রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩৩

কায়রোতে আমাদের দুজনের শেষ দিন। এসেছিলাম তিনজন একসঙ্গে, কিন্তু আমরা ঢাকায় ফিরলেও রানা ভাই ফিরবেন আরও এক সপ্তাহ পরে। সকালের ফ্লাইটে শাহরাম এল শেখ হয়ে সিনাই চলে যাবেন, আমেরিকা থেকে এক বন্ধু এসে তার সঙ্গে যোগ দেবেন বন্দর নগরী শাহরাম এল শেখ-এ। তারপর সিনাই হয়ে ইসরাইলের সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসে কায়রো হয়ে ঢাকায় যাবেন।

আমাদের ফ্লাইট সন্ধ্যায়। দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাইরে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছোটাছুটি করে কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সিটাডেল দর্শন বাদ পড়ে গেছে। রানা ভাই আগে একবার এসে ঘুরে গেছেন, সেই কারণেও আমরা প্রায়োরিটির তালিকা থেকে বাদ রেখেছিলাম। আসলে সময়ও করতে পারিনি। সৌরভ আগে থেকেই সকালের জন্য দুটি বাহনের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। একটা রানা ভাইকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেবে অন্যটা আমাদের সিটাডেল ঘুরিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় পৌঁছে দেবে। সকাল সাড়ে সাতটায় দুটি গাড়ি দরজায় প্রস্তুত। আমরা একইসঙ্গে নাস্তা করে এক যাত্রায় পৃথক ফলের নির্দেশনা মেনে নিয়ে দুই গাড়িতে উঠে বসলাম।

সিটাডেলে প্রবেশ পথ

সিটাডেলের মূল চত্বরে ঢুকে পড়ার আগে ফুটপাথ ঘেষে আমাদের নামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার জোসেফ বলল, ‘তোমরা সিটাডেল ঘুরে দেখে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে।’ সিটাডেলের বিশালত্ব সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বললাম, ‘ঘণ্টা দুয়েক তো অনেক সময়!’ বাহনের চালক এবারে হেসে বলল, ‘তারপরেও তোমরা বরং একটু বেশি সময় নাও। এখন সাড়ে আটটা বাজে, তোমরা এগারোটায় ঠিক এইখানে চলে এস। এখানে গাড়ি রাখার সমস্যা আছে, আমি পার্কিং থেকে এসে তোমাদের তুলে নিয়ে যাব।’ ‘তথাস্তু’ বলে আমরা সামনে হাঁটতে শুরু করলাম।

পাথরে বাঁধানো পায়ে চলার পথ ধরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছাতেই অনেকটা সময় লেগে গেল। কাউন্টারে বসা কাঁধ পর্যন্ত লাল চুলের হিজাববিহীন মেয়েটি হেসে হেসে বলল, ‘ওয়ান হান্ড্রেড পাউন্ড প্লিজ!’ ভেবেছিলাম দুজনের জন্যে একশ, কিন্তু একটু পরেই বুঝলাম একজনের প্রবেশপত্রই একশ! সারা মিশরে ফারাওদের বিশাল রাজত্বে হাজার বছরের পুরোনো স্থাপনা, ভবন, সমাধি, মন্দির, দূর্গ ঘুরে এসেছি কোথাও ৬০ থেকে ৭৫ এর বেশি দক্ষিণা দিতে হয়নি। কে জানে গাজী সালাহউদ্দিনের নাম মাহাত্মেই কিনা তার দূর্গ দর্শনের দক্ষিণা অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি।

নাসির মাহমুদ মসজিদ

খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের সাম্ভাব্য আক্রমণ থেকে কায়রোকে রক্ষা করতে কুর্দিশ আইয়ুবী শাসক ইউসুফ ইবনে আইয়ুব ইবনে সাদি ওরফে সালাহউদ্দিন ১১৭৬ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দের ভেতরে তৈরি করেছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে সুরক্ষিত দূর্গ কায়রো সিটাডেল। আমাদের দেশে গাজি সালাহউদ্দিন নামে পরিচিত সালাহউদ্দিন আরব বিশ্ব, তুরস্ক ও মিশরে মুসলিম শাসকদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ফাতিমি খিলাফতের নাবালক খলিফা আল আদিদকে সহায়তা দেওয়ার জন্যে সালাহউদ্দিনকে ১১৬৪ সালে মিশরে পাঠানো হয়েছিল। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার সামরিক সাফল্য এবং আল আদিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে সালাহউদ্দিন সুন্নি হয়েও শিগগিরই শিয়া ফাতিমি সাম্রাজ্যে নিজের গুরুত্ব ও অবস্থান নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তার মেয়াদকালে ক্রমেই ফাতিমীয় খিলাফতকে দুর্বল করে দিয়ে আল আদিদের মৃত্যুর পরে সালাহউদ্দিন মিশরে নিজের অবস্থান শক্ত করে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে যান। বাগদাদভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে তার সম্পর্ক মজবুত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মুস্তাদি সালাহউদ্দিনকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষণা করেন।

নাসির মাহমুদ মসজিদের ভেতরে

দূর্গের অভ্যন্তরে দীর্ঘ প্রশস্ত পথ ধরে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলে ডান দিকে আল নাসির মাহমুদ মসজিদ। ১৩১৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় উপাসনালয় হিসেবে মামলুক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে পাঁচ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। প্রায় নয়শ বছর আগে তৈরি মসজিদের কারুকার্য খচিত মিনার এখনো অক্ষত আছে। শুধু মিনার নির্মাণ ও অলঙ্করণের জন্যে ইরানের তাবরিজ থেকে একজন স্থপতিকে কায়রো নিয়ে এসেছিলেন সুলতান নাসির মাহমুদ। এখানে জুতা খোলার বাধ্য বাধকতা থাকলেও নারীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই। আমাদের আগেই কয়েকজন শ্বেতাঙ্গিনী মসজিদ চত্বরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন দেখে বোঝা গেল ১০০ পাউন্ড উসুল করার ব্যবস্থা রেখেই প্রবেশ পত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুহম্মদ আলী মসজিদ

সুলাইমান পাশা মসজিদ নামের আরেকটি ছোট মসজিদকে বলা যায় পাশ কাটিয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম কায়রোর তথা মিশরের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন, সর্বাধিক চিত্রায়িত ও সর্বজন প্রশংসিত মুহম্মদ আলী মসজিদের দিকে। সুলতান মুহম্মদ আলী পাশা ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্কের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এই মসজিদ। আটোমানদের সঙ্গে বৈরিতা তার এই স্থাপত্য সৌন্দর্য বিনির্মাণে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাঝখানের কেন্দ্রীয় গম্বুজ ঘিরে চারটি ছোট ও চারটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ নিয়ে তৈরি হয়েছে মসজিদের মূল কাঠামো।

এখানে এক সঙ্গে নামাজে যোগ দিতে পারেন দশ হাজার মানুষ। নির্মাণকাজে প্রধানত লাইমস্টোন ব্যবহার করা হলেও সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে অ্যালাবাস্টারের আচ্ছাদন। মসজিদের মিনার দুটির উচ্চতা ৮৪ মিটার, যা মিশরের সর্বোচ্চ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। ভেতরের চিত্রিত গম্বুজ ও কাঠের তৈরি সুদৃশ্য মিম্বর দুটি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ন্যাশনাল মিলিটারি মিউজিয়াম

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আমরা একটা খোলা চত্বরে এসে পড়লাম। এখান থেকে ডানে জাতীয় সামরিক মিউজিয়াম এবং বাঁয়ে পুলিশের জাদুঘর। প্রথমেই ঢুকে পড়লাম সেনাবাহিনীর জাদুঘরে। একসারি কামান সাজানো পথ ধরে একটু এগিয়ে গেলে যিনি মূর্তিমান হয়ে একটি বেদীতে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি স্বয়ং মুহম্মদ আলী পাশা। আরাম আয়েশে কালাতিপাত করার জন্যে সিটাডেলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে তিনি যে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ১৯৩৭ সাল থেকে সেই প্রাসাদই ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়াম। বহিরাঙ্গনে সাঁজোয়া যানবাহন ও যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন ছাড়াও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী রয়েছে তিনটি ভিন্ন তলায়।

সিটাডেল থেকে কায়রো শহর

পুলিশ মিউজিয়ামে প্রবেশের তোরণ দেখে বোঝা যায় এটি দূর্গের ভেতরে আরও একটি সংরক্ষিত দূর্গ। সুলতানী আমলে এই অংশটি ব্যবহার করা হতো কারাগার হিসেবে। ফারাও যুগ থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রহরী থেকে শুরু করে আধুনিক পুলিশে রূপান্তরের ইতিহাস চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে পুলিশ মিউজিয়ামে।

পুলিশ মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে একটি তোরণ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে দেয়াল দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বরে পৌঁছে দেয়ালের প্রান্তে দাঁড়ালে কায়রো শহরের একটা বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরোনো শহরের সমাধি ক্ষেত্র থেকে নতুন শহরের বহুতল ভবন পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা জুড়ে শহরের বিস্তার থেকে এই শহরের বিশালত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। সিটাডেলের ভেতরে আরও একটা মিউজিয়ামসহ অনেক কিছুই সময়ের অভাবে দেখা হলো না। এগারোটায় আমাদের তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ঘড়িতে এগারোটা বেজে পার হয়ে গেছে। অতএব এবারে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যাবার পথ ধরতে হলো।

সিটাডেলে দেয়াল চিত্র

চলতে চলতেই লক্ষ করলাম দেয়ালে বিভিন্ন যুগের যুদ্ধ বিগ্রহের দৃশ্য, রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও বীরত্ব গাথার দৃশ্য। পাথরে রিলিফের কাজ নাকি কাদামাটি বা প্লাস্টার অব প্যারিসের মতো সামগ্রী ব্যবহার করে পরে তামাটে রঙ করা হয়েছে বুঝতে পারিনি। হয়তো তামা বা লোহা জাতীয় ধাতব প্লেটে ঢালাইয়ের কাজও হতে পারে। সুদূর অতীত থেকে নানা সময়কে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের যে নৈপুণ্য তা আরও অনেক সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে উপভোগ করতে পারলে কোনো আফসোস থাকতো না। দ্রুত হেঁটে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আমাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ড্রাইভারের দেখা নেই। মিনিট পাঁচেক পরে যোসেফ এসে দাঁড়ালে জানা গেল সে আরও দুবার এখান থেকে চক্কর দিয়ে গেছে। পার্কিংয়ের নিয়ম নেই বলে অপেক্ষা করতে পারেনি।

পথে যোসেফকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘একজন খ্রিষ্টান সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠের দেশে তোমরা কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হও?’ কয়েকবার সে ‘মাইনরিটি’ শব্দটা উচ্চারণ করার পরে যা বলল তাতে বুঝলাম, মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু বলে যে একটা শব্দ আছে তা সে জানেই না। কায়রোতে আমাদের প্রথম গাইড সিলভিয়া এবং শেষ ড্রাইভার যোসেফের কাছে একই ধরনের উত্তর পেয়ে বুঝলাম আমরা নিজেদের দেশকে যতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উচ্চকণ্ঠে দাবি করি, এই গলা ফাটানো চিৎকারের মধ্যেই ফাঁকিটা লুকিয়ে আছে। মিশরে সেই গাজী সালাউদ্দিনের যুগে ধর্মযুদ্ধের পরে আর কবে কবে কোথায় ধর্মের নামে লড়াই হয়েছে আমার জানা নেই, তবে সাম্প্রতিক মিশরে কেউ কোরো ধর্ম, পোশাক, হিজাব-নিকাব, মসজিদ-গির্জা, মূর্তি কিংবা ভাস্কর্য নিয়ে মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না।

জাতীয় পুলিশ জাদুঘর

যোসেফ আমাদের নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরেও অনেকটা সময় আছে। সারারাতের ফ্লাইটের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে লাঞ্চের পরে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এই অসময়ে ঘুম আসবে না নিশ্চিত জানি। আমাদের দুটি করে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এয়ারপোর্টে রিপোটিং-এর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। আগের দিন বিকেলে ল্যাবরেটরি থেকে লোক বাসায় এসে স্যাম্পল নিয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে মিশরের বিভিন্ন প্রান্তে জাহাজে, দূর্গে, বাজারে ও মসজিদ, মন্দির, গির্জায় প্রচুর ঘোরাঘুরি হয়েছে। কোথায় কোভিডের অদৃশ্য শত্রু ঘাপটি মেরে বসে ছিল কে জানে! রিপোর্টের নেতিবাচক ফলাফলের চেয়ে রিপোর্ট সময় মতো হাতে পাওয়া নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটায় এয়ারপোর্টে রিপোর্টিং, কাজেই সন্ধ্যা ছয়টায় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলে ফ্লাইট ধরা কঠিন হবে। সৌরভ অবশ্য ফোন করে তাগাদা দিয়ে রেখেছিল, ফলে বিকেল চারটায় রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। খাম খুলে দেখা গেল কোনো সমস্যা নেই, সময় মতো বেরিয়ে পড়া যাবে।

বাসায় কেউ উপস্থিত না থাকলে চাবি ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা টেনে বন্ধ করে চলে যাবার বিপদ হলো যদি কোনো কারণে ভেতরে কিছু থেকে যায় তাহলে আর তা উদ্ধারের কোনো উপায় থাকে না। রানা ভাই সকালে চলে গেছেন, সৌরভ অফিসে। কাজেই পাসপোর্ট, টিকেট, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট, ট্রলি ব্যাগ ও স্যুটকেসসহ সবকিছু তিনবার করে দেখে নিয়ে দরজার বাইরে এবং চাবি ভেতরে নির্ধারিত জায়গায় রেখে দরজাটা টেনে দিলাম।

এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে দুপাশে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যে পথ পার হয়ে যাচ্ছি হয়তো আর কখনোই সে পথে ফিরে আসা হবে না। রাস্তায় যানজট ছিল না বলে চেক-ইন শুরু হবার অনেক আগেই কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে গেছি। পশ্চিমের আকাশ তখনো সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে রেখেছে। দেশে ফেরার আনন্দ ছাপিয়ে এক ধরনের বিষণ্নতা আমাকে ঘিরে ধরে।
শেষ!

এসএন

 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

 
Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আটজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। একই দিনে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুটি স্থানে আরও দুটি অভিযান চালানো হয়।

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে চারজন এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জ্যাম এলাকায় তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। এই সংঘর্ষগুলোর একটিতে পাক বাহিনীর দুই সেনা সদস্য প্রাণ হারান।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, এসব অভিযান ছিল পরিকল্পিত ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে।

‘পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (PICS) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এতে করে পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই রূপালী ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলা পৌর এলাকার চরভাতকুড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে সিএনজি চালা হেলাল উদ্দিন (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সিএনজি যাত্রী ছিলেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ঘটনা স্থলে মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হয় এক যাত্রী।

এরপর তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে রাতেই হাসপাতালে তিনি মারা যায়।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. মনজুরুল হক জানান, নিহত সিএনজি চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা

হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজ ফ্লাইট শুরু আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল)। ওই দিন ৪১৯ জন সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

চলতি বছর ৮৭ হাজার ১০০ জন পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।

প্রথম ফ্লাইটটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। হজ ব্যবস্থাপনাকে নির্বিঘ্ন করতে সরকারি পর্যায়ে ১১২ জন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৭৪৩ জন গাইড দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ৭০ জন মোয়াল্লেম হজযাত্রীদের সার্বিক সহায়তা করবেন।

হজযাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ তিনটি এয়ারলাইনস। ৩১ মে পর্যন্ত হজের ফ্লাইট চলবে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।

পবিত্র হজ উপলক্ষে এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালনা করবে ১১৮টি, সাউদিয়া ৮০টি এবং নাস এয়ারলাইনস ৩৪টি ফ্লাইট।

হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা, যা ৯ জিলহজ মসজিদে নামিরা থেকে প্রদান করা হয়। এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে হজের খুতবা, এবং তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হবে ২০টি ভাষায়। 

যেসব ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে সেগুলো হলো- বাংলা, ফরাসি (ফ্রেঞ্চ), মালয়, উর্দু, ফারসি, চাইনিজ, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, ইংরেজি, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো এবং জার্মান। 

উল্লেখ্য, ১৪৪৬ হিজরির ৯ জিলহজ (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ৫ জুন) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার