শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৮

বিষাদ বসুধা

সাত-সকালে আসিফ আহমেদের ফোন পেয়ে বিস্মিত মোহিনী। তিনি ফোনের স্ক্রিনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। তারপর ফোনের সাউন্ড টোন অফ করে দিলেন। ফোন ধরলেন না। পরে কথা বলবেন ভেবে রেখে দিলেন। কেন ফোন করেছে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করলেন। পত্রিকার বিলটা কি এখনো দেয়নি! আমি বারবার বলার পরও কেন বকেয়া রাখা হলো? নাকি অন্য কোনো কারণে ফোন করেছে!

মোহিনী মোবাইল হাতে নিয়ে তার প্রশাসন বিভাগের জিএম আবুল কালামকে ফোন করলেন। তাকে বললেন, আচ্ছা আসিফ সাহেবের পত্রিকার বিলটা কি দেওয়া হয়নি?
জি ম্যাম, দিয়েছি তো! কেন, আপনাকে কিছু বলেছে নাকি?
না না! কোনো বকেয়া নেই তো?
জি না। আপনি বললেন না, যা পাওনা আছে সব দিয়ে দিতে!
হুম। ঠিক আছে। ভালো করেছেন। আচ্ছা শোনেন, আমি অফিসে আসছি। আপনারা একটা কাজ করেন।
জি ম্যাম।
ঈদে আমরা দশ হাজার মানুষকে সহায়তা দিতে চাই। আপনি দশ হাজার প্যাকেট তৈরি করেন। এতে থাকবে, দশ কেজি চাল, দুই কেজি আটা, এক লিটার সয়াবিন তেল, পেয়াজ এক কেজি, আলু দুই কেজি এবং লবণ এক কেজি।
জি আচ্ছা।
এখনই আপনি কারওয়ান বাজার পাঠিয়ে দেন। আমি অফিসে এসেই যেন দেখি কেনাকাটা হয়ে গেছে। অ্যাকাউন্টস থেকে টাকা নেন। আমি এসে সই করে দেব।
জি ম্যাম।

মোহিনী আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলা শেষ করে আসিফ আহমেদকে ফোন করলেন। আসিফ ফোন ধরেই বললেন, শুভ সকাল। কেমন আছ?
শুভ সকাল। সাতসকালে সম্পাদক সাহেবের ফোন পেয়ে আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
তাই নাকি? সরি। আমি আসলে তোমার সঙ্গে ফ্রিলি একটু কথা বলতে চেয়েছিলাম! ভাবলাম, এখনো তুমি অফিসে যাওনি। কাজের মধ্যে থাকলে কথা বলা মুশকিল!
হ্যাঁ তা ঠিকই বলেছ। তারপর, আমার অফিসের বকেয়া সব পেয়েছ তো?
হ্যাঁ হ্যাঁ। তুমি বলার পর বকেয়া রাখার সাধ্য কার?
সেটা না। তুমি বেতন দিতে পারছ না শুনে আমি বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এর আগেও কি আমাকে ফোন করেছিলে নাকি?
হুম। দু তিন বার তো করেছিলাম। তোমার ফোনটা বন্ধ ছিল। সাধারণত, তোমার ফোন তো বন্ধ থাকে না।
ঠিকই বলেছ। আমার ফোন বন্ধ থাকে না। আমি সাত দিন একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কোথাও যায়নি। বাসায় কাটিয়েছি।
কোনো বিশেষ কারণে?
তোমাকে তো বলা হযনি। আরেফিন মারা গেছে।
কি! এটা তুমি কী শোনালে!
হুম। উহানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
তারপর!
লাশ এসেছে ঢাকায়। দেখারও সুযোগ পাইনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কবর হয়েছে।
খুব দুঃখজনক। এই বয়সে একটা মানুষ মারা যাওয়া!
এটাই হয়তো আমার কপালে ছিল। কপালের লিখন তো আর খণ্ডন করার উপায় নেই! যাকগে, তোমার খবর বলো।
না মানে, তোমার এই খবর শোনার পর আর কী বলব? সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে।
এটা জীবনের অংশ। এ নিয়ে আমি মন খারাপ করছি না। আমি ভাবছি, কাজের মধ্যে ডুবে থাকব। তাহলে আর এসব ভাবনা মাথায় আসবে না।
সেটাই ভালো। তুমি কাজের মানুষ। তোমার একটা গুডউইল আছে। এটা শুনলেও ভালো লাগে। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার বিরাট উপকার হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগে সব পাওনা মিটিয়ে দিতে পারব।
বাহ! তাহলে তো খুবই ভালো। আর খবর কী বলো তো? ছাঁটাই কি করতেই হচ্ছে।
এখনো কাউকে করা হয়নি। তবে ব্যাপক চাপ। আমি হয়তো থাকব না।
সে কী!
কী করব বলো? আমি বিকল্প প্রস্তাব দিলাম। সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছে না। ছাঁটাই না করেও কী করে খরচ মিনিমাইজ করা যায় সে বিষয়ে আমি লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। প্রস্তাবটা ভালো কী মন্দ তাও তারা দেখেনি। তাদের এক কথা ছাঁটাই করতেই হবে। আমি নিজের চাকরি বাঁচাতে ছাঁটাই করব? সে মানুষ আমি নই।
তা তো জানি। আচ্ছা, আমি কি কথা বলে দেখব?
তুমি কথা বলবে! সেটা কি ঠিক হবে?
আমি তো আর তোমার বিষয়ে কিছু বলব না! ওর পত্রিকার বিষয়ে জানতে চাইব। কী করবে না করবে সে বিষয়ে। মনোভাবটা তো বোঝা যাবে!
হুম। আচ্ছা সে কি জানে তুমি আমার বন্ধু?
আমি একবার কথায় কথায় বলেছিলাম। নিশ্চয়ই সেটা মনে আছে। থাকার কথা আর কি!
আচ্ছা আচ্ছা। তুমি আমার বিষয়ে কিছু বোলো না। তুমি অন্যভাবে জানার চেষ্টা করো।
তা তো অবশ্যই। আমি একটা কথা বলব?
প্লিজ!
তুমি হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিও না। জানোই তো সময়টা এখন খুব খারাপ।
তা তো জানি। কিন্তু কী করব বলো। প্রত্যেকটা মানুষেরই তো একটা নীতি থাকে। তাই না? আমি জানি, আমি যদি এখন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে তারা আমাকে মাথায় করে রাখবে। কিন্তু আমার পক্ষে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। ছাঁটাইয়ের আগে আমার নিজের ইস্তফা দিতে হবে। তা না হলে আমি মনপীড়ায় ভুগব। তা ছাড়া, আমার ক্যারিয়ার আছে না! সাংবাদিক মহলে আমি মুখ দেখাতে পারব? সবাই ছি ছি করবে। তুমিও বলবে, সম্পাদক হয়ে তুমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে! তখন কী জবাব দেব?
হুম। বুঝতে পারছি। মুনমুন ভাবি কী বলেন?
সেও তো চাকরি করে। বোঝে বিষয়টা। তা ছাড়া, সেও বলে দিয়েছে, ছাঁটাই করে তুমি নিজেও চাকরি করতে পারবে না। মানসিক যন্ত্রণায় তুমি শেষ হয়ে যাবে। তারচে’ তুমি ছেড়ে দাও। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।
সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই সময় তো কোথাও চাকরিও পাবে না।
শোনো, চাকরি তো অনেক করলাম। এবার কিছু সময় রেস্ট নিই। তারপর দেখি কি করা যায়।
যা-ই করো আমাকে জানিও।
তা তো বটেই। এই দেখ, সকাল থেকে শুধু নিজের কথাই বলছি। তোমার কথা তো কিছু শোনা হলো না। তুমি কেমন আছ?
আমার কথা আরেকদিন শুনো। এখন আমার অফিসে যেতে হবে। গত সাত দিন বাসায় কাটিয়েছি। অফিসের কী অবস্থা জানিও না। তুমি ভালো থেকো। মন খারাপ করো না।
তুমিও ভালো থেকো।
মোহিনী ফোন রেখে দ্রুত তৈরি হয়ে নিলেন। তারপর অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হলেন।

মোহিনীর অফিসে খাদ্যদ্রব্য প্যাকেট করা হচ্ছে। কে কোন পদে চাকরি করছে সে কথা ভুলে গিয়ে সবাই প্যাকেট করার কাজে হাত লাগিয়েছে। এ দৃশ্য দেখে মোহিনী অফিসের সামনে থমকে দাঁড়ালেন। তিনি দাঁড়িয়ে থেমে কর্মযজ্ঞ দেখছেন। যেন এক মহাযজ্ঞ চলছে। দেখে তার মনটা আনন্দে ভরে গেল।

মোহিনী কখন এসে দাঁড়িয়েছেন তা অফিসের কেউ টেরও পায়নি। মোহিনী এমনই। কোনো রকম ভাব নেই। কোনো রকম আত্ম-অহমিকা নেই। অতি সাধারণ একজন চাকরি জীবীর মতোই তার আচরণ, চলাফেলা। একেবারে সাদামনের মানুষ যাকে বলে! এ রকম মানুষ জগতে খুব কমই মেলে। মোহিনীর অফিসের লোকরা সে কথাই বলে। তাকে নিয়ে সবাই গর্ব করে। সবাই মনে করে, নিজের অফিসেই তারা কাজ করছে। তারা আর দশটা অফিসের চাকরিজীবীদের মতো নয়। ঘড়ি দেখে কিংবা ঘণ্টা হিসাব করে তারা কাজ করে না। সেভাবেই মোহিনী অফিসটাকে গড়ে তুলেছেন।

আবুল কালাম নানা কাজের তদারকি করছিল। কাজ করতে করতেই সে দেখল, মোহিনী অফিসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। সে তার কাছে ছুটে গিয়ে কিছু বলার জন্য উদ্যত হলে মোহিনী থামিয়ে দিয়ে বলেন, আমি শুনব। তার আগে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার অফিস এত চমৎকারভাবে কাজ করছে এ জন্য একটা ধন্যবাদ তো আগে দিই!
আবুল কালাম কাচুমাচু করে বলল, জ্বি ম্যাম, জি ম্যাম।

কাজে ডুবে থাকা মানুষগুলোর উদ্দেশ করে মোহিনী বললেন, আপনারা সবাই যেভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন তাতে আমি খুবই আশাবাদী। এই দেশ অবশ্যই সব সংকট মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
মোহিনীর কথায় সবাই আরও বেশি উৎসাহ পেল। সবাই আরও বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে কাজ শুরু করল। আনন্দে মোহিনীর বুকটা অনেক চওড়া হয়ে গেল। তিনি ব্যাগ থেকে টাকা বের করে আবুল কালামকে দিয়ে বললেন, দুপুরে এদের সবাইকে খাইয়ে দেবেন।
আবুল কালাম উদ্বেলিত কণ্ঠে বললেন, জি ম্যাম. জি ম্যাম।

মোহিনী এবার অফিসের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে আবুল কালামকে বললেন, আপনি আসেন। কি যেন বলতে চেয়েছেন!
আবুল কালাম আর কোনো কথা না বলে মোহিনীর পেছনে পেছনে এগিয়ে গেল। মোহিনী তার অফিসে পৌছার পর আবুল কালাম কিছুটা দ্বিধা এবং সংকোচের ভঙ্গিতে বলল, ম্যাম আমরা সবই কিনতে পেরেছি। কিন্তু একটু সমস্যা হয়ে গেছে।
কী সমস্যা?
চাল কিনতে গিয়ে আমাদের গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে। কারওয়ান বাজার, বাদামতলী এবং আমিনবাজার ঘুরেও আমরা পুরো চাল কিনতে পারিনি। পাইকাররা বলল, চাল নেই। এই অজুহাতে তারা দামও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুরো চাল কিনতে পারি কি না..
এসব নেগেটিভ কথা বলবেন না তো! আমি পছন্দ করি না। অবশ্যই চাল পাওয়া যাবে। যা পেয়েছেন তা দেওয়া শুরু করুন। বাকি চাল দু’তিন দিন অপেক্ষা করে কিনে ফেলেন। দামের কথা বলার দরকার নেই। এই সময় দাম তো কিছু বেশি হবেই। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভালো মন্দ আছে না! সুযোগসন্ধানী আছে না! তারা তো সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সেনিটাইজার নিয়ে কী হলো মনে নেই!
আবুল কালাম নীচু গলায় বলল, সরি ম্যাম।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

 

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের কল্যাণে ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। কিছুদিন আগে আমাদের লিডার ড. ইউনূস জাতীয় ঐক্যের জন্য সমস্ত দলকে ডাকছে না? ওনার কথায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের সঙ্গেও ঐক্য হওয়া দরকার। না হয় বিপদ আছে। নিজেদের মাঝে মারামারি, মনোমালিন্য করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, তাওহিদের দাওয়াতের জন্য এক হতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন হলে আমাদের শক্তি কমে যাবে। একে অপরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে নিজের মধ্যে মতানৈক্য না করি। ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে। আমি পেকুয়ার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল থেকে আলেম ওলামা ও সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলছি, ভেদাভেদ ভুলে আমরা জাতীয় ঐক্যে আবদ্ধ হই।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সাবেকগুলদীর মাঠে স্মরণকালের বৃহৎ তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মোফাসসিরের বয়ানে আজহারী এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে উঠে ১১টা পর্যন্ত বয়ান করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

আজহারীর বয়ানের আগে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

মাহফিলটি দুই অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম। এতে আলোচনা পেশ করেন শায়খ মুফতী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীনসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। বয়ান করেন শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

মাহফিলে লাখো মানুষের সমাগমে আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জনারণ্যে পরিণত হয়। অতিরিক্ত চাপের কারণে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়। ইউটিউবাররা মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করেন, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, ড. আজহারীসহ অন্যান্য ইসলামী আলোচকদের উপস্থিতিতে পেকুয়ার এই মাহফিল স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি

ছবি: সংগৃহীত

মোজাম্বিকের রাজধানীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে একটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় অন্তত ছয় হাজার বন্দি পালিয়েছে কারাগার থেকে।

দেশটির পুলিশ প্রধান বার্নাডিনো রাফায়েল বলেছেন, বড় দিনে মাপুতো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়েছে। এ ঘটনাকে তিনি বিদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কারাবন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৩৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

প্রথম দিকে দেশটির কর্মকর্তারা দেড় হাজার বন্দির পালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এখন আপডেট খবরে বলা হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া বন্দির সংখ্যা ছয় হাজার।

প্ল্যাটাফর্মা ইলিটোরাল ডিসাইড নামের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ৯ অক্টোবরের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

Header Ad
Header Ad

আজ বন্ধুকে কল করার দিন

প্রতীকী ছবি

বন্ধুত্ব হলো এক অনন্য সম্পর্ক, যা নির্ভরতা আর আত্মার গভীর সংযোগে বাঁধা। এই সম্পর্ক কখনো মধুর, কখনো সামান্য তিক্ত, তবু এর গভীরতা অপরিসীম। আধুনিক যুগে আমরা বন্ধুত্বের অনুভূতি ভাগাভাগি করি চ্যাট কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে। তবে চ্যাট বা এসএমএস কি বন্ধুর কণ্ঠের উষ্ণতার বিকল্প হতে পারে? প্রিয় বন্ধুটির কণ্ঠ না শুনলে সেই সম্পর্কের হৃদয়স্পর্শী উষ্ণতা কি সম্পূর্ণ হয়?

কবে শেষবার সেই শৈশবের প্রথম বন্ধুটার সঙ্গে কথা বলেছেন? স্কুলে যার সঙ্গে দিন কাটত গল্প আর হাসিতে, যার উপস্থিতি ছাড়া কোনো স্মৃতি অসম্পূর্ণ ছিল, আজ তার সঙ্গে দেখা করতেই কি কত প্ল্যান করতে হয়! কথোপকথনও কি আগের মতো প্রাণবন্ত থাকে?

আজকের ব্যস্ত জীবনে বন্ধুর কথা মনে পড়লে আমরা চ্যাট বা এসএমএসে সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু চ্যাট বা এসএমএস কি সেই হাসিমাখা কণ্ঠের বিকল্প হতে পারে? যার কণ্ঠ এক মুহূর্তেই আপনার সব ক্লান্তি দূর করতে পারে, সেই বন্ধুটিকে কি শুধু লিখিত কথায় সন্তুষ্ট রাখা ঠিক?

আজ "কল এ ফ্রেন্ড ডে"। এই বিশেষ দিনে তাকে কল করুন। ভাবছেন এতদিন পর কী বলবেন? সহজ—যা আপনার মনের গভীরে জমে আছে, তা-ই বলুন। এমন কিছু, যা হয়তো অন্য কাউকে বলতে পারছেন না, সেটাও নির্দ্বিধায় শেয়ার করুন। বন্ধুর সঙ্গে কষ্ট কিংবা আনন্দ, সবই সহজে ভাগ করা যায়।

যদি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে, সেটাও মিটিয়ে নিন। মনে রাখবেন, বন্ধুত্বে দূরত্ব হতে পারে, কিন্তু বিচ্ছেদ নয়। তাই আর দেরি না করে ফোন হাতে নিন।

বন্ধুকে ফোন দিয়ে মন খুলে কথা বলুন, পুরনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করুন। তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। আর অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানান—আপনার জীবনে তার জায়গার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কারণ বন্ধুত্ব, ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা