শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

মার্চ মার্সেই পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আর এই মাসেই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ভারতে। ইন্দিরা গান্ধী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ভারতে ক্ষমতায় আসেন। পরদিন নির্মল, যাদব, অসীম ওদের শরণার্থী কার্ড দিতে এসে এসব কথা মারুফকে বলে।

অসীম বলে, পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনার ওপর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভালোই নজর রাখছেন। তিনি জেনেছেন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় অসংখ্য শরণার্থী ঢুকেছে। সেজন্য তিনি ২৫ মার্চ আদেশ জারী করেন যে, যেসব সীমান্ত দিয়ে শরণার্থী আসবে তা খোলা রাখার জন্য। সবাই যেন নিরাপদে ভারতে ঢুকতে পারে। ৩০ মার্চ তিনি সংসদের উভয় কক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনা নিয়ে

ভারত সরকারের মনোভাব প্রকাশ করেন। ভারত পূর্ব বাংলার পাশে থাকবে। সব ধরণের সহযোগিতা দেবে।
মারুফ দুহাত উপরে তুলে বলে, আল্লাহর রহমত। আমাদের সৌভাগ্য। ভারতের সহযোগিতা পেলে যুদ্ধে জিততে আমাদের সময় লাগবে না। আমিও যুদ্ধ করব। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে?

- আছে, আমরা তোমাকে সেখানে পৌঁছে দেব।
মারুফ ওদের তিনজনেরই হাত জাড়িয়ে বলে, তোমরা আমার আজীবনের বন্ধু হলে। এই জোয়ান বয়সে যুদ্ধ না করে দেশের জন্য কিছু করবনা, তা আমি ভাবতে পারিনা।
-আমরা আশীর্বাদ করি তুমি একজন বীরযোদ্ধা হও।
-তোমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের জন্য একজন সাহসী মানুষ। মানবিক বিবেচনায় একজন জ্ঞানী মানুষ। আর আমরা নিজেদের দেশের জন্য সাহসী হতে পারবনা!
-কেন পারবেনা, একশোবার পারবে। তোমার মুক্তিযুদ্ধে নাম লেখাতে হবে। আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে বললে নেতারা তোমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত করবে। এটাই নিয়ম বলে আমরা শুনেছি।
-ঠিক আছে নিয়মমাফিক যা করতে হয় আমি তা করব। তোমরা একটু সহযোগিতা কর।
-আমরা দু’একদিনের মধ্যে খবর নিয়ে তোমার এখানে আসব। তুমি অন্য কোথাও যেওনা।
ওদের কথা শেষ হতেই একজন দ্রুতপায়ে ওদের ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
অসীম বলে, আরে রঘু রাই কোথায় যাচ্ছে?
মারুফ জিজ্ঞেস করে, উনি কে?
- উনি একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার। শরণার্থীদের অনেক ছবি তুলেছেন।
মারুফ বলে, ঐ যে লোকজন আসছে সেজন্যই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।
- ভালোই হলো আমাদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। তাঁর কাজ শেষ হলে আমরা কথা বলব।


দারুণ ছবি তোলে রঘু রাই। যশোর রোডে শরণার্থীদের আসার একটা ছবি তুলেছে। মানুষজন পোটলা মাথায় করে হাঁটছে, ছোট বাচ্চাদের ঘাড়ে নিয়ে হাঁটছে। এক হাতে পোটলা ধরে রেখেছে অন্য হাতে হেঁটে যাওয়া শিশুদের হাত ধরে রেখেছে। নারীদের ঘাড়-মাথায় ছোট-বড় পোটলার বোঝা। চমৎকার ছবিটা। সময়ের নিখুঁত চিত্র। স্বাধীন দেশের মানুষেরা এই ছবি থেকে পাবে শরণার্থীদের বেঁচে থাকার খোঁজ। মৃত্যুকে পেছনে রেখে চলছে তারা, সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কোথায় গিয়ে ঠাঁই মিলবে সেই নিশ্চয়তা তাদের বুকের ভেতর নেই। তারপরও যেতে হচ্ছে ভারতে।
মারুফ বলে, আমরাওতো এভাবে ছুটে এলাম। আমাদের ভাগ্য যে আমরা নিশ্চয়তা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মানবিক বোধের তুলনা হয়না। তিনি সীমান্ত খুলে রাখতে বলেছেন। আমাদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কোনোদিন যদি আমি সামনে পাই তাঁকে তাহলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করব।

- বাহ, তোমার কৃতজ্ঞতার কথা শুনে আমরা খুবই খুশি হলাম।
ওরা তিনজন একসঙ্গে ওর পিঠ চাপড়ে দিয়ে চলে যায়। মারুফ ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই রাস্তায় কলকাতা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়। এমন সময় ও দেখতে পায় রঘু রাই ফিরে আসছে। তাকে দেখে কথা বলার জন্য উৎফুল্ল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মারুফ। রঘু রাই কাছে আসতেই বলে, আমি আপনার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কি ছবি তুলেছেন?

-অনেক ছবি তুলেছি। শরণার্থীদের জীবন আমার কাছে একদম অন্যরকম। এমন জীবন আমি দেখিনি।
-আপনার ছবি ইতিহাসের ছবি হবে।
-হ্যাঁ, তা হবে। বাংলাদেশ যেদিন স্বাধীন হবে তারপরতো শরণার্থীরা দেশে ফিরে যাবে।
-অবশ্যই। আমি যুদ্ধ করে দেশে যাব। শুধু শরণার্থী হব না।
-তাই, দাঁড়ান আপনার একটা ছবি তুলি।


মারুফ নিজেরদের তাবুর দিকে পিঠ ঘুরিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। রঘু রাই তাবুসহ চারপাশের লোকজন নিয়ে ছবি ওঠায়। পুরো শরণার্থী শিবিরের চমৎকার একটি ছবি ওঠে। দেখে খুশি হয় রঘু রাই। মারুফকে বলে, আজকে আমি যাচ্ছি। এরপরে কখনো-কোথাও দেখা হতে পারে। আমিতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরি। বেশ অনেক শরণার্থী শিবির আমার দেখা হয়েছে। যশোর রোডে আমি আবার আসব। আমার জন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়িটা ছাড়তে হবে সেজন্য চলে যাচ্ছি। ছবিগুলো বিভিন্ন কাগজে ছাপা হবে।


-আপনাকে সালাম জানাই যে আপনি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস সজীব রাখছেন।
রঘু রাই হেসে মাথা নাড়ে। মারুফের হাত ধরে বলে, গুড বাই। ভালো থাকুন, বীর যোদ্ধা হন। স্বাধীন দেশের মানুষ হন। যাচ্ছি।
মারুফের হাত ছেড়ে গাড়িতে গিয়ে ওঠে রঘু রাই। গাড়ি ছেড়ে যায়। মারুফ তাকিয়ে থাকে। নিজেকে বলে, ও আমার শরণার্থী জীবনের বড় অভিজ্ঞতা। রঘু রাই তোমাকে আমি ভুলবনা কোনোদিন।
মারুফ নিজের তাঁবুতে এসে ঢোকে। আসমানী ঘাসের ওপর বিছিয়ে দেয়া একটি শাড়ির উপর শুয়ে আছে। মাথার নিচে বালিশ নেই। শুকনো মুখে তাকায় মারুফের দিকে। মারুফ ওর মাথার কাছে গিয়ে বসে কপালে হাত রাখে। পাশে বসে আছে দুলাল।
-মা কৈ রে দুলাল?
-বাইরে গেছে। আমাকে বলেছে আপুর কাছে বসে থাকে। একটু পরে লোক এসে আমাদেরকে খাবার দিয়ে যাবে। সেজন্য বলে গেছে সবাই যেন তাঁবু থেকে বেরিয়ে না যায়।
-তোর খিদে পেয়েছে দুলাল?
-না, পায়নি। মায়ের কাছে যেটুকু ভাত ছিল তাতো আমরা সবাই খেলাম দুলাভাই। আপনার খিদে পেয়েছে?
-হ্যাঁ, আমার খুব খিদে পেয়েছে। আসমানী তোমার খিদে পেয়েছে?
-না, আমার খুব খিদে পায়নি। আমিও মায়ের কাছ থেকে দুই মুঠো ভাত খেয়েছি।
-শরীর ভালো বোধ করছ?
-আগের চেয়ে একটু বেশি ভালোলাগছে। বিশ্বাস পাওয়ার পরে। কিন্তু ছেলে হারানোর কষ্ট আমাকে ছাড়ছে না।
-কিছু করার নেই গো। আমাকেও ছাড়ছে না।
দুলাল কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমাকেও ছাড়ছে না, দুলাভাই। এই ছোট্ট মানুষটি থাকলে এই তাঁবুটা আমার কাছে ফুলের বাগান হয়ে থাকত।
-কাঁদিস না রে ছোট্ট সোনা।

মারুফ নিজেও কাঁদতে কাঁদতে বলে। কাঁদতে শুরু করে আসমানীও। সবাই দুহাতে মুখ ঢেকে রেখেছে। কেউ কারো দিকে তাকায়না।
তখন তাঁবুতে ঢুকে আকাশী। ওদের অবস্থা দেখে বুঝতে পারে কি হয়েছে ওদের। সন্তানের জন্য কাঁদছে মারুফ। আকাশী আসমানীর পায়ের দিকে বসে পড়ে। আসমানী চোখ খুলে বলে, মা, মাগো।
-তোকে সব কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে মা। কষ্ট ধরে রাখলে শরণার্থী শিবিরের কষ্টও বেড়ে যাবে।
আসমানী কথা বলেনা। চুপ করে থাকে। মারুফ দু’হাতে চোখ মুছে শাশুড়ির দিকে তাকায়।
-চারপাশে একটু হেঁটে দেখলাম এখানকার সবার কি অবস্থা।
-আমাদেরকে নাকি ভাত দেয়া হবে?
-হ্যাঁ, বলে গেছে। একটু পরে আসবে।
-আমি ইন্দিরা গান্ধীর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে সালাম করতে চাই বাবা। শুনতে পেলাম অনেকের মুখে যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢুকছে ভারতে। তিনি তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। হায় আল্লাহ, এমন একজন মানুষকে চোখে না দেখলে আমার কষ্ট ফুরাবেনা।


কথা শেষ করে আকাশী হাঁটুর উপর মাথা রাখে। অন্যরাও নিশ্চুপ থাকে। শরণার্থী জীবনের এমন একটি সময় গ্রাম ছেড়ে আসা কয়েকজন ভাবে, স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে গেলে প্রাণপ্রিয় ইন্দিরা গান্ধীকে নিজের দেশে নিয়ে অনেক সম্মান দেখাব। বলব, আপনি আমাদের মা। আকাশী নিজের ভাবনায় অন্যদের কথার সঙ্গে নিজেকে এক করে। ভাবনা গেঁথে থাকে মাথায়।

তখন তাঁবুর সামনে এসে দাঁড়ায় একজন। মারুফ উঠে সামনে যায়। লোকটি খাবারের পোটলা দিয়ে বলে, আপনাদের খাবার।

-আপনারা কয়জন আছেন তাঁবুতে?
-পাঁচজন।
-হয়ে যাবে। সবাই পেট ভরে খেতে পারবেন।
-খাবারের পোটলাটি হাতে নিয়ে মারুফ ভাবে, লোকটি সান্ত¡নার কথা বলে গেল। কোনোরকম খাওয়া হবে। পেট ভরানো নয়। কারণ পোটলার ওজন তেমন নয়। যাহোক, তবুতো কিছু খাবার পাওয়া গেছে। লোকটিকে জিজ্ঞেস করে, আপনার নাম কি দাদা?

-হরিহর। দু’একদিনের মধ্যে আমি আবার আসব। আপনাদেরকে শরণার্থী কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডের প্রমাণে আপনাদের চাল, ডাল, আলু, তেল ইত্যাদি রিলিফ দেয়া হবে। আপনাদের থালা, গ্লাস, হাঁড়ি, বালতি ইত্যাদি দেয়া হবে। নিজেরা রান্না করে খাবেন। আমি যাচ্ছি এখন।

লোকটি চলে যায়। মারুফ তাঁবুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। দেখে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পার হয়ে যশোর রোডে ঢুকছে। ও চারদিকে তাকিয়ে নিজের শ্বশুর রবিউলকে খোঁজে। তিনি কোনদিকে গেছেন এখনো জানতে পারেনি। মারুফ হঠাৎ করে দেখতে পায় তার শ্বশুর আসছে। ও দ্রæত পা চালিয়ে তার কাছে যায়।
- আব্বা আপনি কোথায় ছিলেন?
-খানিকটা দূরে ওই পাশে ছিলাম। আমার এক চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। সেজন্য কিছু সময় কাটালাম ওর সঙ্গে। ওর এখানে আসার অভিজ্ঞতা খারাপ।
-কি হয়েছিল আব্বা?

 

(চলবে)

 

 

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা