প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২
ভোর বেলা আমাদের মরুযাত্রার কথা। যে দেশের পঁচানব্বই শতাংশ এলাকাই মরুভূমি সেই দেশে ঘুরতে এসে প্রকৃত মরু অঞ্চল সফর না করে ফিরে যাওয়া মানে মিশর ভ্রমণ অসম্পূর্ণ রেখে যাওয়া। আমাদের গন্তব্য আল ফাইয়ুম। কায়রো থেকে আশি মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে মরুদ্যান নগরী ফাইয়ুম একই নামের এই প্রশাসনিক এলাকার রাজধানী।
মরু অঞ্চল হলেও আল ফাইয়ুমের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে হ্রদ-নদী-খাল, এমন কি জলপ্রপাতসহ নানা ধরনের জলাধার। ফলে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই আল ফাইয়ুম তুলা, গম, ভুট্টা, আখসহ ফুল, ফসল আর উট, দুম্বা, ভেড়া জাতীয় প্রাণিজ সম্পদের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। আমরা মরুদ্যানে গড়ে ওঠা শহরে নয়, যেতে চাই প্রকৃত মরুভূমিতে।
বালি ও পাথরের ওপারের হ্রদ
আমাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে মোহামেদ সাদেক বাহন এবং চালকসহ সাত সকালে এসে হাজির।
রানা ভাই গাড়িতে উঠেই বললেন টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার মরুভূমিতে চলাচলের জন্য যথোপোযুক্ত বাহন। এ ছাড়াও ফোর হুইল, হর্স পাওয়ার এবং ইঞ্জিন সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য দিয়েছিলেন রানা ভাই, গাড়ি সম্পর্কে আমার জানাশোনা একেবারেই মূর্খের পর্যায়ে বলে কিছুই আমার মনে নেই। শুধু বাহন নয়, মোহামেদ সাদেক বাহনের চালক বাসুনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, ‘হি ইজ আ ডেজার্ট ডেভিল!’ সুদর্শন শশ্রুমণ্ডিড দীর্ঘদেহী তরুণ গাড়িচালক বাসুনি কোনো ধরনের শয়তান, সে পরিচয় পেয়েছিলাম দিকচিহ্নহীন ধুসর মরুভূমির একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়ার পরে। তবে তখন শুধুই দাঁতে দাঁত চেপে ইস্ট নাম জপতে জপতে বালিয়াড়ির মধ্যে টিলা টপকে আবার বালির সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়া ছাড়া কোনো গত্যান্তর ছিল না।
সাদেক, বাসুনি, রানাভাই ও হেনা
শহর থেকে বেরোতে ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমাদের বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হলো। তবে আমাদের উল্টো দিকে শহরের প্রবেশ পথের দিকে গাড়িগুলো সারি সারি পিঁপড়ার মতো ধীর গতিতে এগুচ্ছে দেখে সান্তনা পেলাম, আমরা ওদের চেয়ে দ্রুত এগুচ্ছি। দু পাশের অসংখ্য নতুন স্থাপনার কাজ চলছে। হাজার হাজার রংচটা অসমাপ্ত অর্ধসমাপ্ত বাড়ি আর ধূলি মলিন ভবনের দৃশ্য দেখতে দেখতে তিন চার কিলোমিটার পথ এগোবার পরে যানজট কমে এলো। আমরা ততোক্ষণে গিজার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।
আল ফাইয়ুমের জনপদ
গিজার দুটো পিরামিড হাতের বামে রেখে শহর থেকে বেরিয়ে যাবার পরপরই সাদেক গাড়ির সিডি প্লেয়ারে আরবি গান চালিয়ে দিল। রানা ভাই বললেন এটা তো মনে হচ্ছে উম্মে কুলসুমের কণ্ঠ নয়। আরব বিশ্বের সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী মিশরের উম্মে কুলথুম, যাকে আমরা উম্মে কুলসুম নামেই জানি, তিনি চার দশকের বেশি সময় তাঁর গানে মাতিয়ে রেখেছিলেন সমগ্র আরব দুনিয়া। আমরা ভাষা না জেনেও তাঁর গানের সঙ্গে, অসাধারণ কণ্ঠের সুর মূর্ছনার সঙ্গে পরিচিত। তাই প্রথমেই যে নামটি মনে আসে সেটি উম্মে কুলথুম। মোহামেদ সাদেক জানালো, ‘ইনি ফাইরুজ! লেবাননের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফিরুজ ফাইরুজ। তবে শুধু লেবানন নয়, সারা আরব দুনিয়া তাঁর কণ্ঠের গানে মাতোয়ারা।’ ফাইরুজ জন্মেছেন উন্মে কুলথুমের চল্লিশ বছর পরে,স্বাভাভিক ভাবেই আধুনিক যন্ত্র অনুসঙ্গ এবং প্রকৌশলগত উৎকর্ষ তাঁর গানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফাইরুজের কণ্ঠের সুর মাধুর্যে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা আমাদের বাহন যেনো প্রতি মুহূর্তে ছন্দের দোলায় দুলতে থাকে। ফাইরুজের কণ্ঠ ছাড়াও আরবি গানের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে ইন্টরল্যুডে সুর ছড়ায় নে নামের বাঁশি কিংবা ওউদ নামের গিটার। অনেকটা সময় ধরে আমরা ফ্ইারুজের গানে মগ্ন থাকি।
কারুন পেরিয়ে চেকপোস্ট
ঘণ্টাখানেক পরে সেনাবাহিনির একটি গ্যাস স্টেশনে প্রথম যাত্রা বিরতি। মরু প্রান্তরে পেট্রোল পাম্পের সঙ্গে গোলাপি টালিতে ছাওয়া একটি ছোট্ট রিসোর্ট তৈরি করে নিয়েছেন সেনাকর্তারা। যে দেশের প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনির সাবেক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি সে দেশে মরুভূমিতে সেনা কর্মকর্তাদের বিশ্রামে জন্য একটা রিসোর্ট তো থাকতেই পারে। তবে সদাশয় সেনাবাহিনি সাধারণ মানুষের জন্য গাড়ির জ্বালানি নেওয়ার পাশাপাশি চা পানির ব্যবস্থাও রেখেছে। আমরা গাড়ি থেকে নেমে চা কফি কেক বিস্কিটের কিয়স্ক ‘স্মাইল মার্কেট’এ ঢুকে পড়ি। জলযোগ না হলেও জল বিয়োগের জন্যে এখানে থামাটা দরকার ছিল। ‘স্মাইল মার্কেট’এর টয়লেটে ঢুকে এর করুণ দশা দেখে অবশ্য মনে হলো, প্রক্ষালণ কক্ষের উপর সেনাবাহিনির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নাক চেপে প্রক্ষালণ শেষে আমরা কফির কাপ হাতে একটু বাইরে ঘুরে এলাম। গ্যাস স্টেশনের ভেতরে এবং আশেপাশে কিছু গাছ লাগিয়ে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলছে এখানে। মরুভূমিতে একটু সবুজের ছোঁয়া দেখে ভালো লাগলো। আমাদের চারপাশে এতো সবুজ, আমরা তাই গাছপালা সংরক্ষণের ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারি না।
কারুন লেকের এক প্রান্ত
দুপাশে ছোট ছোট বালির পাহাড় এবং মাঝখানে সরু এক চিলতে পথ দিয়ে ল্যান্ডক্রুজার এগোতে শুরু করলে বুঝলাম ক্রমেই আমরা গভীর মরুভূমির ভেতরে ঢুকে পড়ছি। ছোট বালির পাহাড়গুলো মাঝে মাঝেই বড় হয়ে যায়, বিশাল বালির স্তুপ কখনো কাছে এগিয়ে আসে আবার কখনো দূরে সরে যায়। যতো দূরে চোখ যায় সারি সারি হলদে বাদামি রঙের বালির টিলা চোখে পড়ে। কোথাও কোথাও এইসব বালির সমুদ্রে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সবুজ ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম। তবে এই বিশাল বালুর পৃথিবীতে সবুজের দেখা নেই বললেই চলে, বরং মাঝে মাঝে ধূসর পাথরের ঢিপি কিংবা নুড়ি পাথরের মতো স্তূপ অনেকটা সময় ধরে আমাদের সাথে সাথে চলতে থাকে। সাদেকের ভাষ্যমতে এইসব পাথর প্রধানত লাইম স্টোন। পথের পাশের সারি সারি বালির ঢিপি এবং দূরের বালির পাহাড় হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে দিগন্ত বিস্তৃত বালির সমুদ্রের ওপারে নীল জলের আভাস পাওয়া যায়। আমার মনে হয়েছিল একি মরিচিকা! রানা ভাই বললেন, ‘এখানে লেক কারুনসহ আরও অনেকগুলো লেক আমাদের পথে পড়বে। কাজেই দূরে যা দেখা যাচ্ছে সেটি সত্যি কোনো একটি জলাধার। মোহামেদ সাদেক জানালো, ’এই পুরো আল ফ্ইায়ুম এলাকাটাই এক সময় কোনো সাগর বা মহাসাগরের অংশ ছিল। তার প্রমাণ তোমরা নিজের চোখেই দেখতে পাবে।’
বালিতে নুড়ি পাথর ছড়ানো যে পথ ধরে এতোক্ষণ চলছিলাম সেটি প্রচলিত ধারণার পাকা রাস্তা না হলেও যথেষ্ট মসৃণ। হঠাৎ করে বাসুনি জোরে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে তার গাড়ি রাস্তা থেকে ডান দিকে বালির সমুদ্রে তুলে নিয়ে এলো। উঁচু নিচু বালুর তরঙ্গমালায় ঢেউ তুলে এবং এই সাথে আমাদের সারা শরীরে খানিকটা ঝাঁকুনি ছড়িয়ে একটু পরেই থেমে গেল ল্যান্ডক্রুজার। পা রাখলাম মরুময় বালির চত্বরে। জনমানবহীন এই বিশাল প্রান্তরে প্রবহমান বাতাসের মৃদু সির সির শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। আমরা নিচে নেমে পাথরের টুকরো ছড়ানো হলদে বাদামি বালির সমুদ্র থেকে মুঠো ভরে বালি তুলে নিয়ে অবাক হয়ে দেখি বালির ভেতরে ঝিনুক বা শামুকের খোলের ছোট ছোট ভঙুর অংশ। সাদেক দুই একটি শক্ত পাথরের টুকরো আমাদের হাতে দিয়ে বলে, ‘এই যে দেখো, এটা হয়তো কোনো সামুদ্রিক প্রাণির দাঁত!’ আমাদের অবিশ্বাসের চোখে তাকাতে দেখে সে আবার বলে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক তিমির কঙ্কাল দেখাতে নিয়ে যাবো। ঘণ্টা খানেকের পথ।’
কারুন হ্রদ
আমরা ল্যান্ডকুজারকে পেছনে রেখে স্তরে স্তরে সাজানো একটি লাইমস্টোনের স্তূপ পার হয়ে সামনে এগিয়ে দেখতে পাই মরুভূমির প্রান্তে বিস্তৃত নীল জলের এক বিশাল হ্রদ। জলাধারের কাছাকাছি দুই একটি সবুজ ঝোপ ঝাড় দেখা গেলেও মনে হয় হ্রদের ওপারে রীতিমতো সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ নাকি বনভূমি, হয়তো আমাদের দৃষ্টি বিভ্রমও হতে পারে। তবে খুব বেশি সময় এ হলদে বালিয়াড়ি ও নীল জলের সৌন্দর্য উপভোগের সময় ছিল না। আমরা গাড়ির কাছে ফিরে এসে মরুভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখতে কয়েকটি ছবি তুলে সামনের দিকে যাত্রা শুরু করি।
কুড়ি পঁচিশ মিনিট চলার পরে হাতের বাঁ দিকে পথের পাশের ছোট বড় পাহাড় উধাও হয়ে গেল। এখানে বালির স্তর ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে সমুদ্রের তটরেখোর মতো একটি বিশাল লেকের পানিতে মিশে গেছে। মোহামেদ সাদেক বলে উঠলো, ‘এই হচ্ছে লেক কারুন!’ কারুনের ধন বলে কথিত গল্পে যে অবিশ্বাসীর ধন সম্পদ এক সময় বিশাল হ্রদে তলিয়ে গিয়েছিল এই সেই কারুন হ্রদ! স্মরণাতীত কাল থেকেই মিশরের ইতিহাস, বিশ্বাস ও গল্পগাথার সাথে লেক কারুনের নামটি জড়িয়ে আছে। ধারণা করা হয়, অতীতে আল ফাইয়ুম প্রদেশের পুরো এলাকা জুড়েই ছিল মিঠা পানির জলাধার কারুন হ্রদ। বর্তমানে কম করে হলেও তিপান্ন হাজার একর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে লেক কারুন, তবে এখন আর সুপেয় নয় এই হ্রদ, বেশির ভাগই লবনাক্ত পানির আধার। তবে মাছসহ জলজ প্রাণির বসবাসও আছে এখানে।
কোরানে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে মুসা আলাইহেসালামের সমসাময়িক কারুন নামের এক সম্পদশালী ব্যক্তির পাপের শাস্তি স্বরূপ তার প্রাসাদ এবং ধন সম্পদ প্লাবিত হয়ে এই বিশাল হ্রদে তলিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় মৎসজীবী এবং লেকের আশেপাশের মানুষের অনেকেই বিশ্বাস করে কারুনের ধন এখনো মৎস কন্যাদের পাহারায় হ্রদের তলায় গচ্ছিত আছে। গত কয়েকশ বছরে অগণিত লোভী লুটেরা মানুষ কারুনের গভীর জলে সোনা দানা হাতড়ে ফিরেছে, কিন্তু কেউই যে শেষ পর্যন্ত কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি সে কথা সবারই জানা। বছর কুড়ি আগে একবার রটে গিয়েছিল, কারুনের বিপুল ধন সম্পদ গভীর জলের তলদেশ থেকে তুলে আনতে হলে হ্রদের তীরে একশ শিশু কোরবানি দিতে হবে। উদ্বিগ্ন বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের অনেকদিন স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে ঘরের ভেতরে আটকে রেখেছেন। এই গুজব বন্ধ করতে সরকারকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হয়েছিল। শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্ধবিশ্বাসী মূর্খদের বসবাস এখনো সারা পৃথিবী জুড়েই আছে।
মরুভূমিতে গ্যাস স্টেশন
দীর্ঘ বিস্তৃত কারুন লেকের পাড়ে কোখাও জন্মেছে জলজ উদ্ভিদ, আবার ভেতরেও কোথাও কোথাও জেগে উঠেছে দ্বীপভূমি। এ সব ছোট্ট দ্বীপেও গাছপালা জন্মে। মরুভূমির ভেতরেও বালুময় ধু ধু প্রান্তর, পাথর, পানি ও প্রকৃতির এই রূপ বৈচিত্র্য আল ফাইয়ুমে না এলে কখনোই জানা হতো না। আমরা হ্রদের পাড়ে দাঁড়িয়ে কারুন হ্রদ্র নিয়ে পবিত্র গ্রন্থের বয়ান আর প্রচলিত বিশ্বাসের গল্প শুনে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবার গাড়িতে উঠে পড়ি। আমাদের সামনের প্রকৃতি হলদে বাদামি এবং ধূসর থেকে রং বদলে সবুজ হতে থাকে। পথের দুপাশে খেজুর গাছের সারি ছাড়াও দেখা দেয় ফসলের ক্ষেত। একটি দুটি মাটির তৈরি মরু আবাস পেরিয়ে চোখে পড়ে এক সারি তাঁবু। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা চেকপোস্টে এসে বাসুনি গাড়ি থামিয়ে দেয়। সেনাবাহিনির সশস্ত্র পোশাকধারীরে সাথে মোহামেদ সাদেকের কথপোকথন বুঝতে পারি না, তবে জনপ্রতি পাঁচ ঈজিপ্টশিয়ান পাউন্ড দিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ব্যাপারটা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
চেকপোস্ট পার হয়ে যাবার পর থেকেই পথের দুপাশে ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালা এবং বাড়িঘরের সংখ্যা বেড়ে যায়। আমরা মরুভূমির ভেতরেই একটি নাগরিক জনপদের দিকে এগোতে থাকি। নুড়ি পাথর ছড়ানো পথের পরিবর্তে মসৃণ পিচঢালা পথে উঠে ছুটতে থাকে ল্যান্ডক্রুজার। কিছু পরে সবুজ বেস্টনীর ওপারে আধুনিক বসতবাড়ির ফাঁকে উঁকি দেয় একটি মসজিদের মিনার।
চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২
প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১
আরএ/