শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

সবাই মিলে ভদ্রা নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনটি গানবোট নিয়ে পাকিস্তান আর্মির সেনারা যাচ্ছে। হরেন্দ্রনাথের মনে হয় তারা জায়গা জরিপ করছে। এরপরে আক্রমণ করবে। এমন একটি ধারণা নিয়ে হরেন্দ্রনাথ সবাইকে নিয়ে ঘরে যায়। ছেলেদের বলে, তোরা আর কখনো এদিক-ওদিক যাবি না। ওই যে নৌকা দেখেছিস ওর মধ্যে মিলিটারি আছে, বন্দুক আছে। মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলবে ওরা।

–কেন? কেন মেরে ফেলবে বাবা? তাহলে আমরা এখন থেকে আর নদীর ধারের দিকে যাবনা। নৌকাতো নদী দিয়ে আসবে।

–ওটা নৌকা না। ওটাকে গানবোট বলা হয়।

–গানবোট? আচ্ছা আমরা মনে রাখব। এখন থেকে গানবোট বলব।

–ঠিক আছে। এটাও একটা শেখা তোদের।

–দিদি আমাদের শেখা হলো না কেন?

–ওরে আমিও জানতামনা। বাবার কাছ থেকে শিখেছি।

–আমরা এখন কি করব?

–চল, রান্নাঘরে যাই আমরা। মায়ের কাছে বসি।

চারজন রান্নাঘরে ঢুকে পিঁড়ি টেনে বসে পড়ে। মায়ারাণী জিজ্ঞেস করে, কিছু খাবি তোরা?

–হ্যাঁ, মা খাব।

–পিঠা ভেজেছি। নে, পিঠা খা।

মায়ারাণী ওদের দিকে ভাজা পিঠার বাটি এগিয়ে দেয়। বীথিকা বাটি হাতে নিয়ে বলে, বাবাকেও ডাকি। বাবাও পিঠা খাবে।

–এখানে ডাকতে হবে না। এখানে বসার জায়গা নাই। তোরা বারান্দায় যা।

–তুমিও চলো মা। আমরা সবাই মিলে খাব। খুব মজা হবে।

–হ্যাঁ, ঠিক, ঠিক।

বলতে বলতে বাটি থেকে একটা পিঠা তুলে একলাফে রান্নাঘর থেকে নেমে যায় নিরঞ্জন। কৃষ্ণপদ আর অমলও তাই করে। তিন ভাই দৌড়ে গিয়ে বারান্দায় বসে। হরেন্দ্রনাথকে ডাকে।

–বাবা, বাবা আমাদের সঙ্গে বসতে আস। আমরা এখন পিঠা খাব। মায়ের বানানো পিঠা আমাদের মন জুড়িয়ে দেয়।

হরেন্দ্রনাথ বারান্দায় এসে বসে।

–কি রে ময়নারা তোরা পিঠা খাওয়ার জন্য।

–পাগল হয়ে গেছি। সবাই মিলে না খেলে মজা লাগেনা। মা আসবে, দিদি আসবে। ততক্ষণে ওরা দেখতে পায় মায়ারাণী আর বীথিকা থালাভর্তি পিঠা নিয়ে আসছে। ছেলেদের সামনে রাখলে ওরা খেতে শুরু করে।

–মজা, মজা। মায়ের আশীর্বাদ। নিরঞ্জন বাবার মুখের কাছে একটি পিঠা ধরে বলে, খাও বাবা। আমার হাতে খাও।

কৃষ্ণপদ মায়ের মুখে দেয়। অমল দেয় বীথিকাকে। ওদের হাত থেকে পিঠা খেয়ে বীথিকা বলে, এবার আমি সবাইকে খাওয়াব। কেউ নিজের হাতে পিঠা তুলবে না।

বীথিকা সবাইকে পিঠা খাইয়ে দিয়ে ভাইদের বলে, চল আমরা বাইরে থেকে হেঁটে আসি।

তিন ভাইকে নিয়ে বেরিয়ে গেলে হরেন্দ্রনাথ চিন্তিত দৃষ্টিতে মায়ারাণীর দিকে তাকায়। মায়ারাণী অবাক হয়ে বলে, তুমি কি ভাবছ গো?

–অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিলিটারি গানবোট নিয়ে ঢুকেছে আমাদের এলাকায়। নদীতে ঘোরাঘুরি করে চলে গেছে। কবে আক্রমণ করতে আসবে কে জানে?

–তাহলে আমরা ভারতে যাওয়ার জন্য গুছিয়ে ফেলি। আমরা দুজনে মরে গেলে যাব, কিন্তু ছেলেমেয়েদের মৃত্যু দেখতে পারবনা।

–মায়ারাণী তুমি অনেক বড় কথা বলেছ। চল আমরা শরণার্থী হবো।

বীথিকা আর তিন ছেলে দৌড়ে ঘরে ঢুকে বলতে থাকে, মিলিটারি ঢুকেনি, কিন্তু ঘরে ঘরে আগুন লাগাচ্ছে গ্রামের মানুষেরা। দাউদাউ আগুন জ্বলছে চারদিকে। মাগো কেউ কেউ বলছে, যারা আগুন দিচ্ছে এরা সবাই পাকিস্তানিদের দালাল। ঘরে আগুন দেয়ার আগে ওরা ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করে।

–আমরা কালকেই ভারতে চলে যাব।

হরেন্দ্রনাথ সায় দিয়ে বলে, আমিও তাই চিন্তা করেছি। এখন যাই, একটা নৌকা ঠিক করে আসি। তোমরা খাবারদাবার আর কাপড়-চোপড় গুছিয়ে নাও।

–বাবা, আমরা তোমার সঙ্গে যাব।

–আয়, আমার হাত ধর। এদিক-ওদিক দৌড়াবিনা তোরা।

–না, আমরা দৌড়াবনা বাবা। তোমার হাত ধরেই থাকব। তোমার হাত আমাদের শক্তি।

তিন ভাই একসঙ্গে কথা বলে। খলখলিয়ে হাসে। হাসতে হাসতে ঘাসের ওপর পা দাপায়। হরেন্দ্রনাথ ওদের উচ্ছ্বাস দেখে বেশ আনন্দ পায়। দেশ ছেড়ে ভারতে যেতে হচ্ছে এই চিন্তায় তার মন খারাপ ছিল। ছেলেদের হাসিতে মন ভালো হয়ে যায়।

নদীর ঘাটে দাড়িয়ে একজন মাঝির সঙ্গে কথা হয় হরেন্দ্রনাথের। অজয় মাঝি জিজ্ঞেস করে, কতদূর যাবেন কাকু?

–ভারতে যাব। আমাদের এখানে ঘরবাড়ি জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে।

–হ্যাঁ, চলে যান। দেশ স্বাধীন হলে ফিরবেন। আমি আপনাদের নিয়ে যাব। আপনাদের চারটা নদী পার হতে হবে–ভদ্রা, শিবসা, ইছামতি, বুড়িগোয়ালিনী।

–হ্যাঁ, আমিও জানি চারটা নদী পার হতে হবে।

–কখন রওনা করবেন?

–কালকে সকালে। তুমি এখানে থাকবে। আমরা এখানে আসব।

–আচ্ছা, ঠিক আছে। অজয় মাথা নেড়ে বলে, আমার ভাড়াটা ঠিকমতো দিবেন। আমিতো নৌকার ভাড়া দিয়ে ভাত খাই।

–হ্যাঁ, হ্যাঁ পাবে। ভেবো না। আমি তোমার ভাড়া আলাদা করে রাখব। ভাড়া নিয়ে একটুও চিন্তা করবে না।

–আচ্ছা। আমি সকালে এখানে এসে বসে থাকব।

তিন ছেলে লাফ দিয়ে নৌকায় উঠে বলে, আমাদেরকে একটু ঘুরিয়ে দেন। বাবা টাকা দিয়ে দিবে। অমল বাবার হাত টেনে ধরে বলে, বাবা তুমিও চল।

হরেন্দ্রনাথ ছেলেদের নিয়ে উঠে বসে। ওদের ইচ্ছাপূরণ করতে ভালোবাসে সে। কখনো ছেলেমেয়েদের বিরূপ করেনা। অজয়কে বলে, অল্প একটু ঘুরে তুমি ঘাটে লাগাও।

অজয় এপাশে-ওপাশে চক্কর দিয়ে ঘাটে চলে আসে। তিন ছেলে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড়াতে শুরু করে। হরেন্দ্রনাথ ওকে পাঁচ টাকা দিয়ে নেমে যায়। ছেলেরা পেছন ফিরে যখন দেখে বাবা অনেকদূরে ওরা আবার দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বাবার হাত ধরে।

বাড়ি ফিরে দেখতে পায় মা-মেয়ে কাপড় গুছিয়ে নিয়ে পোটলা বানিয়েছে। পাশে আর একটি পোটলা রাখা আছে। হরেন্দ্রনাথ জিজ্ঞেস করে, এটার মধ্যে কি নিয়েছ?

–শুকনা খাবার। চিড়া-গুড়-মুড়ি এইসব।

–এইরকম আরও দুইটা পোটলা বানাও। আমাদেরতো চার নদী পার হয়ে যেতে হবে। সময় লাগবে। ছেলেরা যেন খিদায় কাঁদে না।

–ঘরে যা ছিল তাই পোটলা বেঁধেছি। তুমি আরও কিছু কিনে আন।

–সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এখনই যাই।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা