শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা

 

সোহওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেফিন। তিনি ছাড়া উদ্যানে আর দ্বিতীয় মানুষ নেই। ভরদুপুরে উদ্যানে আরো মানুষ থাকার কথা। অনেকেই গরমের উত্তাপ সইতে না পেরে উদ্যানে গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নেয়। তরুণ ছেলেমেয়েরাও প্রেম করতে যায় উদ্যানে। আজ কেন নেই তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তার নিজের জীবন, তার স্ত্রীর জীবন এবং সংসার জীবন নিয়ে ভাবেন।

দাম্পত্য জীবনে পা দেয়ার পর তার মনে হয়, জীবনটা একেবারে শেকলে বাঁধা। বাধাধরা জীবন। এই জীবন তার জন্য নয়। কেন তিনি শুধু শুধু একটা মেয়েকে ভালোবাসলেন; তাকে বিয়ে করলেন! বিয়ের আগেও যদি কোনোভাবে বুঝতে পারতেন তাহলে তিনি বিয়েই করতেন না।

আরেফিন ভাবেন, তিনি একটা ছোট পরিবারের সন্তান। তার বাবা প্রকৃত অর্থেই চাষা। তার মা পড়ালেখা না জানা এক গৃহিনী। তিনি ছাড়া পরিবারের আর কারো অক্ষরজ্ঞান নেই। গণ্ডমুর্খ বললেও ভুল বলা হবে না। আরেফিন গোবরে পদ্মফুলের মতো। স্রেফ মেধার গুণে উতরে গেছেন। তার উচিত ছিল, ছোট পরিবারের একটা মেয়েকে বিয়ে করা। তা না করে তিনি বিয়ে করেছেন বড় ঘরের মেয়েকে। শুধু বড় ঘরে বললে ভুল হবে, দুই পরিবারের মধ্যে ব্যবধান আকাশ আর পাতাল।

মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকা শহরের তার তিনচারটা বাড়ি। বেশ কয়েকটা ফ্ল্যাট। গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। তবে পরিবারটাকে দেখলে বোঝা যায় না। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মোহিনীর সঙ্গে তার পরিচয়। মোহিনী কেন জানি আরেফিনকে ভালোবেসে ফেলে। আরেফিনের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি তাকে বিয়ে করেন। মোহিনীকে বার বার তার পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন। কিন্তু মোহিনী কোনো কথা শুনতে চাননি। তিনি বলেছেন, আমি তো তোমাকে বিয়ে করব। তোমার পরিবারকে নয়। পরিবার দেখে কি লাভ?

আরেফিন বিয়ের পর থেকে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। বিয়ের পর মোহিনীকে নিয়ে যে গ্রামে যাবে তা হয়ে ওঠেনি। কারণ আরেফিনের মা-বাবা কিংবা ওর ঘরবাড়ি দেখলে মোহিনীর কি প্রতিক্রিয়া হবে তা চিন্তা করেই তার অস্থির সময় কাটে। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় আরেফিনের। মোহিনীর পাশে তাকে বড়ই বেমানান মনে হয়। তাছাড়া সে যে চাকরি করে সেটাও মোহিনীদের স্ট্যাটাসের সঙ্গে যায় না।

মোহিনী আরেফিনকে কয়েকবারই বলেছিলেন, তাদের সু ফ্যাক্টরিতে তাকে যোগ দিতে। কিন্তু মোহিনী যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সে প্রতিষ্ঠানে তিনি সাধারণ একজন কর্মকর্তা হয়ে কি করবেন? তাই তিনি যোগ দেননি। যদিও মোহিনী বলেছিলেন, তোমাকে প্রথমে কাজটা শিখতে হবে। ব্যবসাটা বুঝতে হবে। আত্মস্থ করতে হবে। নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। ব্যবসাটাকে নিজের মনে করতে হবে। তারপর তোমাকে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে আমরা নিয়োগ দিতে পারি। তার আগে নয়।

মোহিনীর এই প্রস্তাবে রাজি হননি আরেফিন। তিনি বলেছেন, আমি আসলে ব্যবসা বুঝি না। ব্যবসায় মন বসাতে পারব না। লাভক্ষতির হিসাব আমার ভালো লাগে না। আমি আমার নিজের মতো করেই কাজ করি। দেখি আমি কতটা কি করতে পারি।

আরেফিনের অগ্রগতি মন্থর। তিনি আগাচ্ছেন খুব ধীরে। এতে তার ভেতরে হতাশা তৈরি হয়। তিনি হীনমন্নতায় ভোগেন। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় তার। আরেফিন যে ফ্ল্যাটটিতে থাকেন সেটি মোহিনীর কেনা। বনানীতে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি দুজনের জন্য বেশ বড়ই বলা চলে। তাদের একটি গাড়ি আছে। সেটিও মোহিনীর কেনা। বাসার বাজার আসে মোহিনীদের বাসা থেকে।
মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ প্রতি মাসে নিজের এবং মেয়ের জন্য বাজার করেন। ফলে বাসার ব্যাপারে আরেফিনকে মোটেই ভাবতে হয় না। এটাই যেন আরেফিনের কাল হয়েছে। কথায় বলে না, অধিক সুখ সবার কপালে সয় না। আরেফিনও অধিক সুখে কেমন যেন হয়ে গেছে। ছোট পরিবার থেকে উঠে এলে মনটাও বুঝি ছোটই থাকে। ছোটলকিপনা থেকেই যায়।

আরেফিন নীচু মানসিকতার গণ্ডি থেকে বের হতে পারছেন না। চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন, সবকিছু ভুলে মোহিনীকে মনেপ্রাণে ভালোবাসবেন। তাকে গভীর ভালোবাসায় আগলে রাখবেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন দূরত্ব বাড়ছে। এটা আরেফিনের ইচ্ছাকৃত না নয়। মানসিক দূরত্ব থেকে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেউ কাউকে আদর করেন না। গভীর আবেগ জড়িয়ে ধরেন না। ঠোটে ঠোট, শরীরে শরীর মেলান না। অথচ তাদের এখন ভরা যৌবন।

আরেফিন হাত পা ছড়িয়ে মাঠের মধ্যে বসেছেন। সিগারেট ধরিয়ে কয়েকটা টান দিয়ে আকাশের দিকে কুন্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছেন। তারপর আবার চুপচাপ বসে আছেন। সিগারেট দুই আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরে আছেন। ধীরে ধীরে সিগারেট জ্বলছে। হঠাৎ এক পাগলা ধরনের লোক এসে তার সামনে দাঁড়িয়েছে। তার মাথায় দুটি বিশালাকারের জট। মুখভর্তি দাড়ি। জীবনে কখনো সেভ করেছে কি না কে জানে। দেখে মনে হয় না। গায়ে কাপড় খুব একটা নেই। হয়তো কখনো গোসলও ঠিকমতো করে না।

লোকটা আরেফিনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বলল, কিরে তোর সিগারেট তো পুড়ছে। মনটাকেও ওভাবে পোড়াচ্ছিস? এমন করে মন পুড়ে কি হবে? যা যা! বাড়ি যা। মনটাকে শান্ত কর।
আরেফিন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তার মনে প্রশ্ন, লোকটা তার মনের খবর জানে কিভাবে? তা কি সত্যিই কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে।

আরেফিন কি মনে করে যেন লোকটার দিকে হাতের সিগারেটটা এগিয়ে দেয়। ততক্ষণে লোকটা ওর সামনে থেকে উধাও। চারদিকে তাকায় সে। কোথাও নেই। নেই তো নেই। কোথায় গেলো লোকটা? চোখের সামনে এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল! আর এখন নেই!

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, আমি কি ভুল দেখলাম! না তো!

আরেফিন আবার সিগারেট টানে। একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে। কিন্তু মন কিছুতেই স্থির হয় না। ভেতরে ভেতরে কেমন যেন ছটফটানি। হঠাৎ হঠাৎ সবকিছু কেমন খালি খালি লাগে। মাথাটা শূন্য হয়ে যায়।

কিছু সময় পর আরেকজন লোক আরেফিনের সামনে এসে দাঁড়ায়। তার ভাবসাব দেখে মনে হয় কিছু বলতে চায়। কিন্তু আরেফিন তার কথা শুনতে চান না। তিনি আরেকদিকে তাকিয়ে থাকেন। আরেফিন যেদিকে তাকান লোকটা সেদিকে গিয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে বলে, ভাই পকেটে টাকা হবে?

আরেফিন এবার বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকান। লোকটা তখন তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে, আমি চাইলে আপনার কাছ থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিতে পারি। কিন্তু আমি তা করতে চাই না। কারণ, আপনাকে দেখে বড় অসহায় লাগছে।

আরেফিনের চোখেমুখে আরো বিস্ময়। তার বিস্ময় দেখে লোকটা আবার বলে, আমার ভীষণ ক্ষুধা লাগছে। টানা তিনদিন পেটে কোনো দানাপানি পড়েনি। আর চলতে পারছি না। আমাকে কিছু টাকা দেবেন। ভাত খাবো।
আরেফিন কোনো বাক্য ব্যয় না করে মানিব্যা
গ থেকে পাঁচশ’ টাকার একটি নোট বের করে লোকটার সামনে এগিয়ে দিলেন। লোকটা টাকা হাতে নিয়ে মুচকি হেসে বলল, ধন্যবাদ।

টাকা হাতে পেয়ে লোকটা টিএসসির দিকে চলে গেলো। আরেফিনও আর সেখানে থাকলেন না। তিনি ধীরে ধীরে শাহবাগের দিকে রওয়ানা হলেন। পাগলা লোকটার কথা তার বার বার মনে পড়ছে। লোকটা হঠাৎ এলো আবার চোখের পলকে চলে গেলো। কিন্তু সে যা বলে গেলো তা সত্যিই বিস্ময়কর। আগে কোনোদিন এ ধরনের লোক চোখে পড়েনি।

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, ইশ! লোকটাকে যদি পেতাম! যে মনের খবর জানে তার কাছে নিশ্চয়ই মন ভালো করার ওষুধও আছে। আমি যাকে বিয়ে করেছি তার সঙ্গে কি আমার সংসারটা টিকবে? কি জানি। না টিকলে আর কী করা! জোড়াতালি দিয়ে তো আর সংসার টিকানো যায় না।

আরেফিন দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে আবার হাঁটতে থাকেন।

আরেফিনের এক বন্ধু সওগাত আলী ঢাকা ক্লাবের সদস্য। তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বললেন, সওগাত, তুই আছিস তো! আমি কিন্তু আসছি।

সওগাত আলীর সঙ্গে কথা শেষ করে মোবাইল বন্ধ করলেন। পরপর পকেটে ঢুকিয়ে ঢাকা ক্লাবের দিকে এগিয়ে গেলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি ঢাকা ক্লাবে গিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো ছিল লাঞ্চ কিংবা ডিনার পার্টি। আজ যাচ্ছেন মদ খেতে। সওগাতকে আগে থেকেই তিনি বলে রেখেছেন। সওগাত আলীও প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন।

সওগাত আলী আরেফিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এখন বেশ কয়েকটা গার্মেন্টসের মালিক। ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্য। টাকা পয়সা প্রচুর। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোনো না কোনো ক্লাবে তিনি আড্ডায় বসেন। সেই বন্ধু অনেকবার আরেফিনকে ক্লাবে দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি যাননি। আজ নিজেই তিনি বন্ধুর কাছে ক্লাবে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সওসাত আলী ক্লাবে আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এরমধ্যে কয়েকবার ফোনে তাদের যোগাযোগ হয়েছেন। ক্লাবে গিয়ে অভ্যর্থনার সামনে দাঁড়াতেই সওগাত আলী তার কাছে এগিয়ে যান। তাকে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দুজন করমর্দন ও কোলাকুলি দুই-ই করেন। তারপর ক্লাবে ঢোকেন। দুই বন্ধু গল্প করেন আর মদ গেলেন। আরেফিন একে বলে পাগলা পানি। সেই পাগলা পানি উদরে পড়তে না পড়তেই অল্প কথা বলার মানুষ আরেফিনের মুখে যেন খই ফোটে। অবাক বিস্ময়ে সওগাত আলী আরেফিনকে দেখেন। আর মনে মনে বলেন, আমার বন্ধু হঠাৎ এতো কথা বলছে! হুম! বুঝেছি, পেটে মদ পড়লে বন্ধুর হুঁশ থাকে না। মুখ দিয়ে শুধু কথা বের হয়।

সওগাত আলী বন্ধুর কাছে জানতে চান মোহিনী সম্পর্কে। কেমন চলছে মোহিনী আর আরেফিনের সংসারজীবন। তারা সুখে আছে নাকি দুঃখে। এরমধ্যেই দুজনের অবস্থা ঢুলু ঢুলু। পাগলা পানির প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। মাথাটা কেমন ঘুরতে শুরু করে। পেটের কথা কী আর পেটে থাকে! মোহিনীর সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্কের কথা জানায় বন্ধুকে। শুরু থেকেই যে তাদের বনিবনা হচ্ছে না তা সবিস্তারে বলতে থাকেন। সওগাত আলী নিজের স্ত্রীর বিষয়ে নানা কথা বলে। উভয়েই উভয়ের স্ত্রীর বিষয়ে বলে যেন সীমাহীন আনন্দ উপভোগ করেন।

অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম করে যে এতো আনন্দ পাওয়া যায় তা আরেফিন আজ প্রথম টের পেলেন।

 

চলবে...

 

আরও পড়ুন:

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

 

 

Header Ad
Header Ad

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সারা দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শাহবাগ চত্বর।

এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক আবেগঘন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শাহবাগে আসার জন্য।

হাদি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন— “বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।”

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লেখেন— “জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে যেতে চাই আমরা শাহবাগের দাওয়াত নিয়ে। কাইন্ডলি সংশ্লিষ্ট কেউ হেল্প করুন। উনি আমাদের সার্বভৌম অভিভাবক।”

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ হিসেবে মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং অবরোধ শুরু করে।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৭ বছর পর স্বদেশে ফিরে প্রথমবারের মতো মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আজ (শুক্রবার) তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে সশরীরে জুমার নামাজে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জোবাইদা রহমানের নামাজ আদায়ের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন— "ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান।"

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির, তার স্ত্রী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ আরও কয়েকজন।

২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। ফিরে আসার পর থেকে তিনি গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি বাবার বাড়ি ধানমন্ডির মাহবুব ভবনেও যাতায়াত করছেন।

জোবাইদা রহমানের এই জুমার নামাজে অংশগ্রহণ ও জনসম্মুখে উপস্থিতি বিএনপির রাজনৈতিক পরিসরে তার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ইউটিউবে বাংলাদেশের অন্তত চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সীমিত করেছে। শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিসমিস্ল্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এবং মোহনা টেলিভিশন।

ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখন ইউটিউবে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন— "এই ভিডিওটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।"

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জনশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয়—এমন কনটেন্ট বা চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেই ধারার অধীনেই ইউটিউবকে টেকডাউন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিসমিস্ল্যাব।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মিডিয়া কনটেন্টের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যম কূটনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে