সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

‘কত রাজপথ জনপদ ঘুরেছি, সাতটি যে পৃথিবীর বিস্ময়...’ সেই সাত বিস্ময়ের দুটিই মিশরে। এই সাত আশ্চর্যের প্রথমটি এবং এখন পর্যন্ত টিকে থাকা একমাত্র নিদর্শন গিজার পিরামিড দেখা হয়ে গেছে। অন্যটি আলেক্সিন্দ্রিয়ার বাতিঘর প্রবল ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর আগে। কিন্তু এখনো প্রতি বছর অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক উত্তর মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, বন্দর নগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় আসেন বিশ্বখ্যাত লাইব্রেরি আর নিশ্চিহ্ন বাতিঘরের শহরে।

আমরাও ভোরবেলা রওনা দিয়েছি কায়রো থেকে। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে সৌরভ, তার পাশে রানা ভাই, পেছনে আমি আর হেনা। দিনটা বৃহস্পতিবার বলে রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটে সাত সকালে শহর থেকে বেরোবার মুখেই বেশ কয়েকবার আটকাতে হলো। সৌরভ নিজে গাড়ি চালিয়ে বেশ কয়েকবার আলেক্সান্দ্রিয়ায় গেছে, কাজেই পথঘাট তার চেনা। কায়রোর ছাড়িয়ে কিছুটা এগোবার পরে হাইওয়েতে উঠে যাবার জন্যে গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথে শহরতলীর একটি আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ল সৌরভ। এরপার চেনা পথ অচেনা হতে হতে পথ হারিয়ে এক সময় আমরা একটা বাগানবাড়ি কিংবা কারখানার গেটের সামনে এসে থেমে গেলাম। এখান থেকে বেরোবার কোনো পথ নেই। সৌরভ নেমে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলে সে আকারে ইঙ্গিতে একটা রাস্তা দেখিয়ে দিল। গাড়ি ঘুরিয়ে খানিকটা কাঁচা রাস্তা, কিছুটা ভাঙাচোরা পথে এগিয়ে যেখান থেকে হাইওয়ে ছেড়েছিলাম তার কাছাকাছি একটা জায়গায় পৌঁছালাম। তবে ততোক্ষণে রাস্তায় যানজট একটু কমেছে, আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা রোড সাইড রেস্টুরেন্টে এসে দাঁড়ালাম।

       পথে পথে অসংখ্য মসজিদ

কায়রো থেকে হালকা চা- নাশতা খেয়ে বেরিয়েছিলাম। কাজেই পথের পাশের রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে ব্রেকফাস্ট হিসাবে ক্রসো এবং বেশ বড় একটা কফি মগ হাতে নিয়ে সত্যিই পথের ধারে এসে বসলাম। পাশ দিয়ে হুশ হাশ করে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশস্ত ফুটপাথে ঘাসের মতো সবুজ কার্পেটে পাতা টেবিলে বসে নাশতা শেষ করলাম। তারপরে আবার উত্তরমুখি ছুটতে থাকা। শহরের বাইরে পথের পাশে ম্যাডোনাল্ডস বা কেএফসির মতো খাবারের দোকান থাকতেই পারে। কিন্তু এতো দূরে ক্যারিফোর, নাইকি এবং এইচ অ্যান্ড এম-এ জুতা, ছাতা, জামা-কাপড় কিনতে কারা আসে ভেবে পাই না। মাঝে মাঝে খেজুর বাগান আর ছোট ছোট জনপদের ফাঁকে পথের দুপাশেই চোখে পড়ে একের পর এক মসজিদ। প্রতি কিলোমিটারে জনমানুষহীন রাস্তার ধারে গোটা কয়েক সুদৃশ্য মসজিদ দেখে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক— এত মসজিদে নামাজ পড়ে কারা! 

         আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

মসজিদগুলোর নির্মাণ শৈলী এবং বহিরাঙ্গণের রঙের তফাৎ থাকলেও প্রায় প্রতিটি মসজিদেই রয়েছে একটি করে গম্বুজ এবং একটি মিনার। একাধিক গম্বুজ বা তিন চারটি মিনার বিশিষ্ট মসজিদ যে নেই তা নয়। এ ছাড়া সুনির্মিত সুদৃশ্য তোরণযুক্ত মসজিদও দেখা গেল বেশ কয়েকটি। যারা ঢাকাকে মসজিদ নগরী এবং বাংলাদেশকে মসজিদের দেশ মনে করেন, তারা নিশ্চয়ই কায়রো শহরের অলিগলিতে পা রাখেননি এবং মিশরে শহরাঞ্চলের বাইরে কোথাও যাবার সুযোগ তাদের হয়নি। কয়েকটি মসজিদের সামনের তোরণে কয়েকটি ঘোড়ার মূর্তি দেখে মনে হলো ইসলামে যে মূর্তি নির্মাণ হারাম তা হয়ত এদেশের মানুষ এখনো জানে না। এইসব মসজিদ, ছোট দুই একটি শহর এবং অসংখ্য খেজুর বিথী দেখতে দেখতে এবং গাড়ির সিডি প্লেয়ারে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে শুনতে আমরা এক সময় আলেক্সান্দ্রিয়ার উপকণ্ঠে এসে পৌঁছলাম।    

      লাইব্রেরির বৃত্তাকার দেয়াল

মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সাতটি আশ্চর্যের অন্যতম বাতিঘর ছাড়াও ঐতিহাসিক লাইব্রেরির জন্য খ্যাত আলেক্সান্দ্রিয়া ছিল প্রাচীন পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই শহর এক সময় জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তি ও সুকুমার কলার চর্চায় গ্রিসের এথেন্সকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে শোনা আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের নামে যে শহরের নাম সেই আলেক্সান্দ্রিয়ায় আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছাবার কথা থাকলেও আমাদের সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সমুদ্র নগরীতে প্রবেশের পথেই চোখে পড়ে হাতের ডান দিকে ভূমধ্যসাগরের নিস্তরঙ্গ নীল জলে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট নৌযান। সমুদ্রের ঢেউ থেকে শহর রক্ষার জন্যে তৈরি প্রকাণ্ড পাথরে বাধানো বাঁধের এ পাশের প্রশস্ত ফুটপাথের উপর কংক্রিটের রেলিংয়ে তরুণ তরুণীরা বসে আড্ডা দিচ্ছে। বেলা এগারোটায় কড়া রোদে সমুদ্র তীরে দীর্ঘ সারিতে তরুণ-তরুণীদের জমায়েত একটু বিসদৃশ্য মনে হচ্ছিল। তবে একটু পরেই বিবলোথিক আলেক্সান্দ্রিয়া, অর্থাৎ আলেক্সান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের সামনে এসে দাঁড়ালে গাড়ি থেকে নেমেই দেখলাম উল্টো দিকে ইউনিভার্সিটি অব আলেক্সান্দ্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো কাছে সমুদ্র থাকতে তরুণ-তরুণীরা রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে আড্ডা দেবে না এটাই স্বাভাবিক।

         দেমিত্রিয়াস ফলেরিয়াস

নগরকেন্দ্রের একটা চমৎকার অবস্থানে প্রাচীন বন্দরের কাছাকাছি গড়ে তোলা হয়েছে নতুন বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়া। শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল হোটেলে লাগেজ রেখে হাত মুখে পানি দিয়ে লাইব্রেরিতে আসব। কিন্তু বৃহস্পতিবারে দর্শনার্থীদের জন্যে লাইব্রেরির দরজা বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল সাড়ে তিনটায়। দেরিতে ঢুকে বিশাল লাইব্রেরি ঘুরে দেখার যথেষ্ট সময় নাও থাকতে পারে। সেই কারণে চেক-ইনের আগেই আমাদের তিনজনকে লাইব্রেরি ভবনের সামনে নামিয়ে দিয়ে সৌরভ হোটেলে চলে গেল। হোটেলের রুমে বসেই সে অফিসের কাজে করবে অনলাইনে। আমরা পাঠাগার পরিভ্রমণ শেষ করে হোটেলে ফিরে লাঞ্চ করব। চত্বরের বাইরে কয়েকটি কাউন্টারে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য নন-ইজিপ্টশিয়ানদের দিতে হবে ৭০ পাউন্ড অর্থাৎ সোয়া চারশ টাকা। দুই হাজার দুইশ সাতষট্টি বছর আগের একটা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্যে চার পাঁচশ টাকা খুব বেশি নয়। লাইব্রেরি চত্বরে প্রবেশের আগেই ভবনটির দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য দৃষ্টি আকর্ষণ করল। বাইরের দেয়াল জুড়ে বিশাল বৃত্তাকার কাঠামো স্থাপত্য শিল্পের একটি ভিন্ন ধরনের নিদর্শন। এই বিস্তৃত কাঠামোর পাথুরে দেয়ালের প্রতিটি ব্লকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষরের কিছু লেখা খোদাই করা। রানা ভাই  আগেও একবার আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরিতে এসে গেছেন। বললেন, ‘এখানে বাংলা অক্ষরে লেখাও দেয়ালে খোদাই করে রাখা আছে। অগণিত ভাষার ভেতর থেকে বাংলা খুঁজে বের করা সম্ভব হলো না। দেখলাম দলে দলে শিক্ষার্থী, পর্যটক, দর্শনার্থী ভবনে ঢুকে পড়ছে। আগেই জেনেছিলাম প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনশ পর্যটক লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারেন। যদিও টিকেট কেনা হয়ে গেছে, তারপরেও যদি কোনো কারণে আটকে দেয়! অতএব বাইরের অংশ পরেও দেখা যাবে ধরে নিয়ে আমরা নিরাপত্তা ফটক পার হয়ে মূল ভবনে ঢুকে পড়লাম।   

       লাইব্রেরির একাংশ

লাইব্রেরির সংগ্রহশালায় প্রবেশের আগে পুরো লাইব্রেরি চত্বর ও ভবনের মডেল দেখে এর স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য বুঝতে চেষ্টা করি, দেয়াল জুড়ে সুদৃশ্য ধাতব মুর্যালের কারুকাজ দেখি। ভবনটি নতুন করে নির্মাণের পরে প্রেসিডেন্ট হুসনী মোবারক উদ্বোধন করেছিলেন ২০০২ সালের ১৬ই অক্টোবর। উদ্বোধনী স্মারকে The whole world celebrated with Egypt and her President, the rebirth of the library to be a beacon of knowledge and home to meeting and dialogue between people and culture, লেখাটি নিঃসন্দেহে সুচিন্তিত ও গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই তো হুসনী মোবারককে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করলেও তার সময়কালেই বিবলিওথিকা আলেক্সান্দ্রিয়ার পুনর্জন্ম ঘটেছে সে কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।  

       লাইব্রেরিতে বইয়ের সারি

উদ্বোধনী ফলক ছাড়াও প্রবেশ পথের পাশে রয়েছে শ্বেত পাথরে তৈরি দেমিত্রিয়াস ফালেরিয়াসের প্রমাণ সাইজের মূর্তি। খ্রিস্টের জন্মের শ তিনেক বছর আগে এথেন্সের কবি দার্শনিক ও বক্তা দেমিত্রিয়াস ছিলেন জ্ঞানে ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ অপ্রতিদ্বন্দ্বী একজন মানুষ। এ ধরনের মানুষের শত্রুর অভাব হয় না। তাই তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল প্রথমে থিবস নগরী অর্থাৎ বর্তমানের লুস্করে। পরে তিনি আলেক্সান্দ্রিয়ায় এসে একটি জ্ঞান ভান্ডার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে বিশ্বনন্দিত গ্রন্থাগার। একজন প্রজ্ঞাবান কাজের মানুষ নির্বাসিত জীবনেও যে অবদান রেখে গেছেন আড়াই হাজার বছর পরেও তার স্বীকৃতি স্বরূপ বিবলোথিক আলেক্সান্দ্রিয়ার প্রবেশ পথেই শ্বেতপাথরের ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।  লাইব্রেরির ভেতরে প্রথমেই এর বিশালত্ব একটা চমক সৃষ্টি করে। উপরের স্তর থেকে নিচে বাঁ দিকে তাকিয়ে দেখি কয়েকটি স্তরের সবচেয়ে নিচের স্তরে সারি সারি চেয়ার টেবিল সাজানো, তার উপরের একটি স্তরে সাজানো টেবিলগুলোর প্রত্যেকটিতে একটি করে ডেস্কটপ কম্পিউটার। তবে এখানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমন বেশি নয়। তারও উপরের একটি স্তরে ছাপাখানার বিবর্তনের ইতিহাস হিসাবে প্রদর্শিত হচ্ছে কয়েকশ বছরের পুরোনো কয়েকটি মুদ্রণযন্ত্র। প্রত্যেক স্তর থেকেই উপরে বা নিচের স্তরে যাবার জন্যে চারিদিকে রয়েছে অনেকগুলো সিঁড়ি।   

     শেক্সপিয়ার বেঞ্চ

আমরা পিনপতন নীরবতার ভেতর দিয়ে ডান দিকে এগিয়ে যাই। ডান দিকের স্তরগুলোতে সারি সারি তাকে অসংখ্য বই সাজানো। একটা দীর্ঘ করিডোরের ডান পাশে বইয়ের তাক আর অন্য পাশটা রেলিং দিয়ে ঘেরা, যার নিচেই আরেক স্তরের পাঠক সমাবেশের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে টেবিল। করিডোরের শুরুতে হলুদ ফিতা টানিয়ে নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে, দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। অতএব আমরা করিডোর ধরে না এগিয়ে সিঁড়ি বেয়ে আরও উপরে উঠে যাই। এখানে শুরুতেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেক্সপিয়ারের নাম লেখা একটি বিশাল খোলা বই। বইটি আসলে একটি বেঞ্চ, দর্শণার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে পড়তে পারেন। আমরা ক্লান্ত হলেও একটা খোলা বইয়ের উপর বসে পড়াটা কেন যেন আমাদের সংস্কারের সঙ্গে মানায় না, তাই এই স্তরের করিডোর ধরে এগোতে থাকি। একের পর এক লেখক কবি নাট্যকারের আবক্ষ মূর্তি চোখে পড়ে বিভিন্ন স্তরে, করিডোরের কোণায় এবং পথের বাঁকে। দ্বাদশ শতকের আজারবাইজানের কবি নিজামী গাঞ্জাভি, গ্রিক কবি সি পি ক্যাভাফি এবং হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডরসনের মতো খ্যাতিমানদের পাশাপাশি একমাত্র ভারতীয় হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী! গান্ধীজী কাব্যকলা কিংবা সাহিত্য সংস্কৃতিতে কী অবদান রেখেছেন আমার জানা নেই, তবে ভারত সরকার রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য না পাঠিয়ে প্রতিনিধি হিসাবে গান্ধীজীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। বলে রাখা ভালো, এখানে প্রদর্শিত প্রায় সব শিল্পকর্মই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের উপহার। 

      কবি নিজামী গাঞ্জাবি

এই গ্রন্থাগারের এগারোতলা ভবনে চল্লিশ লক্ষ বই ভবনটিতে সাজিয়ে রাখা সম্ভব, আর সংরক্ষণের জন্য রাখা যাবে আশি লক্ষ পর্যন্ত বই। কিন্তু বর্তমানে লাইব্রেরির দুটি শাখায় নয় লক্ষ পুস্তকের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নানা ভাষার বই থাকলেও বাংলা ভাষায় রচিত কোনো বই নেই। রানা ভাই কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে জানালেন, লাইব্রেরির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সঙ্গে বসে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বাংলা ভাষায় লেখা বাংলাদেশি বা ভারতীয় কোনো বই তাদের সংগ্রহে নেই। তবে বাংলাদেশ সরকার বা জাতীয় গ্রন্থাগারের মতো প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কোনো ব্যক্তি যদি বই পাঠাতে চান তাহলে তা সাদরে গৃহীত এবং সংরক্ষিত হবে। বই পাঠাবার নিয়ম-কানুন রানা ভাই জেনে এসেছেন এবং তার নিজের ও আমার লেখা কয়েকটি বই পাঠিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন। 

আলেক্সান্দ্রিয়ার আড়াই হাজার বছর আগের গ্রন্থাগারের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতেই ভাবছিলাম আমাদের ন্যাশনাল লাইব্রেরি এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকাশকদের তদবিরের বই, আমলাদের বই এবং ভাগ বাটোয়ার বই পুস্তক কিনেই সময় এবং অর্থের সংকুলান করতে পারেন না, তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বইপত্র সম্পর্কিত বৈদেশিক বিষয়ের খোঁজ-খবর নেবেন কখন! 

চলবে...    

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইল নেটজারিম করিডোর খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে উত্তর গাজায় ফিরেছেন প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তারা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে এবং কোলে সন্তানদের নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে হাঁটছেন। তবে যারা যানবাহনে করে যাচ্ছেন তাদের চেকপয়েন্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

গাজার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করিডোর খোলার পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই হেঁটে অন্তত ২ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজায় ফিরে এসেছেন। তবে তাদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না। তবুও তাদের চোখেমুখে ছিল ফিরে আসার আনন্দ।

কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ফিরতে থাকা ১৯ বছর বয়সী আহমেদ জানান, তিনি ১৫ মাস ধরে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা ক্লান্ত, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যেতে চাই। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

ফিলিস্তিনিরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) উত্তর গাজায় ফিরতে প্রস্তুত থাকলেও ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের কারণে তারা আটকে পড়েন। অবশেষে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পায়ে হেঁটে এবং সকাল ৯টায় যানবাহনে করে তাদের পার হতে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। তবে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দাওয়াতপত্র। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৯ ও ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকা সম্বলিত একটি দাওয়াতপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দাওয়াতপত্রে যাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের ১১ জনের মধ্যে শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোঃ আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, শরিসা ইউনিয়ন বিএএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরার্মশে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয় অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এ দাওয়াতপত্র ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগলো। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ, শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপি‍‍`র লোকজন নাই নাকি? আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।

এ পোস্টের অসংখ্য কমেন্টের মধ্যে বেশ কিছু কমেন্ট আলোচিত তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের পূর্নবাসন করতেই এমন কাজ করছে। তারুন্যের উৎসবে নেই, কোন তারুন্যে আছে, শুধু আওয়ামী লীগের পূর্নবাসনের কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, আমিসহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। আমি একটা শালিসে আছি, পরে কথা বলব।

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। সকল স্কুলের দাওয়াত পত্রও আমরা পাই না।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা । ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্ব ইজতেমায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন এবং যথাস্থানে যানবাহন পার্কিং করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশগামীদের জন্যও নির্দেশনা রয়েছে।

আজ সোমবার ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

আখেরী মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামি) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামি) ব্যবহার করবেন। কোনভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লিগণ পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তারা তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ- ২ এবং নিকুঞ্জ-১ গেট হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।

নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীগণ ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

মুসল্লীবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সকল যানবাহন চালকদের আজমপুর থেকে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে পার্কিং করা যাবে না।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন:

ঢাকা ও চট্টগাম বিভাগ থেকে আসা গাড়ি- ১৫নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ এলাকায় পার্কিং করবে।

সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
উত্তরাস্থ ১৫নং সেক্টর লেকপাড় মাঠে পার্কিং করবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গাড়ি: ১০নং ব্রিজ এবং ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে এবং বউবাজার মাঠে পার্কিং করবে।

বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়ি:
ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় পার্কিং করবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরী গাড়িগুলো ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করবে।

ভাইভারশন সংক্রান্ত তথ্য ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ:
শুধুমাত্র আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪টা থেকে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই ঘণ্টায় স্বদেশে ফিরলেন ২ লাখ ফিলিস্তিনি
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা  
ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
প্লে অফে এক পা রাজশাহীর  
সীমান্তের ওপারে মাদকের বাঙ্কার: বাংলাদেশে পাচারের আগেই ধরা পড়লো বিশাল চালান
ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি  
সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির বাস চলতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি
টাঙ্গাইলে গুড়িয়ে দেওয়া হলো সীসা তৈরি কারখানা
কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির  
মালানের তান্ডবে খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি