বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩২

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান ঘুমের ঘোরে মোহিনীকে ডাকছেন। নীলিমা খান অবাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। ওই নাম শুনে তার শরীরে কাঁপন ধরেছে। বুকের মধ্যে চিনচিন করে ব্যথা শুরু হয়েছে। মাথাটা উথালপাথাল ঘুরছে। আতঙ্ক আর বিস্ময়ভরা কণ্ঠে তিনি বললেন, এ কী সর্বনাশা কাণ্ড! মোহিনী! এ নাম তো আগে কখনো শুনিনি! তার বান্ধবীর তালিকায় আরেকটি নাম নতুন যুক্ত হলো! নাকি মোহিনীর প্রেমে সে দেওয়ানা! ঘুমের ঘোরে কখন মানুষ কারও নাম ধরে ডাকে?

নীলিমা খান উৎকট মদের গন্ধ টের পান। শাহবাজ খান যে রাতভর মদ গিলেছে সেই কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। তিনি জানেন, শাহবাজ খানের পেটে মদ পড়লেই মনের কথা সব বেরিয়ে যায়। মোহিনীর সঙ্গে নিশ্চয়ই তার কোনো বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথবা নতুন তৈরি হয়েছে। তা না হলে এই নাম বলার কথা না। মোহিনার নাম শোনার পরই তার মাথায় আগুন ধরে যায়। তিনি শাহবাজ খানের কাছে এগিয়ে যান। তাকে ডাকেন। এই! শাহবাজ! কী হয়েছে তোমার?

শাহবাজ খান এদিক সেদিক মোড়ামুড়ি দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। নীলিমা শাহবাজ খানের মোবাইল হাতে নিয়ে কললিস্ট দেখেন। কললিস্টে মোহিনীর নাম দেখে তার মেজাজটা আরও বিগড়ে যায়। তিনি নম্বরটা নিজের মোবাইলে সেভ করেন। তারপর বিছানা ছেড়ে সোফায় গিয়ে বসেন। রাজ্যের ভাবনা তার মাথায় ঘুরপাক খায়। মোহিনী কে? কী করে সে? সে কি কোনো মডেল? নাটক-সিনেমা করে? নাকি অন্য কিছু...? নীলিমা মনে মনে এও ভাবেন, শাহবাজ খান কিছুতেই মোহিনীর কথা স্বীকার করবে না। সে যে তার নাম ধরে ডেকেছে এটাকে বলবে, আমার বানানো গল্প। ইস! আমি যদি রেকর্ড করে রাখতাম! এত দ্রুত কি আর রেকর্ড করা সম্ভব! মোহিনী নামটা আগে কখনো আমি শুনিনি। এটা যে নতুন জুটেছে সেটা আমি নিশ্চিত। ঘুম ভাঙার পর তাকে ধরতে হবে। মোহিনী কে তা তাকে বলতে হবে।

এসব কথা ভাবতে ভাবতেই নীলিমা কেঁদে ওঠেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করেও পারেন না। কাজের লোকগুলো বাইরে থেকে কান্নার শব্দ পেয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। কৌতূহলের বসে দরজা নক করে। নীলিমা ধমকের সুরে বলেন, এই কে! মুহূর্তের মধ্যে সবাই চলে যায়। তারা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নীলিমা বসে থাকেন। তার মাথায় হাজারো ভাবনা ঘুরপাক খায়। তিনি নিজের মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢোকেন। শাহবাজ খানের ফ্রেন্ডলিস্ট দেখেন। পাঁচহাজার বন্ধু তালিকায় মোহিনী নাম নেই। তার ফলোয়ারের সংখ্যা দুই লাখ। নিশ্চয়ই ফলোয়ার তালিকায় থাকবে। নীলিমা এবার নিজের ফেসবুকে মোহিনী নাম সার্চ দেন। বেশ কিছু নাম তার মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। কেউ ছাত্রী। কেউ চাকরিজীবী। কেউ গৃহিণী। চেহারা দেখে একটাও তার পছন্দ হয় না। তার মনেই হয় না, এর মধ্যে কেউ শাহবাজ খানের বান্ধবী হবে। তারপরও তিনি মনে মনে বলেন, পুরুষ মানুষকে ভিমরতিতে পেলে কাজের লোকের সঙ্গেও শুতে পারে। সে তুলনায় এগুলো তো ভালোই!

নীলিমার কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে। সংসার শুরুর সময়ও সে এ রকম ঝামেলায় পড়েছিল। প্রতিরাতে মদ খেয়ে শাহবাজ খান একেক জনের নাম ধরে ডাকত! কী যে ভয়ঙ্কর ছিল সেই সময়গুলো! তার অসংখ্য বান্ধবী। এদের কেউ না কেউ তার বিদেশ যাত্রার সঙ্গী হতো। এ নিয়ে কত ঝগড়াঝাটি, কান্নাকাটি করেছে! কোনো কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করল। তারপর কিছুদিন বন্ধ ছিল। ইদানিং আবার বান্ধবীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে।
নীলিমা মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, এর একটা বিহিত করতেই হবে। সে যদি তার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে আমি আর থাকব না। অথবা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করব। তার আগে বিষয়টা কি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানাব? বার বার সে একই কাণ্ড করবে; আর আমি শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে নালিশ করবে! এই করে কতদিন! আমি বরং তাকেই জিজ্ঞাসা করি। সে আসলে কী চায়? কেন সে আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে? সে কি ভাবছে, আমার আর যাওয়ার জায়গা নেই! সেটা যদি ভেবে থাকে তাহলে সে আমাকে ভুল চিনেছে। আমি ছেলে মেয়ে দেখব না। নিজের জীবনই যদি বিপন্ন হয় তাহলে ওসব দিয়ে কী হবে!

নীলিমা আবার কাঁদেন। কাঁদতে কাঁদতে দুই চোখ ফুলে যায়। তিনি বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করেন। চোখে পানির ঝাপটা দেন। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। মনকেও শক্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেন। দেখ নীলিমা; তোমাকে অনেক বেশি শক্ত হতে হবে। এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। তোমার বাবা অনেক সম্পদ তোমার জন্য রেখে গেছেন। তুমি যদি চলেও যাও তাহলে তোমার কোনো সমস্যা হবে না। ইচ্ছা করলে তোমার দুই প্রজন্ম শুয়ে বসে খেতে পারবে। এত কী ভাবছ! তুমি শাহবাজের মুখোমুখি দাঁড়াও। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাও। দেখ কি জবাব দেয়। তুমি যদি তার জবাবে সন্তুষ্ট না হও তখন সরাসরি তাকে বলবে। কঠিনভাবে বলবে। দেখ শাহবাজ, তুমি যদি তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে না পারো তাহলে কিন্তু আমি আর থাকব না। আমাকে তুমি হারাবে।

নীলিমা আবার ঘরে আসেন। সোফায় হেলান দিয়ে বসেন। শাহবাজ খানের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু তার ঘুম থেকে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই। সম্ভবত আরও কয়েক ঘণ্টা সে ঘুমাবে। সারাদিন ঘুম থেকে নাও উঠতে পারে। নীলিমা আর অপেক্ষা না করে বাইরে বের হন। বাচ্চাদের খোঁজখবর নেন। তারপর বাচ্চাদের নিয়ে নাশতার টেবিলে যান। অনেকদিন পর নীলিমা আবার শাহবাজ খানের মুখোমুখি হন। তার কাছে তিনি জানতে চান, তুমি আমাকে সত্যি করে বলো, হু ইজ মোহিনী? একটুও মিথ্যা বলবে না।
মোহিনী? কেন, কী হয়েছে?
আমি যা জানতে চেয়েছি তার জবাব দাও।
আচ্ছা, হঠাৎ মোহিনীকে নিয়ে তুমি এত উত্তেজিত কেন?
কারণ নিশ্চয়ই আছে। তুমি বলো কে সে?
আমার একটা ফ্রেন্ড। একসঙ্গে পড়েছি।
তাই! কই আগে তো কখনো বলোনি!
বলিনি প্রসঙ্গ আসেনি।
দুয়েক দিনের মধ্যে তার সঙ্গে কি দেখা হয়েছে?
না।
কথা হয়েছে?
হ্যাঁ।
আর তাতেই সারাক্ষণ তার নাম জপছো!
মানে!
ভোরে ঘুমের ঘোরে মোহিনী মোহিনী বলে ডাকাডাকি করেছ। কেন করেছ?
বোগাস কথা বলার আর জায়গা পাও না!
মোটেই না। আমি তাহলে মোহিনীর নাম কি করে জানলাম?
সেটা আমি কী করে জানব?
দেখ, এসব বাদ দাও। আর যদি বাদ দিতে না পারো সেটাও আমাকে খোলাখুলি বলো।
কী বাদ দেব? আমার বন্ধুবান্ধব?
না। তোমার বান্ধবীদের বাদ দেবে।
আচ্ছা, কিছু দিন পর পর তোমার কী হয়? এমন কেন করো তুমি?
তুমি করাও বলেই তো করি! তুমি আমার পাশে শুয়ে আরেক নারীর নাম জপবে; আর আমি তা সহ্য করব? মোটেই না। কিছুতেই না।
আমার মনে হয় তোমার মানসিক সমস্যা আছে।
মানসিক সমস্যা যদি হয়েই থাকে সেটা তোমার কারণে।
বাজে কথা রাখো তো!
কোনটা বাজে কথা?
তুমি যা বলছ।
সত্য কথাগুলো সব বাজে কথা; তাই না?
নীলিমার কথায় শাহবাজ খানের মেজাজ চড়ে যায়। তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। তাহলে কিন্তু ভালো হবে না।
নীলিমা ক্রোধের দৃষ্টিতে শাহবাজ খানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তারপর বলেন, বাড়াবাড়ি আমি করছি না তুমি করছ?
আবার কথা বলো! ভালো না লাগলে তোমার সিদ্ধান্ত তুমি নিতে পারো। আমার ঝগড়াঝাটি ভালো লাগে না।
ঠিক আছে। আমার সিদ্ধান্ত আমিই নেব।
কথা শেষ করে নীলিমা হনহন করে চলে গেলেন। বিরক্তি আর বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে শাহবাজ খান তার চলে যাওয়া দেখলেন।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩১

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩০

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১