বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৩০

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খানের ফোন পেয়ে মোহিনী বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কী আশ্চর্য! আমি তো তোমার কথাই ভাবছিলাম!
তাই নাকি? কী সৌভাগ্য!
কেন, সৌভাগ্য কেন?
তুমি আমার কথা ভাবছ! এটা আমার সৌভাগ্য নয়!
সত্যি বলছি। তোমাকে ফোন করব করব করছিলাম। এখন করব না দুপুরের দিকে করব এ রকম চিন্তা করতেই তোমার ফোন এল।
বাহ! খুব ভালো লাগল শুনে। তা হঠাৎ আমার কথা কেন মনে পড়ল শুনি!
আগে তোমার কথা শুনি। তারপর বলছি।
তুমি তো আমাকে ভুলেই গেছ। কতদিন কোনো যোগাযোগ নেই, কথাবার্তা নেই। কী হয়েছে তোমার? একটা ফোনও তো করতে পারতে!
এই অভিযোগ তো আমিও করতে পারি।
হ্যাঁ। তা পার। তবে আমার কথা শুনলে তুমিই বরং বলবে, যোগাযোগ করা উচিত ছিল।
তাই? তাহলে আগেই আমি সরি বলছি। কী হয়েছে বল তো?
মোহিনী কিছুটা অন্য রকম হয়ে গেলেন। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তার কোনো সাড়া না পেয়ে শাহবাজ খান বললেন, হ্যালো! আছ তুমি?
মোহিনী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, আরেফিন মারা গেছে!
শাহবাজ খান বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কী! কী বললে তুমি! কী হয়েছিল তার!
সে তো চীনের উহানে ছিল। যেখানে করোনার উৎপত্তি।
মাই গড! কবে ঘটল এই ঘটনা!
দশ দিন হয়ে গেল।
ওহ! মন খারাপ কর না। বিধাতা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
সে-ই। দোয়া কর।
অবশ্যই। তোমার কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
তোমার খবর বল। তোমার ব্যবসাপাতি কেমন চলছে?
আর বল না! আমি তো ছাঁটাই করতে বাধ্য হলাম।
বল কী! তুমি ছাঁটাই করলে তো কেউ আর বাদ থাকবে না। সবাই শুরু করে দেবে!
শাহবাজ খান বললেন, কিছুই করার নেই বন্ধু। তিনটা গার্মেন্টস বন্ধই করে দিতে হয়েছে। তিনটাতে প্রায় সাতাশশ’ কর্মী ছিল। এতগুলো মানুষের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। কয়েকশ’ গার্মেন্টস এরমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কতশত বন্ধ হয় তা আল্লাহ তায়ালাই জানেন। ভয়ানক অবস্থা তো! মোহিনী বললেন, বুঝতে পারছি। তোমার পত্রিকার খবর কী?
একই অবস্থা। পত্রিকার মাসিক আয় দুই কোটি টাকা কমে গেছে। বেসরকারি বিজ্ঞাপন এক ইঞ্চিও নেই। ফলে পত্রিকার প্রকাশনা টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে গেছে।
মোহিনী বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, এ রকম অবস্থা?
তাহলে আর বলছি কী? সম্পাদককে ডেকে বললাম, লোক ছাঁটাই করেন। তা নাহলে পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হবে। আমার পক্ষে এত খরচ দেওয়া সম্ভব না।
সম্পাদক কী বললেন?
উনি রাজি হচ্ছেন না। বললেন, এই মুহূর্তে ছাঁটাই করতে গেলে বদনাম হবে। আচ্ছা, আমি যদি বেতনই দিতে না পারি তাহলে ওসব বদনামের চিন্তা করে লাভ আছে?
তোমার পত্রিকাটা কিন্তু খুব ভালো। মানসম্পন্ন। রুচিশীল। আমি নিয়মিত পড়ি।
সেটা ঠিক আছে। কিন্তু খরচ তো অনেক বেশি। আয়-রোজগার না থাকলে টিকিয়ে রাখাই মুশকিল। তোমার অফিসের খবর কী?
আমি এখনো ছাঁটাই করিনি। চালিয়ে যাচ্ছি। মোহিনী বললেন।
শাহবাজ খান বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বললেন, বাব্বা বল কী!
দোয়া কর যেন ছাঁটাই করতে না হয়। এই সময় লোকগুলো যাবে কোথায়! এই সময় কেউ চাকরি দেবে? সবাই টিকে থাকার লড়াই করছে।
হুম। তোমার কথা ঠিক। কিন্তু আমি এতবেশি খরচ বাড়িয়েছি! আর সামাল দিতে পারছি না।
বুঝতে পারছি। আচ্ছা শোন, ঈদের পর একদিন এস। অনেক দিন তোমাকে দেখি না।
ধন্যবাদ। আসব, অবশ্যই আসব। তুমি ভালো থেক। চিন্তা কর না। ধৈর্য ধর। সময়ই সব ঠিক করে দেবে।
ইনশাল্লাহ। তুমিও ভালো থেক।

মোহিনী ফোন রেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকেন। ভাবেন শাহবাজ খানকে নিয়ে। এই ছেলেটির সঙ্গে তার স্কুল জীবন থেকে পরিচয়। কোনো একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়েছিল। সেই সূত্রে ওদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। কলেজে ওঠার পর শাহবাজ খান মোহিনীকে প্রেমের প্রস্তাব দিল। সেই প্রস্তাব মোহিনী গ্রহণ না করে বলেছিলেন, তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, প্রেম নয়। সবার সঙ্গে প্রেম হয় না। প্রেমটা হচ্ছে অন্তরের ব্যাপার। হৃদয়ঘটিত ব্যাপার। হৃদয়ে হৃদয়ে মিলতে হয়। দুই হৃদয় এক না হলে প্রেম হয় না। তোমার মন আমাকে চাইলেও আমার মন সায় দেয় না। অন্য কেউ হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
তারপরও শাহবাজ খান বলেছিলেন, আমি অপেক্ষায় থাকব। সারাজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করব। যেদিন তোমার হৃদয় সায় দেবে সেদিন আমাকে বোলো আমি ছুটে আসব তোমার কাছে।
মোহিনী শাহবাজ খানের কথা শুনে শুধু হেসেছিলেন। সে কী হাসি! হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছিলেন। আর মনে মনে বলেছিলেন, আহারে আমার মজনু রে!
শাহবাজ খান ভীষণ অপমানবোধ করেছিলেন। তিনি মনে মনে বলেছিলেন, কেন ওভাবে হাসল সে! আমাকে কেন ওর এত অপছন্দ? আমি কি দেখতে খারাপ? আমার কি অর্থ সম্পদের কোনো অভাব আছে? নাকি আমার ব্যবহার খারাপ? সমস্যা কী? কোথায় সে বিয়ে করে আমিও তা দেখে নেব।
শাহবাজ খান হাল ছাড়েননি। তিনি মোহিনীর জন্য অপেক্ষা করেন। নিয়মিত যোগাযোগ করেন। টেলিফোনে কথা বলেন। গল্প করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর শাহবাজ খান বিদেশে পড়তে চলে যান। সেটাই সম্ভবত দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। অনেকদিন দুজনের মধ্যে কোনো যোগাযোগই ছিল না।
কথায় আছে না, এক হাতে তালি বাজে না! একপেশে ভালোবাসাও খুব বেশি দূর আগায় না। মোহিনীর প্রতি শাহবাজ খানের ভালোবাসাও হয়তো সে কারণেই স্থায়ী হয়নি। আস্তে আস্তে মোহিনীকে তিনি ভুলে যান। মোহিনীও ভুলে যান শাহবাজ খানকে।
শাহবাজ খান দেশে ফিরে মা বাবার পছন্দে বিয়ে করেন। ব্যবসায় মনোযোগ দেন। নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মোহিনীও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে বন্ধু আরেফিনকে বিয়ে করেন। পিতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। এক পর্যায়ে নিজেই আলাদাভাবে সু-ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলেন। তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি।
হঠাৎ একদিন মোহিনীর অফিসে এসে হাজির হন শাহবাজ খান। তাকে দেখে অবাক হন তিনি। কথাগুলো আজ বড় মনে পড়ছে মোহিনীর। উদাস হয়ে তিনি ভাবতে থাকেন। মনে মনে বলেন, জীবন বড় বিচিত্র।

মোহিনী নিজের অফিস কক্ষে পা দিয়ে চমকে ওঠেও। তার টেবিলের ওপর নানারকম তাজা ফুলের বিশাল একটি বাস্কেট। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আজ মোহিনীর ভেতরে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। আজ তার জন্মদিন। ওই ফুলগুলোই তাকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। করোনার কারণে জন্মদিন পালন করবেন না বলে মোহিনী আগে থেকেই তার মা বাবাকে বলে রেখেছিলেন। তারা হয়তো সকালে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। কিন্তু তাদের ঘুম ভাঙার আগেই মোহিনী বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর আগের বছরগুলোতে মোহিনীকে ওর মা-বাবা এবং বিয়ের পর আরেফিন সর্বপ্রথম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। তাদের পর বন্ধুবান্ধবরা শুভেচ্ছা জানাত। কেউ টেলিফোন করে। কেউ ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে। আজই জীবনে প্রথম অফিসে এসে ফুলের বাক্সেট দেখলেন তিনি।
মোহিনী ধীরে ধীরে ফুলগুলোর কাছে এগিয়ে যান। কে ফুল পাঠিয়েছে তা দেখেন। তিনি যা ভেবেছিলেন তাই! শাহবাজ খান পাঠিয়েছেন। ভীষণ একটা ভালোলাগা তাকে আচ্ছন্ন করে। তিনি মোবাইল বের করে শাহবাজকে ফোন করার জন্য। হাতে নিয়ে দেখেন ফোনটা বন্ধ। তিনি ফোনের সুইস অন করেন। সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা আসতে থাকে তার ম্যাসেঞ্জারে। ম্যাসেঞ্জার দেখতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তাই তিনি ম্যাসেঞ্জার না দেখে শাহবাজ খানকে ফোন করেন। তাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে তার জন্মদিন মনে রাখার জন্য। এরমধ্যেই টেলিফোনে মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ, মা আনোয়ারা বেগম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। আসিফ আহমেদ এবং মোহিনীর অন্য কাছের বন্ধুরাও একের পর এক টেলিফোন করতে থাকে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন মোহিনী।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মোহিনীর কক্ষে ফুল নিয়ে হাজির হয় তার অফিসের কর্মকর্তারা।
মোহিনী খুব বিনয়ের সঙ্গে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বললেন, ফুল দেখলে আমি অন্য রকম হয়ে যাই। আমি আপনাদের শুভেচ্ছায় অভিভূত। তবে করোনার সময় ফুলগুলো না আনলেও পারতেন। আপনারা এমনিতে শুভেচ্ছা জানালেও আমি খুশি হতাম।
কর্মকর্তারা লজ্জিত ভঙ্গিতে বলল, সরি ম্যাম। ভুল হয়ে গেছে।
মুহূর্তের মধ্যে ফুলের বাস্কেটগুলো সরিয়ে নেওয়া হলো মোহিনীর কক্ষ থেকে। করোনার কারণে কাউকে মিষ্টি খাওয়ানো সম্ভব হলো না। মোহিনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বললেন, করোনা শেষ হোক। তারপর আমরা বেঁচে থাকলে সবাই একসঙ্গে খাব। আমরা এখন যে যার কাজে মনোযোগ দিই!
কর্মকর্তারা খুশি মনে মোহিনীর কক্ষ থেকে বের হলো। মোহিনী শাহনাজ বেগমকে ডেকে বললেন, তুমি একটা ঠিকানা লেখ তো!
শাহনাজ বেগম ডায়েরি খুলে কলম হাতে নিয়ে মোহিনীর টেবিলের সামনে দাঁড়াল। মোহিনী বললেন, আলী আকবর, গ্রাম: আজিমপুর, ডাকঘর: লতা, উপজেলা: মেহেন্দিগঞ্জ, জেলা: বরিশাল। তুমি আমার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে প্রতি মাসে এই ঠিকানায় দশ হাজার করে টাকা পাঠাবে। বুঝতে পারছ? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাঠাতেই থাকবে। প্রতি মাসে আমাকে যেন বলতে না হয়। পাঠিয়ে আমাকে জানাবে।
জি ম্যাম।
যাও। চলতি মাসেরটা এখনই পাঠিয়ে আমাকে জানাও।
শাহনাজ বেগম চলে গেল। মোহিনী অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে গিয়েও পারছিলেন না। একের পর এক টেলিফোন আসার কারণে তিনি কিছুটা বিরক্তও হচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, কী ব্যাপার! করোনায় সবাইকে কর্মবিমুখ করে দিয়েছে নাকি! কাজ না থাকলে মানুষ এসব কাজে সময় নষ্ট করে। আর এটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাহলেই সর্বনাশ!

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১