডিং লিখেছি, মাদক ব্যবহার কমানোই যাচ্ছে না।

তারপর লিখলাম, বাংলাদেশের অবস্থান গোল্ডেন ক্রিসেন্ট আর গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের মাঝামাঝি হওয়ায় বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বেশ সুবিধাজনক। এ ছাড়া বাংলাদেশে আছে প্রচুর নদী আর খাল। এসব নদী গিয়ে পড়েছে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে। মাদক চোরাকারবারিরা সমুদ্র উপকূল আর জলপথকে তাদের পণ্য পাচারের উপযুক্ত পথ হিসেবে বিবেচনা করে।

(চলবে)

পর্ব ১২অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নাটকীয়তা কম হয়নি, অবশেষে সমাপ্তি হলো সেই নাটকের। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ আসর শুরুর ৫৬ দিন আগে ঘোষণা করা হলো সময়সূচি।

আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ওয়ানডে সংস্করণের আসরটি চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। করাচিতে উদ্ভোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। পরদিন ভারতের বিপক্ষে দুবাইতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচিতে বাংলাদেশসহ গ্রুপ ‘এ’তে আছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে এবার বেশ জলঘোলাই হয়েছে। ভারত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আয়োজক দেশ পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। ওদিকে পাকিস্তান পুরো টুর্নামেন্ট নিজ দেশে আয়োজনের ব্যাপারে অনড় ছিল।

পরে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তাব আসে। সেখানে পিসিবি রাজি হলেও তারা ‘চিরস্থায়ী হাইব্রিড বন্দোবস্তের’ প্রস্তাব দেয়। অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহ পিসিবির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ঘোষণা করে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি সূচি ঘোষণা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে হবে।’ পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানান, সমঝোতায় আসতে পেরে খুশি তারা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি:

তারিখ মুখোমুখি ভেন্যু
১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড করাচি
২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–ভারত দুবাই
২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা–আফগানিস্তান করাচি
২২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড লাহোর
২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান–ভারত দুবাই
২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড রাওয়ালপিন্ডি
২৫ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা রাওয়ালপিন্ডি
২৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড–আফগানিস্তান লাহোর
২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডি
২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–আফগানিস্তান লাহোর
১ মার্চ ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা করাচি
২ মার্চ ভারত–নিউজিল্যান্ড দুবাই
৪ মার্চ ১ম সেমিফাইনাল দুবাই
৫ মার্চ ২য় সেমিফাইনাল লাহোর
৯ মার্চ ফাইনাল লাহোর

 

Header Ad
Header Ad

গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

যারা সন্ত্রাসী ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিএনপিতে নেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। জনগণের যে শাসন, সেই শাসনকে স্থাপিত করতে হবে। অর্থাৎ জনগণের যে পার্লামেন্ট, জনগণের নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট সেই পার্লামেন্ট দিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নির্মাণ করা যায় তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।

দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু এতটুকু বলতে পারি নির্দেশ দেওয়া আছে এই মুহুর্তে যারা সন্ত্রাসী, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়েছিল, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে না।

এ সময় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শীতে কষ্টে রয়েছে দুস্থ ও অসহায় মানুষেরা। তাই আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শীতার্ত মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আড়াই বছরের বন্দিদশা শেষে অবশেষে মুক্ত বাতাসে পা রাখলেন অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ভারতের কলকাতার আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পিকে হালদার বলেন, "আমি এখন কিছু বলবো না। পরে সব বলবো।" তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে হাতজোড় করে জানান, তার আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত জানাবেন। কারাগারের বাইরে অপেক্ষারত একটি সাদা উবার গাড়িতে উঠে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। তবে তিনি কোথায় গেছেন, তা জানাননি।

এর আগে গত শুক্রবার কলকাতার নগর দায়রা আদালত শর্তসাপেক্ষে পিকে হালদারের জামিন মঞ্জুর করেন। তাকে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়, যা এখনও কলকাতার নগর দায়রা আদালতে বিচারাধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল
কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী
প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি
আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক
উদ্বোধনের দিনেই বগি সেটে সমস্যা, শিডিউল বিপর্যয়ে ‘রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস’
গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি
১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম
‘আমি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য না, আমি একজন উপদেষ্টা’
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের সাথে রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি আহ্বান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ নেই
‘দেশে দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা