শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা

আসিফ আহমেদ ঘুমাতে পারছেন না। তিনি কিছুতেই দুই চোখের পাতা এক করতে পারছে না। অফিসের চিন্তায় তার মাথা খারাপ অবস্থা। লোক ছাঁটাইয়ের চাপ তিনি আর নিতে পারছেন না। তার কেবলই মনে হয় কাজটা অমানবিক। এতোগুলো কর্মীকে বিদায় করে তিনি ঠ্যাং দুলিয়ে অফিস করবেন তা তার পক্ষে সম্ভব না।

অন্যের পেটে লাথি দেওয়া তার স্বভাব না। অমানবিক কাজ তাকে দিয়ে হবে না। তিনি মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। কিন্তু কারো চাকরি খেয়েছেন তার কোনো নজির নেই। কেউ কোনো ভুল করলে, কিংবা ঠিকমতো অ্যাসাইনমেন্ট না করলে বকাবাজি করেন। রাগ করেন। কখনো কখনো কথা বলা বন্ধ রাখেন। কেউ বড় কোনো অন্যায় করলে তাকে শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা বড়জোর কয়েকদিনের বেতন কেটেছেন। সেটাও যে অহরহ ঘটেছে তা নয়। কেবলমাত্র নৈতিক স্খলন ছাড়া কাউকে চাকরিচ্যুত করেননি। অথচ সেই মানুষটাকেই ছাঁটাই করতে বলা হচ্ছে। কমপক্ষে একশ’ লোককে ছাঁটাই করতে হবে। তিনি নিজের অজান্তেই বলে ওঠেন, না না! এটা কী করে সম্ভব!

আসিফ আহমেদের অবস্থা দেখে তার স্ত্রী মুনমুন আহমেদ বললেন, কি হয়েছে আসিফ? ঘুম আসছে না? কেন, কি হয়েছে? তোমার তো এমন হয় না!
আসিফ শুকনো গলায় বললেন, অফিস নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
মুনমুন আহমেদ বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কেন কী হয়েছে?
সংবাদ-কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ব্যাপকভাবে চাপ দিচ্ছে।
এই সময় ছাঁটাই! এটা কেমন ধরনের কথা! এখন তো মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়! এ সময় কি কেউ চাকরিচ্যুত করে?
তাহলে বলো, এটা কি মানা যায়?
না না! তুমি এ কাজ কোরো না। যা হয় হবে। এটা করতে গেলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগবে। সেটা আরো বেশি খারাপ হবে।

আসিফ আহমেদ ধরা গলায় বললেন, সকালেই আমাকে তালিকা নিয়ে যেতে বলেছে। তালিকা দিতে হবে। আর ছাঁটাইয়ে রাজি না হলে পদত্যাগপত্র দিতে হবে। এ ছাড়া আর কি করব?
সেটাই ভালো। তুমি পদত্যাগ করো। শুধু শুধু মানসিক চাপ নেওয়ার কোনো দরকার নেই। মুনমুন আহমেদ বললেন।
ধন্যবাদ মুনমুন। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি তোমার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। তুমি চিন্তা করো, এই মানুষগুলো দশ বছর প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। এখন একটা বিপদ এসেছে। প্রাকৃতিক বিপদ। এর জন্য কেউ দায়ী নয়। অথচ এর জন্য কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। এটা কী ধরনের আচরণ?
শোন, আমি তো তোমাকে চিনি। ছাঁটাই করে তুমি একদিনও অফিস করতে পারবে না। আর তোমার তো দীর্ঘ ক্যারিয়ার পড়ে আছে। তোমাকে চাকরি করেই যেতে হবে। সারাজীবন মানুষের কথা শুনতে হবে। সবাই বলবে, আপনি এতো এতো লোককে ছাঁটাই করেছেন নিজের চাকরি টেকাবার জন্য। আর যদি ছাঁটাই না করে নিজে পদত্যাগ করে চলে আসো তাহলে আর কেউ বদনাম রটাতে পারবে না।
ঠিক বলেছ। আমি নিজের জন্য আসলে কখনো ভাবিনি। সব সময় আমি কর্মীদের কথা ভেবেছি। তাদের সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতির কথা ভেবেছি। তুমি দেখ, বিগত আট বছরে আমার এক টাকাও বেতন বাড়েনি। অথচ পাঁচ বছর আগে একটা ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছি। এরমধ্যে আরেকটি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়নের নামও নেইনি। অথচ কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এতোগুলো মানুষের অভিশাপ নিয়ে আমি অফিস করব!
বুঝতে পারছি। তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। আমার চাকরি তো আছে! আশা করি অসুবিধা হবে না। তুমি এখন ঘুমাও।
ধন্যবাদ মুনমুন। এখন সত্যিই আমার ঘুম আসবে। আমি ঘুমাবো। নিশ্চিন্তে ঘুমাবো।

মুনমুন আসিফ আহমেদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। চুলের ভেতরে আঙুল ঢুকিয়ে বিলি কেটে দেন। এক পর্যায়ে মুনমুন তাকে জড়িয়ে ধরে। ফিসফিস করে বলেন, শান্ত হও। শান্ত হয়ে ঘুমাও। তা না হলে শরীর খারাপ করবে। মাথা থেকে চিন্তা ঝেড়ে ফেলো। সময়টা পার হোক। নিশ্চয়ই আরো ভালো কিছু তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। তোমার মন যে কাজটি করতে সায় দিচ্ছে না, সেই কাজ তুমি কেন করবে? আমি তোমায় কথা দিচ্ছি, সংসার নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। আমি যা আয় করি তা দিয়ে খুব ভালোভাবেই আমাদের চলে যাবে।

আসিফ আহমেদ মুনমুনকে আবারও ধন্যবাদ জানালেন। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতাও। এ রকম একটা জটিল সময়ে মুনমুনের এই সাপোর্ট তার দরকার ছিল। মুনমুন ঠিকই ওর মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছে। এটাই তার সবচেয়ে ভালোলাগার একটা ব্যাপার। স্ত্রীকে স্বামীর সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে হয়। স্বামীর সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো উপলব্ধি করতে হয়। একইভাবে স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধা কিংবা সীমাবদ্ধতা বুঝতে হয় স্বামীকে। তাহলেই একটা সুন্দর সংসার গড়ে ওঠে।

মুনমুনের সাপোর্টে আসিফ যে কতটা মানসিক শক্তি পেয়েছেন তা তিনি আজ টের পাচ্ছেন। তার মনোবল অনেকগুণ বেড়ে গেছে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ছাঁটাই করবেন না। তিনি পদত্যাগই করবেন। স্ত্রীকে বলে দিয়েছেন কাল যদি আবার ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গ তোলে তাহলে তিনি বলবেন, আমার পক্ষে ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। বার বার মনের মধ্যে এটাই তিনি রপ্ত করছেন। আগে নিজের সঙ্গে নিজে অনেক বোঝাপড়া করেছেন। অনেক হিসাব নিকাশ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। মুনমুনও তাকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন। শুধু পরামর্শই দেননি। তিনি পুরো সংসারের ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন। যতদিন আসিফের সুসময় না আসবে ততদিন সেই সংসার চালাবেন। এ নিয়ে আসিফের চিন্তা করতে হবে না। এর চেয়ে বড় স্বস্তির কথা আর কী হতে পারে!

অফিসের কথা ভাবতে ভাবতেই আসিফ ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মোবাইলে এলার্ম বাজার শব্দ পেয়ে তিনি ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। সকাল তখন আটটা। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা করে গোসলে যান। এরমধ্যে মুনমুনও ঘুম থেকে ওঠেন। গোসল সেরে তিনি নাশতা রেডি করেন। একসঙ্গে নাশতা খান। চা খেতে খেতে আবারও মুনমুন আসিফকে বললেন, চিন্তা করবে না। একদম চিন্তা করবে না। কোনো রকম মাথা গরম করবে না। ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করবে। তোমার এমডি তো আজই যেতে বলেছে?
আসিফ আহমেদ মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দিলেন।
মুনমুন আবারও বললেন, অফিসে যাও। যদি যাকে তুমি সরাসরিই বলবে, তুমি ছাঁটাই করবে না। তুমিই পদত্যাগ করবে। আর তোমার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখ। আসার সময় সেগুলো নিয়ে এসো। গতকাল ব্যাগে করে কি এনেছিলে?
আমার ব্যক্তগত কিছু কাগজপত্র।
হুম। তার মানে তোমার মানসিক প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল?
হুম।
চলো তাহলে বের হই।
হুম। চলো।
আসিফ আহমেদ ও মুনমুন একসঙ্গে অফিসের উদ্দেশে বের হলেন।

আসিফ আহমেদ এগারো বছর আগে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলো ছেড়ে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন। আসিফের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তখন আপত্তি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ছেড়ে কেন তিনি অনিশ্চিত একটা জায়গায় যাচ্ছেন? নতুন পত্রিকা যদি না দাঁড়ায়! যদি শুরুতেই হোঁচট খায়! তাহলে তো ক্যারিয়ারটাই শেষ!

আসিফ কারো কথায় কান দেননি। কারো পরামর্শই তিনি শোনেননি। তার নিজের কাছেই মনে হয়েছে ক্যারিয়ারের স্বার্থেই তাকে নতুন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুন জায়গায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু যোগ দিয়েই তিনি একটা গোলকধাঁধাঁয় পড়ে গেলেন। শুরুর সেই সময়গুলোর কথা আজ মনে পড়ছে তার। কত ঝড়-ঝাপটা যে তাকে সইতে হয়েছে। কত রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে তাকে। নানামুখি ষড়যন্ত্র। কাজ জানা লোকদের এই হলো সমস্যা। অকাজের লোকরা সব সময়ই তাদের ঈর্ষা করে। সবাই মিলে তাদের টেনে-হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করে। কথায় বলে না, সব শেয়ালের এক রা। সেটাই আজ পদে পদে প্রত্যক্ষ করছেন তিনি। তিনি জানেন, তাকে ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তাই করেছিলেন তিনি।

আসিফ এমন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন যা তিনি কখনো কল্পনাও করেননি। তার কাছে মনে হয়েছে, জায়গা বড় আজব। এখানে বেশিদিন থাকলে তার ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাবে। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন বলে মনস্থির করেন। অন্যত্র যোগ দেওয়ার কথা ভাবেন। তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলেছেনও সে কথা। শুভাকাঙ্ক্ষীরাও তার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। তিনিও তখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকার মতো পড়ে ছিলেন। কখনো কখনো চোখের পানি ফেলেছেন। কত ধৈর্য ধরবেন? ধৈর্যেরও তো একটা সীমা আছে! সেই কঠিন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করে। আসিফও মনকে বোঝান, দেখলে তো সবুরে মেওয়া ফলে! ঘুরেফিরে সেই তো তোমার কাছেই দায়িত্ব এলো! কাজ করে যাও। তুমি জানো, তোমার চারপাশে শত্রু। তারা সর্বত্র কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে। তোমাকে খুব সাবধানে, দেখেশুনে পদ চলতে হবে।

আসিফ সব সময় একটা ভরসাই করেছেন যে, তার ওপর মা বাবার দোয়া আছে। কাজেই কেউ তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সব রকম চেষ্টা করেও আসিফকে তার অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি। কিন্তু আজকে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে সেটা তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? এটা একটা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন, মানবিকতার প্রশ্ন। মনুষ্যত্বের প্রশ্ন। নিজের নীতি-নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি সম্পাদকের পদ আকড়ে থাকবেন? এতোদিন তিনি প্রতিষ্ঠানের একটি বটবৃক্ষের মতো ছিল। সবাইকে তিনি ছায়া দিয়ে রেখেছেন। সেই ছায়াটা না দিতে পারলে তার থাকার কী মূল্য! তা ছাড়া মিডিয়াতে আসিফের একটা সুনাম আছে। সাংবাদিক-কর্মীবান্ধব সম্পাদক, আপাদমস্তক পেশাদার সম্পাদক বলে সবাই মনে করে। সেই ভাবমূর্তি মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশে যাবে। সবাই ছি ছি করবে। সম্পাদক হিসেবে যতটুকু সুনাম অর্জন করেছিলেন তার চেয়ে দুর্নাম হবে অনেক বেশি। ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত পর্বে এসে আপোস করবেন? একটা অশুভ, অসুর শক্তির সঙ্গে আপোস করবেন! যদিও সময়টা খুব খারাপ। চাকরি ছাড়ার জন্য তো আরো খারাপ! যে সময় মানুষ ছাঁটাই হচ্ছে সে সময় চাকরি ছাড়বেন!

আসিফ বারবার নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। নিজের মনকে বারবার প্রশ্ন করেছেন যে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না! একবার নয়, দুইবার নয়। তিনি বারবার ভেবেছেন। শেষমেষ তিনি স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, পদত্যাগই তার একমাত্র সমাধান। এর বিকল্প হচ্ছে ছাঁটাই। জীবনের মধ্য গগনে এসে ছাঁটাই করে তিনি কলঙ্কের বোঝা নিজের মাথায় নেবেন না।
অতঃপর আসিফ অফিসে বসে চেয়ারম্যান বরাবর একটি পদত্যাগপত্র লিখলেন।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা