বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৭

অঘ্রানের অন্ধকারে

আজ শাবিনের জন্মদিন। রিহ্যাব থেকে আসার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে। তাকে দেখলে মনেই হয় না সে কোনোদিন মাদক নিয়েছে। তুরির দিন কাটছে আনন্দে।

শাবিনের ইচ্ছে হয়েছে তার জন্মদিন উদযাপন করবে জাঁকজমক করে। তুরি ব্যবস্থা করে ফেলেছে। শাবিনের জন্মদিন বিশাল ঘটা করে পালন করা হচ্ছে। বাড়ির ছাদে চাঁদোয়া টাঙানো হয়েছে। সাউন্ড সিস্টেমে উচ্চস্বরে গান বাজছে। আমন্ত্রিত হয়ে যারা এসেছে তারা দেদার আনন্দ করছে। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছে ভালো। প্রচুর জুস, ফল আর স্ন্যাকস দেওয়া হয়েছে। সকলে ইচ্ছেমতো খাচ্ছে।

শাবিনের বন্ধুদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। পুন্নি এসেছে ঝলমলে পোশাক পরে। তাকে হিন্দি সিনেমার নায়িকার মতো দেখাচ্ছে। সে চারপাশ আলো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বিয়েতে তুরি তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে দাওয়াত দিতে পারেনি। তার বিয়েতে কোনো আয়োজন হয়নি। দুজনের সিগনেচারের সঙ্গে কোনোরকমে শুধু কবুল বলা হয়েছিল। শাবিনের জন্মদিনে তুরি তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। দাওয়াত পেয়ে তারা প্রায় সকলেই এসেছে। তুরির সুখী চেহারা দেখে তাদের ভালো লাগছে।

শাবিন এসে তুরির দুহাত জড়িয়ে ধরল। ছাদে প্রচুর মানুষ। শাবিনের এমন আকস্মিক আচরণে তুরি লজ্জা পেয়েছে। সে ডানেবাঁয়ে তাকাল। তুরির কানের কাছে মুখ এনে শাবিন ফিসফিস করে মিহি গলায় বলল, তোমাকে ভালোবাসি। খুব ভালোবাসি।

তুমি পাগল একটা।
শাবিনের গলায় মহুয়ার মাদকতা। সে ওম-ওম গলায় আবার বলল, তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর কোনোদিন কষ্ট দেব না।
শাবিনের কথা গানের আওয়াজের নিচে তলিয়ে গেল। তুরি বলল, আমার সঙ্গে আসবে?
তুরি চোখ দিয়ে ইশারা করল। শাবিন তাকে অনুসরণ করে এগিয়ে গেল।
তুরি হাঁটছে। শাবিন হাঁটছে তার পেছনে। সিঁড়ি বেয়ে নেমে ওরা বাসায় ঢুকল। বেডরুমের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তুরি। শাবিনও দাঁড়িয়ে পড়ল।
বেডরুমে তুরির বান্ধবীরা হল্লা করছে। তুরি তাদের বলল, তোরা ছাদে যাবি একটু? গানবাজনা হচ্ছে। খাওয়াদাওয়া হচ্ছে। ওখানে যা।

তুরির বান্ধবীরা ঘাড় কাত করে শাবিনকে দেখল। তারা তুরির দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার সময় ওদের চোখে তুরি দুষ্টুমির হাসি দেখেছে।

শাবিনকে নিয়ে তুরি ঘরে ঢুকে পড়ল। দরজার পাল্লা টেনে বন্ধ করে দিলো। শাবিনকে জড়িয়ে ধরে কাতর গলায় বলল, আদর করো। তোমার আদর পেতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব।

শাবিন দুহাত বাড়িয়ে তুরিকে বুকের ভেতর টেনে নিয়েছে। তুরির ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াল। সেই ঠোঁটে অদ্ভুত উষ্ণতা। এমন উষ্ণতা শাবিন আগে কখনো অনুভব করেনি। তুরির কাঁধের ওপর থেকে শাড়ির আঁচল খসে পড়েছে। শাবিন গভীর আবেগে তুরির ঠোঁট নিজের দুই ঠোঁটের ভেতর নিয়ে চেপে ধরল।

তুরির শরীর কাঁপছে। তিরতির করে কাঁপছে। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার খোলা কাঁধে শাবিনের ঠোঁট। গরম নিশ্বাস পড়ছে। অস্থির হয়ে গেছে তুরি। বিছানার কাছে সরে এসে শরীর ছেড়ে দিলো। কাত হয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়। গোঙাতে গোঙাতে বলল, আমাকে তুমি আদর করো। আদর করতে করতে মেরে ফেলো।
শাবিন আচমকা থেমে গেল। শীতল গলায় বলল, ছাদে যাও। তোমার বান্ধবীরা অপেক্ষা করছে।

আদর করবে না?
হুট করে কেউ চলে আসবে। বাড়িভরতি মানুষ।
তাহলে রাতে আদর করবে বলো?
শাবিন গভীর চোখে তুরির দিকে তাকিয়ে থাকল। তুরির মন অমনি কেমন করে উঠল। সে শাড়ি গুছিয়ে নিয়েছে। শাবিন উবু হয়ে তুরির ঠোঁটে, দুই চোখে, গালে, গলায়, কপালে, কাঁধে, কানে আলতো করে চুমু দিলো।
তুরি উঠে দরজা খুলে চলে গেল। ছাদে যাওয়ার সিঁড়িগুলো লাফিয়ে উঠেছে। সে যেন পাখি। উড়ে যাচ্ছে ডানা মেলে।

গানের আওয়াজ তীব্র হয়েছে। ছোটো ছেলেমেয়েরা লাফালাফি করছে। বড়োরা হুল্লোড় করছে। তুমুল আনন্দে উথলে উঠেছে সময়।

টেবিলে খাবার দেওয়া হয়েছে। হইচই করে সকলে খেতে বসেছে। তুরি ঘাড় ঘুরিয়ে চারদিকে তাকাল। শাবিনকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। শাবিনের বন্ধুরা খেতে বসেছে। সেখানে শাবিন নেই।

পুরো ছাদ খুঁজে এসেছে তুরি। শাবিন কোথাও নেই। তুরি দৌড় দিয়ে বাসায় গেল। বেডরুমের দরজা ভেজানো। কেন জানি তুরির বুক ধ্বক করে উঠল। তার এমন কেন লাগছে সে বুঝতে পারল না।
ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে তুরি। শাবিন শুয়ে আছে বিছানায়। তার মাথা একপাশে হেলে আছে। অসাড় হাত পড়ে আছে বিছানা থেকে বাইরে। শাবিনের মাথার কাছে পানির গøাস আর ওষুধের স্ট্রিপ। তুরি সেই ট্যাবলেটের স্ট্রিপ হাতে নিয়ে ওষুধের নাম পড়ল। বারবিট। কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ। চল্লিশটা ট্যাবলেট সে খেয়েছে। শাবিন অনেক আগেই মারা গেছে।

তুরি দাঁড়িয়ে আছে স্থির হয়ে। শাবিনের নিথর দেহ পড়ে আছে বিছানায়। তুরি কী করবে বুঝতে পারছে না। দুই পা ভীষণ ভারী লাগছে। সে নড়তে পারছে না। তার চোখ শুকনো খটখটে। সে কাঁদতে চাইছে। কান্না আসছে না।
তুরি দুই হাঁটু মুড়ে ধপাস করে বসে পড়ল শাবিনের মাথার কাছে। শাবিনের হাত তার কোলে। শাবিন যেন ঘুমাচ্ছে। পরম প্রশান্তির ঘুম।

তুরি সামনে ঝুঁকে এলো। শাবিনের শরীর শক্ত হয়ে আছে। তুরি তার ভারী দুহাত তুলে আনল। সে শাবিনের মাথা দুপাশ থেকে চেপে ধরেছে। অমনি গড়িয়ে এসে শাবিনের মাথা ঝুঁকে পড়ল তুরির বুকের ভেতর।
তুরি কাঁদছে। শাবিনের মাথা বুকের ভেতর নিয়ে কান্নায় তার বুক দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। সে কাঁদছে হুহু করে। তার দুই চোখ ভিজিয়ে চোখের পানি ঝরে পড়ছে শাবিনের কপালে।

 

(চলবে...)

পর্ব ১৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফেরত পাঠাবে দেশটি। এ-সংক্রান্ত একটি বার্তা ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশও অবৈধ হয়ে পড়া নিজ নাগরিকদের ফেরত নেবে। তবে অসম্মানজনক উপায়ে যেন ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত আনার বিষয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা ধারণা দিয়েছেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেটিকাটে অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে মার্কিন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সহযোগিতা চেয়েছে ওয়াশিংটন। সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সম্মানজনকভাবে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ চায় না অন্যান্য দেশের মতো হাতকড়া পরিয়ে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসুক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গত মাসে বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই নারী। পরে তাদের সংহতি জানিয়ে মিছিলে যোগদেন লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বুধবার (০৫ মার্চ) রাতে লালমাটিয়ায় এই মশাল মিছিল করেন স্থানীয়রা। মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা ব্যানার নিয়ে লালমাটিয়া এলাকায় একটি মশাল মিছিল করেন। সেই মিছিলে আনুমানিক ২০০ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী।

তাদের বিভিন্ন স্লোগানের মধ্যে ছিল— উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান করা যাবে না, যেখানে সেখানে ধূমপান করা চলবে না, লালমাটিয়া এলাকায় মাদকসেবী-মাদক বিক্রেতাদের স্থান নেই, বয়স্কদের সম্মান করতে হবে ইত্যাদি।

মিছিলকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যকে সমর্থন ও শাহবাগীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের নিন্দা এবং প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে’ মশাল মিছিল।

এসময় স্থানীয় নারীরা বলেন, লালমাটিয়াসহ পুরো ঢাকা শহর মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে। তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এমনকি এসবের প্রতিবাদ করলে তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া আমেনা ইসলাম নামের এক নারী বলেন, আমাদের মা-বোনেরা কখনোই যেখানে-সেখানে বসে সিগারেট খেতে পারেন না। এটা আমাদের সংস্কৃতি না। এটা আমাদের দেশের মেয়েদের কাজও না। এটা যেমন আমাদের ধর্ম নিষেধ করেছে, আমাদের সমাজেও এটা বেমানান। যারাই এ কাজ করছে, তারা বিদেশি সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে দেশের মা-বোনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো পাবলিক প্লেসে ধূমপান আমাদের দেশীয় আইনেই অন্যায় কাজ। কিন্তু কিছু ধর্মবিদ্বেষী নারী সেই অন্যায় কাজটি করেও আবার বিরোধিতা করায় আন্দোলন করছে। আমরা তাদের কাছে কি শিখব? আমাদের ছোটরা তাদের কাছে কি শিখবে? এটা কি কোনো ভালো শিক্ষা? আমরা ছোট থেকেই দেখেছি পুরুষদের কেউ ধূমপান করলেও তারা লুকিয়ে করেন। বড় কেউ দেখে ফেললে তাড়াতাড়ি সেটা ফেলে দেন। এটাই তো আমাদের সমাজের শিক্ষা।

আমেনা ইসলাম আরও বলেন, যেসব নারী প্রকাশ্যে ধূমপান করে আবার গর্ব করে বলে এবং প্রকাশ্যে ধূমপানের সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করে তাদের নিশ্চয়ই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে। তারা আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে চায়। তারা বাংলাদেশে বিদেশি সংস্কৃতি-কালচার আমদানি করে নারীদের বাজারের পণ্য বানাতে চায়। আমরা তো চোখের সামনে আমাদের সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।

এছাড়া সামিনা ইয়াসমিন নামের আরেক নারী বলেন, ধূমপানের কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান শিশুসহ অধূমপায়ীদের বেশি ক্ষতি করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই সারা দেশে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নারী, নারী হিসেবে তাদের এসব কাজকর্মের জন্য আমার লজ্জা হচ্ছে। দুই-চারটা সমাজের কীটের কারণে আমরা নারী জাতির সম্মান ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না। যারাই এসব আন্দোলন করছে, সরকারকে আহ্বান করব অবিলম্বে যেন তাদের আইনের আওতায় আনে। নয়ত স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষ মিলে তাদের আমরা প্রতিহত করব।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক তরুণীর ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন।

মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের কাছে আড়ং গলির পেছনে ওই তরুণী ধূমপান করছিলেন। এ নিয়ে হট্টগোলের খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি দল ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যতটুকু জানছি ওনারা নাকি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামাজ পড়তে যাইতেছিল। এ সময় ওনারা (লোকেরা) বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুড়ে মারছে। ’

‘তো আপনারা জানেন, ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। আর এখন যে রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। ’

Header Ad
Header Ad

সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মঈনুদ্দিন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।

বুধবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ সহকারী থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শেখ মঈনুদ্দিনের সড়ক ও অবকাঠামো খাতে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের সেফটি ও অপারেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শেখ মঈনুদ্দিন নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগে বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন।

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রোগ্রাম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসের সরকারি খাতে বহু বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

শেখ মঈনুদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, লাফায়েত থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের (এএবিইএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী
ফের রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক
শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শিগগিরই গঠন করা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা
মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, রাবির ছাত্রলীগ নেতা আটক
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আটক