রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: শেষ পর্ব

বিষাদ বসুধা

শুক্রবার মোহিনী দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। ছুটির দিন। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই। এই দিনটিতে অন্য কোনো কাজও তিনি রাখেন না। টানা ছয়দিন অফিস করার পর শুক্রবার দিনই বিশ্রামের মুডে থাকে। সকাল নটা দশটা পর্যন্ত ঘুমান। ঘুম ভাঙলে তিনি বিছানায় শুয়ে শুয়েই পত্রিকা পড়েন।

এতে তার আরো এক ঘণ্টা সময় চলে যায়। তারপর তিনি বিছানা ছেড়ে গোসলে যান। মন চাইলে নাশতা করেন। তা না হলে এককাপ র চা। কিংবা একটি ফল খান। এতেই তার দুপুর পর্যন্ত কেটে যায়।

মোহিনীর এই রুটিন রহিমাবিবি ভালো করেই জানে। দশটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সে পত্রিকা নিয়ে মোহিনীর কক্ষে ঢোকে। মোহিনীর বিছানার পাশে রাখে। যাতে হাত বাড়ালেই পত্রিকাটা পায়। মোহিনী বিছানা না ছাড়া পর্যন্ত তার কক্ষের সামনে এসে ঘুরঘুর করে। বিছানা থেকে ওঠা মাত্র সে তার অনুমতি নিয়ে নাশতা তৈরি করে। খাবার নষ্ট করা মোহিনী একদম পছন্দ করেন না। তার কারণে তো নয়ই, অন্য কেউ নষ্ট করলেও তিনি মন খারাপ করেন। এ কারণে বাসার সবাই খুব সতর্ক থাকে।

ঠিক দশটার দিকে মোহিনীর ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে দেখে তার মাথার পাশেই ডেইলি স্টার পত্রিকা। তিনি চিৎ হয়ে শুয়ে দুই হাত দিয়ে পত্রিকাটা চোখের সামনে ধরেন। হঠাৎ একটি হেডলাইনের ওপর তার চোখ আটকে যায়। করোনায় নারী নির্যাতন ও দাম্পত্য কলহ বেড়েছে।

মোহিনী খবরটি পড়তে শুরু করেন। তাতে লেখা আছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দাম্পত্য কলহে ছাড়াছাড়ির ঘটনা দুই তিন গুণ বেশি। এর কারণ হিসেবে সমাজ বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, পুরুষরা ঘরে থাকতে অভ্যস্ত নয়। করোনার কারণে তারা বাধ্য হয়ে ঘরে থাকছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াঝাটির ঘটনা বেশি ঘটছে।

খবরটি পড়তে পড়তে মোহিনী ভাবেন, তার মানে পারিবারিক সংকট সৃষ্টির কারণও করোনা! প্রতিটি ঘরে ঘরে তার নেতিবাচক প্রভাব রেখে যাচ্ছে! একদিকে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। আরেকদিকে পারিবারিক কলহ বাড়ছে। বাড়ছে দুঃখ কষ্ট। এ কারণেই পত্রিকা পড়তে ইচ্ছা করে না। নেতিবাচক খবরগুলো আমাকে সারাক্ষণ পীড়া দিতে থাকে। মাথার চারদিক থেকে চাপ তৈরি করে। সারাদিন এই ভাবনা থেকে বের হতে পারি না।

মোহিনী পত্রিকাটা হাতে নিয়ে মা মা করে ডাকেন। তিনি নিজের কক্ষ থেকে আনোয়ারা বেগমের কক্ষে যান। তাকে পত্রিকার খবর দেখিয়ে বলেন, দেখেছ মা! এই দেখ। কী ভয়াবহ খবর।

আনোয়ারা বেগম একবার পত্রিকার দিকে তাকান; আরেকবার মোহিনীর দিকে। তারপর বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলেন, কী হয়েছে মোহিনী?
করোনা তো প্রতিটি ঘরে ঘরে সংকট তৈরি করছে!
কী রকম?
এই দেখ না! এখানে একটি জরিপ রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের তুলনায় করোনাকালীন দাম্পত্য কলহ দুই তিন গুণ বেড়েছে।
বলিস কী! খুব বাজে ব্যাপার তো!
হুম। সত্যিই বলেছ। আসলে আমরা কোথায় যাচ্ছি! আমাদের দেশ কোথায় যাচ্ছে? একটা ভাইরাস সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে! অর্থনীতির চাকা উল্টো দিকে ঘোরাচ্ছে। এরমধ্যেই চাকরি হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। পারিবারিক কলহের এটাও কিন্তু একটা বড় কারণ!
তা তো অবশ্যই। আনোয়ারা বেগম বললেন।

মোহিনী আবার বললেন, কত মানুষ যে দরিদ্র হয় তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। সবাই ভাবছিল ঈদেও পর আর থাকবে না। অথচ এখনো প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ পঞ্চাশ জন করে মারা যাচ্ছে। বেশি বিপদে আছে বয়স্ক লোকরা। আর যাদের ঠাণ্ডা সমস্যা, শ্বাসকষ্ট তারা বেশি ভয়ের মধ্যে আছে। তারা করোনায় আক্রান্ত হলে আর রক্ষা নেই। নাহ; খবরটা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল!

মন খারাপ করে আর কী করবি বল! সারাবিশ্বের পরিস্থিতিই এক! এমন এক সংকট যার ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। কেবল বিধাতা যদি মানুষকে রক্ষা করেন।
আনোয়ারা বেগমের কথায় সায় দিলেন মোহিনী। কিন্তু তিনি কোনো কথা বললেন না। আনোয়ারা বেগম পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রসঙ্গ পাল্টালেন। তিনি মোহিনীকে উদ্দেশ করে বললেন, আচ্ছা শোন, তুই নাশতা করেছিস?
না মা। সবে তো উঠলাম।
নাশতা কর। তারপর তোর সঙ্গে কিছু কথা আছে।
কি কথা মা?
আগে নাশতা করে আয়; তারপর বলছি। তোর বাবাও কথা বলবে।
তাই নাকি! বাবা কোথায়?
ড্রয়িং রুমে। কে যেন এসেছে। কথা বলছে।
তোমরা নাশতা করেছ তো?
হুম। অনেক আগে।
আমি তো এখনো মুখও ধুইনি।
আচ্ছা যা। হাতমুখ ধুইয়ে নাশতা করে আয়।
ঠিক আছে। আগে যখন বলবে না, তখন নাশতা করেই আসছি।
আনোয়ারা বেগম মুসকি হাসলেন। মোহিনী নিজের কক্ষে যান। পত্রিকাটা রেখে বাথরুমে ঢোকেন। দাঁত ব্রাশ করেন। হাতমুখ ধুয়ে নাশতার টেবিলে বসে রহিমাবিবিকে ডাকেন। রহিমা, রহিমা...

রহিমা ছুটে আসে মোহিনীর কাছে। এসেই বিব্রত ভঙ্গিতে বলে, ও আপা মনি! আপনে উইঠ্যা গেছেন! আপনের জন্য তো নাশতা বানাই নায়। আপনে কন নায় বইলা..
মোহিনী স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বললেন, কি আছে বল তো?
পরোটা মাংস খাইবেন? সবজিও আছে। পুডিং ফিন্নিও আছে। যেইডা ইচ্ছা হেইডাই খাইতে পারেন।
পরোটা মাংস অল্প করে দে। আর একটু পুডিং দে। কে বানাইছে পুডিং?
রহিমাবিবি মুসকি হেসে বলে, আমি।
আচ্ছা। তোর পুডিং তো ভালোই হয়। দে দে।

রহিমা বিবি আর দেরি করে না। সে ত্বরিত গতিতে গরম পরোটা, মাংস, সবজি আর পুডিং টেবিলে দেয়। মোহিনী খাওয়া শুরু করেন। অনেকদিন পর তিনি সকাল বেলা ভারি খাবার খাচ্ছেন। বেশ মজা পাচ্ছেন তিনি। অনেকদিন পর খাওয়ার মজা অনুভব করছেন। একটিমাত্র পরোটা খেয়েই তার পেট ভরে যায়। পুডিং খাবেন কী খাবেন না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। তারপর তিনি এক চামচ পুডিং মুখে দেন। পুডিংটুকু তার খাওয়াটাকে যেন পূর্ণতা দিয়েছে।
এরমধ্যেই কফি নিয়ে হাজির হয় রহিমাবিবি। মোহিনী তাকে বললেন, কফি মা’র রুমে দাও। মা কি খাবে জিজ্ঞাসা কর। চা না কফি?
রহিমাবিবি আনোয়ারা বেগমের রুমে মোহিনীর কফির মগ রেখে বলল, খালাম্মা আপনে কী খাইবেন? চা না কফি?
তোর আপা কফি খাচ্ছে?
জে।
আমাকে চা-ই দে।
জে আইচ্ছা।
রহিমা শোন, তোর খালু কই?
সামনের ঘরে। একটা লোক আইছে না! তার লগে কতা কইতেছে।
আচ্ছা। যা আমার চা নিয়ে আয়।
রহিমা বিবি চলে যায়। মোহিনী আনোয়ারা বেগমের কক্ষে এসেই বললেন, মা তুমি কি পরোটা মাংস খেয়েছ?
না রে! আমি একটু সবজি আর একটা রুটি খেয়েছি। তুই খেয়েছিস বুঝি!
হ্যাঁ মা। অনেক দিন পর খুব মজা করে খেলাম। তুমি পুডিং খাওনি?
না।
খুব মজা হয়েছে। খেতে পারো। আনতে বলব?
আচ্ছা।
মোহিনী দরাজ গলায় রহিমাবিবিকে ডাকে। রহিমা রহিমা.. মা’র জন্য পুডিং নিয়ে এসো!
রহিমাবিবি চা নিয়ে মাঝপথেই ছিল। সে মোহিনীর কথা ভালোভাবেই শুনতে পেয়েছে। চায়ের কাপ দিতে দিতে সে বলল, আমি পুডিং নিয়া আইতেছি।
মোহিনী কফিতে চুমুক দিয়ে মগটা টি-টেবিলের ওপর রাখলেন। তারপর বললেন, কী বলবে বলো না মা!

আনোয়ারা বেগম ইশারায় রহিমাবিবিকে দেখিয়ে নীরব রইলেন। মোহিনী ভালো করেই জানে, রহিমাবিবির সামনে কোনো কথা বললে তা দুই মিনিটে রাষ্ট্র হয়ে যাবে। সে খুবই পেট-পাতলা মানুষ। কোনো কথা পেটে রাখতে পারে না। ভালোমন্দ বোঝে না। কারও কাছে কোনো কথা শুনলে তা অন্যকে না বলা পর্যন্ত তার পেটের ভাত হজম হয় না। তাই মোহিনীও নীরব রইলেন।
এরমধ্যেই মোহসীন আহমেদ রুমে আসে হাজির হলেন। তিনি সোফায় বসতে বসতে বললেন, রফিকুজ্জামান সাহেব এসেছিলেন।
মোহিনী বললেন, কোন রফিকুজ্জামান বাবা?
প্রীতম গ্রুপের চেয়ারম্যান।
ও আচ্ছা। কি ব্যাপার বাবা?
উনি একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।

এ সময় রহিমাবিবি চা নিয়ে ঢুকলে মোহসীন আহমেদ আর কিছু বললেন না। তিনি রহিমাবিবিকে চা দিতে বললেন। রহিমাবিবি চলে যাওয়ার পর তিনি আবার শুর করলেন। তিনি বললেন, উনি ওনার ছেলের জন্য তোকে বউ করে নিতে চান। তুই চিনিস নাকি ছেলেটাকে? ছেলেটা নাকি অসম্ভব ভালো!
মোহিনী মাথা নেড়ে না সূচক জবাব দেন। তারপর বলেন, আমার কখনো পরিচয় হয়নি। আর আমি তো তেমন কোথাও যাইও না। পরিচয় হবে কি করে?
হুম। তাও ঠিক।
আবার রহিমাবিবি চা নিয়ে ঢুকল। মোহসীন আহমেদ চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বললেন, তুই যাওয়ার সময় দরজাটা চাপিয়ে দিস কেমন?
রহিমাবিবি ঘাড় নেড়ে বলল, জে।

রহিমাবিবি চলে যাওয়ার পর আনোয়ারা বেগম বললেন, রফিকুজ্জামান সাহেবের ছেলে আগে বিয়ে করেনি?
না। কেন করেনি তাও ঠিক পরিষ্কার না।
মোহিনী ধীরস্থির ভঙ্গিতে বললেন, বাবা আবার কেন বিয়ে! থাক না। আমি তো ভালোই আছি। বিয়েটিয়ে আর ভালো লাগে না।
কেন মা? জীবনে একজন সঙ্গীও তো লাগে! আমরা আর কতদিনই বা বাঁচব?
মা, যে কেউ যে কোনো সময় চলে যেতে পারে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যবসা আর সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকব। নতুন করে আর সংসার হবে না আমাকে দিয়ে!
মোহসীন আহমেদ বললেন, তারপরও তুই চিন্তা করে দেখ। সময় নে। আমি এখনই তোকে সিদ্ধান্ত দিতে বলব না। আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নে।
আনোয়ারা বেগমও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন, হ্যাঁ সেটাই। তাড়াহুড়ার কিছু নেই।
মোহিনী মাথা নিচু করে বসে রইলেন। কিছুক্ষণ কেউ কোনো কথাই বললেন না।

মোহিনী অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি আর বিয়ে করবেন না। কথাটা তিনি তার মা বাবাকে জানিয়ে দিলেন। এ কথা জানার পর মোহসীন আহমেদ ও আনোয়ারা বেগম ভাবনায় পড়ে গেলেন। তাদের মনে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধে। মোহিনী বিয়ে না করলে এই পরিবারে তৃতীয় প্রজন্ম বলে কিছু থাকবে না! মাই গড! এতো সম্পদ রেখে যাবো কার জন্য? কে ভোগ করবে? কে দেখাশুনা করবে?

সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগে মোহসীন আহমেদের কাছে। তিনি আর কিছুই ভাবতে পারছেন না। মোহিনীকে বিয়ে দেওয়া যেন তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিনই সকাল কিংবা রাতে খাওয়ার টেবিলে মোহিনীর কানে কথাটা তোলেন। একেবারে লেগে থাকা যাকে বলে। আনোয়ারা বেগমও মরিয়া হয়ে ওঠেন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের কর্মকাণ্ড কখনো কখনো পাগলের পর্যায়ে গিয়ে পৌছে।
মোহিনীও চতুর কম নন। তিনি নানা কৌশলে মা বাবার মনে কষ্ট না দিয়ে বিয়ের প্রসঙ্গটি দূরে রাখেন। মা বাবা যখন ওর বিয়ের প্রসঙ্গ তোলেন তখন তিনি শুনেও না শোনার ভান করেন। তিনি হাসি ঠাট্টার মধ্যদিয়ে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। কখনো কখনো বলেন, এই বয়সে বিয়ে করে কী হবে? ছেলে পছন্দ হয় না। অনেকেই আবার অর্থের লোভে তাকে বিয়ে করতে চায়! সেটা কি ঠিক হবে? এসব বলে মোহিনী সময় পার করেন। এতে মোহসীন আহমেদ ও আনোয়ারা বেগম বিরক্তিবোধ করেন। তারপরও তারা ধৈর্য ধরেন। মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

একদিন অবশ্য মোহসীন আহমেদ একটু শক্তভাবেই মোহিনীকে বলেছেন যে, সাত দিনের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তা না হলে তারা জোর করেই তাকে বিয়ে দেবেন। কানা, লুলা, বোবা ছেলে হলেও তারা তাকে মেয়ের জামাই করবেন।
মোহিনী হাসেন। তিনি জানেন তার বাবা সেটা কখনোই করবেন না। মুখে হাজার বললেও মেয়ের স্বাধীনতায় তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে তাদের চাপাচাপিতে একটি কাজ হয়েছে। তার মনের ভেতরে একটা প্রভাব পড়েছে। তিনি এখন বিয়ের বিষয়টি নিয়ে ভাবেন। প্রায়শ তিনি চিন্তা করেন। মা বাবা যেহেতু বলছেন, বিয়ে করাই যায়! অবশেষে মোহিনী জানালেন, করোনাকাল শেষ হলেই তিনি বিয়ে করবেন। তবে করোনার মধ্যে বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে যাতে তারা আলোচনা না করেন সে বিষযটিও সতর্ক করে দিয়েছেন।

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩১

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩০

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে ঠিক কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সীমান্তে প্রতিদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে, বাড়ছে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা। এর মধ্যেই পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী ভারতে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে হানিফ আব্বাসী বলেন, "শুধুমাত্র ভারতের জন্য ১৩০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। ঘৌরি, শাহিন এবং গজনবির মতো অত্যাধুনিক মিসাইলও প্রস্তুত আছে।" ভারতের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, "তারা যদি সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করার চেষ্টা করে, তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"

মন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা মিলিটারি সরঞ্জাম ও মিসাইল শুধু প্রদর্শনের জন্য রাখিনি। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথায় রাখা আছে তা কেউ জানে না, তবে এটুকু নিশ্চিত - এগুলো ভারতের দিকেই তাক করে রয়েছে।"

পাকিস্তানের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে হানিফ আব্বাসী বলেন, "নয়া দিল্লি এখন বুঝতে শুরু করেছে তাদের কর্মকাণ্ডের কঠোর পরিণতি কী হতে পারে। যদি এই পরিস্থিতি ১০ দিন চলতে থাকে, তাহলে ভারতের এয়ারলাইন্সগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে।"

পহেলগাম হামলার জন্য ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, "ভারত কিছু ঘটলেই অকারণে পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।"

প্রসঙ্গত, পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত।

ভারতীয় অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। ইসলামাবাদ ইতিমধ্যে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে ভারতের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি সিন্ধু নদীর পানি বন্ধ করা হলে যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পাকিস্তান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা