শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১২

অঘ্রানের অন্ধকারে

তুরির লেখা পুরো পড়া হয়নি। কয়দিন বুঁদ হয়ে লিখেছি। লেখা আরও খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে তুরির নোটবুকে লেখাটা পড়ে শেষ করা দরকার।

তুরির নোটবুক খুলে বসলাম। আগে যে পর্যন্ত পড়েছি তারপর থেকে পড়তে থাকলাম। তুরি বেশ গুছিয়ে লিখেছে।

ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে আশপাশ কিছু দেখা যাচ্ছে না। আগারগাঁ বস্তির পাশে চওড়া রাস্তা। এই রাস্তার নাম ষাটফুট। তারপাশে এক ঝুপড়ি ঘরে ময়লা বিছানা পাতা। তোশকের এক জায়গায় সেলাই খুলে গেছে। সেখান থেকে জমাটবাঁধা তুলো বের হয়ে এসেছে। বিছানা থেকে দুর্গন্ধ আসছে। সেই দুর্গন্ধ শাবিনের নাকে লাগছে না। সে ঘরের মেঝেতে দলা পাকিয়ে বসে আছে।

সিগারেটের রাংতার ওপরে হেরোইন। তার নিচে মোমবাতি জলছে। শাবিন বাংলাদেশের দুই টাকার ঝকঝকে কড়কড়া নতুন নোট পেঁচিয়ে চিকন পাইপের মতো বানিয়ে ফেলেছে। এই নোট দিয়ে হেরোইন নেওয়া অনেক সুবিধা। তার সামনে পুন্নি নামে এক মেয়ে বসে আছে। সে শাবিনকে এখানে নিয়ে এসেছে। শাবিন হেরোইন জোগাড় করেছে।

পুন্নি প্রথমে লম্বা শ্বাস সে নাক দিয়ে ভেতরে হেরোইন টেনে নিল। তারপর শাবিন একইরকম করে দুই টাকার পেঁচানো নোটের ভেতর দিয়ে নাকে হেরোইন টেনে নিয়েছে।

অন্যরকম অনুভূতি শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে শরীর হালকা হয়ে গেছে। মনের ভেতর তীব্র  ফুর্তি। শাবিন উঠে দাঁড়াল। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। ঝপাত করে বিছানার ওপর পড়ে গেল।

পুন্নি এসে শুয়ে পড়ল শাবিনের গায়ের ওপর। ফিসফিস করে বলল, সবুজকে ডাকিসনি কেন আজ?

তুই জানিস না কেন ডাকিনি?

পুন্নি দুই হাত দিয়ে একটা একটা করে চাঁদের শার্টের বোতাম খুলছে আর বিড়বিড় করে বলছে, তুই হাবিবকে কথা দিয়েছিলি আমরা একসঙ্গে খাব।

আমি কাউকে কখনো কথা দিই না। আর কথা দিলে রাখতেই হবে তাও মনে করি না।

পুন্নি দুই হাত দিয়ে শাবিনের গা থেকে শার্ট খুলে নিতে নিতে বলল, তুই আমাকে ভালোবাসিস?

খুব ভালোবাসি।

কতটুকু ভালোবাসিস?

আকাশের সমান।

শাবিনের উদোম বুকে, পিঠে পুন্নি এমনভাবে খামচাচ্ছে যেন তার কিছু হারিয়ে গেছে সে খুঁজছে। শাবিনের  বুকের সঙ্গে লেপটে গেল পুন্নি। গলা টান করে চাঁদের মুখের কাছে নিয়ে এলো। পুন্নির গায়ে ঘাম। ওর গায়ে টকদই আর বুনো জংলা মেশানো উগ্র গন্ধ। পুন্নির গলায় শাবিন ঠোঁট ছুঁয়ে আছে। পুন্নি দুপা দিয়ে শাবিনের কোমর পেঁচিয়ে ধরেছে। সাপে পেঁচানো মানুষের মতো পুন্নির শরীরের ভেতর শাবিন নিজের শরীর মুচড়াচ্ছে। মুচড়াতে মুচড়াতে পুন্নির পা দুটো ফাঁক করে ওর শরীরের ওপর চেপে বসল। ঠিকমতো বসে থাকতে পারল না। গড়িয়ে পাশে শুয়ে পড়ল।

এই ঘটনা শাবিন আমাকে বলেছে। আমাদের বিয়ের আগে থেকে পুন্নির সঙ্গে শাবিনের সম্পর্ক।

 

শাবিন বাসায় ফিরল সন্ধ্যার সময়। রিকশা থেকে শাবিন নামল। পুন্নি রিকশায় বসেছিল। আমি দাঁড়িয়েছিলাম বাড়ির দোতলার বারান্দায়।

নিচে নেমে দরজা খুলে দিলাম। শাবিনকে দেখে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। জিগ্যেস করলাম, মেয়েটা কে?

কোন মেয়েটা?

যে তোমার সঙ্গে রিকশায় এলো।

পুন্নি। আমার বন্ধু।

তোমরা প্রতিদিন একসঙ্গে থাকো?

এত প্রশ্ন করছ কেন?

সে কি তোমাকে ভালোবাসে?

বাসেই তো। অনেক ভালোবাসে। সে তোমার মতো ম্যাড়মেড়ে না। একবার বিছানায় এলে ভাঙচুর করে ছাড়ে।

তুমি ভাঙচুর পছন্দ করো, বলোনি তো?

 

সেই রাতে শাবিন বিছানায় বসে ফেনসিডিলের তিনটা বোতল বের করল। বোতলের ছিপি ঘোরাতে ঘোরাতে বলল, এই সুখ শুধু পুন্নি দিতে পারে। ঢকঢক করে দু বোতল ফেনসিডিল খাওয়ার পর শাবিনের নেশা ধরে গেল। তার শরীর কাঁপছে। সে আরেক বোতল ফেনসিডিল খুলে বসেছে।

আমি বললাম, ওটা আমাকে দাও।

কী মনে করে শাবিন ফেনসিডিলের বোতল আমার হাতে দিয়ে দিলো। ঠিক করেছি এখন থেকে শাবিনের সঙ্গে আমিও ফেনসিডিল খাব। গলগল করে মুখের ভেতর ফেনসিডিল ঢেলে দিলাম।

শাবিন সিগারেট  জ্বালিয়েছে। সিগারেটের গন্ধ ভালো লাগছে। শাবিনের কাছে সিগারেট চাইলাম। শাবিন তার আধাখাওয়া সিগারেট আমাকে দিয়ে দিলো।

সিগারেটে টান দিতেই কেন জানি অপরিচিত তিতকুটে ভাব ছড়িয়ে পড়ল পুরো মুখে। আমার বমি বমি ভাব শুরু হলো। শাবিন বলল, আজ পুন্নির সাথে শুয়েছিলাম। আর শোব না। তোমার সাথে শোব।

জিগ্যেস করেছিলাম, তুমি আর কার কার সাথে শুয়েছ?

আর কারও সাথে শুইনি।

আমার ধারণা শাবিন সত্য কথা বলেনি। বললাম, কার কার সাথে শুয়েছ বলতে হবে না, আমি ছাড়া আর কতজনের সাথে শুয়েছ সেটা বলো।

শুধু পুন্নির সাথে।

শাবিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে যেতে রুচিতে আটকাচ্ছিল। সে  আরেকজনরে সঙ্গে শুয়েছে সেজন্য না, মিথ্যা কথা বলছে সেজন্য। মদ থেয়ে মাতাল অবস্থাতেও কেউ মিথ্যা কথা বলতে পারে সেটা শাবিনকে দেখে বুঝলাম।

শাবিন আগারগাঁ বস্তির পাশে ষাটফুট রাস্তার ধারে ঝুপড়িঘরে পুন্নির সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলে গেল। গাঁজা কিনতে গিয়ে কীভাবে পুন্নির সঙ্গে তার পরিচয়, বিয়ের আগে তারা কোথায় কোথায় যেত শাবিন সব বলল।

বিছানা ভাসিয়ে হড়হড় করে বমি করলাম। বমির উৎকট গন্ধ আসছে। শরীর নেতিয়ে পড়েছে। উঠতে পারছি না। শাবিন বমির পাশে দলা পাকিয়ে শুয়ে পড়েছে। তার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এসেছে। শাবিন ঘুমাচ্ছে।

হাত টান করে শাবিনের গায়ের ওপর দিয়ে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।

 

(চলবে)

 

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার