শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১

বিষাদ বসুধা

মোহিনীর কপালে বিরক্তির ভাঁজ।

চরম বিরক্তি নিয়ে মধ্যরাত অবধি বসে আছেন মোহিনী। আরেফিন তখনো বাসায় ফেরেননি। মোহিনী বাসায় একা। তিনি আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার চোখজুড়ে ঘুম নেমে আসছে। কিন্তু তিনি ঘুমাতে পারছেন না। আরেফিন বাসায় ফিরলে তারা একসঙ্গে খাবেন। এটাই তাদের প্রতিদিনকার রুটিন। সেই রুটিনের আজ ব্যত্যয় ঘটেছে।

রাত দশটার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা আরেফিনের। কিন্তু তার বাসায় ফেরার নাম নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ। কেন বন্ধ তা মোহিনী বুঝতে পারছেন না। সাধারণত আরেফিন ফোন বন্ধ রাখেন না। বাসায় ফিরতে দেরি হলে তিনি আগে থেকেই জানিয়ে দেন। আজ কেন জানাননি তাও বুঝতে পারছেন না।

আরেফিন বিকেল থেকে একবারও ফোন করেননি। এটাও একটা দুশ্চিন্তার কারণ। রহস্যজনক বলেও মনে হয় মোহিনীর কাছে। তারপরও তিনি কোনো রকম নেতিবাচক ভাবনা আপাতত ভাবতে চাচ্ছেন না। তিনি ধরেই নিয়েছেন; বিশেষ কোনো ব্যস্ততার কারণে আরেফিন ফোন বন্ধ রেখেছেন। বিশেষ কোনো কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। অপেক্ষা করতে করতে দুই ঘণ্টা চলে গেছে। আরেফিন বাসায় ফেরেননি।

মোহিনী এখন ভীষণ বিরক্ত। ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন আর বলছেন, এখনো কেন আসছে না? কি এমন ব্যস্ততা! ব্যস্ততা থাকলে আমাকে একটা ফোন করে জানাতে পারত! না! ওর দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড আর ভালো লাগে না।

মোহিনীর বিরক্তির পারদও চূড়ায় উঠতে শুরু করে। মোহিনী নিজেও সারাদিন অফিস করেছেন। নটা পাঁচটার ছকে বাঁধা সরকারি অফিস নয়। নিজের বাবার সু ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করে বাসার সব কাজ তিনি নিজেই সামলান। বাসায় একজন ছুটা কাজের মহিলা আছে। তার নাম মর্জিনা। সে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে। দশটার দিকেই মোহিনীরা রাতের খাবার খান। এটো থালাবাসন ধুয়েমুছে দিয়ে যায় মর্জিনা। সে রাতের খাবার এই বাসা থেকেই নিয়ে যায়। বেতন দেয়ার পরও মোহিনী এই খাবারটা মর্জিনাকে বাড়তি দেন। কারণ, মর্জিনা ওর দুই বাচ্চাকে স্কুলে পড়ায়। সেই পড়ার খরচও মোহিনী বহন করেন।

মোহিনী খুবই মানবিক ধরনের মানুষ। কারো দুঃখ কষ্ট সে সহ্য করতে পারেন না। নিজে কষ্ট করবেন তবু অন্যের সমস্যা সমাধানে তিনি ঝাপিয়ে পড়বেন। মোহিনী যখন জানতে পারলেন, মর্জিনার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে ওকে আর দুই সন্তানকে রেখে চলে গেছে। তখন থেকে মোহিনী মর্জিনা ও তার দুই সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মর্জিনার পরিবারের অনেক খরচও তিনি বহন করেন।

মোহিনী বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কতটুকুই বা দরকার। তার চেয়ে বেশি রেখে কি হবে? মানুষ মরলে কবরে তো কিছুই নিয়ে যেতে পারে না। শুধু শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ে মানুষ। এসব করে কি লাভ! তার চেয়ে গরীব মানুষদের সাহায্য করলে তারা ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে।

মোহিনী নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলেও সেখান থেকে তিনি বেতন নেন। যে টাকা তিনি আয় করে তার বেশির ভাগই গরীবদের বিলিয়ে দেন। এতেই তিনি তৃপ্তি অনুভব করেন। ভীষণ আনন্দ পান। মোহিনীর মা বাবাও এমনই। তাদের সম্পদও তারা গরীবদের বিলিয়ে দেন। তারা যেহেতু কোনো রকম কষ্টে নেই। সেহেতু মোহিনীরও কষ্ট হবে না। অন্যকে সাহায্য করলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সহায়তা করবে। এটা তার বদ্ধমূল ধারনা।

মোহিনী একবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিনের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলেন। সেটি পড়ে তার এতো ভালো লেগেছে যে, সেটা তার মগজে ঢুকে গেছে। শির বাবা ছোটবেলায় তাকে বলেছিলেন, বাবা তুমি তিনটি বিষয় মনে রেখ। তাহলে দেখবে জীবনে অনেক সাফল্য আসবে। একটি হচ্ছে, লোভ-লালসা সংবরণ করবে। দ্বিতীয়ত, কখনো নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। তৃতীয়ত, মানুষের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিও। মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করলে জীবন বহুগুণ তোমাকে ফিরিয়ে দেবে।

মোহিনীর বাবাও তাকে এরকমই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনিও মেয়েকে বলেছিলেন, লোভ-লালসা জীবনে অনেক ক্ষতির কারণ। আর নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখ না। অন্যের জন্য কিছু কোরো। তাতেই পরম শান্তি।

বাবার সেই পরামর্শ মোহিনী প্রতি মুহূর্তে মনে রেখেছেন। তিনি নিজেও দেখে আসছেন, অন্যের জন্য কাজ করলে নিজের কিছু ক্ষতি হলেও তাতে অনেক প্রশান্তি লাভ করা যায়। মোহিনীর বাবা আরো বলেছেন, সংসার জীবনে ত্যাগ স্বীকার করার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছুই নেই। তুমিও তাই কোরো। তাতে হয়তো তোমার কিছু ক্ষতি হবে। কিন্তু এক সময় দেখবে, তুমিই লাভবান হয়েছ।
মোহিনী তার বাবার কথা চিন্তা করেই দাঁত কামড়ে এই সংসারে পড়ে আছেন। কিন্তু মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে। কখনো কখনো আরেফিন সীমা ছাড়িয়ে যায়। কখনো কখনো তিনি বাউণ্ডলে মানুষের মতো আচরণ করেন। অথচ বিয়ের আগে মোহিনীকে তিনি পাগলের মতো ভালোবাসতেন। তার ভালোবাসার কাছে হার মেনেছিলেন তিনি। বিয়ের পর সেই ভালোবাসা কোথায় গেলো?

মোহিনীর খুব কমই চাওয়া ছিল আরেফিনের কাছে। তিনি কখনো বাড়ি গাড়ি চাননি। চেয়েছেন শুধু ভালোবাসা। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। আরেফিনকে নিয়েই একটা ভালোবাসার সংসার সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর তেমনিভাবেই শুরু হয়েছিল তাদের সংসার। কিন্তু সেই ভালোবাসার তানপুরাতে আগের মতো সেই সুর আর বাজে না। কখনো কখনো বেসুরো হয়ে যায়। এতে মোহিনীর কোনো দোষ নেই। আরেফিনের অবহেলার কারণেই মোহিনীর মনের কোণে প্রশ্ন দানা বাঁধে। কেন এই অবহেলা?

মোহিনী মনে মনে বললেন, আমি কি ওকে সুখি করতে পারিনি? নাকি অন্য কোথাও ওর কোনো সম্পর্ক আছে? আগে কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্ক কি ছিল? না তো! নতুন করে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে? নাকি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি। ও জানে যে আমি বাসায় একা। আমার সময় কী করে কাটে। সেটা তো ওকে ভাবতে হবে। ও না ভাবলে কে ভাববে?

আরেফিন একটা সময় আড্ডাবাজি করে অনেক সময় নষ্ট করেছে। সেটা চাকরি জীবনের আগের কথা। বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছেন তিনি। বাজে অভ্যাস বলতে এটাই। মদ, গাজা কিংবা জুয়ার আসরে বসার অভ্যাস ছিল না। কাজেই এটাকে নেতিবাচকভাবে নেননি মোহিনী। বিয়ের পরও মাঝেমধ্যে বলেকয়ে আড্ডায় যেত। সেটাও সপ্তাহে একদিন। সময়মতো আবার তিনি ফিরে আসতেন।

আসলে প্রতিদিন সকালে অফিস করতে হলে আড্ডাবাজি করা যায় না। এটা আরেফিন নিজেও ভালো করেই জানেন। ইদানিং তিনি নিয়মিত দেরি করে বাসায় ফেরেন। এর রহস্য খুঁজে পান না মোহিনী।

মোহিনী বিষয়টা জানার জন্য আরেফিনকে সরাসরি জিজ্ঞাসাও করেছেন। কিন্তু আরেফিনের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যখনই মোহিনী প্রসঙ্গটি তুলেছেন তখনই তিনি বলেছেন, আর দেরি হবে না। অথচ প্রতিদিনই তিনি একই কাণ্ড করে যাচ্ছেন।

মোহিনীর চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে। তিনি আর বসে থাকতে পারেন না। একটা সময় বিছানায় গা এলিয়ে দেন। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েন তা তিনি নিজেও জানেন না।

অনেকক্ষণ ধরেই কলিং বেলের আওয়াজ কানে সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ঘুমের রেশ কাটাতে পারছিলেন না মোহিনী। এক পর্যায়ে তিনি ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। স্থির হয়ে বসে থাকেন। তার দুই চোখ তখনো বন্ধ। তিনি চোখ খোলার চেষ্টা করেন। আবার কলিং বেলের আওয়াজ পান। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই তিনি দেখেন ঘড়ির কাঁটা চারটার ঘরে। তিনি মনে মনে বলেন, ওহ মাই গড! চারটা! আরেফিন এখন এলো!

মোহিনী দরজা খুলে দেখে আরেফিন মাথা নীচু করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে দেখে অচেনা মানুষ মনে হয় মোহিনীর। তিনি বিস্ময়ভরা কণ্ঠে জানতে চান, কি হয়েছে! এতো দেরি হলো কেন! কোনো সমস্যা!
আরেফিন নীচু গলায় বললেন, না।
তাহলে দেরি হলো কেন?
একটু দেরি হয়ে গেলো! সরি।

সরি শব্দটাই এখন আর সহ্য করতে পারেন না মোহিনী। ওই শব্দটা ওর মাথা বিগড়ে দেয়। সরি শুনেই মোহিনী চিৎকার দিয়ে বললেন, ডোন্ট সে সরি।

আরেফিন দাঁড়ালেন না। তিনি টলতে টলতে শোবার ঘরের দিকে চলে গেলেন। তার গা থেকে উটকো গন্ধ বের হয়। মোহিনী নাক চেপে ধরে বলেন, তুমি কোথায় গিয়েছিলে? তুমি কি মদ খেয়ে এসেছ? ছি! ছি আরেফিন!

আরেফিন কোনো কথা বললেন না। মোহিনী দরজার সিটকিনি আটকে শোবার ঘরে এসে দেখেন, আরেফিন গভীর ঘুমে ডুবে গেছেন। মরা লাশের মতো পড়ে আছেন তিনি। বড় অসহায় লাগছে তাকে। মোহিনী আর কিছু বললেন না। তিনিও তার পাশে শুয়ে পড়লেন। তার চোখেও গভীর ঘুম নামে। ঘুমের ঘোরে ডুবে যেতে যেতেই আজানের ধ্বনি তার কানে এলো।


চলবে..

 

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা ‘রোড টু বালুরঘাট’

প্রতীকী পদযাত্রা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করেছিল কোটি কোটি মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁর অধিকাংশ মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে আশ্রয়ে নেন।

ওই সব শরণার্থীদের দুর্ভোগ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতে ‘রোড টু বালুরঘাট’ নামে প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করে নওগাঁর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ।

প্রতীকী পদযাত্রা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের তাজের মোড় থেকে এ প্রতীকী পদযাত্রা শুরু হয়।

প্রতীকী পদযাত্রাটি শহরের ব্রিজের মোড়, বই পট্টি হয়ে শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। একুশে পরিষদ নওগাঁর সদস্যসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ পদযাত্রায় অংশ নিয়ে একাত্তরে ভারতে শরণার্থী হিসেবে গমনকারী বাঙালিদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।

প্রতীকী পদযাত্রা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

একুশে পরিষদের সভাপতি ডি এম আব্দুল বারী জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার, নিপীড়ন, গণহত্যা থেকে বাচঁতে যুদ্ধের শুরু থেকেই নওগাঁ থেকে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাট শহরে আশ্রয় নেন।

প্রতীকী পদযাত্রা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সে সময় চলার পথে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ দুর্দশার স্মরণ করতে এবং সেসব চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের অনলাইন, অনলাইনের জন্য নিবন্ধিত এবং নিবন্ধন পেতে আবেদন করা অনলাইন গণমাধ্যম ছাড়া বাকি সব অনলাইন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক) মিজান রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬টি অনলাইন আছে। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব।

তিনি বলেন, দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে।

বর্তমান সরকারের ১০০ দিনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী কতোটা সফল? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১০০ দিন খুবই অল্প সময়, বড় রকমের সফলতা দাবি করার জন্য। অনেক কাজ এগিয়েছে, কাজ যখন প্রক্রিয়াধীন থাকে সেটাকে প্রকাশ করা যায় না, ফলাফলটা যখন আসবে তখন করা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারমুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার চমৎকার পরিবেশ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যা যা উপকরণ লাগে সেই বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করতে চাই। আর মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই অপতথ্যের ওপর ভর করে অপরাজনীতি করে।

তিনি বলেন, তথ্য প্রবাহকে অবারিত করতে চাই। তথ্য অধিকার আইন শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে। তথ্য পাওয়ার অধিকার আইনগতভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে সেটাকে বাস্তবে আমরা আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকের তথ্য সরবরাহে কিছুটা অনীহা আছে। তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একটা বার্তা দিয়েছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। আমরা চাচ্ছি তথ্য অধিকার আইনকে আরও সুদৃড় করার জন্য। তথ্য যদি চাওয়া হয় তবে তথ্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। এই তথ্য দেওয়ার বিষয়টি আমাদের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক। এটাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের প্রত্যেকটি স্তরে। যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু প্রশাসনিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি এবং আপনারা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

এসময় সাংবাদিকদের কল্যাণ ফান্ডে ৬০ কোটি টাকা রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্বর্ণের দাম কমলো

ফাইল ছবি

রেকর্ড দাম নির্ধারণের দুদিনের মাথায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা। যা সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

সর্বশেষ সংবাদ

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা ‘রোড টু বালুরঘাট’
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বর্ণের দাম কমলো
উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ ঘোষণা
তীব্র গরম, চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা আউয়াল মিন্টু
শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা
এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত