বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব- ৩০

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খানের ফোন পেয়ে মোহিনী বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কী আশ্চর্য! আমি তো তোমার কথাই ভাবছিলাম!
তাই নাকি? কী সৌভাগ্য!
কেন, সৌভাগ্য কেন?
তুমি আমার কথা ভাবছ! এটা আমার সৌভাগ্য নয়!
সত্যি বলছি। তোমাকে ফোন করব করব করছিলাম। এখন করব না দুপুরের দিকে করব এ রকম চিন্তা করতেই তোমার ফোন এল।
বাহ! খুব ভালো লাগল শুনে। তা হঠাৎ আমার কথা কেন মনে পড়ল শুনি!
আগে তোমার কথা শুনি। তারপর বলছি।
তুমি তো আমাকে ভুলেই গেছ। কতদিন কোনো যোগাযোগ নেই, কথাবার্তা নেই। কী হয়েছে তোমার? একটা ফোনও তো করতে পারতে!
এই অভিযোগ তো আমিও করতে পারি।
হ্যাঁ। তা পার। তবে আমার কথা শুনলে তুমিই বরং বলবে, যোগাযোগ করা উচিত ছিল।
তাই? তাহলে আগেই আমি সরি বলছি। কী হয়েছে বল তো?
মোহিনী কিছুটা অন্য রকম হয়ে গেলেন। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তার কোনো সাড়া না পেয়ে শাহবাজ খান বললেন, হ্যালো! আছ তুমি?
মোহিনী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, আরেফিন মারা গেছে!
শাহবাজ খান বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কী! কী বললে তুমি! কী হয়েছিল তার!
সে তো চীনের উহানে ছিল। যেখানে করোনার উৎপত্তি।
মাই গড! কবে ঘটল এই ঘটনা!
দশ দিন হয়ে গেল।
ওহ! মন খারাপ কর না। বিধাতা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
সে-ই। দোয়া কর।
অবশ্যই। তোমার কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
তোমার খবর বল। তোমার ব্যবসাপাতি কেমন চলছে?
আর বল না! আমি তো ছাঁটাই করতে বাধ্য হলাম।
বল কী! তুমি ছাঁটাই করলে তো কেউ আর বাদ থাকবে না। সবাই শুরু করে দেবে!
শাহবাজ খান বললেন, কিছুই করার নেই বন্ধু। তিনটা গার্মেন্টস বন্ধই করে দিতে হয়েছে। তিনটাতে প্রায় সাতাশশ’ কর্মী ছিল। এতগুলো মানুষের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। কয়েকশ’ গার্মেন্টস এরমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কতশত বন্ধ হয় তা আল্লাহ তায়ালাই জানেন। ভয়ানক অবস্থা তো! মোহিনী বললেন, বুঝতে পারছি। তোমার পত্রিকার খবর কী?
একই অবস্থা। পত্রিকার মাসিক আয় দুই কোটি টাকা কমে গেছে। বেসরকারি বিজ্ঞাপন এক ইঞ্চিও নেই। ফলে পত্রিকার প্রকাশনা টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে গেছে।
মোহিনী বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, এ রকম অবস্থা?
তাহলে আর বলছি কী? সম্পাদককে ডেকে বললাম, লোক ছাঁটাই করেন। তা নাহলে পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হবে। আমার পক্ষে এত খরচ দেওয়া সম্ভব না।
সম্পাদক কী বললেন?
উনি রাজি হচ্ছেন না। বললেন, এই মুহূর্তে ছাঁটাই করতে গেলে বদনাম হবে। আচ্ছা, আমি যদি বেতনই দিতে না পারি তাহলে ওসব বদনামের চিন্তা করে লাভ আছে?
তোমার পত্রিকাটা কিন্তু খুব ভালো। মানসম্পন্ন। রুচিশীল। আমি নিয়মিত পড়ি।
সেটা ঠিক আছে। কিন্তু খরচ তো অনেক বেশি। আয়-রোজগার না থাকলে টিকিয়ে রাখাই মুশকিল। তোমার অফিসের খবর কী?
আমি এখনো ছাঁটাই করিনি। চালিয়ে যাচ্ছি। মোহিনী বললেন।
শাহবাজ খান বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বললেন, বাব্বা বল কী!
দোয়া কর যেন ছাঁটাই করতে না হয়। এই সময় লোকগুলো যাবে কোথায়! এই সময় কেউ চাকরি দেবে? সবাই টিকে থাকার লড়াই করছে।
হুম। তোমার কথা ঠিক। কিন্তু আমি এতবেশি খরচ বাড়িয়েছি! আর সামাল দিতে পারছি না।
বুঝতে পারছি। আচ্ছা শোন, ঈদের পর একদিন এস। অনেক দিন তোমাকে দেখি না।
ধন্যবাদ। আসব, অবশ্যই আসব। তুমি ভালো থেক। চিন্তা কর না। ধৈর্য ধর। সময়ই সব ঠিক করে দেবে।
ইনশাল্লাহ। তুমিও ভালো থেক।

মোহিনী ফোন রেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকেন। ভাবেন শাহবাজ খানকে নিয়ে। এই ছেলেটির সঙ্গে তার স্কুল জীবন থেকে পরিচয়। কোনো একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়েছিল। সেই সূত্রে ওদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। কলেজে ওঠার পর শাহবাজ খান মোহিনীকে প্রেমের প্রস্তাব দিল। সেই প্রস্তাব মোহিনী গ্রহণ না করে বলেছিলেন, তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, প্রেম নয়। সবার সঙ্গে প্রেম হয় না। প্রেমটা হচ্ছে অন্তরের ব্যাপার। হৃদয়ঘটিত ব্যাপার। হৃদয়ে হৃদয়ে মিলতে হয়। দুই হৃদয় এক না হলে প্রেম হয় না। তোমার মন আমাকে চাইলেও আমার মন সায় দেয় না। অন্য কেউ হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
তারপরও শাহবাজ খান বলেছিলেন, আমি অপেক্ষায় থাকব। সারাজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করব। যেদিন তোমার হৃদয় সায় দেবে সেদিন আমাকে বোলো আমি ছুটে আসব তোমার কাছে।
মোহিনী শাহবাজ খানের কথা শুনে শুধু হেসেছিলেন। সে কী হাসি! হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছিলেন। আর মনে মনে বলেছিলেন, আহারে আমার মজনু রে!
শাহবাজ খান ভীষণ অপমানবোধ করেছিলেন। তিনি মনে মনে বলেছিলেন, কেন ওভাবে হাসল সে! আমাকে কেন ওর এত অপছন্দ? আমি কি দেখতে খারাপ? আমার কি অর্থ সম্পদের কোনো অভাব আছে? নাকি আমার ব্যবহার খারাপ? সমস্যা কী? কোথায় সে বিয়ে করে আমিও তা দেখে নেব।
শাহবাজ খান হাল ছাড়েননি। তিনি মোহিনীর জন্য অপেক্ষা করেন। নিয়মিত যোগাযোগ করেন। টেলিফোনে কথা বলেন। গল্প করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর শাহবাজ খান বিদেশে পড়তে চলে যান। সেটাই সম্ভবত দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। অনেকদিন দুজনের মধ্যে কোনো যোগাযোগই ছিল না।
কথায় আছে না, এক হাতে তালি বাজে না! একপেশে ভালোবাসাও খুব বেশি দূর আগায় না। মোহিনীর প্রতি শাহবাজ খানের ভালোবাসাও হয়তো সে কারণেই স্থায়ী হয়নি। আস্তে আস্তে মোহিনীকে তিনি ভুলে যান। মোহিনীও ভুলে যান শাহবাজ খানকে।
শাহবাজ খান দেশে ফিরে মা বাবার পছন্দে বিয়ে করেন। ব্যবসায় মনোযোগ দেন। নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মোহিনীও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে বন্ধু আরেফিনকে বিয়ে করেন। পিতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। এক পর্যায়ে নিজেই আলাদাভাবে সু-ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলেন। তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি।
হঠাৎ একদিন মোহিনীর অফিসে এসে হাজির হন শাহবাজ খান। তাকে দেখে অবাক হন তিনি। কথাগুলো আজ বড় মনে পড়ছে মোহিনীর। উদাস হয়ে তিনি ভাবতে থাকেন। মনে মনে বলেন, জীবন বড় বিচিত্র।

মোহিনী নিজের অফিস কক্ষে পা দিয়ে চমকে ওঠেও। তার টেবিলের ওপর নানারকম তাজা ফুলের বিশাল একটি বাস্কেট। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আজ মোহিনীর ভেতরে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। আজ তার জন্মদিন। ওই ফুলগুলোই তাকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। করোনার কারণে জন্মদিন পালন করবেন না বলে মোহিনী আগে থেকেই তার মা বাবাকে বলে রেখেছিলেন। তারা হয়তো সকালে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। কিন্তু তাদের ঘুম ভাঙার আগেই মোহিনী বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এর আগের বছরগুলোতে মোহিনীকে ওর মা-বাবা এবং বিয়ের পর আরেফিন সর্বপ্রথম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। তাদের পর বন্ধুবান্ধবরা শুভেচ্ছা জানাত। কেউ টেলিফোন করে। কেউ ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে। আজই জীবনে প্রথম অফিসে এসে ফুলের বাক্সেট দেখলেন তিনি।
মোহিনী ধীরে ধীরে ফুলগুলোর কাছে এগিয়ে যান। কে ফুল পাঠিয়েছে তা দেখেন। তিনি যা ভেবেছিলেন তাই! শাহবাজ খান পাঠিয়েছেন। ভীষণ একটা ভালোলাগা তাকে আচ্ছন্ন করে। তিনি মোবাইল বের করে শাহবাজকে ফোন করার জন্য। হাতে নিয়ে দেখেন ফোনটা বন্ধ। তিনি ফোনের সুইস অন করেন। সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা আসতে থাকে তার ম্যাসেঞ্জারে। ম্যাসেঞ্জার দেখতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তাই তিনি ম্যাসেঞ্জার না দেখে শাহবাজ খানকে ফোন করেন। তাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে তার জন্মদিন মনে রাখার জন্য। এরমধ্যেই টেলিফোনে মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ, মা আনোয়ারা বেগম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। আসিফ আহমেদ এবং মোহিনীর অন্য কাছের বন্ধুরাও একের পর এক টেলিফোন করতে থাকে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন মোহিনী।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মোহিনীর কক্ষে ফুল নিয়ে হাজির হয় তার অফিসের কর্মকর্তারা।
মোহিনী খুব বিনয়ের সঙ্গে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বললেন, ফুল দেখলে আমি অন্য রকম হয়ে যাই। আমি আপনাদের শুভেচ্ছায় অভিভূত। তবে করোনার সময় ফুলগুলো না আনলেও পারতেন। আপনারা এমনিতে শুভেচ্ছা জানালেও আমি খুশি হতাম।
কর্মকর্তারা লজ্জিত ভঙ্গিতে বলল, সরি ম্যাম। ভুল হয়ে গেছে।
মুহূর্তের মধ্যে ফুলের বাস্কেটগুলো সরিয়ে নেওয়া হলো মোহিনীর কক্ষ থেকে। করোনার কারণে কাউকে মিষ্টি খাওয়ানো সম্ভব হলো না। মোহিনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বললেন, করোনা শেষ হোক। তারপর আমরা বেঁচে থাকলে সবাই একসঙ্গে খাব। আমরা এখন যে যার কাজে মনোযোগ দিই!
কর্মকর্তারা খুশি মনে মোহিনীর কক্ষ থেকে বের হলো। মোহিনী শাহনাজ বেগমকে ডেকে বললেন, তুমি একটা ঠিকানা লেখ তো!
শাহনাজ বেগম ডায়েরি খুলে কলম হাতে নিয়ে মোহিনীর টেবিলের সামনে দাঁড়াল। মোহিনী বললেন, আলী আকবর, গ্রাম: আজিমপুর, ডাকঘর: লতা, উপজেলা: মেহেন্দিগঞ্জ, জেলা: বরিশাল। তুমি আমার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে প্রতি মাসে এই ঠিকানায় দশ হাজার করে টাকা পাঠাবে। বুঝতে পারছ? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাঠাতেই থাকবে। প্রতি মাসে আমাকে যেন বলতে না হয়। পাঠিয়ে আমাকে জানাবে।
জি ম্যাম।
যাও। চলতি মাসেরটা এখনই পাঠিয়ে আমাকে জানাও।
শাহনাজ বেগম চলে গেল। মোহিনী অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে গিয়েও পারছিলেন না। একের পর এক টেলিফোন আসার কারণে তিনি কিছুটা বিরক্তও হচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, কী ব্যাপার! করোনায় সবাইকে কর্মবিমুখ করে দিয়েছে নাকি! কাজ না থাকলে মানুষ এসব কাজে সময় নষ্ট করে। আর এটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাহলেই সর্বনাশ!

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪