প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯
বইপত্রের বিশাল জগতের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরি করে উপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে উপরে কয়েকবার ওঠা নামা করে এই অসাধারণ সংগ্রহশালার বিভিন্ন অংশের ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। মিশরের কালজয়ী কবি, সাহিত্যিক, লেখক বুদ্ধিজীবীদের ভাস্কর্য এবং প্রতিকৃতি ছাড়াও শিল্পীদের আঁকা পেইন্টিং ঝুলছে দেয়ালে দেয়ালে। আফ্রিকান আর্ট বিভাগে রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের আঁকা পেইন্টিং কাঠ খোদাই এবং ধাতব ও পাথরের ভাস্কর্য। রিলিজিয়াস সেকশনে ধর্মগ্রন্থ, হাদিস কোরান, তৌরাত, যবুর এবং বাইবেলসহ নাম জানা অজানা নানা ধর্মের পবিত্র পুস্তক। এ ছাড়াও চোখে পড়ে দেয়ালে যিশু খ্রিস্টের জীবনের নানা পর্যায়ের কাহিনি নিয়ে আঁকা ছবি।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা দোতলার একটি কোণায় আবিষ্কার করলাম ‘মিউজিক সেশন’। শুধুমাত্র সংগীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্যে কোনো সাধারণ গ্রন্থাগারে এমন আয়োজন থাকতে পারে, তা না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই করতাম না। এখানে কাচ দিয়ে ঘেরা ডিসপ্লে টেবিল এবং কোথাও সুদৃশ্য কাচের বাক্সে সাজানো রয়েছে বাদ্যযন্ত্র, গানের স্বরলিপিসহ গান এবং গ্রামোফোন রেকর্র্ড। কয়েকটি পুরোনো দিনের গ্রামোফোনও সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে গান শোনারও ব্যবস্থা আছে। আরও অনেকগুলো বিভাগ উপ-বিভাগ ঘুরে এলাম ইতিহাস সেকশনে। ছবিতে ও মডেলে ধারাবাহিকভাবে এখানে তুলে ধরা হয়েছে মিশরীয় সভ্যতার দীর্ঘ বিবর্তনের ইতিহাস। এই সেকশনের দেয়ালে উৎকীর্ণ ইতিহাসবিদ দার্শনিক সোলাইমান হোজায়েনের একটা কথায় দৃষ্টি আটকে গেল।
তিনি বলেছেন ‘Egypt’s civilization was not gift of Nile as Herodotus said, but rather a gift from the Egyptians to civilization and history.’
সত্যিই তো প্রাচীন মিশরীয়রা আড়াই হাজার বছর আগে পৃথিবীকে যা দিয়েছে পরবর্তী আড়াই হাজার বছরে তার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার।
গ্রন্থাগারের ভেতরে
বাইরে বেরিয়ে হাতের বাঁ দিকে স্যুভেনিয়ার এবং বইয়ের দোকান। উপচে পড়া তাকে পিরামিডের ক্ষুদ্র সংস্করণ, ক্লিওপেট্রা, তুতেনখামেনসহ ফারাও রাজন্যবর্গের মুণ্ডু সাজানো। ঝুলছে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট ও ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি ছাপা এবং আই মিস লাইব্রেরি অব আলেক্সান্দ্রিয়া লেখা টি-শার্ট। বইয়ের তাকগুলোতে সাজানো অসংখ্য বই পুস্তকের মধ্যে রয়েছে দ্য ট্রেজার অব কপটিক আর্ট, মস্ক অব ঈজিপ্ট, মিনারেটস অব কায়রো, ইসলামিক আর্ট অফ ঈজিপ্ট এবং টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ঈজিপ্টশিয়ান আর্ট-এর মতো বই।
আফ্রিকান শিল্পকলার উদাহরণ
অনেকটা সময় ধরে লাইব্রেরির ভেতরে হাঁটাহাঁটি করার ফলে পা ধরে এসেছিল। এদিকে রানা ভাই হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে গেছেন। বইয়ের দোকানের সামনে পেতে রাখা সোফা দুটো আমার মতো চলৎশক্তিহীন চরণধারীরা পুরোটাই দখল করে বসে আছেন। আমার চেয়েও বয়োবৃদ্ধ একজন একটু সরে গিয়ে আমার জন্য জায়গা করে দিতে দিতে বললেন, ‘টেক কেয়ার। এটার পায়ের অবস্থা আমার পায়ের চেয়ে বেশি ভালো নয়, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।’ বললাম, ‘ধন্যবাদ। আমার ওজন খুব বেশি নয়, আশাকরি আজকের দিনটা টিকে যাবে।’ অবশ্য বেশিক্ষণ বসতে হলো না। একটু পরে রানা ভাই ফিরে এসে বললেন, ‘সুভ্যেনিয়ার শপের পেছন দিকের ছোট্ট মিউজিয়ামটা দেখে আসেন।’
‘পেছনে তো ওয়াসরুম। মিউজিয়াম কোথায়?’
‘বাঁ দিকে একটা লেভেল নেমে ওয়াস রুম আর ডান দিকে মিউজিয়াম।’
দেয়ালে যিশুর জীবনী
আমি কলা বেচে রথ দেখার উদ্দেশ্যের মতো প্রথমে প্রক্ষালণ কক্ষ ঘুরে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট নামের ছোট্ট সংগ্রহশালায় ঢুকলাম। এখানে একটা লম্বা ঘরে চমৎকার কিছু ছোট ছোট ভাস্কর্য, পেইন্টিং এবং ফ্রেমে বাঁধানো ছবির সমাবেশ ঘটেছে। কিন্তু জনগণের দৃষ্টি সীমার প্রায় বাইরে টয়লেট বাথরুমের উপরে কেন এই প্রদর্শনীর আয়োজন বুঝলাম না। তবে আয়োজন যেখানেই হোক আলেক্সান্দ্রিয়া লাইব্রেরি সফরের সর্বশেষে দেখা এই মিনি মিউজিয়ামটি ভালো লেগেছে।
আমরা যখন বাইরে বেরিয়ে আসছি, তখন একদল চীনা পর্যটক দল ধরে লাইব্রেরিতে ঢুকছেন। ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনের ভেতর দিয়ে তাদের ব্যাগ-বোচকা ঢুকিয়ে আর এক দিক দিয়ে বের হয়ে আসছে। এদের প্রত্যেকের হাতেই সেলফি স্টিকের মাথায় মোবাইল ফোন। এখানে কোথাও ছবি তুলতে মানা নেই, কিন্তু তাই বলে নিঃশব্দ নিরব গ্রন্থাগার ভবনে প্রবেশের সময় হৈ চৈ করে ছবি তুলতে হবে! চেঙ্গিশ খান হালাকু খানের যুগ গত হয়েছে কয়েক শতাব্দী আগে। ইকতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খিলজির দিনও শেষ। তাই বলে বই পোড়ানো বা লাইব্রেরি ধ্বংস করার দিন শেষ হয়নি। কয়েক বছর আগেও চীন দেশেই প্রথমে ধর্মীয় পুস্তক পোড়ানো দিয়ে শুরু হয়েছিল, এরপর মাত্র তিন বছর আগেও এই চীনারাই কয়েকটি ধর্মগ্রন্থের সাথে পুরো লাইব্রেরিই পুড়িয়ে দিয়েছে।
মর্ডান আর্ট মিউজিয়াম
আলেক্সান্দ্রিয়ার এই বিশ্বখ্যাত লাইব্রেরিটি কয়েকবার ভষ্মীভূত হয়েছে। বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া ধ্বংসের জন্যে যাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হয় তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং জুলিয়াস সিজার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮ অব্দে বন্দরে আটকা পড়ে মিশরীয় নৌবহর জ্বালিয়ে দেওয়ার সময় জুলিয়াস সিজারের লাগানো আগুন নগরে ছড়িয়ে পড়ে আর নগর পুড়লে দেবালয়ও যেখানে রক্ষা পায় না সেখানে গ্রন্থাগার তো পুড়তেই পারে। আংশিক ধ্বংস হয়ে যাওয়া লাইব্রেরি দ্বিতীয়বার পোড়ানোর ঘটনাটি ঘটেছিল ৩৮৫ থেকে ৪১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, আলেক্সান্দ্রিয়ার সে সময়ের শাসনকর্তা থিওফিলাসের হাতে। তিনি সেরাপিসের মন্দিরকে গির্জায় রূপান্তরিত করে ছিলেন আর ধর্মের ধ্বজ্জাধারীরা যুগে যুগে যা করেছে, বিধর্মীদের বই পুস্তক লাইব্রেরি শুদ্ধ পুড়িয়ে দিয়ে স্বধর্ম প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
আরও আড়াইশ বছর বছর পরে লাইব্রেরি পোড়ানোর অসমর্থিত আরও একটি ঘটনায় আমর ইবনে আসকেও অভিযুক্ত করা হয়। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে মিশর দখলের পরে আমর ইবনে আস খলিফা ওমরকে আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি সম্পর্কে জানান ‘আলেক্সান্দ্রিয়ার বিশাল লাইব্রেরিটি সারা পৃথিবীর জ্ঞান ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। তবে এই জ্ঞান হয়তো পবিত্র কোরআনের বিরোধিতাপূর্ণ অথবা ইসলামের নির্দেশনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ পরবর্তী সময়ে খলিফার নির্দেশে লাইব্রেরির বই-পুস্তক নগরীর হামানখানায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শোনা যায়, লাইব্রেরির সকল কাগজপত্র পোড়াতে ছয় মাস সময় লেগেছিল। খলিফা ওমরকে লাইব্রেরি ধ্বংসের জন্যে দায়ী করে লেখা এই ভাষ্যটি অবশ্য ইতিহাসবেত্তারা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননি। কারণ এই কাহিনির রচয়িতা কোনো ইতিহাসবিদ নন, কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী একজন বিশপ। লাইব্রেরিটি আসলে কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছিল তা হয়তো আর কখনোই জানা যাবে না। কিন্তু মানুষের সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাহিত্য ও শিক্ষার একটা বড় অংশ চিরকালের জন্য হারিযে গেছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
লাইব্রেরি চত্বরে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট
লাইব্রেরি ভবনের ভেতর থেকে বাইরের কড়া রোদের মধ্যে বেরিয়ে প্রথমেই চোখে ধাঁধা লেগে গেল। ফলে মূল ভবনের একটু ডান দিকে যে একটা স্তম্ভের মাথায় স্বয়ং আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের আবক্ষ মূর্তি শোভা পাচ্ছে তা চোখেই পড়েনি। কিছু পরে বাইরের আলোতে চোখ অভ্যস্ত হলে আমরা চোখ মেলে আলেক্সান্ডার সাহেবকে দেখতে পেলেও বিপরীতমুখী রোদের কারণে শ্বেত পাথরে গড়া মূর্তিটির ছবি তোলা বেশ কঠিন হয়ে গেল। লাইব্রেরি ভবনের এদিকটায় নিচু বেষ্টনী এবং পেছনের দিকে দেয়ালও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালায় অলঙ্কৃত। রানা ভাই পেছনের দেয়ালে বাংলাভাষা খুঁজতে চলে গেলে আমরা দুজন খানিকটা সামনে এগিয়ে দেখলাম রাস্তার ওপার থেকে যতো দূরে চোখ যায় ততো দূরই ভূমধ্যসাগরের নীল জল। এ সেই সমুদ্র ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট মিশরে আধিপত্য বিস্তারের সূচনালগ্নে ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্যে যেখানে গড়ে তুলেছিলেন নৌ ঘাঁটি। পারস্য অভিযান শুরুর পরে আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর গোড়া পত্তন করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নতুন রাজধানী। তারপরে প্রায় হাজার বছর ধরে এই বন্দর নগরী ছিল মিশরের রাজধানী।
লাইব্রেরি চত্বর থেকে মারমেইড ভাস্কর্য
লাইব্রেরির ঠিক বিপরীতে সমুদ্র তীরের সিলসিলা কমপ্লেক্সে একটি ভাস্কর্য দূরে থেকেই চোখে পড়ে। মিশরের খ্যাতিমান ভাস্কর ফাতিহ মাহমুদের নির্মিত ‘মারমেইড’ শিরোনামের দৃষ্টি-নন্দন ভাস্কর্যটি আলেক্সান্দ্রিয়া নগরী গড়ে ওঠার প্রাচীন কিংবদন্তির সাথে সম্পর্কিত। পাল তোলা এক জাহাজে গভীর সমুদ্র থেকে এক মৎসকন্যাকে তুলে আনা হয়। এই মৎসকন্যাই সমুদ্রতীরের নতুন নগরী আলেস্কান্দ্রিয়ার প্রতীক, যাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেষ্টন করে সুরক্ষা দিচ্ছেন ষাঁড়ের আকৃতির দেবতা। ষণ্ড দেবতা নগ্ন দেহের প্রস্তর নির্মিত মৎসকন্যাকে জড়িয়ে ধরে থাকলেও মিশরে ইসলাম বিপন্ন হয়নি। ১৯৬২ সালে তৈরি এই ভাস্কর্যটি গত ষাট বছরে কেউ ভাঙতে গেছে বলে জানা যায় না।
আমরা ‘মারমেইড’ ভাস্কর্য দেখে ফিরে এসে আলেজান্ডার দ্য গ্রেটের ভাস্কর্যের কাছাকাছি একটা ছায়া খুঁজে নিয়ে বসে পড়লাম। রানা ভাই তার অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে তখনো লাইব্রেরির পেছনের দেয়ালে শতাধিক ভাষার মধ্যে প্রিয় মাতৃভাষার বর্ণমালা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আমরা দুজন ছায়ায় বসে একটা পানির বোতল শেষ করতে না করতেই এক বয়োবৃদ্ধ ভদ্রমহিলা আমাদের পাশে বসে একটা মোটা চুরুট ধরিয়ে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মতো ধোঁয়া ছাড়তে শুরু করলেন। মিশরে প্রায় কোথাও ধূমপানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কাজেই বুড়িকে চুরুট টানতে মানা না করে ধোঁয়ায় গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেদের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে হাঁটাহাটি শুরু করলাম। ভাগ্যক্রমে রানাভাইও এই সময় বাংলা বর্ণমালা খুঁজে পেয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে ফিরে এলেন।
মারমেইড ভাস্কর্যের মৎসকন্যা
এদিকে বেলা দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললো। রোড সাইড রেস্তোরাঁয় কফি-ক্রসোর পরে পেটে দানাপানির মধ্যে কেবল দু বোতল পানি ছাড়া কিছু পড়েনি। অত্রএব হোটেলে ফেরা দরকার। গুগোল সাহেবের হিসাব অনুসারে বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে সমুদ্রের ধারে ফুটপাথ ধরে হেঁটে গেলে হোটেল লে মেট্রোপলের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর ট্যাক্সিতে গেলে তিন কিলোমিটার। বিনা খরচে মিনিট পনের ভূমধ্যসাগরের তীর ধরে হাঁটার সুযোগ ছেড়ে দিয়ে পয়সা খরচ করে শহরের ঘুর পথে ট্যাক্সিতে যাবার মতো বিলাসি পর্যটক আমরা নই। বিকল্প হিসাবে টাঙ্গাতেও যাওয়া যেতে পারতো। কিন্তু টাঙ্গাওয়ালাদের আন্তরিক আহ্বান উপেক্ষা করে রাস্তা পার হয়ে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। বেশ রোদ থাকলেও সমুদ্রের নীল জল ছোঁয়া শীতল হাওয়া রোদের উত্তাপ গায়ে লাগতে দেয়নি। কিছু দূর এগোবার পরে দেখলাম জেটির মতো একটা জায়গায় সাগরের জলে অনেকগুলো ছোট ছোট নৌযান ভাসছে। রানাভাই বললেন, এখান থেকে ট্যুরিস্টদের নৌকায় তুলে সমুদ্রে মধ্যে আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর দেখিয়ে আনে।’ আমি বিস্ময়ের সাথে বললাম, ‘বাতিঘর তো কয়েকশ বছর আগেই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
হেঁটে চলার পথে ডান দিকে ভূমধ্যসাগর
‘সাগরের ভেতরে মিনিট পনের এগিয়ে চলার পরে আলেক্সান্দ্রিয়া ফোর্টের সোজাসুজি একটা জায়গায় বোট থামিয়ে নৌকার মাঝিরা দেখিয়ে দেয় এই যে এখানেই ছিল সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর!’
নৌকার চালাক মাঝিরা বোকা পাবলিককে তাদের নৌকায় তুলে মাঝ সমুদ্রে ভাসিয়ে নিয়ে এ ভাবেই দেখিয়ে দেয় বিস্ময়ের বাতিঘর!
চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১
আরএ/