সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা

আরেফিনের মৃত্যুর পর মোহিনী সাতদিন বাসার বাইরে যাননি। কারো সঙ্গে কথা বলেননি। অফিসের খোঁজখবর নেননি। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেউ যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। বাসার অপারেটরকেও বলে রেখেছেন, বাইরের কোনো ফোন তাকে দেওয়া যাবে না। তিনি যে বাসায় আছেন সে কথাও বলা যাবে না। এটা তার একটা অদ্ভুত স্বভাব। তিনি যদি নিজে লুকিয়ে রাখেন তাহলে কেউ তাকে আর খুঁজে পায় না।

মোহিনী তার মা বাবাকে বলে রেখেছেন, তাকে যেন তারা ডাকাডাকি না করেন। আসলে নিজেই নিজেকে ঘরে বন্দি করেছেন। বন্দি করেছেন নিজের মনকেও। এই সময়টা মোহিনী নিজের মতো করে কাটাবেন। ইচ্ছা হলে কারো সঙ্গে কথা বলবেন। ইচ্ছা না হলে বলবেন না। কেউ তাকে খেতে ডাকবে না। গোসলের জন্য বলবে না। অফিসে যাওয়ার জন্য তাড়া করবে না। ঘুমানোর কথা কিংবা ঘুম থেকে ওঠার কথাও বলবে না। এই কাজগুলো মোহিনী নিজের ইচ্ছা মতো করবেন। এ সময় কখনো তিনি টানা আঠারো ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। আবার আঠারো ঘণ্টা জেগে থেকেছেন। গান শুনেছেন। ছবি দেখেছেন। বই পড়েছেন। একেবারে নিজের সঙ্গে কাটানো যাকে বলে! তিনি তাই করেছেন। পুরো সময়টুকু তিনি নিজেকে দিয়েছেন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন। গল্প করেছেন। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। বোঝাপড়া তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। কি করবেন তিনি? নতুন করে আবার সংসার করবেন? কি হবে? যদি আবার আঘাত পেতে হয়! যদি আবার এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু!

মোহিনী অতীত নিয়ে ভাবেন। ভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর কথা। আরেফিনের সঙ্গে তার ভালোবাসার দিনগুলোর কথা। একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর কথা। সেই দিনগুলো কত আনন্দের ছিল। কত মধুর ছিল। সেদিন কত স্বপ্ন ছিল। কত আকাঙ্ক্ষা ছিল। শুরুটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছিল। যদিও মা বাবা মেনে নিতে পারছিলেন না। কারণ, আরেফিন খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নেই। আরেফিন তাই ওর মা-বাবার কথা মুখেও আনেনি। তারপরও মা বাবা অসন্তুষ্ট ছিলেন। যে কারণে তার জন্য ঘর ছাড়ার মতো অন্যত্র বাসা নিয়ে থেকেছি। ওর জন্য মা বাবাকে তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সব খুইয়েছিলাম। তারপরও সেটাই মেনে নিয়েছিলাম। আমি আসলেই আরেফিনকে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছি। মনে মনে ভেবেছি, কেউ নেই, কিছু নেই! আরেফিন তো আছে! মেধাবী ছেলে। সুশিক্ষিত। চৌকস। সে অনেক বড় হবে। আমার অনুপ্রেরণায় সে অনেক বড় হবে। অনেক দূর এগিয়ে যাবে। জীবনে বড় হতে হলে কারো না কারো অনুপ্রেরণা তো লাগে! তা ছাড়া সে আমার প্রথম ভালোবাসা। তার সঙ্গে আমি বেইমানি করতে পারব না। করিওনি। অথচ আরেফিন বিশ্বাসই করত না যে; আমি ওকে বিয়ে করব। ও বলত, এটা হতে পারে না। কেউ মেনে নেবে না। সবার বাধা উপেক্ষা করেই তো ওকে আমি বিয়ে করেছিলাম! কারণ ওকে আমি কথা দিয়েছিলাম। সেই কথা আমি রেখেছি। কে জানতো আরেফিন এভাবে পাল্টে যাবে! মানুষের মন। চেনা বড়ই শক্ত। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। সাপের মতো খোলস পাল্টায়। সেজন্যই হয়ত মানুষে মানুষে এতো বিভেদ।

মোহিনী আরও ভাবেন, তারপরও তো আরেফিনকে নিয়েই ছিলাম। কত যন্ত্রণা দিয়েছে! রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি। ওর অনেক যাতনা সহ্য করেছি। অনেক ছোটলোকিপনা মেনে নিয়েছি। ওর জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছি! অথচ শেষ পর্যন্ত আরেফিন আমার সঙ্গে অভিমান করল। অনেক বড় অভিমান। আমি বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে হয়ত ওকে যেতে দিতাম না। ও আমাকে না বলে চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের বাড়িতে চলে যাব। তাই করেছি। আমি কি পেয়েছি সে হিসাব কষতে গিয়ে ভুল আমিও করেছি। আর সে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আজ। সবই যেন নিঃশেষ হয়ে গেল। আবার নতুন করে সংসার জীবনে পা দেওয়ার কোনো মানে নেই। কী আছে! বিধাতা তো আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সংসার জীবন হয়ত আমার জন্য নয়। সবাইকে সবকিছুতেই শতভাগ সফল হতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই! অন্যদিক থেকে তো আমি সফল! আমি যদি এ রকম একটা সমৃদ্ধশালী পরিবারে না জন্মাতাম! যদি দরিদ্র পরিবারে জন্মাতাম! তাহলে তো অর্থ কষ্ট, খাবার কষ্টে জীবন আরও অতীষ্ট হয়ে উঠত। আমি বিশাল একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। বাবার প্রতিষ্ঠানগুলোও আমারই থাকবে। হয়ত এগুলো নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। সামনের দিকগুলোতে মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়াই হয়ত উত্তম কাজ হবে।

মোহিনীর একটি গানের কথা আজ বড় মনে পড়ছে। তিনি মোবাইল হাতে নিয়ে ইউটিউবে সার্চ দেন। জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘বড় অভিমান করে চলে গেছ আর বলে গেছ ফিরে আসবে না। আমি জানি হার মানবে তবু দূরে থাকা ভালোবাসবে না।’..

গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন মোহিনী। ঘুমের ঘোরে তিনি আরেফিনকে দেখেন। আরেফিন তার কাছে আসেন। তাকে আদর করেন। আদরে আদরে ওকে ভরিয়ে তোলেন। তার কপালে চোখে ঠোঁটে গলায় বুকে তারপর শরীরের সর্বত্র আরেফিনের ঠোঁটের পরশ বুলিয়ে মোহিনীকে পাগল করে তোলেন। গভীর ভালোবাসার আবেশে ডুবে যান মোহিনী। দারুণ এক ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে মোহিনীর ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে দেখেন সবই দুঃস্বপ্ন। যা হওয়ার নয়। কোনো দিন যা হবে না। হতে পারে না। কিন্তু তিনি এ রকম একটা স্বপ্ন দেখলেন!
আবার মোহিনীর মনটা ভারী হয়ে ওঠে। চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকে। ঘুরেফিরে আরেফিনের কথা মনে পড়ে। অতীতের নানা স্মৃতি মনের আয়নায় ভেসে উঠে।

মোহিনী অফিসে যাবেন। মোহিনী আর ঘরে বসে থাকবেন না। অতীতকে আকড়ে ধরে বসে থাকবেন না। তিনি নিজেকে ভাঙবেন। নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবেন। নতুনভাবে তিনি বেঁচে থাকবেন। মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। নিজের যা সম্পদ আছে তা প্রয়োজনের বেশি একটুও তিনি রাখবেন না। এখন মানুষ বড় অসহায়। এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাড়াতে হবে সাহায্যের হাত। ঘরে বসে আর অলস সময় কাটাবেন না। এ পর্যন্ত যা করেছেন সেটা তা খুবই সামান্য। আরও অনেক কিছু করার আছে তার। অনেকভাবে তিনি মানুষকে সাহায্য করতে পারেন।

মোহিনী ভাবেন, এদেশের মানুষ বড় অসহায়। এই দেশে কথায় কথায় মানুষের চলে চাকরি যায়। ঠুকনো অজুহাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়। করোনাকালে এ পর্যন্ত অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই বেতনবঞ্চিত। এ অবস্থায় ঢাকা শহরে একটা পরিবার চলে কি করে! তা ছাড়া জিনিসপত্রের যা দাম! বাড়ি ভাড়া, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ! চিন্তাই করা যায় না। করোনার মধ্যেও স্কুলগুলো বেতন নিচ্ছে। বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এসব অমানবিক খবর পত্রিকায় দেখে মন খারাপ হয় মোহিনীর। তিনি মনে মনে বলেন, মানুষ এত নিষ্ঠুর কেন? মানুষ তো মানুষের জন্যই। অথচ সেই মানুষ কত স্বার্থপর! কত আত্মকেন্দ্রিক! কত রূপ সেই মানুষের! নিজের স্বার্থে মানুষ সবকিছু করতে পারে!

মোহিনীর কাছে এই মানুষগুলোকে অচেনা লাগে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন। কাউকে না কাউকে তো হাল ধরতেই হয়! সেই হালটা তিনি ধরবেন। যত কষ্টই হোক, তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবেন না।

আবার মোহিনীর মনে প্রশ্ন জাগে; একা কী করবেন তিনি? তার পক্ষে কতটুকুই বা সম্ভব! তারপরও মোহিনীর পক্ষে যা করা সম্ভব তা তিনি করবেন বলে মনস্থির করেছেন। তার দেখাদেখি আরও অনেকেই হয়ত এগিয়ে আসবেন। অথবা কেউ যদি নাও আসে লজ্জা তো পাবে!

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার