রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

ফারাওদের রাজত্ব থেকে ফাইয়ুমের মরুভূমি পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলেও ঐতিহাসিক খানে খলিলি বাজার ছাড়া কায়রোর সাধারণ কোনো বাজারে যাওয়া হয়নি। যে কোনো নতুন শহরে সুযোগ পেলেই আমরা কাছে পিঠের কাঁচা বাজারে একটা চক্কর দিয়ে আসি। সকালে নাস্তার পরেই বেরিয়ে গেলাম আল মাআদি এলাকার বাজারে। যদিও মাআদি তুলনামূলক বিচারে অনেকটাই আমাদের গুলশান বনানীর মতো একটি অভিজাত আবাসিক এলাকা, কিন্তু রেল লাইন পার হয়ে একটু সামনে এগোলে যে বাজার তার চেহারার সঙ্গে হাতিরপুল বাজারের তেমন পার্থক্য নেই। বিভিন্ন জিনিসপত্রের সারি সারি দোকানের ফাঁকে, রুটির কারখানা এবং বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট। দোকানগুলোর সামনে রাস্তার উপরেই বসে গেছে সবজি এবং ফলের দোকান। মুদি দোকানের পাশেই গরু কিংবা ভেড়ার লম্বা ঠ্যাং ঝুলিয়ে কসাইখানায় বিক্রি হচ্ছে মাংস।

প্রথমেই আমরা একটা রুটির দোকানে দাঁড়ালাম। আয়েশ বালাদি নামের নিত্যদিনের খাবারের রুটি সাধারণত কেউ বাড়িতে তৈরি করে না। পুরোনো ঢাকায় যেমন তন্দুর রুটি বা বাখরখানি তৈরি হয় তেমনি তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি গরম আয়েশ বালাদি কিনে বাড়িতে নিয়ে আয়েশ করে খাওয়াই প্রচলিত রীতি। এখানে অবশ্য হাতের বানিয়ে তন্দুরে রুটি সেঁকার ব্যবস্থা দেখা গেল না। ভেতরে কোথাও তৈরি হয়ে কনভেয়ার বেল্টের মতো একটা চলমান ধাতব পাতের উপর থেকে এক সঙ্গে গোটা কয়েক রুটি টুপটাপ করে এসে পড়ছে। রানা ভাই রুটিওয়ালা তরুণের সঙ্গে কথা জমাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে বেচারা ভীষণ ব্যস্ত, প্রতি মুহূর্তে খদ্দের সামলে সাধ্যমতো রানা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। আমরা খুব বেশি দেরি না করে এক প্যাকেট রুটি কিনে সামনে এগিয়ে গেলাম। সরকার রুটিতে ভর্তুকি দেওয়ার ফলে আকারভেদে দশটি বালাদি রুটির দাম মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঈজিপশিয়ান পাউন্ড ।

রেস্টুরেন্ট এবং চা কফির দোকানে এবং দোকানের বাইরে সাত সকালেই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন অনেকেই। রানা ভাই চায়ের দোকানের বাইরে এক বৃদ্ধের সঙ্গে কথা শুরু করইে তিনি গ্রিনটির অফার দিয়ে ফেললেন। আমরা অবশ্য চা না খেয়ে রানা ভাইয়ের সঙ্গে তার একটা ছবি তুলে সামনে এগিয়ে গেলাম। পাশাপাশি চশমা এবং একটা প্রসাধন সমাগ্রীর দোকানের সামনে অনেকগুলো বাক্স সাজিয়ে প্রচুর ফলের সম্ভার সাজানো। আপেল, আঙুর, কমলা, নাশপাতি এমনকি শরিফা পর্যন্ত আমাদের পরিচিত ফলের সঙ্গে কিছু অপরিচিত ফলও দেখা গেল, কিন্তু গাবের মতো লাল টুকটুকে ফলটার নাম জানা গেল না। প্রসাধন সামগ্রীর দোকানের ঠিক পাশেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। এতোক্ষণ রুটি, চা, ফলমূলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তোলা হয়ে গেছে। কিন্তু মাংস ঝোলানো দোকানের দিকে ক্যামেরা তুলতেই ছুরি হাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল এক কসাই। ছবি তুলতে গিয়ে কায়রোর কসাইয়ের ছুরিকাঘাতে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটার আগেই ক্যামেরা সরিয়ে নিলাম। তবে এর আগেই কসাইদের কারবার ভিডিওতে ধারণ করা হয়ে গেছে।

     রাস্তায় সবজি বাজার

কাঁচা বাজারে ফলমূলের মতো শাক সবজিরও কোনো অভাব নেই। বেশিরভাগ সবজির দোকানে নারী অথবা শিশু বিক্রেতারা গাঁজর মূলা সিম বেগুন ক্যাপসিকাম এবং শশাসহ বিভিন্ন ধরনের বীনের ডালা সাজিয়ে বসে আছে। পালং শাক এবং নাম না জানা আরও দুই এক ধরনের শাকের আঁটি দেখে মনে হলো মরুভূমির লোকেরা শুধু শুকনো রুটি, দুম্বার মাংস আর খেজুর খেয়ে বাঁচে বলে আমাদের যে ধারণা ছিল তা মোটেও সত্যি নয়। আমরা ফুটপাথের দোকানে দোকানে ঘুরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে একটা ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। ভাষা না বুঝলেও প্রায় সবাই সাধ্যমতো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছে, প্রায় সবাই ছিল বেশ হাসিখুশি। কয়েকজন কিশোর আমাদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্যে এগিয়ে এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। শুধু একজন নারী বিক্রেতার দোকানের ছবি তোলার সময় শিশু কোলে দাঁড়ানো পুরুষ লোকটি ‘লা লা’ বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার পুরুষত্ব জাহির করলে আমরা ক্ষান্ত দিলাম।

     কায়রোর কসাইখানা

কিছু ফল কিছু শাক-সবজি কিনে ঘরে ফেরার পরে দেখা গেল তিন কেজি আপেল নাসপাতিসহ রানা ভাই ব্যাগটা কোনো একটা দোকানে ভুল করে ফেলে চলে এসেছেন। কিন্তু ব্যাগটা কোথায় রেখেছেন তিনি কিছুতেই মনে করতে পারলেন না। আমার ক্যামেরায় শ্যুট করা ভিডিও ফুটেজ দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখে পড়ল বাজার থেকে বেরোবার আগে রানা ভাই শেষ যে বড় দোকানটায় ঢুকেছিলেন সেখানেই বাইরের দিকের ডেস্কের উপর ব্যাগটা রেখেছেন। দোকান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল আশা করি তিন কেজি ফল ফেরতও পাওয়া যাবে।

বিকেলে পুরোনো কায়রোর রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা। তবে তার আগে ফলোদ্ধারের জন্যে বাজারের দিকে যেতে হলো। সেই দোকানের সামনে রানা ভাই গাড়ি থেকে নামতেই দোকানের ভেতর থেকে একজন হৈ হৈ করে ইংরেজি আরবি মিশিয়ে যা বললেন তার অর্থ ‘তুমি চলে যাবার পরপরই তোমাকে খুঁজেছি। তোমার ফলের ব্যাগটা এখানে থেকে গেছে।’ আমাদের ভিডিও এভিডেন্স বের করার কোনো দরকার হলো না, তার আগেই ফলের ব্যাগ হাতে পেয়ে রানা ভাই ‘শুকরান শুকরান’ বলে গাড়িতে উঠে পড়লেন।

        আবু সেরাগা চার্চের একাংশ

পুরোনো কায়রোর ঐতিহাসিক মসজিদ আমর ইবনে আল আস-এর কাছাকাছি বেশ বড় একটা এলাকা জুড়ে মসজিদ এবং বিভিন্ন মতাদর্শের কয়েকটি গির্জার পাশাপাশি একটি ইহুদি উপাসনালয় মিলিয়ে বড় এলাকা জুড়ে এই জটিল ধর্মীয় চত্বর। রিলিজিয়াস কমপ্লেক্স, কায়রো, লেখা একটি নির্দেশনা ফলক পেরিয়ে ভেতরে ঢোকার পরে মনে হলো এলাকাটা তুলনামূলকভাবে জনবিরল এবং ব্যস্ত কায়রোর অন্যান্য এলাকার চেয়ে নীরব। পরিচ্ছন্ন পথে মানুষের চলাচল কম এবং কোথাও আবর্জনার স্তূপ চোখে পড়ে না। এখানে চার্চ অব মেরি গার্গস, চার্চ অব আবু সেফিয়ান, চার্চ অব সেইন্ট বারবারা নামে ক্যাথলিক, প্রোটেস্টান্ট, অর্থডক্স এবং অ্যাভেঞ্জেলিক চার্চ মিলিয়ে সবগুলো গির্জা একদিনে দেখে শেষ করা অসম্ভব। আমরা বেছে নিলাম কাছাকাছি আবু সেরগা। খানিকটা দূরে পার্কিং-এ গাড়ি রেখে পাশাপাশি কয়েকটি গির্জার চত্বরে প্রবেশের আগে নাম কা ওয়াস্তে একটা নিরাপত্তা ফটক পার হতে হলো। তারপরেই হেঁটে গেলাম আবু সেরগার দরজা পর্যন্ত।

     আবু সেরগা চার্চের ধর্মাপোদেশ

স্থানীয়ভাবে আবু সেরগা নামে পরিচিত কায়রোর প্রাচীনতম কপটিক চার্চগুলোর একটি সেইন্ট সেরগিয়াস ও সেইন্ট বাচুস চাচের্র প্রবেশ পথে চার্চের নাম লেখা থাকলেও আসল গির্জা ভবনে ঢুকতে অনেক দূর পর্যন্ত একটা সরু গলিপথ পার হতে হলো। গলিপথের দুপাশের তাকে সাজানো অসংখ্য বই। কিছু সংখ্যক তাকে বাইবেলের নানা কাহিনি থেকে নেওয়া রঙিন ছবি। এই গির্জা যে হাজার দেড়েক বছর আগের তা এর নির্মাণকাল না জানলেও বলে দেয়া যায়। সিরিয়ায় ধর্ম বিশ্বাসের জন্য শহিদ ধর্মযোদ্ধা সেইন্ট সেরগিয়াস ও সেইন্ট বাচুসের নামে ক্রিস্টিয় চতুর্থ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত গির্জা সংলগ্ন ভূগর্ভের গহীনে মা মেরি, জোসেফ এবং শিশু যিশুখ্রিস্ট বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে প্রচলিত আছে। আগুনে ভষ্মীভুত হবার পরে মধ্যযুগ পর্যন্ত বহুবার পুননির্মাণ করায় কপটিক চার্চটি বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং অলঙ্করণের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিশরের খ্রিস্টিয় নির্মাণ কলার উপাদানগুলো মিলে মিশে গির্জার অভ্যন্তরভাগ অসাধারণ সুন্দর। চারিদিকের দেয়ালের বেশিরভাগ নির্মিত হয়েছে জুড়ে কালচে-লাল ইটের গাঁথুনিতে। শক্তপোক্ত দেয়াল এবং খিলানসহ স্তম্ভ উঠে গেছে তিন তলার উচ্চতায়। মিম্বর, গম্বুজ, কলাম, রোস্ট্রাম এবং দেয়ালগুলোতে সুদৃশ্য কাঠের কারুকাজ আর কাঠের উপরে আইভরির কারুকাজ করা বেদি মধ্যযুগের কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কাজের উদাহরণ। দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে সাধু সন্ত আর প্রেরিত পুরুষদের প্রমাণ সাইজের পেইন্টিং। এসব ছবিও কারুকাজ করা ভারি কাঠের ফ্রেমে আটকানো।

মূল প্রার্থনা কক্ষে সাজানো সারি সারি ভারী কাঠের বেঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে দেখলাম একজন প্রিস্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পরনে কালো আলখাল্লা, মাথায় চেগুয়েভারার মতো টুপি তবে সেটাও কালো, হাতে কালো ব্যান্ডের ঘড়ি আর আর বুকে ঝোলানো ক্রশ। তার কণ্ঠস্বর, বলার ভঙ্গি এবং নাটকীয় অভিব্যক্তি মিলিয়ে সামনের বেঞ্চগুলোতে বসা পনের কুড়িজন তরুণ তরুণী তার কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছে। তিনি আরবিতে ভাষণ দিচ্ছেন, শুধু এইটুকু ছাড়া তার বক্তব্যের বিন্দু বিসর্গ না বুঝেও আমার শুনতে ভালো লাগছিল। তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে দুজন তরুণীকে দেখলাম হিজাব পরিহিতা। সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায় এই দুজনসহ প্রায় সবাই ধর্মগুরু তার কথার যাদুতে সম্মোহিত করে ফেলেছেন। ভাষা বুঝলে আমি নিজেও সম্মোহিত হয়ে পড়তাম কিনা কে জানে!

      হাজার বছর আগের বাইবেল

কিছুক্ষণ ধর্মোপদেশ শোনার পরে প্রথমে ডান দিকের গ্যালারি এবং পরে বাঁ দিকের করিডোর পার হয়ে যেখানে পৌঁছলাম সেটি একটি সংগ্রহশালা। এখানে বিভিন্ন তাকে সংরক্ষিত রয়েছে প্রাচীন পুঁথি পুস্তক, ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে হাতে লেখা বাইবেল। হিব্রু ভাষায় লেখা একটি বাইবেলে দেখা গেল মূল ভাষার পাশাপাশি ছোট করে আরবি অনুবাদ অথবা ফুটনোট। বইপত্র ছাড়াও বাতিদান, পান পাত্র, সিলমোহর ও ধাতব ক্রশসহ কিছু ছোট জিনিস ঠাঁই পেয়েছে এই ছোট্ট মিউজিয়ামে। কে জানে এইসব কতশত বা কয় হাজার বছর আগের নিদর্শন! সংগ্রহশালার মেঝেতে একটি কূপের মুখ মোটা কাচের ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বৃত্তাকার ঢাকনা ঘিরে আরবি এবং ইংরেজিতে লেখা: ঞযব বিষষ The well which the Holy Family drank from. তবে আবে জমজমের মতো এই পবিত্র পানি পানের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

      বই পুস্তকের গলিপথ

জাদুঘরের ভেতর থেকেই দুপাশে কাঠের রেলিং দেওয়া পাথরের একটি সিঁড়ি নিচে নেমে গেছে। কথিত আছে অ্যাপোস্টেলিক যুগে মা মেরি তার শিশু সন্তান যিশুখ্রিস্টকে নিয়ে তিন মাস এখানেই নিচের একটি গুহায় বসবাস করেছেন। বিবি মরিয়ম তার শিশু পুত্র ঈসা আলাইহেওয়াস-সালামসহ মাস তিনেক গুহাবাসী হিসেবে কালাতিপাত করে থাকলে গির্জা না হয়ে এখানে এখানে একটি মসজিদও হতে পারত। যাই হোক, ইসলামের আবির্ভাবের আগেই ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিবাদের কোনো সুযোগ নেই। এখন এই কাহিনি কেবলই বিশ্বাসের। আমরা খ্রিস্টিয় ধর্মগুরুর বক্তৃতা শুনে, অসাধারণ স্থাপত্য নৈপুনের একটি নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম।

   বিন এজরা সিনাগগ

বই-পুস্তকের দীর্ঘ গলিপথ পেরিয়ে যখন রাস্তায় এলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। পথের বাঁ দিকের কয়েকটি দোকানে এবং গির্জার দরজাগুলোতে জ্বলে উঠেছে আলো। কয়েকটি চার্চ পেরিয়ে রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে ইহুদি প্রার্থনা মন্দিরটির অবস্থান একদিকে গির্জা এবং অন্যদিকে আমর ইবনে আল আস মসজিদের মাঝখানে। এলাকায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ মুসা নবী নীল নদের কাছাকাছি প্রার্থনার জন্যে এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিলেন। এক সময় খ্রিস্টান আধিপত্যের যুগে এখানে নির্মিত উপাসনালয় অর্থডক্স চার্চে রূপান্তরিত হয়ে যায়। পরে খ্রিস্টধর্মের অনুসারিরা ট্যাক্স পরিশোধ করতে না পারায় বিশ হাজার রিয়াল দিয়ে ভগ্নদশা ভবনটি কিনে নেন ইহুদি ইব্রাহিম বিন এজরা। তার নামে উপাসনালয়ের নামই হয়ে যায় বিন এজরা সিনাগগ। তবে ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে সিনাগগটি বর্তমান অবস্থায় আসতে বহু বছর লেগেছে। বিন এজরার পুনরুদ্ধার এবং পুনঃনির্মাণে মিশর সরকারের বিরাট ভূমিকা ছিল। প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি সারাবিশ্বের ইহুদি সম্প্রদায়ের সাহায্য সমর্থন তো ছিলই।

    রিলিজিয়াস কমপ্লেক্সে সন্ধ্যা

সিনাগগের ভেতরে কারুকাজ করা সোনালি দেয়াল, দীর্ঘ কলাম এবং পরিমিত আলোর ব্যবহার এক অপার্থিব ভাবগম্ভীর পরিবেশ। প্রথম তলাটি পুরুষের এবং দ্বিতীয় তলা নারীদের প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত। কলামগুলো মার্বেল পাথরে আবৃত এবং উপরের দিকে কারুকাজ করা সোনালি মুকুটে ঢাকা। আলোক সজ্জার ব্যবস্থা ছাড়াও সিলিংয়ে তাকালে চোখে পড়ে বাতাস চলাচলের ফোকর। উল্লেখ করা করা যেতে পারে ইসলামের অনুশাসনের মতোই ইহুদি ধর্মেও উপাসনালয়ের দেয়ালে কোনো দেব দেবী, ঈশ্বর অথবা প্রেরিত পুরুষের কোনো মূর্তি বা প্রতিকৃতি নেই।

আমর ইবনে আল আস মসজিদে যাওয়ার জন্যে নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যখন রাস্তায় এলাম তখন গাছপালার ফাঁকে আকাশে দেখা গেল বেশ বড় একটা গোল চাঁদ।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ ব্যাংকে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে জানা যায়।

আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস নামে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাব থেকে মোট ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা