বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৩১

বিষাদ বসুধা

করোনার কারণে এবার ঈদ কাটল নিরানন্দে। এ রকম ঈদ মুসলমানদের জীবনে বিগত একশ’ বছরেও আসেনি। মক্কার পবিত্র কাবা শরিফ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সৌদি সরকার সাতাশ ফেব্রুয়ারি (দুই হাজার বিশ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে হজ ও ওমরাহ ভিসা স্থগিত করে দিয়েছে। এমনকি পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে তাওয়াফও স্থগিত করা হয়।

ইতিহাসে আছে, নবম হিজরিতে হজ ফরজ হওয়ার পর থেকে যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা, মহামারির প্রাদুর্ভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকবার হজ ও ওমরাহ বন্ধ ছিল। সেটা হাজার বছর আগের কথা। সাধারণত কাবা শরিফ কখনো বন্ধ থাকে না। দিবারাত্র চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে। সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সেখানে যান। সারাক্ষণই তারা জিকির আসকার করেন। নামাজ আদায় করেন। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পানাহ চান। এবারই তার ব্যত্যয় ঘটল। করোনায় কাবা শরিফের দরজাও বন্ধ করে দিতে হল।

বাংলাদেশে অবশ্য বিধিনিষেধ মেনে সীমিত আকারে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। খুব কম সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে খুব সতর্কতা ঢাকা শহরের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত হয়েছে। আসিফ আহমেদের বাসা মসজিদ লাগোয়া। বাসা থেকে মাইকে ইমামের বক্তৃতা, নামাজের একামত সবই শোনা যায়। তাই তিনি মসজিদে যাওয়ার ঝুঁকি নিলেন না। তিনি ঘরে বসেই ঈদের নামাজ আদায় করলেন। বাসাতেই ঈদের ছুটি কাটালেন। প্রতিবার কোরবানির ঈদে তার বাসায় ভাইবোনরা ও তাদের ছেলেমেয়েরা আসে। ভীষণ আনন্দ হয়। এবার কেউ আসেনি। তিনিও কারো বাসায় যাননি। টানা চারদিন বাসায় শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন।

ঈদের একদিন পরই অফিস খুলে যায়। আসিফ আহমেদ সকাল সকাল অফিসে যান। তার মতে, অফিসের শীর্ষ ব্যক্তি সময়মতো অফিসে না গেলে অন্যরা গাফিলতি করে। তাই তিনি কোনো অবস্থাতেই অফিসে দেরি করেন না। করোনায় ঝুঁকি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন অফিস করেন। যদিও অফিসের অনেকের জন্য ‘হোম অফিস’ চালু করেছেন। যাতে পুরো টিম আক্রান্ত হয়ে না যায় সেজন্যই এই ব্যবস্থা।

আসিফ আহমেদ গাড়ি থেকে অফিসের গেটে নামার পর দেখে সেনিটাইজার কিংবা নিরাপত্তাকর্মীরা কেউ নেই। দুএকজন পিওন দাঁড়িয়ে আছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অফিস ঝাড়াপোছা করছে ঠিকই। কিন্তু তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা হেলেদুলে চলছে। কাজে ভালোভাবে হাত লাগাতে পারছে না।

চারদিন ছুটি কাটানোর পর সবার মধ্যেই এক ধরনের আলসেমি ভাব থাকে। যাই যাচ্ছি করে অফিসে যেতে দেরি করে। কিন্তু পত্রিকা অফিসে যাই যাচ্ছি করলে চলে না। বলতে হয় এখনই যাচ্ছি। পত্রিকার অনলাইন খোলা ছিল। এই শাখার সংবাদকর্মীরা ঈদের দিনও অফিসে এসে কাজ করেছে। ওরা নিজেদের বাসা থেকে খাবার এনে খেয়েছে।

আসিফ আহমেদ অফিসে এসেই অনলাইন শাখার কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাদের খোঁজখবর নেন। তারপর নিজের দপ্তরে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইলে ফোন আসে। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখেন, এমডি সাহেব ফোন দিয়েছেন। ফোন ধরে সালাম জানিয়ে আসিফ আহমেদ তাকে ঈদ মোবারক জানান। শাহবাজ খান ঈদ মোবারক জানিয়েই বললেন, আগামী রবিবার আপনার সঙ্গে মিটিং। সকাল এগারোটার মধ্যে চলে আসবেন। দেরি করবেন না। তালিকাটা নিয়ে আসবেন।

শাহবাজ খান আর কোনো কথা বললেন না। তিনি হঠাৎ করেই ফোন রেখে দিলেন। আসিফ আহমেদ ভাবনায় পড়ে যান। আবার সেই তালিকা! ছাঁটাই না করে তিনি শান্তি পাচ্ছেন না! কে তার মাথায় এটা ঢোকাল? হিসাব বিভাগ? ওদের তো কাজ একটাই। আয় কমেছে কাজেই লোক কমাও। এটাকে যে অন্যভাবে ম্যানেজ করা যায় সেটা ভাবে না। মিডিয়াবান্ধব হিসাবরক্ষক না হলে যা হয়! শুধু কস্ট-কাটিংয়ের কথা মাথায় রাখে। আর কিছু চিন্তা করে না। একটা বড় পত্রিকা। পত্রিকা ভালো না হলে পাঠকরা ছুড়ে ফেলবে। আর একবার ছুড়ে ফেললে সেটা আর হাতে তুলবে না। ডাসবিনে যেমন মানুষ কাগজ ছুড়ে ফেলে তেমনি পত্রিকাটাও ছুড়ে ফেলবে। এটা মালিক কর্তৃপক্ষও ভালো করেই জানে। জানে না হিসাব বিভাগ। ওরা চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য সারাক্ষণ কস্ট-কাটিংয়ের হিসাব কষে।

হিসাবরক্ষকদের হিসাবের গ্যাড়াকলে পড়েছি আমরা। এর আগে কস্ট-কাটিং করতে গিয়ে পত্রিকার সার্কুলেশনই কমিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক লক্ষ কাগজ কমিয়ে দিয়েছে। এখন চেষ্টা করেও আর সার্কুলেশন বাড়ানো যাচ্ছে না। পত্রিকা হচ্ছে স্ত্রীলোকের মতো। একবার ঘর থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ তাকে আর ঘরে তুলতে চায় না। সবাই চায় সার্কুলেশন বাড়াতে। আর এরা হিসাবরক্ষকদের কথায় সার্কুলেশন কমিয়ে এখন হায় হায় করছে। তারপরও সার্কুলেশনের লোকরাই এদের কাছে প্রিয়।

এ এক অদ্ভুত ধরনের অফিস। হিসাবরক্ষকদের কথা ছাড়া এরা এক চুলও নড়ে না। এরা এত বড় কীভাবে হলো তা আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। সবাই দেখল, হিসাবরক্ষকের কথায় পত্রিকার সার্কুলেশন কমিয়ে কতবড় ক্ষতি হয়েছে! অথচ সেই লোকটি বহাল তবিয়তে আছে! তার সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। পদোন্নতি হয়েছে। অথচ দশ বছরেও অনেক সাংবাদিকের কোনো পদোন্নতি হয়নি। পদোন্নতির কথা বলতে গেলেই সোরগোল ওঠে, খরচ বেড়ে যাবে। কিছুতেই এটা করা যাবে না। পদোন্নতিই যদি না হয় তাহলে কিসের আশায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটা ছেলে এখানে বছরের পর বছর পড়ে থাকবে! কেন পড়ে থাকবে। সে তো তার ক্যারিয়ারের জন্য অন্যত্র ছুটবেই।

বিষয়গুলো নিয়ে আসিফ আহমেদ বড্ড বেশি ভাবছেন। তিনি কিছুতেই মানতে পারেন না। তার মধ্যে ভয়ানক রকম অস্বস্তি হয়। অফিসের স্বার্থে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। কখনো কখনো ধৈর্যও ধরতে হয়। সেটা সে ধরেও। কিন্তু যখন ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়! লেবু অতিরিক্ত কচলালে তিতা হয়ে যায়। এটা সবাই জানে। তারপরও কচলাতেই থাকে। এই অফিসটাকেও লেবুর মতো কচলানো হচ্ছে। তাই অফিসটি দিনে দিনে তেতো হয়ে যাচ্ছে।

বিষয়গুলো নিয়ে আসিফ আহমেদ অনেকক্ষণ ধরে ভাবেন। তারপর মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে তিনি চাকরি করবেন না। তিনি নিজের সঙ্গে অনেক বোঝাপড়া করেছেন। অতঃপর তিনি একটি পদত্যাগপত্র লিখলেন।

শাহবাজ খান সকালে অফিসে এসেই আসিফ আহমেদকে ডেকে পাঠালেন। মিডিয়া অফিসের খুব কাছাকাছি করপোরেট অফিস। তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এমডি সাহেবের অফিসে গিয়ে পৌঁছলেন। এমপি সাহেবের পিওন আসিফ আহমেদকে দেখেই বলল, স্যার আপনি এসেছেন? স্যার আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আসেন স্যার, আসেন।
আসিফ আহমেদ এমডি সাহেবের অফিসে ঢোকামাত্র তিনি তাকে উদ্দেশ করে বললেন, তালিকা এনেছেন?
আসিফ আহমেদ অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বললেন, সরি, কিসের তালিকা?
শাহবাজ খান বিরক্তির সঙ্গে বললেন, আপনাকে না বললাম ছাঁটাইয়ের তালিকা করতে!
আসিফ আহমেদ নরম গলায় বললেন, ছাঁটাইয়ের তালিকা আমি করিনি। আর এ মুহূর্তে আমার পক্ষে ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। ছাঁটাই করলে আমি চলে যাওয়ার পর করেন।
শাহবাজ খান বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, মানে!
আমি পদত্যাগ করছি। এ ছাড়া আমি কোনো বিকল্প পথ দেখছি না।
শাহবাজ খান বললেন, ঠিক আছে। আপনি যখন কিছুতেই আমার প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেন না; তখন আর কী করা! আমার তো অফিসটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে!
আমি কিন্তু আপনাকে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওই প্রস্তাবটি বিবেচনা করলে ছাঁটাইয়ের মতো মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হতো না। আসিফ আহমেদ বললেন।
শাহবাজ খান বললেন, আমরা ছাঁটাইয়ের বিকল্প কিছু ভাবছি না।
আসিফ আহমেদ আর কোনো কথা না বাড়িয়ে নিজের হাতে ফাইলের ভেতরে রাখা পদত্যাগপত্রটি শাহবাজ খানের দিকে এগিয়ে দিলেন। তিনি পদত্যাগপত্রের দিকে একবার তাকালেন। মুহূর্তের মধ্যে তার মুখাবয়বে যেন কালো ছায়া পড়ল। কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর আসিফ আহমেদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ঠিক আছে। ভালো থাকবেন।
আসিফ আহমেদ বের হয়ে অফিসের দিকে গেলেন। তিনি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানরা ছুটে এল তার কক্ষে। অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে জানতে চাইল, এমডি সাহেবের সঙ্গে মিটিং কেমন হলো? ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত কি স্থগিত করা গেছে?
আসিফ আহমেদ মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে রইলেন। দীর্ঘদিন ধরে অনেক যত্নে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন সেটি তাঁকে আজ ছেড়ে যেতে হবে। এই মর্মবেদনা তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছেন না। তারা ভীষণ কান্না পাচ্ছে। কিন্তু কাঁদতেও পারছেন না। তিনি চলে গেলে যদি সবার চাকরি থাকত তাহলেও তিনি নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতেন। তিনি চলে যাওয়ামাত্রই ছাঁটাই শুরু হয়ে যাবে। কতজন যে চাকরি হারায় কে জানে! বেতন হয়তো সবারই কমে যাবে।

আসিফ আহমেদকে বিমর্ষ দেখে কারো আর বুঝতে বাকি রইল না। তারপরও জানার কৌতুহল। সম্পাদকের মুখ থেকে শোনার কৌতুহল। কিন্তু সম্পাদক যে ভেতরে ভেতরে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে! নিজের আবেগ সংবরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তা কি কেউ বুঝতে পারছেন? তা বুঝতে পারলে হয়তো কেউ আর প্রশ্ন করত না।
অবশেষে আসিফ আহমেদ ধরা গলায় বললেন, আমি চলে যাচ্ছি। তোমরা ভালো থেক। পত্রিকাটাকে ভালো রেখ।
সবাই বিস্ময়ের দৃষ্টিতে আসিফ আহমেদের দিকে তাকিয়ে রইল।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩০

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

এসএন 

Header Ad
Header Ad

ফের রিমান্ডে আনিসুল-সালমান-আতিকুল-সৈকত  

ছবিঃ সংগৃহীত

মোহাম্মদপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিনদিন, বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিনদিন, উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ চারদিনের এবং ধানমন্ডি থানার হত্যা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের চারদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে এ আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজারুল ইসলামের আদালত।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যার চেষ্টা মামলায় মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাসহ ১০ জনকে আদালতে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ আগস্ট আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া উইং জানায়, ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। তারা নৌ-পথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।

ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাদের জন্য ১৪ আগস্ট তাদের দুজনকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর পর গত ২৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ আলী (২৬) এবং লালবাগে খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ নামের একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় সালমান ও আনিসুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ১৬ ও ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তারা নিহত হন।

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফের রিমান্ডে আনিসুল-সালমান-আতিকুল-সৈকত  
কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে