শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৩

বিষাদ বসুধা

এতো লোকের অফিসে আসার দরকার নেই। যাদের অফিসে আসা খুব প্রয়োজন তারা ছাড়া সবাই ছুটিতে থাকবে। তালিকা বানান দ্রুত। তারপর আমি নোটিশ করে দিচ্ছি। তালিকা তৈরি করতে কতক্ষণ লাগবে বলেন তো?

আজকের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করব।

দেখেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলেন।

জি ম্যাম।

তাহলে যান। তালিকা তৈরি করেন। প্রয়োজনে আমি পুরো অফিসই বন্ধ রাখব। বুঝতে পারছেন?

জি ম্যাম।

এসময় টেলিফোনের রিং বাজে। মোহিনী ফোন ধরার জন্য হাত বাড়ায়। আর ইশারায় আবুল কালামকে চলে যেতে বলে। ফোনের রিসিভার কানে তুলতেই মোহসীন আলীর কণ্ঠস্বর শুনতে পেল সে। মনে মনে তার কথাই সে ভাবছিল। মোহসীন আলী কিছু বলার আগেই মোহিনী বললেন, বাবা আমি তোমাকে ফোন করার কথাই চিন্তা করছিলাম।

তাই নাকি মা?

হ্যাঁ বাবা।

তাহলে আগে তোমার কথা শুনি। তারপর আমি বলছি।
তোমার অফিসে কি ছুটি দিয়ে দিয়েছ? নাকি এখনো খোলা রেখেছ?

সীমিত আকারে খোলা। অনেকে বাসায় বসে কাজ করছে। আবার অনেকে পুরোপুরি ছুটি কাটাচ্ছে।
ছুটিতে থাকলেও বেতন তো দিচ্ছ?

অবশ্যই। বেতন দেবো না কেন? এতে তো কারো হাত নেই; তাই না? প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে পারো। দুর্যোগে আমরা আমাদের সহকর্মীদের পাশে থাকব না!

আমি এটাই তোমার কাছ থেকে আশা করেছিলাম বাবা।

কি যে বলো! শোন, আমার ব্যবসার বয়স পঁচিশ বছর। তুমি তো জানো, অনেক ছোট অবস্থা থেকে আমি বড় হয়েছি। বাবা ছোট একটা জুটমিল রেখে গিয়েছিলেন। সেটার অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। আমার সহকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠান বড় হয়েছে। সুখ দুখে এরাই ছিল আমার সহযাত্রী। এখন একটা দুর্যোগ এসেছে। সারাবিশ্বই এই দুর্যোগের শিকার। বিপদের সময় সহকর্মীদের পাশে থাকাই যে আমাদের কর্তব্য মা।

জি বাবা। আমিও এটাই করেছি। কারো বেতন কাটা কিংবা বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানোর কাজটি আমি করিনি।

কেন করবে? তুমি আমার মেয়ে না! শোন, এজন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব না। তুমি আমার মেয়ে। আমাদের শরীরে মানুষের রক্ত; অমানুষের নয়। আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষার সময়। আমরা কতটা মানবিক তা এখনই প্রমাণিত হবে। সময়ের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে।

জি বাবা। আমি তোমার সন্তান। এটা আমার অনেক গৌরবের।

ধন্যবাদ মা। প্রয়োজন মনে করলে অফিস বন্ধ করে দাও। সুযোগ আমাদের কাছে এসে ধরা দেবে। অবশ্যই ধরা দেবে। তুমি দেখ।

ঠিক আছে বাবা। আমি সেভাবেই করছি। আমার জন্য দোয়া করো বাবা।

অবশ্যই মা। আমি এখন রাখছি।

মোহসীন আলী ফোন রাখলেন। মোহিনীও ফোন রেখে অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল।

আসিফ আহমেদ মোহিনীর বন্ধু। তিনি পেশায় সাংবাদিক। একটি প্রভাবশালী পত্রিকার সম্পাদক। তাদের মধ্যে কালেভদ্রে কথাবার্তা হয়। দেশের পরিস্থিতি জানার জন্য মোহিনীই তাকে ফোন করেন। নানা বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। আজ আসিফই মোহিনীকে ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে বিস্মিতই হন মোহিনী।

আরে আসিফ! কি মনে করে?

বিস্মিত হয়েছ মনে হচ্ছে?

বিস্মিত হবো না? তুমি কি কখনো নিজের থেকে আমাকে ফোন দিয়েছ? আমিই তোমাকে সময় সময় বিরক্ত করি।

কি যে বলো! আমি কি কখনো বিরক্ত হয়েছি?

তা হওনি। তবে তুমি খুব একটা ফোন করো না; এটা ঠিক।

তা মানছি। কেমন আছো বলো?

আমি ভালো আছি। তবে ব্যবসার অবস্থা তো বোঝই। খুবই সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তোমাদের খবর বলো।

করোনায় সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছি আমরা।

কি রকম?

করোনার কারণে পত্রিকার সার্কুলেশনে তো ধস নেমেছে। বিজ্ঞাপনেও ভয়ংকর ধস। চিন্তাও করতে পারবে না কি পরিমাণ আয় কমেছে।

বলো কি!

আমাদের প্রতি মাসে এখন সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ বিজ্ঞাপন থেমে আয় মাত্র এক কোটি।

মাই গড!

তারপর শোন, সার্কুলেশন থেকে যে আয় হয় তা ট্রান্সপোর্ট খরচ বাবদ চলে যায়।

তার মানে পত্রিকা বিক্রি থেকে কোনো টাকা পাও না?

একদমই না। সারাদেশে পরিবহন খরচ বাবদ বিশাল একটা অংক চলে যায়। ফলে পত্রিকা বিক্রির টাকা ঘরে আসে না। আমি করোনাকালের কথা বলছি। করোনার আগে ভালো আসতো।

হুম। তার মানে আড়াই কোটি টাকা লোকসান?

তাহলে আর বলছি কি? আগে প্রতি মাসে আড়াই, তিন কোটি টাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আমরা পেতাম। এখন এক ইঞ্জি বিজ্ঞাপনও পাই না। অনলাইনে যা পাওয়া যাচ্ছে, তার পরিমাণ খুব কম। সুতরাং টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।

বলো কি? এতো ভয়াবহ বিপদ!

হুম। কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের চাপ দিচ্ছে। কি যে করবো বুঝতে পারছি না।

ছাঁটাই! সে কি! এখন মানুষ এমনিতেই বিপদে আছে। এই বিপদের সময় ছাঁটাই করবে?

তোমরা কি করেছ বলো তো?

আমরা? আমরা ছাঁটাইয়ের চিন্তাও করিনি। ব্যবসা অনেক করেছি। এখন বেঁচে থাকার সময়। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর সময়। আমরা মুখে বলবো, মানুষ মানুষের জন্য। আর কাজ করবো তার উল্টোটা; তা হয় না। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, তোমরা ছুটি কাটাও। অনেক সময় তো প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছ। প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কিছু করেছ। তোমাদের শ্রম-ঘাম-মেধায় প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এবার ফ্যামিলিকে সময় দাও। প্রতিষ্ঠান তোমাদের পাশে থাকবে। কারো বেতন কাটা হবে না। চাকরিও যাবে না।

বাহ! অসাধারণ!

শোন, এখন একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে বলে তাদের ফেলে দেবো? এতে কি কর্মীদের কোনো হাত ছিল? নাকি তারা এই দুর্যোগ ডেকে এনেছে?

আসিফ আহমেদ চুপ করে আছে। কোনো কথা বলছে না। মোহিনী আবার বলতে শুরু করে। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটি নীতি নিয়ে চলে। সততা আর মানবিকতা। আমার বাবাও তাই।

বলো কি!

হ্যাঁ।

তুমি সত্যিই অনেক মানবিক। আমি এখন রাখছি। পরে আবার কথা বলব।

আসিফ ফোন রাখার পর মোহিনী আর কাজে মন বসাতে পারলেন না। তিনি গভীর ভাবনায় ডুবে গেলেন।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত