শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, শেষ পর্ব

অঘ্রানের অন্ধকারে

মানিকগঞ্জ আপনগাঁও থেকে তুরি চিঠি লিখেছে। চিঠি কে নিয়ে এসেছে জানি না। অফিসের রিসেপশনে কেউ রেখে গেছে। এনভেলাপের ওপর আমার নাম, পদনাম আর পত্রিকার নাম লেখা আছে।

খাম খুললাম। ভেতরে দাগটানা এক্সারসাইজ খাতার তিনটা পাতা। প্রথম পাতায় তুরি লিখেছে, এখান থেকে বাইরে চিঠি লেখার নিয়ম নেই। ব্রাদারকে বিশেষ অনুরোধ করে অনুমতি নিয়েছি। তিনি আমার লেখা পড়েছেন।

ব্রাদার জিগ্যেস করলেন, আপনি চিঠি কাকে পাঠাতে চান?
বললাম, কায়নাত খানকে।

আপনার নাম শুনে তিনি ভুরু কুঁচকে সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন বটে তবে অনুমতি দিয়েছেন। তাকে বলেছি এই চিঠি আপনাকে পাঠাতে পারলে আমি ভালো থাকব।
দ্বিতীয় পাতায় তুরি লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার চতুর্দশ দিন। আজ শুক্রবার। একটা ফ্রি দিন। তবুও সকাল থেকে আমার মন খারাপ। অনেকের অভিভাবক এসেছিলেন দেখা করতে। আজ আমার সাথে দেখা করতে কেউ আসেনি। আগামী শুক্রবার ছাড়া আর দেখা করার উপায় নেই। সেন্টারের সব নিয়ম মেনে চলি। তবু আমার আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। আজ দু সপ্তাহ হলো আমি খোলা আকাশ থেকে দূরে আছি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাবা কেমন আছেন জানি না।

বুঝলাম নিরাময়কেন্দ্র থেকে দেওয়া অনুভূতি খাতায় তুরি তার নিজের কথা লিখেছে। সেই লেখা পাতা ছিঁড়ে আমাকে পাঠিয়েছে। তৃতীয় পাতায় লেখা, আজ আমার সেন্টারে অবস্থানের ১৬তম দিন। হঠাৎ আজ ভোরে মনে হলো জীবন সহজ নয়, কঠিন। আমার চিন্তার জগৎ এলোমেলো হয়ে গেছে। মন অস্থির হয়েছে। বাড়ির কথা মনে পড়ছে ভীষণভাবে। বাবার কথা ভাবছি খুব। তিনি নিশ্চয় আমার এ অবস্থার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছেন ভীষণ। আমি আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ওইদিন আমার সাথে প্রথম দেখা করতে আসবে কেউ। বাবা আসতে পারেন, সিলভিয়া আসবে। বড়ো’পা, দুলাভাই আসবে হয়তো। আচ্ছা, কায়নাত খান কি আসবেন! আমি কিছুই জানি না। না না না না না।

আমি পরের শুক্রবার গেলাম না। সেদিন তুরির বাবা কিংবা সিলভিয়া অথবা শাবিনের মা যেতে পারেন ভেবে। আমি গেলাম তারপরের শুক্রবার।

তুরি আমাকে দেখে চমকে উঠল। আমি আসব এমন আশা করলেও সত্যি আসব সে ভাবেনি। আজ তার সাথে দেখা করতে আমি ছাড়া আর কেউ আসেনি।

ব্রাদারকে খুঁজে বের করলাম। তিনি আমাকে চিনলেন। তুরিকে সাথে নিয়ে খোলা মাঠে কিছুক্ষণ হাঁটার অনুমতি চাইলাম। ব্রাদার অনুমতি দিলেন। বেরুনোর আগে বললেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যাবেন না। তাকে আপনার জিম্মায় দিচ্ছি। যদিও নিয়ম নেই। আপনি রেসপনসিবল পারশন। বেশি দেরি করবেন না। তাদের ক্লাস আছে।
তুরিকে নিয়ে চলে এলাম। আমরা গিয়ে মাঠের শেষ মাথায় গাছের নিচে বসলাম। ছাতিমগাছ। তুরি আমার গা ঘেঁষে বসে থাকল।
বললাম, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
তুরি বলল, জানতাম আপনি আসবেন।
কীভাবে জানতে?
মন বলছিল। আমি বুঝতে পারি। শাবিন মারা যাবে তাও বুঝতে পেরেছিলাম।
প্রসঙ্গ বদলাতে চাইলাম। বললাম, ধানের গন্ধ পাচ্ছ?
তুরি সেকথার উত্তর না দিয়ে বলল, আপনার জন্য আমার নিতল শ্রদ্ধা। আপনি এখানে আমাকে দেখতে এসেছেন। ভীষণ খুশি হয়েছি।
এখানে তোমার কষ্ট হচ্ছে?
মানিয়ে নিয়েছি। এটা অদ্ভুত ধরনের জায়গা। একেবারে অন্যরকম।
তোমাকে আর বেশিদিন এখানে থাকতে হবে না। তুমি বললে আমি নিজে এসে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব।
একটা কথা বলি?
বলো।
আমার মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করত শাবিনকে বুকের ভেতর জাপটে ধরে পিষে মেরে ফেলি। তাকে ভীষণ ভালোবাসি।
তুরির গলা ভিজে এসেছে। সে চুপ করে আছে। সামনে দুটো গোরু ঘাস খেতে খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ নেই। ঝকঝকে আকাশ। পাখি উড়ছে। ধানক্ষেতের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। হেলে যাচ্ছে ধানগাছগুলো আবার সোজা হয়ে উঠছে। আমি এসব দেখছি।
নিজ হাত আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে তুরি বলল, আমার হাতটা ধরবেন?
তুরির হাত ধরলাম। নরম, কমনীয় হাত। যেন হাতের ভেতর মুরগির তুলতুলে ছানা নিয়ে বসে আছি। আরেক হাত দিয়ে চোখ মুছে তুরি আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমিও মারা যাব।
চমকে উঠে বললাম, আমরা সকলেই মারা যাব।
তুরি বলল, এই আপনগাঁও থেকে বাড়ি ফেরার আগে মারা যাব।
তোমার এমন কেন মনে হচ্ছে?
ওই যে বলেছি আপনাকে, আমি বুঝতে পারি। কীভাবে পারি জানি না।
সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, এরকম কিছু ভাববে না। মন শক্ত করবে। তোমাকে কবে ছুটি দেবে আজ ব্রাদারের কাছ থেকে জেনে যাব। আমি আসব তোমাকে নিয়ে যেতে।
তুরি আমার হাত তার মাথার ওপর রাখল। গাঢ় গলায় বলল, আমাকে একটু আদর করে দিন। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
আমি ধীরে ধীরে তুরির চুলে বিলি করে দিতে থাকলাম। তুরি কাঁদছে। তার পিঠে হাত রাখলাম। আস্তে আস্তে পিঠে হাত বুলিয়ে দিলাম। সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। তার শরীর কাঁপছে। আবার তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করলাম তার কান্না থামবে। কান্না থামল না। তুরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল।

মঙ্গলবারে খবর পেলাম তুরি মারা গেছে। আপনগাঁও থেকে ব্রাদার ফোন করে জানালেন। কীভাবে মারা গেছে তা লাশ পোস্টমর্টেমের আগে বলতে পারবেন না বললেন।
তুরিকে নিয়ে আমি ভেবেছিলাম। কেন ভেবেছিলাম তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। আমার লেখা উপন্যাসের কল্পনায় লেখা তুরি বাস্তব তুরির মতো জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার কাছে। উপন্যাসে আমার সৃষ্ট তুরি আর বাস্তবের রক্তমাংসের তুরি-দুই তুরিকে মিশিয়ে ফেলেছি। তুরির নোটবুকে যা পড়েছি আর আমি যা লিখেছি মনে হয়েছে সবটায় যেন তুরির জীবনে ঘটেছে। আমি কল্পনা করে কিছু বানায়নি।
উপন্যাস লিখতে লিখতে তুরি চরিত্রকে ভালোবেসেছি। সেই ভালোবাসার ছায়া পড়েছে বাস্তব তুরির ওপর। এ ভালোবাসার কোনো সামাজিক নাম নেই, সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা নেই। তুরির প্রতি প্রবল আকর্ষণ বোধ করেছি। কেন করেছি তাও স্পষ্ট না। হতে পারে তার ব্যক্তিত্ব।
প্রচণ্ডভাবে চেয়েছি সে সুস্থ হয়ে উঠুক, ফিরে আসুক। এমনও ভেবেছি তুরি আর আমি কক্সবাজারে গেছি সমুদ্র সৈকতে। তুরি সমুদ্র ভালোবাসে। সন্ধ্যা পার হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে রাত নেমে এসেছে। তবে অন্ধকার হয়নি। সৈকতে শুধু আমরা দুজন দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের পা নগ্ন। যতদূর চোখ যায় আর কেউ নেই। আকাশে লালচে গোল চাঁদ। সামনে প্রবল জোছনায় ফুঁসে ওঠা সমুদ্রের ঢেউ।
তুরির পিঠে আদর করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তুরি আমার গা ঘেঁষে কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ কথা বলছি না। সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে পড়ার শব্দ ছাড়া কোনো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। সমুদ্রের ঢেউ এসে আমাদের দুজনের নগ্ন পা ভিজিয়ে দিচ্ছে।
রাতে হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুরি সিগারেট জ্বালালো। আমিও সিগারেট জ্বালিয়েছি। সে আমার গলা ধরে পায়ের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়েছে। তার ভেতর কিশোরীর চপলতা। সে নিজ ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট ছুঁয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ঠোঁট গোল করে আমার মুখের ভেতর সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে দিয়েছে।
গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জে রওনা হয়েছি। তুরিকে কথা দিয়েছিলাম আমি গিয়ে তাকে আপনগাঁও থেকে নিয়ে আসব।

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। অসময়ের বৃষ্টি। সামনে সবকিছু সাদা হয়ে গেছে। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যেন কোনোদিন থামবে না। আপনা আপনি আমার চোখ ভিজে এলো। চোখের কোনায় পানি জমেছে। পানির ভার বাড়ছে। একসময় কালো চশমার মোটা ফ্রেমের নিচ দিয়ে চোখের পানি ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়ল গালে।

 

পর্ব ১৭: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

 

Header Ad
Header Ad

জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি

ছবি: সংগৃহীত

দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নতুন দাম শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দর অনুযায়ী:

ডিজেল: ১০৫ টাকা (আগে ১০৪ টাকা)
কেরোসিন: ১০৫ টাকা (আগে ১০৪ টাকা)
অকটেন: ১২৬ টাকা (আগে ১২৫ টাকা)
পেট্রোল: ১২২ টাকা (আগে ১২১ টাকা)

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ হিসেবেই ২০২৫ সালের জানুয়ারির মূল্য সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারির জন্য নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন মূল্য কার্যকরের ফলে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গভীর রাতে সড়ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা একটি পোলট্রি ফার্মের গাড়ি চালককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার সঙ্গে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত চালকের নাম মনির হোসেন (৪০), তিনি আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জামাত আলীর ছেলে। তিনি মীম পোলট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির মালামাল সরবরাহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতিকারী তাকে আটকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে। এরপর তার সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

আহত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে মনির হোসেন কোনোভাবে পালিয়ে গ্রামের দিকে আসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মীম পোলট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির মালিক মাহমুদুর রহমান মিঠুন বলেন, “আমার ড্রাইভার ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একদল দুর্বৃত্ত তাকে আক্রমণ করে টাকা লুট করে নেয় এবং গুরুতর জখম করে। আমরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, সড়কে ডাকাতির ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকানো যায়।

Header Ad
Header Ad

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনের নামসহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুক্তভোগী শাকিল নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নামসহ বিবাদী পাচঁজন হলেন– কুমিল্লার সাতরা চম্পকনগর এলাকার আমির হোসেন বাবুর্চি ওরফে আবুল কাশেমের ছেলে মাসুম (২০), বিষ্ণুপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারির নিধু মিয়ার ছেলে শাওন (২০) এবং একই এলাকার শাহিন (২০)।

এরমধ্যে গতরাতেই মাসুমকে (২০) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মামলার বিবরণী মতে, ভুক্তভোগী সবুজ ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে টিউশন শেষ করে মেসে ফেরার উদ্দেশ্যে দৌলতপুর চৌমুহনী নামক স্থানে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। তখন টমছমব্রিজ থেকে ছেড়ে আসা এক সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অপহরণকারীরা একই সিএনজিতে পিছনের সিটে অবস্থান করে। পরে দৌলতপুর এলাকায় আসার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশা নিলে সেখানেও অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়।

বিবরণে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, 'মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খুব দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা
মিয়ানমারে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলো জরুরি অবস্থার মেয়াদ
চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের