বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৭

বিষাদ বসুধা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাগলের মতো সাহেদ করিমকে খুঁজছেন। সাহেদ তাকে কথা দিয়েছিল যে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিডিয়াতে আর কোনো রিপোর্ট হবে না। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একের পর এক দুর্নীতির রিপোর্ট পত্রিকায় আসছে। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির রিপোর্ট। সারাক্ষণ তার মনের মধ্যে ভয়, এই বুঝি প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠালেন! এই বুঝি তাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বলা হলো! মন্ত্রী কারও কাছে মুখ দেখাতে পারেন না। বাসায় পত্রিকা লুকিয়ে রাখেন। বউ ছেলে মেয়েদের কাছে ছোট হয়ে যাওয়ার ভয় তার। কিন্তু পত্রিকা লুকালে কী হবে? টিভিগুলির কী করবেন? টিভিগুলো যেন আরেক ডিগ্রি সরেষ। সেখানে খবর তো প্রচার করেই। খবরের পর পরই শুরু হয় টকশো। সেই টকশো বড়ই টক লাগে মন্ত্রীর কাছে। সেদিন পরিবারের সবাই মিলে টিভিতে খবর দেখতে বসে বড় লজ্জার মুখে পড়লেন মন্ত্রী। সংবাদের শুরুতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির খবর! মন্ত্রীর হাতেই ছিল রিমোট কন্ট্রোল। হেডলাইন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অন্য চ্যানেলে চলে গেলেন। এক পর্যায়ে বন্ধই করে দিলেন।
মেহেরুন্নেসা বললেন, কি হলো? খবরটা দাও না!
না।
কেন?
খবরটা তিতা।
মেহেরুন্নেসা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোনো খবরটা তিতা তা মনে করার চেষ্টা করলেন। কোনো একটা দুর্নীতির খবর! না। মনে করতে পারছেন না। তিনি মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বললেন, রিমোটটা আমার কাছে দাও তো।
না। এখন থাক।

মেহেরুন্নেসা আবারও বিস্ময়ের দৃষ্টিতে মন্ত্রীর দিতে তাকিয়ে রইলেন। বাচ্চারা টিভির সামনে থেকে উঠে চলে গেল। মেহেরুন্নেসাও কিছুক্ষণ পর অন্য ঘরে চলে গেলেন। মন্ত্রী বসে রইলেন। দুশ্চিন্তার বোঝা ভারী হয়ে তার মাথায় চেপে বসে। তিনি মনে মনে ভাবেন, এভাবে লুকিয়ে তিনি কতদিন ঠেকিয়ে রাখবেন! একদিন না একদিন তো পরিবারের লোকরা জানবেন। তখন তাদের কাছে তিনি কীভাবে মুখ দেখাবেন!
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যাচারা লোক খারাপ না। নিরেট ভদ্রলোক। তিনি নিজে দুর্নীতি করেন না। কিন্তু তার মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি কিছুতেই ঠেকাতে পারছেন না। আসলে তিনি প্রশাসনিকভাবে শক্ত লোক না। কাউকে কিছু বলতে পারেন না। শুরুতেই তিনি যদি শক্তভাবে হাল ধরতেন তাহলে নিয়ন্ত্রণ হয়তো করতে পারতেন। তার অদক্ষতার কারণেই দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে। আসলে শুধু সৎ ভদ্রলোক হলেই চলে না। তাকে দক্ষ হতে হয়। প্রশাসনকে শক্ত হাতে চালাতে হয়। সেই কথা বার বার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পছন্দ করেন বলে হয়তো এখনই চাকরিটা যাবে না। কিন্তু যেতে কতক্ষণ! তিনি আর যা-ই হোক, দুর্নীতি এবং দুশ্চরিত্র লোকদের দুই চোখে দেখতে পারেন না। কারও বিরুদ্ধে এই দুই ধরনের অভিযোগ উঠলে তার আর রক্ষা নেই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করেন না। এটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন। তিনি এও জানেন, প্রধানমন্ত্রী পত্রিকার কাটিং নয়; প্রতিদিন পত্রিকার হার্ড কপি পড়েন। তার কাছে সবগুলো পত্রিকা যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির রিপোর্টগুলো তার নজর এড়াবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পত্রিকায় দুর্নীতির রিপোর্ট দেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলেন, ইস! কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী ডেকে করোনা মোকাবিলার জন্য বড় একটা বাজেট দিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি ভাবেন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর করোনার বাজেট নয়ছয় করছি! ছি ছি! এটা কোনো কাজ হলো!
কদিন ধরে দুশ্চিন্তায় মন্ত্রী ঘুমাতে পারেন না। তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা তাকে অস্থির দেখে বলেন, কী হয়েছে করিম? কী নিয়ে এত চিন্তা করছ? কোনো সমস্যা হয়েছে?
না। তেমন কিছু না।
তাহলে এমন করছ কেন?
কেমন করছি?
কেমন অস্থির লাগছে তোমাকে! মনে হচ্ছে, কোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করছ!
আমার কিছুই ভালো লাগছে না।
আমাকে খুলে বলো। কোনো অসুবিধা নেই। আমি তোমাকে হেল্প করব।
পরে বলব।
পরে কেন? প্রেমে ট্রেমে পড়নি!
মন্ত্রী এবার না হেসে পারলেন না। একটা ভয়ানক থমথমে পরিবেশকে মেহেরুন্নেসা হালকা করে দিলেন। কিছুক্ষণের পরেই তিনি বললেন, হাসছ কেন? তোমার এখন অনেক ক্ষমতা। সরকারের ডাকসাইটে মন্ত্রী! এখন তো দুধের মাছিরা তোমার কাছে ঘুরঘুর করবেই। আমি মেয়ে। তাই মেয়েদের আমি খুব ভালো করে চিনি।
মন্ত্রী নিজে আবার চিন্তার রাজ্যে ডুবে গেলেন। তিনি মনে মনে সাহেদ করিমকে খোঁজেন। চিন্তা করতে করতেই মোবাইল হাতে নিয়ে সাহেদ করিমকে ফোন করেন। না। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ।

মন্ত্রী মনে মনে সাহেদ করিমকে গালমন্দ করেন। লোকটা একটা ভুয়া। কথা দিয়ে কথা রাখে না। বিপদের সময় পাশে থাকে না। আমার বিপদ থেকে সে বোধহয় কেটে পড়েছে। চরম বিরক্তি নিয়ে আবার টেলিফোনে সাহেদকে খোঁজেন।
কিছুক্ষণ পর মেহেরুন্নেসা আবার মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বললেন, আজ পত্রিকা দেখেছ? স্ত্রীর কথা শুনে মন্ত্রী চমকে উঠলেন। বিস্ময়ের সঙ্গে তিনি বললেন, পত্রিকা! সকালে কখন দেখলে তুমি পত্রিকা! কী লিখেছে পত্রিকায়!
মন্ত্রীর চেয়েও বেশি বিস্মিত হলেন মেহেরুন্নেসা। তিনি ভাবতেও পারেননি মন্ত্রী তার কথায় এতটা বিস্ময় প্রকাশ করবেন। তার মানে কী! গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকা পাচ্ছিলাম না কী কারণে? মন্ত্রী নিজেই কি লুকিয়ে রেখেছিলেন?
কিছুক্ষণ পর মেহেরুন্নেসা আবার বললেন, পত্রিকার কথা শুনে তুমি ওমন বিস্ময় প্রকাশ করলে কেন?
মন্ত্রী কথা ঘুরানোর জন্য বললেন, না মানে তুমি পত্রিকা কখন দেখলে?
আমি আজ অনেক আগেই ঘুম থেকে উঠেছি। জানো, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকা পাচ্ছিলাম না। তাই ভাবলাম আগে আগে উঠে আজ হকারকে ধরব। হাঁটতে যাওয়ার নাম করে নিচে হাঁটাহাঁটি করলাম।
মন্ত্রী আবারও বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বললেন, তারপর! হকারকে পেলে?
হুম। হকারের কাছে জানতে চাইলাম, পত্রিকা সে ঠিকঠাক মতো দেয় কি না-
কী বলল?
বলল, ঠিকমতোই দিয়ে আসছে। কোনো রকম ত্রুটি করেনি। তাহলে পত্রিকাগুলো কোথায় গেল?
যাকগে, ওসব কথা রাখো। পত্রিকায় কী লিখেছে সেটা বলো।
মেহেরুন্নেসা সাহেদ করিম বলার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী লাফিয়ে উঠলেন। বিস্ময় আর আতঙ্ক নিয়ে স্ত্রীর সামনে এগিয়ে গিয়ে বললেন, সাহেদ কী করেছে!
এত উত্তেজিত হচ্ছ কেন? বলছি।
আচ্ছা আচ্ছা...
তোমাদের সঙ্গে সাহেদ কোনো চুক্তি করেছিল নাকি!
হুম। করেছিল। করোনার ফ্রি টেস্ট করানোর বিষয়ে চুক্তি।
রিজেন্ট হাসপাতাল তো!
হুম।
এই দেখ তাকে নিয়ে পত্রিকায় কী লিখেছে।
পত্রিকা হাতে নিয়ে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে মন্ত্রী তাকিয়ে রইলেন।

গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির পর সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের সিদ্ধান্তের কথা পুলিশ ও র‌্যাবের উপর মহলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় অভিযান। সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাব তৎপর। তৎপর মিডিয়াও। প্রতিদিনই তাকে নিয়ে নানা ধরনের কার্টুনসহ প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে, সাহেদেও পুরো ব্যবসাই দাঁড়িয়েছে মিথ্যার উপর। সে যে হাসপাতাল করেছে তার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও নিজের কোনো মিডিয়া নেই। অথচ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার চলাফেরা, ওঠাবসা। তার দুই নম্বরি কাজকর্মেও খবর এখন পত্রিকায় উঠে আসছে। উঠে আসছে টিভির খবরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। তাকে নিয়ে টিভিগুলোতে থাকছে টকশো। সে এখন টক অব দ্য টাউন থেকে টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা। রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে, পাড়ায় মহল্লায় আলোচনার তুফান উঠছে। ছেলে-বুড়ো সবাই বলছে, দেশে এখন একটাই ইস্যু, সাহেদ।

বাংলাদেশে এই হলো আরেক সমস্যা। যখন যে ইস্যু আসে সেই ইস্যুটি তিতা না হওয়া পর্যন্ত কচলাতেই থাকে। দেশে যেন আর কোনো ইস্যু নেই। কেন? যখন ইস্যুটি তৈরি হচ্ছিল তখন কেন ধরা হলো না? আগে কেন সবাই সাহেদকে নিয়ে এতো নাচানাচি করল। অনেকে বলেন, সাহেদকে ছাড়া নাকি কোনো কোনো টিভি চ্যানেলে টকশোই শুরু হয় না! বাপরে! এত ক্ষমতা সাহেদের! এখন সেই সাহেদ কোথায়?

সাহেদ করিমের সঙ্গে বড় সাংবাদিকদের ছবি গণমাধ্যম লুকোবার চেষ্টা করলেও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে মন্ত্রী-এমপিদের ছবিও। সেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। অতি সাধারণ মানুষও জানে, সাহেদের সঙ্গে কারা ওঠাবসা করেছে। এখন গরু খোঁজার মতো সাহেদকে খোঁজা হচ্ছে। পেলেই তাকে সুলে চড়ানো হবে-এমন অবস্থা।
সাহেদ করিমের সৃষ্টি হলো কীভাবে সে কথা কিন্তু কেউ বলছে না।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

 

Header Ad
Header Ad

দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ১৯.২ শতাংশ: বিবিএসের জরিপ

ছবি: সংগৃহীত

দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২ শতাংশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রোভাটি ম্যাপ অব বাংলাদেশ ২০২২ এর ফলাফলে এসেছে এমন তথ্য।

এতে দেখা যায়, গ্রামে দারিদ্র্যতা কমেছে। হাউস হোন্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে গ্রামে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা প্রোভাটি ম্যাপ অব বাংলাদেশ ২০২২ এর সার্ভেতে কমে হয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ।

অন্যদিকে শহর এলাকায় দারিদ্র্যতা বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। আগে শহরে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এখন বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে প্রভার্টি ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বিশ্বব্যাংক এবং ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।

দারিদ্র্য ম্যাপ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সামনো লাওসন পার্সিমেন্ট, বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ডেভেরপমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম লিডার এস আমের আহমেদ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন ড. দীপঙ্কও রায়।

প্রভার্টি ম্যাপে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ; আর সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। রংপুরে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, সিলেটে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ২২ দশমিক ৬ শতাংশ, খুলনা ১৭ দশমিক ১ শতাংশ আর ঢাকা বিভাগে দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দারিদ্র্যতা বেড়েছে সিলেট, রংপুর, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে। বরিশালে দারিদ্র্যের হার বেশি হলেও তা আগের ২৬ দশমিক ৯ শতাংশের তুলনায় ০ দশমিক ৩ শতাংশ কমে এখন হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। হাউস হোন্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভেতে ঢাকার দারিদ্র্যের হার ছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা প্রোভাটি ম্যাপ অব বাংলাদেশ ২০২২ সার্ভেতে বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।

দারিদ্র্য ম্যাপে আরো দেখা যায়, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের দাসার উপজেলা ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১০ সালের সার্ভেতে এ উপজেলার দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকার পল্টনে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম ১ শতাংশ।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে: প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসাকে সহজলভ্য এবং সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। ওষুধের মূল্য যুক্তিসংগত হারে হ্রাস করা হবে।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে ‘ইসলামিক মডেল হাসপাতাল’ উদ্বোধনকালে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করে সবার জন্য জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করা হবে। পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবীমা চালু করা হবে। গরিব মানুষের জন্য ৫০ ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। একটি কার্যকর রেফারেল সিস্টেম গড়ে তোলা হবে।

ইসলামিক মডেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, হালুয়াঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোয়াজ্জেম হোসেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নুরে আলম জনি, সদস্যসচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, আবদুল মোতালেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

‘গরুর ডিম’ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় ফ্রান্সে বন্ধ হলো এআই চ্যাটবট

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট ‘লুসি’ সম্প্রতি অপ্রাসঙ্গিক এবং ভুল উত্তর দেওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। মাত্র তিন দিন আগেই চালু হওয়া এই চ্যাটবটটি এক ব্যবহারকারীকে ‘গরুর ডিম’ খাওয়ার পরামর্শ দেয়, যা ইন্টারনেট জগতে নানা রকম মশকরা ও ঠাট্টার জন্ম দেয়। এর পাশাপাশি, চ্যাটবটটি সাধারণ গাণিতিক সমস্যাতেও ভুল উত্তর দিচ্ছিল, যা আরও সমালোচনার জন্ম দেয়।

চ্যাটজিপিটির মতো বড় এআই সিস্টেমের একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল ‘লুসি’। ফরাসি সরকার কর্তৃক পরিচালিত ‘ফ্রান্স ২০৩০’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে সিএনআরএসের সহযোগিতায় লিনাগোরা গ্রুপ এই চ্যাটবটটি তৈরি করে। উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি শিক্ষামূলক এআই মডেল তৈরি করা।

তবে চ্যাটবটটির প্রাথমিক সংস্করণে বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। লিনাগোরা গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘লুসি’ এখনও একটি গবেষণা প্রকল্প এবং এর উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরুতেই ছিল। তারা স্বীকার করেছে যে, এই মডেলটি খুব দ্রুত অনলাইনে চালু করা হয়েছিল এবং ব্যবহারকারীদের এর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানো উচিত ছিল।

লিনাগোরা গ্রুপের সাধারণ পরিচালক মিশেল-মারি মডেট জানিয়েছেন, চ্যাটবটটি এখন আপডেট করা হবে এবং নতুন বেটা সংস্করণে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটি আবার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

চ্যাটবটটির সৃষ্টির পেছনে ফরাসি জাতীয় প্রতীক ‘মেরিয়ান’ এবং ‘লুসি’ সিনেমার মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের অনুপ্রেরণা রয়েছে। এর লোগোতে নীল, সাদা ও লাল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ফরাসি সংস্কৃতির প্রতীক।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাটবটটির অদ্ভুত এবং ভুল উত্তরগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ায় ‘লুসি’ এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এটি একটি গাণিতিক প্রশ্নের ভুল উত্তরও দিয়েছিল, যেখানে ৩ + ২ গুণ ৫ করার পর চ্যাটবটটি বলেছিল, ফলাফল হবে ১৭, যা আসলে ভুল।

ফ্রান্সের ইংরেজি ভাষার আধিপত্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈরি করা ‘লুসি’ মডেলটি এখন আপডেটের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে আয়োজিত ‘আল্ট্রাফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট’-এ অংশ নিতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ ও নেতারা একত্রিত হবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ১৯.২ শতাংশ: বিবিএসের জরিপ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে: প্রিন্স
‘গরুর ডিম’ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় ফ্রান্সে বন্ধ হলো এআই চ্যাটবট
‘সরকারের ব্যর্থতায় ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণার সাহস পেয়েছে’
ভারতে ১ম বর্ষের ছাত্রকে বিয়ে করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা!
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের
আ.লীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন নাহিদ-আসিফ  
আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি