শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১

বিষাদ বসুধা

মোহিনীর কপালে বিরক্তির ভাঁজ।

চরম বিরক্তি নিয়ে মধ্যরাত অবধি বসে আছেন মোহিনী। আরেফিন তখনো বাসায় ফেরেননি। মোহিনী বাসায় একা। তিনি আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার চোখজুড়ে ঘুম নেমে আসছে। কিন্তু তিনি ঘুমাতে পারছেন না। আরেফিন বাসায় ফিরলে তারা একসঙ্গে খাবেন। এটাই তাদের প্রতিদিনকার রুটিন। সেই রুটিনের আজ ব্যত্যয় ঘটেছে।

রাত দশটার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা আরেফিনের। কিন্তু তার বাসায় ফেরার নাম নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ। কেন বন্ধ তা মোহিনী বুঝতে পারছেন না। সাধারণত আরেফিন ফোন বন্ধ রাখেন না। বাসায় ফিরতে দেরি হলে তিনি আগে থেকেই জানিয়ে দেন। আজ কেন জানাননি তাও বুঝতে পারছেন না।

আরেফিন বিকেল থেকে একবারও ফোন করেননি। এটাও একটা দুশ্চিন্তার কারণ। রহস্যজনক বলেও মনে হয় মোহিনীর কাছে। তারপরও তিনি কোনো রকম নেতিবাচক ভাবনা আপাতত ভাবতে চাচ্ছেন না। তিনি ধরেই নিয়েছেন; বিশেষ কোনো ব্যস্ততার কারণে আরেফিন ফোন বন্ধ রেখেছেন। বিশেষ কোনো কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। অপেক্ষা করতে করতে দুই ঘণ্টা চলে গেছে। আরেফিন বাসায় ফেরেননি।

মোহিনী এখন ভীষণ বিরক্ত। ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন আর বলছেন, এখনো কেন আসছে না? কি এমন ব্যস্ততা! ব্যস্ততা থাকলে আমাকে একটা ফোন করে জানাতে পারত! না! ওর দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড আর ভালো লাগে না।

মোহিনীর বিরক্তির পারদও চূড়ায় উঠতে শুরু করে। মোহিনী নিজেও সারাদিন অফিস করেছেন। নটা পাঁচটার ছকে বাঁধা সরকারি অফিস নয়। নিজের বাবার সু ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করে বাসার সব কাজ তিনি নিজেই সামলান। বাসায় একজন ছুটা কাজের মহিলা আছে। তার নাম মর্জিনা। সে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে। দশটার দিকেই মোহিনীরা রাতের খাবার খান। এটো থালাবাসন ধুয়েমুছে দিয়ে যায় মর্জিনা। সে রাতের খাবার এই বাসা থেকেই নিয়ে যায়। বেতন দেয়ার পরও মোহিনী এই খাবারটা মর্জিনাকে বাড়তি দেন। কারণ, মর্জিনা ওর দুই বাচ্চাকে স্কুলে পড়ায়। সেই পড়ার খরচও মোহিনী বহন করেন।

মোহিনী খুবই মানবিক ধরনের মানুষ। কারো দুঃখ কষ্ট সে সহ্য করতে পারেন না। নিজে কষ্ট করবেন তবু অন্যের সমস্যা সমাধানে তিনি ঝাপিয়ে পড়বেন। মোহিনী যখন জানতে পারলেন, মর্জিনার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে ওকে আর দুই সন্তানকে রেখে চলে গেছে। তখন থেকে মোহিনী মর্জিনা ও তার দুই সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মর্জিনার পরিবারের অনেক খরচও তিনি বহন করেন।

মোহিনী বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কতটুকুই বা দরকার। তার চেয়ে বেশি রেখে কি হবে? মানুষ মরলে কবরে তো কিছুই নিয়ে যেতে পারে না। শুধু শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ে মানুষ। এসব করে কি লাভ! তার চেয়ে গরীব মানুষদের সাহায্য করলে তারা ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে।

মোহিনী নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলেও সেখান থেকে তিনি বেতন নেন। যে টাকা তিনি আয় করে তার বেশির ভাগই গরীবদের বিলিয়ে দেন। এতেই তিনি তৃপ্তি অনুভব করেন। ভীষণ আনন্দ পান। মোহিনীর মা বাবাও এমনই। তাদের সম্পদও তারা গরীবদের বিলিয়ে দেন। তারা যেহেতু কোনো রকম কষ্টে নেই। সেহেতু মোহিনীরও কষ্ট হবে না। অন্যকে সাহায্য করলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সহায়তা করবে। এটা তার বদ্ধমূল ধারনা।

মোহিনী একবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিনের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলেন। সেটি পড়ে তার এতো ভালো লেগেছে যে, সেটা তার মগজে ঢুকে গেছে। শির বাবা ছোটবেলায় তাকে বলেছিলেন, বাবা তুমি তিনটি বিষয় মনে রেখ। তাহলে দেখবে জীবনে অনেক সাফল্য আসবে। একটি হচ্ছে, লোভ-লালসা সংবরণ করবে। দ্বিতীয়ত, কখনো নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। তৃতীয়ত, মানুষের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিও। মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করলে জীবন বহুগুণ তোমাকে ফিরিয়ে দেবে।

মোহিনীর বাবাও তাকে এরকমই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনিও মেয়েকে বলেছিলেন, লোভ-লালসা জীবনে অনেক ক্ষতির কারণ। আর নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। অন্যের জন্য কিছু কোরো। তাতেই পরম শান্তি।

বাবার সেই পরামর্শ মোহিনী প্রতি মুহূর্তে মনে রেখেছেন। তিনি নিজেও দেখে আসছেন, অন্যের জন্য কাজ করলে নিজের কিছু ক্ষতি হলেও তাতে অনেক প্রশান্তি লাভ করা যায়। মোহিনীর বাবা আরো বলেছেন, সংসার জীবনে ত্যাগ স্বীকার করার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছুই নেই। তুমিও তাই কোরো। তাতে হয়তো তোমার কিছু ক্ষতি হবে। কিন্তু এক সময় দেখবে, তুমিই লাভবান হয়েছ।
মোহিনী তার বাবার কথা চিন্তা করেই দাঁত কামড়ে এই সংসারে পড়ে আছেন। কিন্তু মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে। কখনো কখনো আরেফিন সীমা ছাড়িয়ে যায়। কখনো কখনো তিনি বাউণ্ডলে মানুষের মতো আচরণ করেন। অথচ বিয়ের আগে মোহিনীকে তিনি পাগলের মতো ভালোবাসতেন। তার ভালোবাসার কাছে হার মেনেছিলেন তিনি। বিয়ের পর সেই ভালোবাসা কোথায় গেলো?

মোহিনীর খুব কমই চাওয়া ছিল আরেফিনের কাছে। তিনি কখনো বাড়ি গাড়ি চাননি। চেয়েছেন শুধু ভালোবাসা। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। আরেফিনকে নিয়েই একটা ভালোবাসার সংসার সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর তেমনিভাবেই শুরু হয়েছিল তাদের সংসার। কিন্তু সেই ভালোবাসার তানপুরাতে আগের মতো সেই সুর আর বাজে না। কখনো কখনো বেসুরো হয়ে যায়। এতে মোহিনীর কোনো দোষ নেই। আরেফিনের অবহেলার কারণেই মোহিনীর মনের কোণে প্রশ্ন দানা বাঁধে। কেন এই অবহেলা?

মোহিনী মনে মনে বললেন, আমি কি ওকে সুখি করতে পারিনি? নাকি অন্য কোথাও ওর কোনো সম্পর্ক আছে? আগে কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক কি ছিল? না তো! নতুন করে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে? নাকি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি। ও জানে যে আমি বাসায় একা। আমার সময় কী করে কাটে। সেটা তো ওকে ভাবতে হবে। ও না ভাবলে কে ভাববে?

আরেফিন একটা সময় আড্ডাবাজি করে অনেক সময় নষ্ট করেছে। সেটা চাকরি জীবনের আগের কথা। বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন তিনি। বাজে অভ্যাস বলতে এটাই। মদ, গাজা কিংবা জুয়ার আসরে বসার অভ্যাস ছিল না। কাজেই এটাকে নেতিবাচকভাবে নেননি মোহিনী। বিয়ের পরও মাঝেমধ্যে বলেকয়ে আড্ডায় যেত। সেটাও সপ্তাহে একদিন। সময়মতো আবার তিনি ফিরে আসতেন।

আসলে প্রতিদিন সকালে অফিস করতে হলে আড্ডাবাজি করা যায় না। এটা আরেফিন নিজেও ভালো করেই জানেন। ইদানিং তিনি নিয়মিত দেরি করে বাসায় ফেরেন। এর রহস্য খুঁজে পান না মোহিনী।

মোহিনী বিষয়টা জানার জন্য আরেফিনকে সরাসরি জিজ্ঞাসাও করেছেন। কিন্তু আরেফিনের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যখনই মোহিনী প্রসঙ্গটি তুলেছেন তখনই তিনি বলেছেন, আর দেরি হবে না। অথচ প্রতিদিনই তিনি একই কাণ্ড করে যাচ্ছেন।

মোহিনীর চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে। তিনি আর বসে থাকতে পারেন না। একটা সময় বিছানায় গা এলিয়ে দেন। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েন তা তিনি নিজেও জানেন না।

অনেকক্ষণ ধরেই কলিং বেলের আওয়াজ কানে সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ঘুমের রেশ কাটাতে পারছিলেন না মোহিনী। এক পর্যায়ে তিনি ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। স্থির হয়ে বসে থাকেন। তার দুই চোখ তখনো বন্ধ। তিনি চোখ খোলার চেষ্টা করেন। আবার কলিং বেলের আওয়াজ পান। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই তিনি দেখেন ঘড়ির কাঁটা চারটার ঘরে। তিনি মনে মনে বলেন, ওহ মাই গড! চারটা! আরেফিন এখন এলো!

মোহিনী দরজা খুলে দেখে আরেফিন মাথা নীচু করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে দেখে অচেনা মানুষ মনে হয় মোহিনীর। তিনি বিস্ময়ভরা কণ্ঠে জানতে চান, কি হয়েছে! এতো দেরি হলো কেন! কোনো সমস্যা!
আরেফিন নীচু গলায় বললেন, না।
তাহলে দেরি হলো কেন?
একটু দেরি হয়ে গেলো! সরি।

সরি শব্দটাই এখন আর সহ্য করতে পারেন না মোহিনী। ওই শব্দটা ওর মাথা বিগড়ে দেয়। সরি শুনেই মোহিনী চিৎকার দিয়ে বললেন, ডোন্ট সে সরি।

আরেফিন দাঁড়ালেন না। তিনি টলতে টলতে শোবার ঘরের দিকে চলে গেলেন। তার গা থেকে উটকো গন্ধ বের হয়। মোহিনী নাক চেপে ধরে বলেন, তুমি কোথায় গিয়েছিলে? তুমি কি মদ খেয়ে এসেছ? ছি! ছি আরেফিন!

আরেফিন কোনো কথা বললেন না। মোহিনী দরজার সিটকিনি আটকে শোবার ঘরে এসে দেখেন, আরেফিন গভীর ঘুমে ডুবে গেছেন। মরা লাশের মতো পড়ে আছেন তিনি। বড় অসহায় লাগছে তাকে। মোহিনী আর কিছু বললেন না। তিনিও তার পাশে শুয়ে পড়লেন। তার চোখেও গভীর ঘুম নামে। ঘুমের ঘোরে ডুবে যেতে যেতেই আজানের ধ্বনি তার কানে এলো।


চলবে..

 

Header Ad
Header Ad

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সারা দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শাহবাগ চত্বর।

এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক আবেগঘন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শাহবাগে আসার জন্য।

হাদি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন— “বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।”

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লেখেন— “জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে যেতে চাই আমরা শাহবাগের দাওয়াত নিয়ে। কাইন্ডলি সংশ্লিষ্ট কেউ হেল্প করুন। উনি আমাদের সার্বভৌম অভিভাবক।”

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ হিসেবে মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং অবরোধ শুরু করে।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৭ বছর পর স্বদেশে ফিরে প্রথমবারের মতো মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আজ (শুক্রবার) তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে সশরীরে জুমার নামাজে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জোবাইদা রহমানের নামাজ আদায়ের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন— "ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান।"

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির, তার স্ত্রী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ আরও কয়েকজন।

২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। ফিরে আসার পর থেকে তিনি গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি বাবার বাড়ি ধানমন্ডির মাহবুব ভবনেও যাতায়াত করছেন।

জোবাইদা রহমানের এই জুমার নামাজে অংশগ্রহণ ও জনসম্মুখে উপস্থিতি বিএনপির রাজনৈতিক পরিসরে তার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ইউটিউবে বাংলাদেশের অন্তত চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সীমিত করেছে। শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিসমিস্ল্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এবং মোহনা টেলিভিশন।

ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখন ইউটিউবে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন— "এই ভিডিওটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।"

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জনশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয়—এমন কনটেন্ট বা চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেই ধারার অধীনেই ইউটিউবকে টেকডাউন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিসমিস্ল্যাব।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মিডিয়া কনটেন্টের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যম কূটনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে