বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১

বিষাদ বসুধা

মোহিনীর কপালে বিরক্তির ভাঁজ।

চরম বিরক্তি নিয়ে মধ্যরাত অবধি বসে আছেন মোহিনী। আরেফিন তখনো বাসায় ফেরেননি। মোহিনী বাসায় একা। তিনি আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার চোখজুড়ে ঘুম নেমে আসছে। কিন্তু তিনি ঘুমাতে পারছেন না। আরেফিন বাসায় ফিরলে তারা একসঙ্গে খাবেন। এটাই তাদের প্রতিদিনকার রুটিন। সেই রুটিনের আজ ব্যত্যয় ঘটেছে।

রাত দশটার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা আরেফিনের। কিন্তু তার বাসায় ফেরার নাম নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ। কেন বন্ধ তা মোহিনী বুঝতে পারছেন না। সাধারণত আরেফিন ফোন বন্ধ রাখেন না। বাসায় ফিরতে দেরি হলে তিনি আগে থেকেই জানিয়ে দেন। আজ কেন জানাননি তাও বুঝতে পারছেন না।

আরেফিন বিকেল থেকে একবারও ফোন করেননি। এটাও একটা দুশ্চিন্তার কারণ। রহস্যজনক বলেও মনে হয় মোহিনীর কাছে। তারপরও তিনি কোনো রকম নেতিবাচক ভাবনা আপাতত ভাবতে চাচ্ছেন না। তিনি ধরেই নিয়েছেন; বিশেষ কোনো ব্যস্ততার কারণে আরেফিন ফোন বন্ধ রেখেছেন। বিশেষ কোনো কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। অপেক্ষা করতে করতে দুই ঘণ্টা চলে গেছে। আরেফিন বাসায় ফেরেননি।

মোহিনী এখন ভীষণ বিরক্ত। ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন আর বলছেন, এখনো কেন আসছে না? কি এমন ব্যস্ততা! ব্যস্ততা থাকলে আমাকে একটা ফোন করে জানাতে পারত! না! ওর দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড আর ভালো লাগে না।

মোহিনীর বিরক্তির পারদও চূড়ায় উঠতে শুরু করে। মোহিনী নিজেও সারাদিন অফিস করেছেন। নটা পাঁচটার ছকে বাঁধা সরকারি অফিস নয়। নিজের বাবার সু ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করে বাসার সব কাজ তিনি নিজেই সামলান। বাসায় একজন ছুটা কাজের মহিলা আছে। তার নাম মর্জিনা। সে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে। দশটার দিকেই মোহিনীরা রাতের খাবার খান। এটো থালাবাসন ধুয়েমুছে দিয়ে যায় মর্জিনা। সে রাতের খাবার এই বাসা থেকেই নিয়ে যায়। বেতন দেয়ার পরও মোহিনী এই খাবারটা মর্জিনাকে বাড়তি দেন। কারণ, মর্জিনা ওর দুই বাচ্চাকে স্কুলে পড়ায়। সেই পড়ার খরচও মোহিনী বহন করেন।

মোহিনী খুবই মানবিক ধরনের মানুষ। কারো দুঃখ কষ্ট সে সহ্য করতে পারেন না। নিজে কষ্ট করবেন তবু অন্যের সমস্যা সমাধানে তিনি ঝাপিয়ে পড়বেন। মোহিনী যখন জানতে পারলেন, মর্জিনার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে ওকে আর দুই সন্তানকে রেখে চলে গেছে। তখন থেকে মোহিনী মর্জিনা ও তার দুই সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মর্জিনার পরিবারের অনেক খরচও তিনি বহন করেন।

মোহিনী বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কতটুকুই বা দরকার। তার চেয়ে বেশি রেখে কি হবে? মানুষ মরলে কবরে তো কিছুই নিয়ে যেতে পারে না। শুধু শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ে মানুষ। এসব করে কি লাভ! তার চেয়ে গরীব মানুষদের সাহায্য করলে তারা ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে।

মোহিনী নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলেও সেখান থেকে তিনি বেতন নেন। যে টাকা তিনি আয় করে তার বেশির ভাগই গরীবদের বিলিয়ে দেন। এতেই তিনি তৃপ্তি অনুভব করেন। ভীষণ আনন্দ পান। মোহিনীর মা বাবাও এমনই। তাদের সম্পদও তারা গরীবদের বিলিয়ে দেন। তারা যেহেতু কোনো রকম কষ্টে নেই। সেহেতু মোহিনীরও কষ্ট হবে না। অন্যকে সাহায্য করলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সহায়তা করবে। এটা তার বদ্ধমূল ধারনা।

মোহিনী একবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিনের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলেন। সেটি পড়ে তার এতো ভালো লেগেছে যে, সেটা তার মগজে ঢুকে গেছে। শির বাবা ছোটবেলায় তাকে বলেছিলেন, বাবা তুমি তিনটি বিষয় মনে রেখ। তাহলে দেখবে জীবনে অনেক সাফল্য আসবে। একটি হচ্ছে, লোভ-লালসা সংবরণ করবে। দ্বিতীয়ত, কখনো নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। তৃতীয়ত, মানুষের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিও। মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করলে জীবন বহুগুণ তোমাকে ফিরিয়ে দেবে।

মোহিনীর বাবাও তাকে এরকমই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনিও মেয়েকে বলেছিলেন, লোভ-লালসা জীবনে অনেক ক্ষতির কারণ। আর নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। অন্যের জন্য কিছু কোরো। তাতেই পরম শান্তি।

বাবার সেই পরামর্শ মোহিনী প্রতি মুহূর্তে মনে রেখেছেন। তিনি নিজেও দেখে আসছেন, অন্যের জন্য কাজ করলে নিজের কিছু ক্ষতি হলেও তাতে অনেক প্রশান্তি লাভ করা যায়। মোহিনীর বাবা আরো বলেছেন, সংসার জীবনে ত্যাগ স্বীকার করার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছুই নেই। তুমিও তাই কোরো। তাতে হয়তো তোমার কিছু ক্ষতি হবে। কিন্তু এক সময় দেখবে, তুমিই লাভবান হয়েছ।
মোহিনী তার বাবার কথা চিন্তা করেই দাঁত কামড়ে এই সংসারে পড়ে আছেন। কিন্তু মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে। কখনো কখনো আরেফিন সীমা ছাড়িয়ে যায়। কখনো কখনো তিনি বাউণ্ডলে মানুষের মতো আচরণ করেন। অথচ বিয়ের আগে মোহিনীকে তিনি পাগলের মতো ভালোবাসতেন। তার ভালোবাসার কাছে হার মেনেছিলেন তিনি। বিয়ের পর সেই ভালোবাসা কোথায় গেলো?

মোহিনীর খুব কমই চাওয়া ছিল আরেফিনের কাছে। তিনি কখনো বাড়ি গাড়ি চাননি। চেয়েছেন শুধু ভালোবাসা। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। আরেফিনকে নিয়েই একটা ভালোবাসার সংসার সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর তেমনিভাবেই শুরু হয়েছিল তাদের সংসার। কিন্তু সেই ভালোবাসার তানপুরাতে আগের মতো সেই সুর আর বাজে না। কখনো কখনো বেসুরো হয়ে যায়। এতে মোহিনীর কোনো দোষ নেই। আরেফিনের অবহেলার কারণেই মোহিনীর মনের কোণে প্রশ্ন দানা বাঁধে। কেন এই অবহেলা?

মোহিনী মনে মনে বললেন, আমি কি ওকে সুখি করতে পারিনি? নাকি অন্য কোথাও ওর কোনো সম্পর্ক আছে? আগে কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক কি ছিল? না তো! নতুন করে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে? নাকি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি। ও জানে যে আমি বাসায় একা। আমার সময় কী করে কাটে। সেটা তো ওকে ভাবতে হবে। ও না ভাবলে কে ভাববে?

আরেফিন একটা সময় আড্ডাবাজি করে অনেক সময় নষ্ট করেছে। সেটা চাকরি জীবনের আগের কথা। বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন তিনি। বাজে অভ্যাস বলতে এটাই। মদ, গাজা কিংবা জুয়ার আসরে বসার অভ্যাস ছিল না। কাজেই এটাকে নেতিবাচকভাবে নেননি মোহিনী। বিয়ের পরও মাঝেমধ্যে বলেকয়ে আড্ডায় যেত। সেটাও সপ্তাহে একদিন। সময়মতো আবার তিনি ফিরে আসতেন।

আসলে প্রতিদিন সকালে অফিস করতে হলে আড্ডাবাজি করা যায় না। এটা আরেফিন নিজেও ভালো করেই জানেন। ইদানিং তিনি নিয়মিত দেরি করে বাসায় ফেরেন। এর রহস্য খুঁজে পান না মোহিনী।

মোহিনী বিষয়টা জানার জন্য আরেফিনকে সরাসরি জিজ্ঞাসাও করেছেন। কিন্তু আরেফিনের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যখনই মোহিনী প্রসঙ্গটি তুলেছেন তখনই তিনি বলেছেন, আর দেরি হবে না। অথচ প্রতিদিনই তিনি একই কাণ্ড করে যাচ্ছেন।

মোহিনীর চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে। তিনি আর বসে থাকতে পারেন না। একটা সময় বিছানায় গা এলিয়ে দেন। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েন তা তিনি নিজেও জানেন না।

অনেকক্ষণ ধরেই কলিং বেলের আওয়াজ কানে সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ঘুমের রেশ কাটাতে পারছিলেন না মোহিনী। এক পর্যায়ে তিনি ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। স্থির হয়ে বসে থাকেন। তার দুই চোখ তখনো বন্ধ। তিনি চোখ খোলার চেষ্টা করেন। আবার কলিং বেলের আওয়াজ পান। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই তিনি দেখেন ঘড়ির কাঁটা চারটার ঘরে। তিনি মনে মনে বলেন, ওহ মাই গড! চারটা! আরেফিন এখন এলো!

মোহিনী দরজা খুলে দেখে আরেফিন মাথা নীচু করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে দেখে অচেনা মানুষ মনে হয় মোহিনীর। তিনি বিস্ময়ভরা কণ্ঠে জানতে চান, কি হয়েছে! এতো দেরি হলো কেন! কোনো সমস্যা!
আরেফিন নীচু গলায় বললেন, না।
তাহলে দেরি হলো কেন?
একটু দেরি হয়ে গেলো! সরি।

সরি শব্দটাই এখন আর সহ্য করতে পারেন না মোহিনী। ওই শব্দটা ওর মাথা বিগড়ে দেয়। সরি শুনেই মোহিনী চিৎকার দিয়ে বললেন, ডোন্ট সে সরি।

আরেফিন দাঁড়ালেন না। তিনি টলতে টলতে শোবার ঘরের দিকে চলে গেলেন। তার গা থেকে উটকো গন্ধ বের হয়। মোহিনী নাক চেপে ধরে বলেন, তুমি কোথায় গিয়েছিলে? তুমি কি মদ খেয়ে এসেছ? ছি! ছি আরেফিন!

আরেফিন কোনো কথা বললেন না। মোহিনী দরজার সিটকিনি আটকে শোবার ঘরে এসে দেখেন, আরেফিন গভীর ঘুমে ডুবে গেছেন। মরা লাশের মতো পড়ে আছেন তিনি। বড় অসহায় লাগছে তাকে। মোহিনী আর কিছু বললেন না। তিনিও তার পাশে শুয়ে পড়লেন। তার চোখেও গভীর ঘুম নামে। ঘুমের ঘোরে ডুবে যেতে যেতেই আজানের ধ্বনি তার কানে এলো।


চলবে..

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত