বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৬

বিষাদ বসুধা

দুপুরের রোদে খা খা করছে চারদিক। রোদের উত্তাপে গাছের পাতাগুলো লজ্জাবতী গাছের মতো কেমন মিইয়ে পড়েছে। গাছপাতা, তরুলতাগুলোও যেন একটুখানি বাতাসের জন্য হা-পিত্তেশ করছে। কিন্তু বাতাসের কোনো নাম-গন্ধও নেই। গরমে হাঁসফাঁস করছেন জমিলা খাতুন। তিনি রান্না করতে গিয়ে গরমে হাপিয়ে উঠেন। কোথাও স্বস্তি নেই। শ্বাস-প্রশ্বাসও উত্তাপ ছড়াচ্ছে।

জমিলা খাতুন তালের পাখা নিয়ে ঘরের বারান্দায় এসে বসলেন। এ সময় একটি কাক ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে বাড়ির উঠানে বাঁশের আড়ার উপর বসে। তারপর শুরু করে ডাকাডাকি। একেবারে উথালিপাথালি ডাক। কাক ডাকার শব্দটা যেন কলিজায় গিয়ে লাগে। এমন ডাক খুব সহসা শোনেননি জমিলা খাতুন। কাকের ডাক শুনে বুক ধরফর করে উঠে তার। মনটা স্থির হয়ে উঠে। তিনি কাকটাকে হাত দিয়ে তাড়া করেন। যা কাক, যা। এমন করে কেন ডাকতেছিস? কার সর্বনাশের খবর নিয়া আইছিস ক তো? যা। আর সর্বনাশা ডাক ডাকিছ না। যা যা।

কাকটা কিছুতেই যায় না। এদিক উড়ে, ওদিক উড়ে। আবার বাঁশের উপর বসে। পড়ে পড়ে ডাকে। কা কা কা কা!

জমিলা খাতুনের কাছে কাকের ডাকটা ভয়ঙ্কর লাগে। তার ছেলের কথা মনে পড়ে। তার কলিজার টুকরা আরেফিন। পরিবারের একমাত্র রত্ন। একমাত্র মানিক। গ্রামের লোকেরা ওকে বলে, গোবরে পদ্মফুল। ওদের সংসারে সবাই গো-মূর্খ। কারও ভেতরে কোনো শিক্ষার আলো নেই। পূর্বপুরুষরাও কেউ কখনো স্কুল-কলেজে যায়নি। মেধার গুণে আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পেরেছে। তার মেধার মূল্যায়ন করেছেন মোহিনী। তিনি বড়লোকের মেয়ে হয়েও অতি নীচু পরিবারের সন্তান আরেফিনকে ভালোবাসেন। তাকে তিনি বিয়ে করেন। পাল্টে যায় আরেফিনের জীবনধারা। কত বড় ভাগ্য নিয়ে তিনি পৃথিবীতে এসেছেন কে জানে!

আরেফিন মা বাবার জন্য গ্রামে প্রতিমাসে টাকা পাঠান। যত ঝড়ঝাপটাই তার উপর দিয়ে যাক, মা বাবার কাছে টাকা পাঠানোর কথা ভোলেন না। আরেফিন এক দেশ থেকে আরেক দেশে যান, আর বাবার বুকের ছাতিম ফুলেফেঁপে বড় হয়। মার মুখে হাসি ফোটে। সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ে আজিমপুর গ্রামে। একে বলে ওকে বলে, আমার সোনার মানিকের কথা শুনছ? বিরাট পাস দিছে আমার ছেলে। বিরাট চাকরি করে। বড়লোকের মেয়েরে বিয়া করছে। আর কি চাই?

কেউ কেউ টিপ্পনি কেটে বলে, ছেলের বউরে কখনো দেখছ? খুব তো বড়াই করতেছ?

জোখের মুখে চুন পড়ার মতো অবস্থা হয় জমিলা খাতুনের। তিনি মাথা নিচু করে অন্য দিকে চলে যান। মনে মনে বলেন, সব হিংসা। এই দুনিয়ায় কারো ভালো কেউ কি দেখতে পারে! পারে না। হিংসায় জইলা পুইড়া মরে। নিজেগো পোলারা মাইনসের খেতে বদলা দেয়। আমাগো পোলায় লেখাপড়া কইরা ঢাকা শহরে বড় চাকরি করে। এইডা কি কারো সহ্য হয়। হয় না। এই জন্যই টিটকারি মাইরা কথা কয়। ওইসব আমি বুঝি না! সব বুঝি।

কিছুক্ষণ পর আবার কাকটা পড়ে পড়ে ডাকে। কা কা কা কা!

জমিলা খাতুনের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। কোনো একটা অঘটন ঘটছে। তা না হলে কাকটা এমন করে ডাকতো না। আরেফিনের বাপ কোথায় গেল! সারাদিন কই কই যে থাহে!

জমিলা খাতুন মনে মনে ছোটছেলেকে খোঁজেন। আক্কাস গেল কই? আক্কাস আক্কাস!
আক্কাস দৌড়ে আসে মা’র কাছে। কি হইছে মা?
দেখ তো তোর বাপ কই? তাড়াতাড়ি খুইজা আন।
আনতাছি মা। আনতাছি।

আক্কাস দৌড়ে দরজার দিকে যায়। বৈঠকখানায় বসে আক্কাসের বাবা আলী আকবর গল্পগুজব করছিলেন। গরমের দিনে বৈঠকখানায় বাড়ির লোকদের আড্ডা বসে। আড্ডার মধ্যমণি আলী আকবর। ছেলের কারণে আলী আকবর বাড়ির লোকদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন। তিনি না গেলে আড্ডা জমে না। তিনি যতক্ষণ বৈঠকখানায় থাকেন ততক্ষণই আড্ডা জমজমাট থাকে। বাড়ির লোকরা নানা বিষয়ে এখন আলী আকবরের পরামর্শ নেন। ভালোমন্দ জানতে চান। আলী আকবরও বিজ্ঞলোকের মতো যাকে যে পরামর্শ দেওয়া দরকার তা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিনের মতো আজও আড্ডা বেশ জমে উঠে। আজ তিনি তার গর্বের ছেলেকে নিয়ে গল্প করছিলেন। কিভাবে বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করল সেই গল্প। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো আলী আকবরের গল্প শুনছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে আক্কাস আলী সেখানে হাজির হয়। সে তার কাছে গিয়ে কানে কানে বলে, মা ডাকতাছে। কি যেন হইছে তার। কেমন জানি করতাছে। তাড়াতাড়ি বাড়ি চলেন বাবা।
পরে জামু। তুই গিয়া ক, আমি একটু পর আসতাছি।
বাবা, এই কথা গিয়া কইলে মা রাগ করব। আপনি চলেন তো! পরে আইসা গল্প কইরেন।
আলী আকবর সবার উদ্দেশে বললেন, মিয়ারা, আমার গল্প শেষ হয়নি। আমি আবার আসতাছি। আইসা গল্প শেষ করব।

আলী আকবর হন হন করে হেঁটে বাড়ির দিকে ছুটে যান। জমিলা খাতুনের কাছাকাছি গিয়ে বলেন, কি হইছে আরেফিনের মা? এতো উতালা হইছ কেন? আমি আমার ছেলেরে নিয়া গল্প করছিলাম। সবাই উদাস হইয়া আমার ছেলের গল্প শুনছিল। সেইডা তোমার সহ্য হইল না?
আরেফিনের গল্প?
আর কার গল্প? গল্প কিংবা গর্ব করার মতোন আর কে আছে কও?
দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে জমিলা খাতুন বললেন, আমার আরেফিন! ওর লইগ্যা আমার মনডা কেমন জানি করতেছে। বুকের মধ্যে কী রহম জানি ধুকফুক ধুকফুক করতেছে। আপনে আরফিনের খবর নেন তো! কোনো সমস্যা হইল কি না পোলাডার।
কেন? আবার কি হইল?
কাকটা দেহেন না, এহনও পইড়া পইড়া ডাকতেছে। বড় অহস্য লাগতেছে।
ওসব বাদ দেও তো! কাক ডাকতাছে তাতে সমস্যা কি? কাক ডাকবো না?
আপনে আমার কতাডা একটু হোনেন। আপনে খোঁজ লন পোলাডার। খোঁজ লইতে তো কোনো দোষ নেই! খোঁজ লইয়া আমারে কন, পোলাডা ভালো আছে।
হুম, কয়দিন পর পর কাক ডাকবো আর তোমার মন উতালা হইব; এইডা কেমন কথা?
আপনে খোঁজ লইবেন? নাকি অন্য কাউরে কমু?

কও না কও। কারে কইবা? আরেফিন যে দেশে নাই এইডা কেউ জানে? মন খারাপ কইরো বউ। আরেফিন চীন দেশে গেছে। ছোডবেলায় চীনের গল্প হোন নাই? চীনরে বলে মহাচীন। সেই দেশে আমার ছেলে গেছে। ভালোই তো আছে কইল। খারাপ থাকলে ফোন কইরা জানাইতো না?
আপনের লগে কবে কতা হইছে?
ওইদিন, তাও তিন চাইর দিন হইয়া গেছে।
আজকে তো হয় নাই?
না। আজকে হই নাই। আচ্ছা, তুমি যেহেতু কইতেছ, আমি ফোন কইরা দেখতেছি।

আলী আকবর মোবাইল হাতে নিয়ে আরেফিনের নম্বরে ফোন দেন। কিছুতেই তার ফোনে ঢোকা যাচ্ছে না। একবার দুইবার তিনবার ফোন করেন তিনি। না। কিছুতেই ফোনে ঢোকা যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ কি না তাও বোঝা যাচ্ছে না। তিনি বিরক্ত হন। ভীষণ বিরক্ত হন। কিছুক্ষণ পর তিনি ছেলের বউর নম্বরে ফোন করেন। মোহিনীর ফোনে রিং বাজে। কিন্তুমোহিনী ফোন ধরছে না। মোহিনীর নম্বরেও কয়েকবার ফোন করেন তিনি। বিরক্ত হয়ে তিনি ফোনটাকে বিছানার উপর ছুড়ে মারেন।

জমিলা খাতুন স্বামীর কা-কির্তি দেখে বলেন, ওকি ওকি! ফোনডারে ছুইরা মারলেন যে!

আলী আকবর ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, আইজ কি হইল বুঝতে পারতেছি না। কুফা লাগছে। পাইতেছি না। কাউকেই পাইতেছি না।
কি কন?
হ। আরেফিনের ফোন বন্ধ। বউমা ফোন ধরতেছে না।
হায় হায়! তাইলে কি হইব?
কি আর হইব। পরে আবার দেখবনে।
বউমার ফোনে আগে কি কতা কইছেন?
না। তা কই নাই।
তাইলে কেমনে পাইবেন? আপনের অচেনা নম্বর ধরব নাকি?
অচেনা নম্বর বইলা ফোনডাও ধরব না? না ধরলে না ধরলো!
জমিলা খাতুন হতাশার চোখে আলী আকবরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ছেলের জন্য তার দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মনে মনে আল্লাহকে ডাকেন তিনি। বিড় বিড় করে বলেন, মাবুদ গো; তুমি আমার ছেলেরে ভালো রাইখো। আমার সোনার মানিকরে তুমি সুস্থ রাইখো।

জমিলা খাতুনের চেহারা দেখে আলী আকবরও ভাবনায় পড়েন। তিনি বিড় বিড় করে বলেন, কয়দিন আগেও কতা হইল। কইল, ভালোই আছে। কোনো অসুবিধা নাই। মোবাইলডা কেন যে বন্ধ রাখল? বউমাও ফোনডা ধরতেছে না। বউমার কাছে কি আমার নম্বর আছে? কে জানে! অচেনা নাম্বার তো কেউ ধরতে চায় না।
আলী আকবর স্ত্রীর মাথায় হাত রাখেন। মন খারাপ কইরো না। আইজ যেমনেই হইক ছেলের খবর নিমু।
আবারও কাকটা ডানা ঝাপটে ঝাপটে ডাকে। কা কা কা কা!

দুশ্চিন্তায় হাবুডুবু খাচ্ছেন আলী আকবর ও জমিলা খাতুন। তাদের ধারণা, ছেলেটা কোনো বিপদে পড়েছে। তা না হলে নিশ্চয়ই সে যোগাযোগ করত। সে যোগাযোগ করছে না বলে আমরাও চুপচাপ বসে থাকব! না না! এভাবে ঘরে বসে থাকা যায় না!
আলী আকবর বললেন, আমি বরং ঢাকায় যাই। কি কও?
হ যান। ঢাকায় যান। বাসায় কেউ না কেউ তো থাকব!
হ। তা নিশ্চয়ই থাকব। ঠিকানাডা তোমার কাছে আছে নাহি?
আছে আছে। রাখছিলাম।
জমিলা খাতুন ধর্মীয় বইপুস্তকের ফাঁকে সাদা কাগজে লেখা একটা কাগজ বের করলেন। আলী আকবরের হাতে দিয়ে বললেন, দেহেন এইডা কি না?
হ আইডাই। রাহো। কাইল তাইলে রওয়ানা হই?
হ যান। দেরি কইরা লাভ নাই।
আলী আকবর ছেলের খোঁজে ঢাকায় আসেন। ছেলের বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলছে। বিস্ময়ের সঙ্গে বাসার দিকে তাকিয়ে থাকেন। মনে মনে ভাবেন, কি ব্যাপার! বাসার লোকজন মানে বউমা কই? বউ মা কি এই বাসায় থাহে না। আমাগোরে তো কিছুই কইলো না। এখন উপায় কি?

কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আলী আকবর বাড়ির দারোয়ানের কাছে জানতে চান, আরেফিনের কোনো খবর জানো তোমরা?
আরেফিন স্যার আপনার কি হয়? দারোয়ান জানতে চাইল।
আমার ছেলে। ছেলে হয়।
সে তো বিদেশে!
হ জানি। চীন দেশে গেছে। কিন্তু বউমা? বউমা কই?
আপনার ছেলে যেদিন বিদেশে গেছে সেদিনই আপনার বউমা নিজ বাড়িতে চলে গেছে।
ওহ! বউমার ঠিকানাডা কি তোমার কাছে আছে? আমারে দিতে পারবা?
আমি কই পাব তার ঠিকানা? আমারে দেয় নাই। কেন, আপনি আপনার ছেলের শ্বশুর বাড়ি যান নাই?
দীঘনিশ্বাস ছেড়ে আলী আকবর বলেন, না রে বাবা!
দারোয়ান বিস্ময়ের দৃষ্টিতে আলী আকবরের দিকে তাকিয়ে থাকে। আলী আকবর মাথা নিচু করে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি কি করবেন তা নিয়ে ভাবেন। ছেলের খোঁজ না নিয়েই তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন! নাকি ঠিকানা জোগাড় করে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে যাবেন! তিনি কোনো দিন ছেলের বড়লোক শ্বশুর বাড়ি যাননি। পরিচয়ও নেই ছেলের শ্বশুরের সঙ্গে। সেখানে গেলে তাকে যদি দূরদূর করে তাড়িয়ে দেয়! তখন কি হবে?

রাজ্যের চিন্তা মাথায় নিয়ে আলী আকবর বাইরের দিকে পা বাড়ান।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত