বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা

শাহবাজ খান সকালে অফিসে এসেই আসিফ আহমেদকে ডেকে পাঠান। আসিফ আহমেদ পড়িমরি করে তার অফিসে গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, এমডি সাহেব চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওখানে বৈঠক শেষ করেই অফিসে আসবেন। কাজেই অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার সময় কতক্ষণ তা কেউ জানে না।

আসিফ আহমেদ অতিথি কক্ষে অপেক্ষা করছেন। আর সেখান থেকে ফোনে ফোনে অফিস করছেন। সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সম্পাদকীয় বিষয় চূড়ান্ত করার পাশাপাশি উপ-সম্পাদকীয়তে কার লেখা যাবে না যাবে তা ঠিক করে দেয়। তারপর চিফ রিপোর্টার এবং বার্তা সম্পাদকের সঙ্গে সকালের পরিকল্পনা বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের যথাসময়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভালো রিপোর্টের আইডিয়াও দিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি মোবাইলে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনগুলো দেখতে শুরু করেন। কোন পত্রিকায় কি রিপোর্ট এসেছে তা দেখেন। এরমধ্যে দুই ঘণ্টা সময় চলে যায়।
আসিফ আহমেদকে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে ভাবেন। তারপর এমডি সাহেবের পিএসের কাছে গিয়ে জানতে চান, আর কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে।

পিএস হাসি হাসি মুখ করে বলল, সরি স্যার। বুঝতে পারছি না। স্যার না বলা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে। কিছু করার নেই।

দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন আসিফ আহমেদ। আবার অতিথি কক্ষে গিয়ে বসেন তিনি। অপেক্ষা করেন। এ রকম অপেক্ষা তাকে প্রায়ই করতে হয়। আজও করছেন। অপেক্ষা করিয়ে এমডি সাহেবকে বোঝাতে হয়, তিনি মহাব্যস্ত একজন মানুষ। তার সঙ্গে দেখা হওয়া অতো সোজা কথা না! এর নাম নাকি করপোরেট বিজনেস। একটি অফিসের প্রধান তো বটেই; সম্পাদকও। রাষ্ট্র পরিচালনা যারা করেন তারা পর্যন্ত সমীহ করে চলেন। অথচ পত্রিকা মালিকদের কাছে (তবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না) সম্পাদকরা অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের মতোই। তারা মনে করেন, আমি নিয়োগকর্তা। আমার সঙ্গে দেখা করতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে বাধ্য।

অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। এরমধ্যে আরও এক ঘণ্টা চলে যায়। হঠাৎ পিএস অতিথি কক্ষে এসে আসিফ আহমেদকে উদ্দেশ করে বলে, স্যার আপনাকে কাল সকালে আসতে বলেছেন। আজ এখনো চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে। ওখানেই তিনি লাঞ্চ করবেন। কাজেই আজ আর হচ্ছে না।
ঠিক আছে। আমি আসছি।

আসিফ আহমেদ নিজের অফিসের দিকে রওয়ানা হওয়ার সময় মনে মনে ভাবেন, কি সিদ্ধান্ত হয় কে জানে। এরা শুধু লাভ-লোকসান চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠানের সুনামের কথা ভাবে না। কাজেই যে কোনো ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। নেয় নেক। কিছুই করার নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করবে নাকি বাঁচাবে সেটা তারাই ঠিক করুক। আমার দায়িত্ব বলার আমি বলেছি।

আসিফ আহমেদ অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান এসে হাজির হয়। তারা উদ্বিগ্ন। কি সিদ্ধান্ত হলো তা জানার জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছে। একজন বলল, ঈদের আগে বেতন হবে তো! আরেকজন বলল, ছাঁটাই কি ঠেকানো যাবে? আরেকজন বলল, বোনাসের কথা তো চিন্তাও করা যায় না; তাই না।

আসিফ আহমেদ পিওন ডেকে সবাইকে চা দিতে বললেন। নিজে চায়ে চুমুক দিলেন। কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে রইলেন। কীভাবে কথা শুরু করবেন তা নিয়ে ভাবেন। তারপর বললেন, ঈদে আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পারলেই আমি খুশি। এখন বোনাস নিয়ে আমি ভাবছি না।
সহকারি সম্পাদক মামুন রশিদ বলল, আপনার ভাবনাই ঠিক আছে। আমরা যে বেতন পাই তা দিয়ে ঠিকমতো মাস চলে না। অথচ টানা তিন মাস বেতন নেই। এভাবে কি চলা যায়! আসিফ আহমেদ বললেন, তোমরা কীভাবে চলবে? আমি নিজেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিয়েছি। তা নাহলে ঠিক মতো চলতে পারতাম না। এরমধ্যে দুই বাচ্চার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। পিওনদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমি নিজে মাঝেমধ্যে দুইচার পাঁচশ’ টাকা দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু বেতন না পেলে কাজ করবে কি?

চিফ রিপোর্টার একটু তোতলায়ে কথা বলে। সে কথা শুরু করলে শেষ করতে পারে না। তার কথার ফাঁকে অন্যরা ঢুকে পড়ে। সে দুইতিনবার প্রস্তুতি নিয়েও কথা শেষ করতে পারেনি। এবার সে হাত তুলে বসে আছে। আসিফ আহমেদ তাকে বলার সুযোগ দিয়েছে। সে আগেই বলে দিয়েছে, চিফ রিপোর্টার শেষ না করা পর্যন্ত অন্য কেউ কথা বলবে না।

চিফ রিপোর্টার বলল, ভাই এই সপ্তাহে আমি বেতন না পেলে আর চলতে পারব না। আমার পক্ষে অফিসে আসাও সম্ভব না। ধার করে চলতে চলতে একেবারে শেষ হয়ে গেছি। আর পারছি না। আমার কথা হয়ত একটু বেশি কড়া হয়ে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।
আসিফ আহমেদ মাথা ঝাঁকালো। তারপর বলল, এই সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা যাতে বেতন পান সে চেষ্টা আমি করছি। আপনারা এখন যান। কাজ করেন। কাজ তো আর বন্ধ রাখা যাবে না!

বিভাগীয় প্রধানরা চলে যাওয়ার পর দুপুরের খাবার খেয়ে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধানকে ডেকে পাঠান আসিফ আহমেদ। তার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কলেকশনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার পরামর্শ মোতাবেক বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। তারপর হিসাব কষে তিন মাসের বেতন টাকা দিতে হলে কত টাকা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কলেকশন যাতে হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরমধ্যে হিসাব বিভাগীয় প্রধানকে টেলিফোনে তিনি বলে রাখেন যে, ঈদের আগে বেতনের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। কোথা থেকে কি পরিমাণ টাকা আসছে সে বিষয়েও তিনি সব সময় খোঁজ রাখছেন।

সম্পাদকের কথা হিসাব বিভাগ শুনবে, নাকি শুনবে না সেটা তার এখতিয়ার। এটা একমাত্র পত্রিকা; যার হিসাব বিভাগ সম্পাদকের কথায় চলে না। সম্পাদক একশ’ টাকাও হিসাব বিভাগ থেকে বের করতে পারে না। তার জন্য এমডি সাহেবের সই-সাবত লাগে। যদিও আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পাদককেই দিতে হয়। প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা সম্পাদককেই আয় করতে হয়।

পরদিন সকালে আবার আসিফ আহমেদ দৌড়ালেন এমডি সাহেবের কার্যালয়ে। আবার যথারীতি তাকে অপেক্ষায় থাকতে হলো। তাকে বলা হলো, বসতে হবে। স্যার ব্যস্ত আছেন।
এক দুই ঘণ্টা নয়, তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর একজন দৌড়ে এসে বলল, স্যার আসেন। আপনাকে স্যার ডাকছেন।
আপনাকে তো আগে দেখিনি! আপনি কে?
আমি স্যার পিএস। নতুন যোগ দিয়েছি।
মানে! সবুজ নেই?
না স্যার। ওনার পরিবর্তে আজ আমি যোগ দিয়েছি। আমার নাম সাইদুল।
আচ্ছা আচ্ছা। কাল পর্যন্ত আছেন তো?
সাইদুল হাসলো। তারপর বলল, সবই আল্লাহর ইচ্ছা স্যার।

আসিফ আহমেদ এমডি সাহেবের কক্ষে গেলেন। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শাহবাজ খান বললেন, আপনি চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে বেতনের বিষয়ে মনে হয় কথা বলেছিলেন।
আসিফ আহমেদ মাথা নেড়ে সায় দিলেন।
শাহবাজ খান বললেন, তাকে বলতে গেলেন কেন? উনি কোত্থেকে দেবেন? ওনাকে এ সব বিষয়ে জানানোর দরকার নেই। যাকগে শোনেন, ঈদের আগে আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। আমি এক মাসের বেতন দেব। বাকিটা আপনারা জোগাড় করেন। আর ঈদের পর ছাঁটাইয়ের তালিকা নিয়ে আসবেন। এতে আর গড়িমসি চলবে না। ঈদের পর ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

আসিফ আহমেদ কোনো মন্তব্য করলেন না। শাহবাজ খানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হন। মনে মনে ভাবেন, ছাঁটাইয়ের ভূত মাথা থেকে গেলোই না!

হিসাব বিভাগ প্রধান মনির হোসেনের ফোন পেয়ে নড়েচড়ে বসলেন আসিফ আহমেদ। তিনি বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের বেতন দেবেন না! কেন? তাহলে কত দেবেন?
মনির হোসেন বলল, উনি দেবেন পঁয়ষট্টি লাখ। সেটাও আপনাদের বিজ্ঞাপন বাবদ পাওনা টাকা। নিজের থেকে এক পয়সাও দেবেন না।
বলো কী! তাহলে উপায়?
স্যার, আপনি চেষ্টা করে দেখেন। ঈদের আগে বেতন ক্লিয়ার করতে না পারলে তো আসলেই সমস্যা স্যার।
হঠাৎ তোমার মুখে এই কথা! তুমি তো এক সময় সুর মিলিয়ে বলতে, সাংবাদিকরা বেতন না হলেও চলতে পারে।
সরি স্যার। ভুল হয়ে গেছে। আমার ভুল ধারনা ছিল।
এজন্যই না জেনেশুনে কোনো মন্তব্য করা উচিত না। যাহোক, ঠিক আছে আগে এমডি সাহেবের কাছ থেকে টাকাটা নাও। আমরা এদিকে দেখছি কি করা যায়।
জি। উনি কাল যেতে বলেছেন।

আসিফ আহমেদ ফোন রেখে স্থির হয়ে বসলেন। তিনি উদ্বিগ্ন। কী করবেন তা নিয়ে ভাবেন। মনে মনে বললেন, এমডি সাহেব এক মাসের টাকাও দেবে না! এটা কেমন ধরনের কথা হলো! আমরা তো আমাদের বিজ্ঞাপনের টাকা চেয়েছি। তার মানে মার্কেট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে। তা না হলে তিন মাসের বেতন শেষ করা যাবে না।

আসিফ আহমেদ দেরি না করে বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান নূরুজ্জামানকে ডাকলেন। সে তখন কালেকশনের কাজে ব্যস্ত। সম্পাদকের ডাক পেয়ে সে ছুটে যায় তার কাছে। সম্পাদকের কাছ থেকে সবকিছু জানার পর সেও বিরক্তির সঙ্গে বলল, আপনি জানেন স্যার, এই সময় হাতেপায়ে ধরে মানুষের কাছ থেকে টাকা আনছি। কেউ অফিসেই যাচ্ছে না। কারো বাসায় গিয়ে, আবার কাউকে কাউকে অফিসে ডেকে এনে চেক লিখিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। মালিকদের কাছ থেকে এইটুকু সাপোর্ট না পেলে আমরা চলব কি করে?

আর বোলো না। আমি আর পারছি না। তুমি দেখ। হিসাব করো। আমার প্রায় তিন কোটি টাকা লাগবে। কার কাছ থেকে কত পাওয়া যাবে। আমার আরও কাকে কাকে ফোন করতে হবে তার তালিকা দাও। যা করার এই সপ্তাহের মধ্যেই করতে হবে। আর কিন্তু সময় নেই!
জি স্যার। আমি আপনাকে তালিকা দিচ্ছি। স্যার, আপনি বেশি চিন্তা করবেন না। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের জন্য সমস্যা।
তুমিই বলো; এতো চাপ নেওয়া যায়?
নূরুজ্জামান বিরক্তির সঙ্গে বলল, এই রকম আজব প্রতিষ্ঠান আমি কোথাও দেখি নাই স্যার।
ঠিক তখনই প্রশাসনের রাকিব সম্পাদকের কক্ষে ঢুকে বলল, স্যার এমডি স্যারের অফিস থেকে উপস্থিতির তালিকা চাচ্ছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই অফিসে পাঠাতে হবে।
বিস্ময়ের সঙ্গে আসিফ আহমেদ বললেন, মানে!
করোনার সময় কে কে অফিস করেছে তাদের তালিকা চাচ্ছে। যারা অফিস করেনি তাদের বেতন নাকি দেবে না! রাকিব বলল।
রাকিবের কথা শুনে সম্পাদকের মাথায় যেন বাজ পড়ল।

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪