রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান

চেয়েছিলেন জ্যাকের বড়ভাই হেনরি যেন বেহালা বাজানো শেখে। বেহালা বাজানো শেখার কাজ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য জ্যাক বলেছিল, এই অতিরিক্ত কাজের বোঝা নিয়ে স্কুলে ভালো ফলাফল করতে পারবে না। সুতরাং তার ভাই একটা নিষ্প্রাণ বেহালা থেকে কায়ক্লেশে অতি ভয়ঙ্কর কিছু শব্দ বাজাতে শিখেছিল। সে কয়েকটা নকল সুরে জনপ্রিয় গান বাজাতে পারত। কণ্ঠ ভালো থাকায় জ্যাকও ওই গানগুলো গাইতে পারত। তবে ওই নিষ্পাপ অবসর বিনোদনের ভয়াবহ ফলাফল সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।

নানির বিবাহিত মেয়েদের দুজন তাদের স্বামীদের হারিয়েছিলেন যুদ্ধে। তারা এবং অন্য বিবাহিত মেয়েরা রবিবারে বেড়াতে আসতেন। নানির আরেক বোন ছিলেন। তিনি সাহেলের এক খামারে বাস করতেন এবং স্প্যানিস ভাষার চেয়ে অবলীলায় বরং মাহুন উপভাষায় কথা বলতেন। তারা সবাই রবিবারে কেউ না কেউ আসতেনই। আর তখন নানি তার নাতিদের ডাকতেন তাদের সামনে প্রত্যুৎপন্ন সংগীতের কনসার্টের জন্য। দুরু দুরু বুকে তারা সংগীতের একটা ধাতব স্ট্যান্ড এবং সুপরিচিত সুর সংবলিত খাঁজকাটা দুটো পৃষ্ঠা নিয়ে আসত। তাদের ওই দায়িত্ব থেকে রেহাই ছিল না বলে হেনরির বেহালার আঁকাবাকা সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে জ্যাক র‌্যামোনার গান গাইত: র‌্যামোনা, আমি একটা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখেছি; শুধু তুমি আর আমি চলে এসেছি, শুধু তুমি আর আমি; কিংবা, নাচো, ও আমার প্রিয়তমা, আজ রাতে শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো। কিংবা প্রাচ্যে থেকে যাওয়ার গান: চীনের রাত, আদর সোহাগের রাত, প্রেমের রাত, পরমানন্দের রাত, কোমলতার রাত–ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনো সময় নানি তাদেরকে জীবনমুখি গান গাইতে বলতেন। জ্যাক গাইত, প্রিয়তম, সত্যিই এই তুমি কি সেই তুমি যাকে আমি এত ভালোবেসেছি, যে আমাকে কথা দিয়েছিলে। খোদা জানেন, তুমি কথা দিয়েছিলে কখনও কাঁদাবে না আমাকে।

এই গানটিই জ্যাক খুব দরদ দিয়ে গাইত। কারণ গানের বিষয়বস্তুর নায়িকা একদল লোকের ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মর্মস্পর্শী ধ্রুবপদ বার বার গাইত: তখন তার সামনে যেন তার অবাধ্য প্রেমিককে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। তবে নানির পছন্দ ছিল আরেকটা গান; সে গানটার বিষাদময় কোমল সুর যেন তার অন্তর ছুঁয়ে যেত। গানটা ছিল টসেলির সেরেনাদ। সে গানটাতে হেনরি এবং জ্যাক তাদের নিজস্ব ভঙ্গির মিশেল দিত। অবশ্য আলজেরীয় উচ্চারণ গানটির নৈশকালীন মুগ্ধ আবহ ফুটিয়ে তোলার জন্য উপযুক্ত ছিল না।
রৌদ্রজ্জ্বল বিকেলে এবড়ো থেবেড়ো করে সাদা রং করা দেয়ালের হতদরিদ্র অবস্থায় সজ্জিত রুমে কালো পোশাক পরিহিত চার পাঁচজন মহিলা স্পেনদেশীয় মহিলাদের মাথা এবং কাঁধ ঢাকার কালো ওড়না দিয়ে তাদের মাথা থেকে নামিয়ে হেনরি এবং জ্যাকের গানের কথা আর সুরের সঙ্গে হালকাভাবে মাথা দোলাতে থাকতেন। নানি অবশ্য অন্যদের মতো কালো ওড়না ব্যবহার করতেন না। সারেগামার প্রথম সা থেকে শেষের সা পর্যন্ত কোনোটাই তিনি উচ্চারণ করেননি কোনোদিন এবং সুরপরম্পরার সংকেতগুলোর নামও জানতেন না। তবু হঠাৎ যখন তিনি কাঠখোট্টাভাবে বলে উঠতেন, এই যে এখানে ভুল হয়ে গেল, তখনই অন্যদের মাথা দোলানো বন্ধ হয়ে যেত। আর গায়ক এবং বাদকের পালের হাওয়া যেত পড়ে। দুরূহ যাত্রা যখন তার রুচিকে সন্তুষ্ট করার পর্যায়ে চলে এসেছে নানি বলে উঠতেন, আমার ওসব জানা আছে। আবার গান শুরু হলে মহিলারা মাথা দোলানো শুরু করতেন এবং গান শেষে দুজন কলাকোবিদকে বাহবা দিতেন।

গায়ক বাদকও তাদের সরঞ্জামাদি তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়ে যেত। শুধু ক্যাথরিন করমারি এক কোণে চুপচাপ বসে থাকতেন। জ্যাকের আজো মনে আছে, একদিন গানের পালা শেষ করে তারা বের হচ্ছে কোনো এক খালা তার গানের প্রশংসায় মাকে কিছু একটা বললেন এবং মা তার জবাবে বললেন, ভালোই পারে। ছেলের বুদ্ধি আছে। কথাটা শুনে জ্যাকের মনে হলো, মায়ের কথাদুটো আলাদা। তবে দুটোর মধ্যে কোথায় যেন একটা সংযোগ আছে। বের হওয়ার সময় পেছন ফিরে তাকিয়ে জ্যাক পরিষ্কার বুঝতে পারল, সংযোগটা কোথায়: মায়ের মুখমণ্ডল জুড়ে শিহরণ, তার শান্ত চোখ জোড়ায় উপচেপড়া ব্যাকুলতা। মায়ের গভীর অর্থময় দৃষ্টি যেন তাকে পিছে টানছে, দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে। এরপর জ্যাক ছুটে বেরিয়ে গেল। মা আমাকে ভালোবাসেন। মা তাহলে ভালোবাসেন আমাকে–সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে নিজেকেই শোনাতে লাগল জ্যাক। একই সময় সে উপলব্ধি করতে পারল, মাকে সেও পাগলের মতো ভালোবাসে, বুঝতে পারল, মায়ের ভালোবাসা পওয়ার জন্য সমস্ত হৃদয় তার ব্যাকুল হয়েছিল এতদিন, আরও বুঝতে পারল, ওই মুহূর্তের আগ পর্যন্ত তার মধ্যে দ্বিধা ছিল, মা সত্যিই তাকে ভালবাসেন কি না।

পাড়ার ছবি ঘরে আরেক আনন্দের উৎস ছিল বালক জ্যাকের জন্য। সেখানেও তার এক বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হতো। এই ভূমিকা পালন করতে হতো রবিবার অথবা বৃহষ্পতিবার বিকেলে। পাড়ার সিনেমা হলটা ছিল তাদের বাড়ির ঠিক নিচের রাস্তায়। সিনেমা হল এবং ওই রাস্তার নাম ছিল একজন রোমান্টিক কবির নামে। সিনেমা হলে ঢোকার পথে থাকত আরব ফেরিঅলাদের এলোপাথারিভাবে সাজানো পসরার প্রতিবন্ধকতা: কেউ কেউ বিক্রি করত চীনাবাদাম, লবণ মাখানো শুকনো মটরদানা, এক ধরনের গোখাদ্যের ফল ভাজা, গাঢ় রঙের চিনি মেশানো জবভাজা এবং আঠালো টক লাড্ডু। অন্য কেউ বিক্রি করত জমকালো পেস্ট্রি; সেগুলোর মধ্যে ছেড়ে দেওয়া থাকত গোলাপী রঙের চিনি ছড়ানো পিরামিড সদৃস কুঞ্চন। অন্য কেউ আবার হয়তো বিক্রি করত আরবীয় কায়দায় তেল আর মধুতে ডোবানো ফলের পাতলা টুকরো। মিষ্টি খাদ্যগুলোর দ্বারা আকৃষ্ট হতো দলে দলে মাছি আর ছোট ছেলেমেয়েরা। একে অন্যকে ধাওয়া করার কারণে ভনভনানি আর চিৎকার চেঁচামেচি একাকার হয়ে মিশে যেত ফেরিঅলাদের খিস্তির সঙ্গে।

ফেরিঅলারা নিজ নিজ পসরার খাবারের নিরাপত্তা বিধানের জন্য মাছি আর ছেলেমেয়েদের দলকে একই রকম অঙ্গভঙ্গির দ্বারা তাড়াতে থাকত। কোনো কোনো ফেরিঅলা সিনেমা হলের একপাশে বর্ধিত তাবুর নিচে জায়গা পেত। অন্যরা তাদের আঠালো খাবারের পসরা কড়া সূর্যালোক আর বাচ্চাদের সৃষ্ট ধূলির নিচে ফেলে রাখতে বাধ্য হতো। জ্যাক তার নানিকে সিনেমা হলে নিয়ে যেত। সিনেমায় যাওয়া উপলক্ষে নানির সাদা চুল পেছনের দিকে টেনে মসৃণ করে বাঁধা থাকত আর তার চিরন্তন কালো পোশাক রূপালি পিন দিয়ে আটকানো থাকত। হাউকাউ করা বাচ্চাদের ভীড় অবলীলায় সরিয়ে নানি এক টিকেট কাউন্টারের সামনে গিয়ে ‘সংরক্ষিত’ আসনের টিকেট কিনতেন। ‘সংরক্ষিত’ আসন মানে ভাঁজ করে রাখা চেয়ার যেগুলো খুলে বসার সময় বাজে এক ধরনের শব্দ তৈরি হতো। আরেক ধরনের আসন ছিল বেঞ্চ: সেগুলোতে সাধারণত ছোট ছেলেমেয়েরাই বেশি বসত। শেষ মুহূর্তে পাশের একটা দরজা খুলে দেওয়া হলে তারা নিজেদের আসন নিয়ে ঝগড়া করতে করতে প্রবেশ করত। আসলে ওই দুধরনের আসন ছাড়া আর কোনো রকমের আসন ব্যবস্থা ছিল না। প্রত্যেক বেঞ্চের শেষ মাথায় একজন করে প্রবেশক থাকত। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তার হাতে থাকত চামড়ার চাবুক; প্রায়ই দেখা যেত, সে কোনো বাচ্চাকে কিংবা বয়স্ক কাউকে অমার্জিত আচরণের জন্য সিনেমা হল থেকে বের করে দিচ্ছে। সেকালে সিনেমা থিয়েটারে প্রথমে দেখানো হতো নির্বাকচিত্র, সংবাদচিত্র, তারপর স্বল্পদৈর্ঘ্য কমেডি, সেটাই হতো প্রধান বিষয় এবং সর্বশেষে ধারাবাহিক কাহিনীচিত্র; এরকম কাহিনীর প্রদর্শনী গড়ে সপ্তাহে এক পর্ব দেখানো হতো।

নানির বিশেষ পছন্দের ছিল ওই ধারাবাহিকগুলো, বিশেষ করে যেগুলো প্রতিপর্বে শেষ হতো অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। যেমন পেশীবহুল নায়ক আহত সাদাচুলের নায়িকাকে কোলে নিয়ে গিরিখাতের স্রোতের ওপরে তৈরি লতাগুল্মের সেতু পার হওয়া শুরু করেছে; সাপ্তাহিক পর্বে সর্বশেষ আলোক সম্পাতে দেখা যেত, একটা উল্কি আঁকা হাত একটা ভোতা ছুরি দিয়ে ওই সেতু কেটে দিচ্ছে। সিনেমা হলের ভেতরের বেঞ্চের দর্শকদের সতর্কবাণী সত্ত্বেও নায়ক তার পথে সগর্বে এগিয়ে যেত। নায়ক নায়িকা ওখান থেকে পালিয়ে যেতে পারবে কি না সেটা বড় কথা নয়, সন্দেহ নেই পারবেই। আসল কথা হচ্ছে, তারা কীভাবে নিজেদের মুক্ত করবে সেটাই। আর সে কারণেই এত আরব আর ফরাসি দর্শক পরবর্তী সপ্তাহে আসবে এবং দেখবে ঈশ্বর প্রদত্ত কোনো বিশাল গাছ এসে প্রেমিক প্রেমিকাকে ইহপতন থেকে রক্ষা করে দিচ্ছে। গোটা প্রদর্শনী জুড়ে মূল চলচ্চিত্রের সঙ্গে সিনেমা হলের ভেতর থেকে জীবন্ত একজন বয়স্কা অনূঢ়ার পিয়ানো বাদন শোনা যেত। মিনারেল পানির বোতলের মতো পিঠ প্রদর্শন করে সে বেঞ্চে বসা দর্শকদের দাঁত কেলানো হাসির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করত। সে সময় জ্যাকের মনে হতো, প্রচণ্ড গরমের ভেতর মহিলার আঙুলবিহীন দস্তানা পরাটা একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয়। তার কাজটা যে যত সহজই মনে করুক না কেন আসলে খুব সহজ ছিল না।

যখন যে দৃশ্য দেখানো হতো সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুর বদল করে বাজাতে হতো। বসন্ত উৎসবের সঙ্গে প্রাণবন্ত চার কিংবা পাঁচ যুগল নৃত্যের জন্য যে সুর সেখান থেকে চোপিনের চীনে বন্যার কারণে দাফন যাত্রার সুরে যাওয়ার সময় কিংবা জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক মানের কোনো ব্যক্তির দাফন দৃশ্যের সুরে যাওয়ার সময় বিশেষ লক্ষণীয় কোনো ক্রান্তি টানত না সে। সে যে সুরই বাজাত সেটাই অবিচলভাবে বাজাত যেন গোটা দশেক ছোট যান্ত্রিক বাদ্যযন্ত্র চিরতরে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ঘড়ির যন্ত্রাংশের মতো ওই পুরনো হলুদ হয়ে যাওয়া কীবোর্ডটা যথাযথভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। নামমাত্র দেয়ালঘেরা এবং মেঝেতে চীনাবাদমের খোসা ছড়ানো হলের মধ্যে ক্রেসিলের গন্ধ মিশে যেত মনুষ্য শরীরের কড়া গন্ধের সঙ্গে। হলের মধ্যে কান ঝালাপালা করা হৈচৈ থামানোর জন্য পিয়ানো বাদিকার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ: পূর্ণ প্যাডালে গৌরচদ্রিকায় চলে যেত সে এবং এতেই ম্যাটিনি শোর দর্শকদের মধ্যে ভাব চলে আসত।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক