বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৯

বিষাদ বসুধা

আসিফ আহমেদ সকাল সকাল অফিসে এসেছেন। অফিসে এসেই বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান নূরুজ্জামান ও হিসাব বিভাগের প্রধান মনির হোসেনকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। ঈদের আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুরুতেই আসিফ আহমেদ বললেন, আমি কয়েকটি পয়েন্ট বলছি। সেগুলো মাথায় রাখ। প্রথমত, করোনার কারণে এবার যে অবস্থা হয়েছে তাতে বোনাস দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। দ্বিতীয়ত, পাওনাদারদের টাকা ঈদের আগে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। আমাদের এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বেতন পরিশোধ করা। তিন মাসের বেতন পরিশোধ করতে না পারলে বিরাট ঝামেলায় পড়ব। ঈদের পর কেউ কোনো টাকা দেবে না। কারো টিকিটিও ছোঁয়া যাবে না। যা করার ঈদের আগেই করতে হবে। এখন মনির বল, তোমার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে। এমডি সাহেব যে টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন সেটা কবে নাগাদ পেতে পার।
মনির হোসেন বলল, এমডি স্যার তিনটি চেকের মাধ্যমে ষাট লাখ টাকা দিয়েছেন। এই টাকাটা ব্যাংকে জমা হলে এক মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে।
আচ্ছা। সেই এক মাসেরটাই আগে দিয়ে দিও। বাকি দুই মাসের বেতন জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেবে। দেরি করবে না। সবাই যখন এক সপ্তাহের মধ্যে তিন মাসের বেতন পাবে তখন সবাই খুশি থাকবে। বোনাস নিয়ে ওতো মাথা ঘামাবে না। বুঝতে পারছ?
জি স্যার।
আচ্ছা। তাহলে তোমার আর কত টাকা দরকার হবে?
মনির হোসেন বলল, ঈদের আগে বাকি দুই মাসের বেতন দিতে হলে প্রায় দুই কোটি টাকা প্রয়োজন। পাওনাদারদের বলেকয়ে না হয় ঈদের পরে দিলাম। দুই কোটি টাকার এক টাকা কম হলেও আমরা কিন্তু বেতন শেষ করতে পারব না। আর পোস্ট ডেটেড চেক এলেও হবে না। ওগুলো জমা হতে হতে ঈদের পর চলে যাবে। ঈদের আগে আমাদের হাতে আর দশ দিন সময় আছে। এরমধ্যে দুই শুক্রবার বন্ধ। দুই শনিবারও বেশির ভাগ বন্ধ থাকে। কাজেই হিসাব করলে সময় কিন্তু আছে ছয় দিন। এই ছয় দিনের মধ্যেই বিজ্ঞাপন বিভাগকে যা করার করতে হবে।

নূরুজ্জামান ঢাকার চার অঞ্চলের চার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানাল, আমরা আশা করি ঈদের আগে বেতনের টাকাটা জোগাড় করতে পারব।
ধন্যবাদ। দেখ ঝামেলায় ফেল না ভাই। আমি কিন্তু ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তায় আছি।
ঠিক আছে স্যার। আপনি চিন্তা করবেন না।
দেখ আমার যদি আরও কোথাও বলতে হয় বলে দিই। তারপরও ঈদের আগে বেতনের ঝামেলা আমি শেষ করতে চাই।
জি স্যার। সেটা আমি বলব। তবে আশা করি আর বলতে হবে না। আপনি তো বেশ কয়েক জায়গায় বলে চেক এনেছেন।
তা এনেছি। সেটা কোনো সমস্যা না। এটা একটা টিম ওয়ার্ক। সবাই মিলে আমাদের কাজ করতে হবে। সংকটের সময় টিমওয়ার্কটা আরও বেশি প্রয়োজন। তোমরা দেখ। আরও যদি কোথাও বলতে হয় বলব। যেতে হলে যাব। কোনো অসুবিধা নেই। গ্রামীণ দিয়েছে?
আজ দেওয়ার কথা স্যার।
শোন, গ্রামীণের সিইও কিন্তু আমার খুব ঘনিষ্ঠ। যদি কোনো সমস্যা হয় আমার কথা বোলো।
স্যার, আপনাকে বেঁচেই তো খাচ্ছি।

নূরুজ্জামানের কথা শুনে আসিফ আহমেদ হেসে উঠল। মনির হোসেনও হেসে দিয়ে বলল, হ স্যার। কথাডা মন্দ কয় নাই।
যেভাবেই হোক টাকা আনুক। আমার কোনো অসুবিধা নেই। রবি, বাংলালিংক তারপর ইউনিলিভার, প্রাণ-আরএফএলসহ বড় কোম্পানিগুলোকে ভালো করে ধর। এদের কাছেই তো আমার বেশির ভাগ টাকা পড়ে আছে। আসিফ আহমেদ বললেন।
জি স্যার। আমি এখন তাহলে যাই। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই জোগাড় করতে হবে। শেষ দিনের আশায় থাকা যাবে না। শেষ দিন যা পাই সেটা জমা থাকুক। ঈদের কাজে লাগবে।
মনির হোসেন বলল, সেটা হলে তো আলহামদুলিল্লাহ। ঈদের পর পাওনাদাররা হুমড়ি খেয়ে পড়বে। তাদের টাকাটা জোগাড় করে যেতে পারলে বিরাট কাজ হবে।
এ কথা শুনে আসিফ আহমেদ ভীষণ খুশি। তিনি নূরুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বললেন, তুমি যদি আগামী তিন দিনের মধ্যে বেতনের টাকা আনতে পার তাহলে বিশেষ বকশিস তুমি আমার কাছ থেকে পাবে।
নূরুজ্জামান বলল, ধন্যবাদ স্যার। দেখি কী করা যায়।
নূরুজ্জামান চলে যায়। মনির হোসেনও বিদায় নেয়। এর পরপরই সম্পাদকের কক্ষে আসে চিফ রিপোর্টার ও মফস্বল সম্পাদক। চিফ রিপোর্টার কথা বলতে গিয়ে মুখে আটকে গেল। ঠিক বোঝা গেল না কি বলেছে সে। আসিফ আহমেদ জানতে চাইলেন, তোমার কথাটা আমি বুঝতে পারিনি। কী বলতে চেয়েছ বল তো!
আ-আ-আমি আজ বাজার নিয়ে যেতে না পারলে ঘরেই ঢুকতে পারব না। ব-ব-বউ খুবই রেগে আছে। তিন দিন ধরে বা-বা-বাজারের কথা বলে। কিন্তু আমি এড়িয়ে যাই। তার কথা শুনেও না শোনার ভান করি। সকালে গাড়ি স্টার্ট দিতে গিয়ে দেখি স্টার্ট নেয় না। ঘটনা কী! দেখা গেল তেল নেই। ছেলের কাছ থেকে একশ’ টাকা নিয়ে তেল ভরলাম। তারপর অফিসে এলাম।
হুম। বুঝতে পারছি। আসিফ আহমেদ বললেন।

চিফ রিপোর্টার আবার বলল, জামিল ভাইয়ের কাছ থেকে দু দফায় টাকা ধার নিয়েছি। এখন ধার চাইতেও লজ্জা লাগে। সময় মতো পরিশোধ না করলে কেন দেবে বার বার? আসিফ ভাই, বেতন কি আজকে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
দেখি। এমডি সাহেব কিছু টাকা দিয়েছে। ওই টাকা জমা হলে হয়তো আজকেও হয়ে যেতে পারে।
বেতনটা হলে যে কী বাঁচা বাঁচি!
মফস্বল সম্পাদক বলল, আমার ওয়াইফ বলল তুমি তো ঠিক মতো বেতনটেতন পাচ্ছ না; আমরা বরং গ্রামে চলে যাই। কিছুদিন গ্রামে থেকে আসি। গ্রামে পাঠাতেও তো টাকা দরকার। সেই টাকাও পকেটে নেই। তিন মাস পর বেতন পেলে কি চলা সম্ভব? যে টাকা বেতন পাই তা সবই খরচ হয়ে যায়। জমা থাকে না। ধার করে কতদিন চলা যায়!

আসিফ আহমেদ দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বললেন, আমি অফিসে এসেই বিজ্ঞাপন ও হিসাব বিভাগের সঙ্গে বসছিলাম। ওরাও চেষ্টা করছে। আজ না হলেও কাল এক মাসের বেতন পেয়ে যাবে।
চিফ রিপোর্টার সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, আপনার চেষ্টাটা আমাদের সবারই চোখে পড়ছে। যাকগে, আমরা তাহলে মিটিংটা শেষ করি।
কী কী আছে আজকে? দিনের ঘটনা, বিশেষ রিপোর্ট? সম্পাদক জানতে চাইলেন।
চিফ রিপোর্টার বললেন, করোনার দিনের ঘটনা থাকবে। এ ছাড়া করোনায় খাতওয়ারি ক্ষতির রিপোর্ট আজ হাতে পাব। কয়েকজন রিপোর্টার এটা নিয়ে কাজ করছে।
মফস্বল থেকেও আসবে। এ ছাড়া জেলাগুলোতে করোনার টেস্ট ও চিকিৎসা অবকাঠামো কী আছে সে বিষয়ে রিপোর্ট পাব। মফস্বল সম্পাদক যোগ করল।
ভাই, চিকিৎসক, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কিন্তু খুব ভালো ভূমিকা রাখছে। এদের বিষয়ে একটা ইতিবাচক রিপোর্ট কিন্তু করা যায়। চিফ রিপোর্টার বলল।
আসিফ আহমেদ বললেন, কেন নয়? অবশ্যই করাও। মানুষের বিপদে যারা পাশে দাঁড়াবে তাদের নিয়ে অবশ্যই রিপোর্ট করতে হবে। তাহলেই মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
জি জি। আর বিকেলের মিটিংটা আমরা অনলাইনে সেরে ফেলতে পারি। এখন তো একসঙ্গে বসাটা একটু সমস্যা! আপনার বোধহয় আরেকটা মিটিং আছে! চিফ রিপোর্টার বলল।
হুম। ঠিক আছে। কোনো অসুবিধা নেই। আমি আছি।
এ সময় আসিফ আহমেদের ফোনের রিং বাজে। ফোন ধরতে ধরতে চিফ রিপোর্টার ও মফস্বল সম্পাদককে বিদায় জানায়। ওরা চলে যাওয়ার পর তিনি ফোনে কথা বলা শুরু করেন।

পত্রিকা অফিসে সাধারণত ঈদের ছুটি তিন দিন। ঈদ একদিন পেছালে ছুটি একদিন বাড়ে। এবার আগেভাগেই চার দিন ছুটি ঘোষণা করেছে সংবাদপত্র মালিক সমিতি। ঈদের ছুটি ঘোষণার আগেই তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন আসিফ আহমেদ। এক সপ্তাহের মধ্যে তিন মাসের বেতন পেয়ে সাংবাদিক-কর্মীরা মহা খুশি। তারা একে একে সম্পাদকের দপ্তরে এসে তাকে ধন্যবাদ জানায়। অনেকে বলে, ব্যাপারটা সত্যিই বিস্ময়কর।
সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে মামুন রশিদ বলল, এটা কী করে সম্ভব হলো? এক সপ্তাহের মধ্যে তিন মাসের বেতন! সত্যিই কী পেরেসানিতেই না পড়েছিলাম! আপনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।
আসিফ আহমেদ বললেন, আমরা ভাবছিলাম হয়তো দুই মাসের বেতন হলেও হতে পারে। তিন মাসের বেতন একসঙ্গে পাব একটা ভাবিনি। আমার যে কী আনন্দ লাগছে তা আর কী বলব!
রিশিত খান বলল, কেউ কেউ তো বলা শুরু করেছিল, আপনি পারছেন না। আর এখন তাদের বোল পাল্টে গেছে। এখন কি বলছে জানেন?
আসিফ আহমেদ বললেন, কী বলছে?
এখন বলছে, আপনার কোনো তুলনা হয় না। আপনি সত্যিই ক্যারিসম্যাটিক লিডার। রিশিত খান বলল।
মামুন রশিদ রিশিত খানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলল, আমার কানেও এসব কথা এসেছে। আমি বলতে চাইনি। আসলে সব অফিসেই বোধহয় কিছু লোক থাকে। তারা সব সময় দোষ খুঁজে বেড়ায়। সেটা যখন আবার মিথ্যা প্রমাণিত হয় তখন তারা বোল পাল্টে ফেলে।

এ সময় নূরুজ্জামান সম্পাদকের কক্ষে এসে বলল, স্যার আপনার দিক-নির্দেশনার কারণেই আমরা সফল হয়েছি। হিসাব বিভাগের মনির সাহেবকেও ওই দিন শক্তভাবে না বললে সে উল্টাপাল্টা কাজ করত। পরিবহনের টাকাটা আগে দিয়ে দিত। ওদের টাকা আগে দিলে আর বেতন দিতে হতো না। পরিবহনের কাছ থেকে ওরা কোনো কমিশন পায় কি না!
আসিফ আহমেদ তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, বাদ দাও তো ওসব কথা! শোন, তোমাকে বলেছিলাম না, ঈদের আগে তিন মাসের বকেয়া পরিশোধ করতে পারলে তোমাকে বকশিস দেব! এই নাও। এটা রাখো।
নূরুজ্জামান ভীষণ খুশি। সে সম্পাদকের পায়ে সালাম করে বলল, স্যার আপনার কোনো তুলনা নেই। আপনি যা করলেন!
ধন্যবাদ। আমি শুধু গাইড করেছি। তোমরা চেষ্টা না করলে তো কিছুই হতো না। আমি বিধাতার কাছে শুকরিয়া জানাই। আমি যা চেয়েছিলাম তাই হয়েছে। সত্যিই আমার ঈদটা স্বস্তিতে কাটবে।
নূরুজ্জামান বলল, আপনার ওপর বাপ-মায়ের দোয়া আছে স্যার। আপনি অনেক বড় হবেন। সত্যিই অনেক বড় হবেন।
উপস্থিত সবাই নূরুজ্জামানের কথায় সায় দিল।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১