বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৫

অঘ্রানের অন্ধকারে

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?

আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রুত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বাসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভূমি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?
আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রæত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে আমি কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভ‚মি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

(চলবে)

 

 

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার নেসেট অধিবেশন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদসহ কয়েকজন বিরোধী এমপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধস্তাধস্তির এই ভিডিও শেয়ার করেছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘অক্টোবর কাউন্সিল’ নামের একটি এনজিওর কয়েকজন সদস্যের নেসেটে প্রবেশের চেষ্টাকে ঘিরে এই ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে তাদের পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন যোদ্ধাদের হামলায় যেসব ইসরায়েলি আহত, নিহত এবং অপহৃত হয়েছিলেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছে ‘অক্টোবর কাউন্সিল’ নামের এনজিওটি। এই এনজিওতে নথিভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ১৫০০। তারা বরাবরই গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধারে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে আসছেন।

সোমবার নেসেট অধিবেশনে ইসরায়েরের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তার বক্তব্যের আগে অধিবেশনে উপস্থিত থাকার অনুমতি চেয়ে স্পিকার আমির ওহানা বরাবর চিঠি দিয়েছিল অক্টোবর কাউন্সিল।

সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে অক্টোবর কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন সদস্য নেসেট ভবনে হাজির হয়ে অধিবেশনে প্রবেশ করতে চান। এ সময় রক্ষীরা তাদের বাধা দিলে তাদের বাদানুবাদ শুরু হয় অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যদের। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেই বাদানুবাদ পরিণত হয় ধস্তাধস্তিতে।

ধস্তাধস্তির জেরে দুজন আহত হওয়ার পর নেসেটের সিড়িতে অবস্থান নেন অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যরা। এ সময় তারা ক্যাডিশ আবৃত্তি করতে থাকেন এবং নিহত ও জিম্মিদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। কিছু সময় এই পরিস্থিতি চলার পর নেসেট অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যদের।

অনুমতি পাওয়ার পর তারা প্রবেশ করেন এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সময় তারা তারা নেতানিয়াহুকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে দাঁড়ান। সেই সঙ্গে নিহত ও জিম্মিদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ডও তুলে ধরেন তারা। অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বিদায় নেন অক্টোবর কাউন্সিলের সদস্যরা।

Header Ad
Header Ad

ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার এখন শুধুমাত্র টেস্ট ফরম্যাটে খেলবেন। এর আগে, ২০২২ সালে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া অবসর ঘোষণায় মুশফিক বলেছেন, ‘আমি আজ ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন সীমিত হতে পারে, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিষ্ঠা ও সততার সাথে ১০০ ভাগের বেশি দিয়েছি।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাংলাদেশ দলের জয়হীন বিদায়ের পর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় থাকা এই ক্রিকেটার এরপর লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে এটাই আমার নিয়তি।’

অবসরের সিদ্ধান্তের ঘোষণায় পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতও উদ্ধৃ্ত করেছেন মুশফিক, ‘ওয়া তুইজ্জু মান তাশা' ওয়া তুযিলু মান তাশা"– এবং তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন।’

২০০৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা মুশফিক গত ১৯ বছরে খেলেছেন ২৭৪ ম্যাচ। ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটিতে ৩৬.৪২ গড়ে করেছেন মোট ৭৭৯৫ রান, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।

গত কিছু দিন রানের মধ্যে ছিলেন না মুশফিক। গত বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৩ রানের পরের ৬ ইনিংসে ফিফটি করতে পারেননি। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ইনিংস ব্যাট করে আউট হয়েছিলেন ০ ও ২ রানে।

বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে দেশে আসার পর সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন জানিয়েছিল, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হবে। এর মধ্যেই গতকাল রাত ১১ টার দিকে ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিলেন মুশফিক।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফেরত পাঠাবে দেশটি। এ-সংক্রান্ত একটি বার্তা ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশও অবৈধ হয়ে পড়া নিজ নাগরিকদের ফেরত নেবে। তবে অসম্মানজনক উপায়ে যেন ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত আনার বিষয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা ধারণা দিয়েছেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেটিকাটে অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে মার্কিন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সহযোগিতা চেয়েছে ওয়াশিংটন। সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সম্মানজনকভাবে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ চায় না অন্যান্য দেশের মতো হাতকড়া পরিয়ে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসুক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গত মাসে বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী
ফের রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক
শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শিগগিরই গঠন করা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা