বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

বইপত্রের বিশাল জগতের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরি করে উপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে উপরে কয়েকবার ওঠা নামা করে এই অসাধারণ সংগ্রহশালার বিভিন্ন অংশের ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। মিশরের কালজয়ী কবি, সাহিত্যিক, লেখক বুদ্ধিজীবীদের ভাস্কর্য এবং প্রতিকৃতি ছাড়াও শিল্পীদের আঁকা পেইন্টিং ঝুলছে দেয়ালে দেয়ালে। আফ্রিকান আর্ট বিভাগে রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের আঁকা পেইন্টিং কাঠ খোদাই এবং ধাতব ও পাথরের ভাস্কর্য। রিলিজিয়াস সেকশনে ধর্মগ্রন্থ, হাদিস কোরান, তৌরাত, যবুর এবং বাইবেলসহ নাম জানা অজানা নানা ধর্মের পবিত্র পুস্তক। এ ছাড়াও চোখে পড়ে দেয়ালে যিশু খ্রিস্টের জীবনের নানা পর্যায়ের কাহিনি নিয়ে আঁকা ছবি।

হাঁটতে হাঁটতে আমরা দোতলার একটি কোণায় আবিষ্কার করলাম ‘মিউজিক সেশন’। শুধুমাত্র সংগীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্যে কোনো সাধারণ গ্রন্থাগারে এমন আয়োজন থাকতে পারে, তা না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই করতাম না। এখানে কাচ দিয়ে ঘেরা ডিসপ্লে টেবিল এবং কোথাও সুদৃশ্য কাচের বাক্সে সাজানো রয়েছে বাদ্যযন্ত্র, গানের স্বরলিপিসহ গান এবং গ্রামোফোন রেকর্র্ড। কয়েকটি পুরোনো দিনের গ্রামোফোনও সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে গান শোনারও ব্যবস্থা আছে। আরও অনেকগুলো বিভাগ উপ-বিভাগ ঘুরে এলাম ইতিহাস সেকশনে। ছবিতে ও মডেলে ধারাবাহিকভাবে এখানে তুলে ধরা হয়েছে মিশরীয় সভ্যতার দীর্ঘ বিবর্তনের ইতিহাস। এই সেকশনের দেয়ালে উৎকীর্ণ ইতিহাসবিদ দার্শনিক সোলাইমান হোজায়েনের একটা কথায় দৃষ্টি আটকে গেল।

তিনি বলেছেন ‘Egypt’s civilization was not gift of Nile as Herodotus said, but rather a gift from the Egyptians to civilization and history.’

সত্যিই তো প্রাচীন মিশরীয়রা আড়াই হাজার বছর আগে পৃথিবীকে যা দিয়েছে পরবর্তী আড়াই হাজার বছরে তার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার।

      গ্রন্থাগারের ভেতরে

বাইরে বেরিয়ে হাতের বাঁ দিকে স্যুভেনিয়ার এবং বইয়ের দোকান। উপচে পড়া তাকে পিরামিডের ক্ষুদ্র সংস্করণ, ক্লিওপেট্রা, তুতেনখামেনসহ ফারাও রাজন্যবর্গের মুণ্ডু সাজানো। ঝুলছে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট ও ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি ছাপা এবং আই মিস লাইব্রেরি অব আলেক্সান্দ্রিয়া লেখা টি-শার্ট। বইয়ের তাকগুলোতে সাজানো অসংখ্য বই পুস্তকের মধ্যে রয়েছে দ্য ট্রেজার অব কপটিক আর্ট, মস্ক অব ঈজিপ্ট, মিনারেটস অব কায়রো, ইসলামিক আর্ট অফ ঈজিপ্ট এবং টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ঈজিপ্টশিয়ান আর্ট-এর মতো বই।

          আফ্রিকান শিল্পকলার উদাহরণ

অনেকটা সময় ধরে লাইব্রেরির ভেতরে হাঁটাহাঁটি করার ফলে পা ধরে এসেছিল। এদিকে রানা ভাই হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে গেছেন। বইয়ের দোকানের সামনে পেতে রাখা সোফা দুটো আমার মতো চলৎশক্তিহীন চরণধারীরা পুরোটাই দখল করে বসে আছেন। আমার চেয়েও বয়োবৃদ্ধ একজন একটু সরে গিয়ে আমার জন্য জায়গা করে দিতে দিতে বললেন, ‘টেক কেয়ার। এটার পায়ের অবস্থা আমার পায়ের চেয়ে বেশি ভালো নয়, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।’ বললাম, ‘ধন্যবাদ। আমার ওজন খুব বেশি নয়, আশাকরি আজকের দিনটা টিকে যাবে।’ অবশ্য বেশিক্ষণ বসতে হলো না। একটু পরে রানা ভাই ফিরে এসে বললেন, ‘সুভ্যেনিয়ার শপের পেছন দিকের ছোট্ট মিউজিয়ামটা দেখে আসেন।’
‘পেছনে তো ওয়াসরুম। মিউজিয়াম কোথায়?’
‘বাঁ দিকে একটা লেভেল নেমে ওয়াস রুম আর ডান দিকে মিউজিয়াম।’

        দেয়ালে যিশুর জীবনী

আমি কলা বেচে রথ দেখার উদ্দেশ্যের মতো প্রথমে প্রক্ষালণ কক্ষ ঘুরে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট নামের ছোট্ট সংগ্রহশালায় ঢুকলাম। এখানে একটা লম্বা ঘরে চমৎকার কিছু ছোট ছোট ভাস্কর্য, পেইন্টিং এবং ফ্রেমে বাঁধানো ছবির সমাবেশ ঘটেছে। কিন্তু জনগণের দৃষ্টি সীমার প্রায় বাইরে টয়লেট বাথরুমের উপরে কেন এই প্রদর্শনীর আয়োজন বুঝলাম না। তবে আয়োজন যেখানেই হোক আলেক্সান্দ্রিয়া লাইব্রেরি সফরের সর্বশেষে দেখা এই মিনি মিউজিয়ামটি ভালো লেগেছে।

আমরা যখন বাইরে বেরিয়ে আসছি, তখন একদল চীনা পর্যটক দল ধরে লাইব্রেরিতে ঢুকছেন। ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনের ভেতর দিয়ে তাদের ব্যাগ-বোচকা ঢুকিয়ে আর এক দিক দিয়ে বের হয়ে আসছে। এদের প্রত্যেকের হাতেই সেলফি স্টিকের মাথায় মোবাইল ফোন। এখানে কোথাও ছবি তুলতে মানা নেই, কিন্তু তাই বলে নিঃশব্দ নিরব গ্রন্থাগার ভবনে প্রবেশের সময় হৈ চৈ করে ছবি তুলতে হবে! চেঙ্গিশ খান হালাকু খানের যুগ গত হয়েছে কয়েক শতাব্দী আগে। ইকতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খিলজির দিনও শেষ। তাই বলে বই পোড়ানো বা লাইব্রেরি ধ্বংস করার দিন শেষ হয়নি। কয়েক বছর আগেও চীন দেশেই প্রথমে ধর্মীয় পুস্তক পোড়ানো দিয়ে শুরু হয়েছিল, এরপর মাত্র তিন বছর আগেও এই চীনারাই কয়েকটি ধর্মগ্রন্থের সাথে পুরো লাইব্রেরিই পুড়িয়ে দিয়েছে।

       মর্ডান আর্ট মিউজিয়াম

আলেক্সান্দ্রিয়ার এই বিশ্বখ্যাত লাইব্রেরিটি কয়েকবার ভষ্মীভূত হয়েছে। বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া ধ্বংসের জন্যে যাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হয় তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং জুলিয়াস সিজার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮ অব্দে বন্দরে আটকা পড়ে মিশরীয় নৌবহর জ্বালিয়ে দেওয়ার সময় জুলিয়াস সিজারের লাগানো আগুন নগরে ছড়িয়ে পড়ে আর নগর পুড়লে দেবালয়ও যেখানে রক্ষা পায় না সেখানে গ্রন্থাগার তো পুড়তেই পারে। আংশিক ধ্বংস হয়ে যাওয়া লাইব্রেরি দ্বিতীয়বার পোড়ানোর ঘটনাটি ঘটেছিল ৩৮৫ থেকে ৪১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, আলেক্সান্দ্রিয়ার সে সময়ের শাসনকর্তা থিওফিলাসের হাতে। তিনি সেরাপিসের মন্দিরকে গির্জায় রূপান্তরিত করে ছিলেন আর ধর্মের ধ্বজ্জাধারীরা যুগে যুগে যা করেছে, বিধর্মীদের বই পুস্তক লাইব্রেরি শুদ্ধ পুড়িয়ে দিয়ে স্বধর্ম প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

আরও আড়াইশ বছর বছর পরে লাইব্রেরি পোড়ানোর অসমর্থিত আরও একটি ঘটনায় আমর ইবনে আসকেও অভিযুক্ত করা হয়। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে মিশর দখলের পরে আমর ইবনে আস খলিফা ওমরকে আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি সম্পর্কে জানান ‘আলেক্সান্দ্রিয়ার বিশাল লাইব্রেরিটি সারা পৃথিবীর জ্ঞান ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। তবে এই জ্ঞান হয়তো পবিত্র কোরআনের বিরোধিতাপূর্ণ অথবা ইসলামের নির্দেশনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ পরবর্তী সময়ে খলিফার নির্দেশে লাইব্রেরির বই-পুস্তক নগরীর হামানখানায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শোনা যায়, লাইব্রেরির সকল কাগজপত্র পোড়াতে ছয় মাস সময় লেগেছিল। খলিফা ওমরকে লাইব্রেরি ধ্বংসের জন্যে দায়ী করে লেখা এই ভাষ্যটি অবশ্য ইতিহাসবেত্তারা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননি। কারণ এই কাহিনির রচয়িতা কোনো ইতিহাসবিদ নন, কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী একজন বিশপ। লাইব্রেরিটি আসলে কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছিল তা হয়তো আর কখনোই জানা যাবে না। কিন্তু মানুষের সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাহিত্য ও শিক্ষার একটা বড় অংশ চিরকালের জন্য হারিযে গেছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

        লাইব্রেরি চত্বরে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট

লাইব্রেরি ভবনের ভেতর থেকে বাইরের কড়া রোদের মধ্যে বেরিয়ে প্রথমেই চোখে ধাঁধা লেগে গেল। ফলে মূল ভবনের একটু ডান দিকে যে একটা স্তম্ভের মাথায় স্বয়ং আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের আবক্ষ মূর্তি শোভা পাচ্ছে তা চোখেই পড়েনি। কিছু পরে বাইরের আলোতে চোখ অভ্যস্ত হলে আমরা চোখ মেলে আলেক্সান্ডার সাহেবকে দেখতে পেলেও বিপরীতমুখী রোদের কারণে শ্বেত পাথরে গড়া মূর্তিটির ছবি তোলা বেশ কঠিন হয়ে গেল। লাইব্রেরি ভবনের এদিকটায় নিচু বেষ্টনী এবং পেছনের দিকে দেয়ালও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালায় অলঙ্কৃত। রানা ভাই পেছনের দেয়ালে বাংলাভাষা খুঁজতে চলে গেলে আমরা দুজন খানিকটা সামনে এগিয়ে দেখলাম রাস্তার ওপার থেকে যতো দূরে চোখ যায় ততো দূরই ভূমধ্যসাগরের নীল জল। এ সেই সমুদ্র ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট মিশরে আধিপত্য বিস্তারের সূচনালগ্নে ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্যে যেখানে গড়ে তুলেছিলেন নৌ ঘাঁটি। পারস্য অভিযান শুরুর পরে আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর গোড়া পত্তন করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নতুন রাজধানী। তারপরে প্রায় হাজার বছর ধরে এই বন্দর নগরী ছিল মিশরের রাজধানী।

           লাইব্রেরি চত্বর থেকে মারমেইড ভাস্কর্য

লাইব্রেরির ঠিক বিপরীতে সমুদ্র তীরের সিলসিলা কমপ্লেক্সে একটি ভাস্কর্য দূরে থেকেই চোখে পড়ে। মিশরের খ্যাতিমান ভাস্কর ফাতিহ মাহমুদের নির্মিত ‘মারমেইড’ শিরোনামের দৃষ্টি-নন্দন ভাস্কর্যটি আলেক্সান্দ্রিয়া নগরী গড়ে ওঠার প্রাচীন কিংবদন্তির সাথে সম্পর্কিত। পাল তোলা এক জাহাজে গভীর সমুদ্র থেকে এক মৎসকন্যাকে তুলে আনা হয়। এই মৎসকন্যাই সমুদ্রতীরের নতুন নগরী আলেস্কান্দ্রিয়ার প্রতীক, যাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেষ্টন করে সুরক্ষা দিচ্ছেন ষাঁড়ের আকৃতির দেবতা। ষণ্ড দেবতা নগ্ন দেহের প্রস্তর নির্মিত মৎসকন্যাকে জড়িয়ে ধরে থাকলেও মিশরে ইসলাম বিপন্ন হয়নি। ১৯৬২ সালে তৈরি এই ভাস্কর্যটি গত ষাট বছরে কেউ ভাঙতে গেছে বলে জানা যায় না।

আমরা ‘মারমেইড’ ভাস্কর্য দেখে ফিরে এসে আলেজান্ডার দ্য গ্রেটের ভাস্কর্যের কাছাকাছি একটা ছায়া খুঁজে নিয়ে বসে পড়লাম। রানা ভাই তার অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে তখনো লাইব্রেরির পেছনের দেয়ালে শতাধিক ভাষার মধ্যে প্রিয় মাতৃভাষার বর্ণমালা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আমরা দুজন ছায়ায় বসে একটা পানির বোতল শেষ করতে না করতেই এক বয়োবৃদ্ধ ভদ্রমহিলা আমাদের পাশে বসে একটা মোটা চুরুট ধরিয়ে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মতো ধোঁয়া ছাড়তে শুরু করলেন। মিশরে প্রায় কোথাও ধূমপানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কাজেই বুড়িকে চুরুট টানতে মানা না করে ধোঁয়ায় গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেদের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে হাঁটাহাটি শুরু করলাম। ভাগ্যক্রমে রানাভাইও এই সময় বাংলা বর্ণমালা খুঁজে পেয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে ফিরে এলেন।

        মারমেইড ভাস্কর্যের মৎসকন্যা

এদিকে বেলা দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললো। রোড সাইড রেস্তোরাঁয় কফি-ক্রসোর পরে পেটে দানাপানির মধ্যে কেবল দু বোতল পানি ছাড়া কিছু পড়েনি। অত্রএব হোটেলে ফেরা দরকার। গুগোল সাহেবের হিসাব অনুসারে বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে সমুদ্রের ধারে ফুটপাথ ধরে হেঁটে গেলে হোটেল লে মেট্রোপলের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর ট্যাক্সিতে গেলে তিন কিলোমিটার। বিনা খরচে মিনিট পনের ভূমধ্যসাগরের তীর ধরে হাঁটার সুযোগ ছেড়ে দিয়ে পয়সা খরচ করে শহরের ঘুর পথে ট্যাক্সিতে যাবার মতো বিলাসি পর্যটক আমরা নই। বিকল্প হিসাবে টাঙ্গাতেও যাওয়া যেতে পারতো। কিন্তু টাঙ্গাওয়ালাদের আন্তরিক আহ্বান উপেক্ষা করে রাস্তা পার হয়ে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। বেশ রোদ থাকলেও সমুদ্রের নীল জল ছোঁয়া শীতল হাওয়া রোদের উত্তাপ গায়ে লাগতে দেয়নি। কিছু দূর এগোবার পরে দেখলাম জেটির মতো একটা জায়গায় সাগরের জলে অনেকগুলো ছোট ছোট নৌযান ভাসছে। রানাভাই বললেন, এখান থেকে ট্যুরিস্টদের নৌকায় তুলে সমুদ্রে মধ্যে আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর দেখিয়ে আনে।’ আমি বিস্ময়ের সাথে বললাম, ‘বাতিঘর তো কয়েকশ বছর আগেই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

          হেঁটে চলার পথে ডান দিকে ভূমধ্যসাগর

‘সাগরের ভেতরে মিনিট পনের এগিয়ে চলার পরে আলেক্সান্দ্রিয়া ফোর্টের সোজাসুজি একটা জায়গায় বোট থামিয়ে নৌকার মাঝিরা দেখিয়ে দেয় এই যে এখানেই ছিল সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর!’

নৌকার চালাক মাঝিরা বোকা পাবলিককে তাদের নৌকায় তুলে মাঝ সমুদ্রে ভাসিয়ে নিয়ে এ ভাবেই দেখিয়ে দেয় বিস্ময়ের বাতিঘর!

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১